• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
গাইবান্ধায় মরদেহ নিয়ে থানা ঘেরাও
গাইবান্ধার ফুলছড়িতে জমি নিয়ে সংঘর্ষে মৃত্যুর ঘটনায় মরদেহ নিয়ে বিচারের দাবিতে থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছেন এলাকাবাসী। এ সময় পুলিশ লাঠিচার্জ করে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয়। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সকালে ফুলছড়ি থানা ঘেরাও করেন নিহত নুরুন্নবীর স্বজন ও এলাকাবাসী। পরে উপজেলা পরিষদের সামনে মানববন্ধন করেন তারা। স্থানীয়রা জানান, ফুলছড়ির দক্ষিণ বুড়াইল গ্রামের বাসিন্দা নুরুন্নবী মিয়ার সঙ্গে প্রতিবেশী গোলজার মিয়ার দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জেরে গতকাল সোমবার সকালে বিরোধপূর্ণ জমিতে নুরুন্নবী মিয়া আসলে প্রতিপক্ষ গোলজার মিয়া ও তার লোকজন হামলা চালান। এতে নুরন্নবী মিয়াসহ কয়েকজন গুরুতর আহত হন। গুরুতর আহত নুরুন্নবী মিয়াকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার সকালে তার মৃত্যু হয়। স্থানীয়রা আরও জানান, নিহতের স্বজনরা হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে মরদেহ নিয়ে আজ সকালে ফুলছড়ি থানায় গেলে পুলিশের সঙ্গে তাদের তর্কবিতর্ক ও ধাক্কাধাক্কি হয়। এ সময় পুলিশ বিক্ষোভকারীদের লাঠিচার্জ করে। পরে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে মরদেহ কেড়ে নিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। এ ঘটনার বিচার দাবিতে বিক্ষুদ্ধ জনতা উপজেলা পরিষদের সামনে মানববন্ধন করে।  পরে গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিক্ষুব্ধ জনতাকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন ফুলছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাফিকুজ্জামান বসুনিয়া। তিনি বলেন, নিহতের স্বজন ও গ্রামবাসীরা মরদেহ নিয়ে থানায় এলে পুলিশের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। পরে তাদের কাছ থেকে মরদেহ নিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
৫৯ মিনিট আগে

সংগীতশিল্পী খালিদের মরদেহ গোপালগঞ্জে, দুপুরে জানাজা
আশি ও নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও চাইম ব্যান্ডের ভোকালিস্ট খালিদের মরদেহ গোপালগঞ্জে নিয়ে আসা হয়েছে।  সোমবার (১৮ মার্চ) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টায় গোপালগঞ্জ শহরের বাড়িতে তার মরদেহ এসে পৌঁছায়। এর আগে সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় রাজধানীর একটি হাসপাতালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান সংগীতশিল্পী খালিদ। গতকাল রাত ১১টায় ঢাকার গ্রিন রোড জামে মসজিদে খালিদের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে তার মরদেহ নিয়ে রাতেই গোপালগঞ্জের গ্রামের বাড়িতে নেওয়া হয়। রাত সাড়ে ৩টায় গোপালগঞ্জ শহরের বাড়িতে পৌঁছায়। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বাদ জোহর গোপালগঞ্জ কোর্ট মসজিদে খালিদের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।  পরে শহরের গেটপাড়ার কবরস্থানে তার বাবা-মায়ের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হবে বলে পারিবার নিশ্চিত করেছে। ‘হিমালয়, সরলতার প্রতিমা, কোনো কারণেই ফেরানো গেল না তাকে’ শিরোনামের অসংখ্য জনপ্রিয় গানের এ শিল্পীর মৃত্যুতে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। ১৯৬৫ সালের ১ আগস্টে গোপালগঞ্জে জন্মেছিলেন সংগীতশিল্পী খালিদ। ১৯৮১ সালে গানের জগতে যাত্রা করেন তিনি। ১৯৮৩ সাল থেকে ‘চাইম’ ব্যান্ডে যোগ দেন। একের পর এক হিট গান উপহার দিয়ে অল্প সময়েই খ্যাতি পান খালিদ। 
৩ ঘণ্টা আগে

সাগরে নিখোঁজ যুবকের মরদেহ মিলল সৈকতে
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সমুদ্র সৈকত থেকে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (১৮ মার্চ) বিকেলে ফৌজদারহাট সমুদ্র উপকূলের কিং শিপ ইয়ার্ডের পাশ থেকে এ মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত ইলিয়াস (২৭) নামের যুবক বরগুনার বামনা উপজেলার বড় তালেশ্বর এলাকার খালেকের ছেলে। স্থানীয়রা জানান, সোমবার বিকেলে ফৌজদারহাট উপজেলার সমুদ্র উপকূলে অজ্ঞাতনামা যুবকের মরদেহ দেখে স্থানীয়রা নৌ পুলিশকে খবর দেয়। পরে নৌ পুলিশ ও গাউছিয়া কমিটির মানবিক টিমের সহায়তায় উদ্ধার করা হয় মরদেহটি। তার পকেটে একটি আইডি কার্ড পাওয়া গেছে। নিহতের পরিবার জানায়, ১৫ দিন আগে আমার ভাই নাগরীর স্টিলমিল এলাকায় সমুদ্র উপকূলে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হন। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কুমিরা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নাসির উদ্দিন। তিনি বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার করি। গাউছিয়া কমিটির মানবিক দলের সদস্যরা আমাদের মরদেহ উদ্ধারে সহায়তা করেছে। তিনি আরও বলেন, মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানানো হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
৬ ঘণ্টা আগে

বিএসএফের গুলিতে নিহত কিশোরের মরদেহ ফেরত পেল পরিবার
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার মুরাইছড়া সীমান্তে ভারতীয় বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি কিশোরের মরদেহ ফেরত পেয়েছে পরিবার। সোমবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যায় বিজিবি মরদেহ গ্রহণ করে সীমান্ত এলাকায়ই পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে।  জানা গেছে, রোববার (১৭ মার্চ) বিকেলে মুরাইছড়া বস্তির আছকির মিয়ার ছেলে সাদ্দাম হোসেন (১৫) ও একই গ্রামের মৃত সাদাই মিয়ার ছেলে ছদ্দেকুর রহমান (৩৪) মুরাইছড়া সীন্তের শিকরিয়া এলাকায় গরু চরাতে চরাতে সীমান্তের জিরো লাইনের কাছাকাছি চলে যায়। এ সময় ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের উনকোটি জেলার মাগুরুলি বিএসএফ ক্যাম্পের টহলরত বিএসএফ সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। গুলিতে কিশোর সাদ্দাম ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ সময় ছিদ্দেকুরকে আহতবস্থায় বাংলাদেশ সীমান্তে ফিরে আসলে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কুলাউড়া, পরে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতাল নেয়। তবে সেখানেও অবস্থা খারাপ হলে তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তিনি সেখানে চিকিৎসা নিচ্ছেন। অপরদিকে নিহত সাদ্দাম হোসেনের মরদেহ নিয়ে যায় পুলিশ। এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য সিলভিস্টার পাঠাং জানান, নিহত সাদ্দামের মরদেহ ভারতের কৈলাশহর হাসপাতালের মর্গে ছিল। মরদেহ ফেরাতে তারা বিজিবির সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করেন। এরপর বিজিবি ও বিএসএসফের যোগাযোগ হলে আজ মরদেহ ফেরত পাওয়া গেছে। বিকালে বিএসএফ সাদ্দামের মরদেহ বিজিবির কাছে হস্তান্তর করলে রাতে বিজিবি তা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। কুলাউড়া থানা অফিসার ইনচার্জ আলী মাহমুদ জানান, সোমবার বিকেলে সাড়ে ৫টার দিকে বিএসএফ মরদেহ বাংলাদেশে পাঠালে প্রথমে বিজিবি তা গ্রহণ করে। পরে থানা পুলিশের হাতে হস্তান্তর করে। বিষয়টি নিয়ে ভারতের কৈলাশহর থানায় মামলা হয়েছে। মামলার ডকুমেন্টসহ তাদের কাছে হস্তান্তর করেছে বিজিবি। আইনি কার্যক্রম শেষে মরদেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
১৭ ঘণ্টা আগে

নিখোঁজের ৪ দিন পর নদী থেকে হাফেজের মরদেহ উদ্ধার
হবিগঞ্জের মাধবপুরে নিখোঁজের চার দিন পর নদী থেকে এক হাফেজের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।  সোমবার (১৮ মার্চ) সকালে উপজেলার সোনাই নদীতে তার মরদেহ পাওয়া যায়।  ওই হাফেজের নাম বুলবুল আহমেদ হৃদয় (২০)। তিনি উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের কমলানগর গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করে মাধবপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক আতিকুর রহমান জানান, আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেছি। প্রাথমিকভাবে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।  এলাকাবাসী জানায়, বুলবুল আহমেদ গত বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়ির পাশে সোনাই নদীতে মাছ ধরতে যান। এরপর তিনি আর বাড়ি ফিরে আসেননি। এ নিয়ে ওইদিন রাতেই মাধবপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে পরিবার। আজ সকালে স্থানীয় লোকজন সোনাই নদীতে ভাসমান অবস্থায় মরদেহ দেখতে পান।  পরে পুলিশে খবর দিলে কাসিমনগর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ গোলাম মোস্তফা ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করেন।
১৮ ঘণ্টা আগে

তারাবি পড়তে গিয়ে নিখোঁজ, ভুট্টাখেতে মিলল মরদেহ
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে ভুট্টাখেত থেকে আব্দুর রাজ্জাক (৪০) নামে এক ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (১৮ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে ডাংধরা ইউনিয়নের হারুয়াবাড়ী এলাকার একটি ভুট্টাখেত থেকে ওই মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। আব্দুর রাজ্জাক হারুয়াবাড়ী এলাকার সুরুজ্জামানের ছেলে। তিনি স্থানীয় সানন্দবাড়ী এলাকায় ভুট্টার ব্যবসা করতেন। দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার সানন্দবাড়ী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আব্দুর রহিম জানান, রোববার সন্ধ্যায় তারাবি নামাজের কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান আব্দুর রাজ্জাক। রাতে বাড়ি না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুঁজি করেন। সোমবার সকালে বাড়ির পাশে একটি ভুট্টাখেতে মরদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে মরদেহটি উদ্ধার করে জামালপুর মর্গে পাঠানো হয়। তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
১৯ ঘণ্টা আগে

হিজলায় আ.লীগ নেতার মরদেহ উদ্ধার
বরিশালের হিজলায় সয়াবিন খেত থেকে আওয়ামী লীগ নেতার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।  শনিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে মরদেহটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হিজলা থানার ওসি জুবাইর।  নিহতের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে বলে এটি হত্যাকাণ্ড বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত করেছে পুলিশ।  নিহত জামাল মাঝি বরিশাল-৪ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পংকজ দেবনাথের অনুসারী। তিনি উপজেলার ধুলখোলা ইউনিয়নের সাত নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বলে জানিয়েছেন পংকজ দেব নাথ।   নিহতের স্ত্রী আঁখি বেগম জানান, গতকাল রাতে বাড়ি না ফেরার পর রাত ২টার দিকে স্বামী জামাল মাঝির মোবাইল ফোনে কল দেন তিনি। তখন তার স্বামী জানিয়েছিলেন ভালো আছেন ও নিরাপদে আছেন। সকাল ৯টার দিকে তিনি জানতে পারেন তার স্বামীর মরদেহ খেতে পড়ে আছে। এদিকে ওসি জুবাইর বলেন, পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি মরদেহ পেয়েছি। কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। কে বা কারা করেছে তা জানি না। তদন্ত করে বলতে পারব, কারা জড়িত।
১৬ মার্চ ২০২৪, ২৩:৫৮

ফেনীতে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার
নোয়াখালীর ফেনীতে ইয়াসমিন আক্তার (২৯) নামের এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।  শনিবার (১৬ মার্চ) সন্ধ্যায় সোনাগাজী উপজেলার মতিগঞ্জ ইউনিয়নের বাদাদিয়া গ্রামের রমজান আলী মিস্ত্রি বাড়িতে এ মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত ইয়াসমিন ওই বাড়ির ওমান প্রবাসী মেহেদী হাসানের স্ত্রী। স্থানীয়রা জানান, গৃহবধূর স্বামী দীর্ঘদিন ওমানে থাকেন। তার একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। গৃহবধূর মৃত্যুর পর তার স্বামীর পরিবারের সবাই পালিয়ে গেছে। তবে গৃহবধূর বাবা সোনাগাজী সদর ইউনিয়নের ছুট্টু মিয়া তার মেয়েকে শশুর বাড়ির লোকজন হত্যা করেছে বলে দাবি করেছেন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সোনাগাজী মডেল থানার ওসি সুদীপ রায় পলাশ। তিনি বলেন, কীভাবে গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে তা বলা যাচ্ছে না। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
১৬ মার্চ ২০২৪, ২৩:৩৭

অবন্তিকার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর, বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ 
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। শনিবার (১৬ মার্চ) দুপুর ১২টায় তার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। এদিকে ফাইরুজ অবন্তিকার মৃত্যুর জন্য দায়ীদের দ্রুত বিচারের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করার দাবিতে কুমিল্লা পূবালী চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা। অবন্তিকার মা তাহমিনা শবনম জানান, ময়নাতদন্ত শেষে জোহরের নামাজের পর কুমিল্লা সরকারি কলেজে অবন্তিকার জানাজার নামাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে। পরে শাসনগাছায় অবন্তিকার বাবার কবরের পাশে তাকে সমাহিত করা হবে।   এর আগে শুক্রবার রাত ১০টায় কুমিল্লায় নিজ বাড়িতে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকা। এর কিছুক্ষণ আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন তিনি। সেখানে সহপাঠী আম্মান সিদ্দিক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দীন ইসলামকে দায়ী করে যান অবন্তিকা।
১৬ মার্চ ২০২৪, ১৪:৪৭

ফ্যান চালানো নিয়ে স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া, অতঃপর...
নোয়াখালীর সেনবাগে পারিবারিক বিরোধের জের ধরে শ্রাবণী বৈষ্ণব (২১) নামের এক গৃহবধূ ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গেছে। ঘটনাটি শুক্রবার (১৫ মার্চ) সকালে উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউপির দক্ষিণ রাজারামপুর গ্রামের বৈষ্ণব বাড়িতে এ ঘটে।  নিহত গৃহবধূ ওই বাড়ির নয়ন বৈষ্ণবের স্ত্রী। নিহতের বাবার বাড়ি চট্টগ্রামের হালিশহর আনন্দ বাজার এলাকায়। তাদের ৩ মাসের অরাধ্য বৈষ্ণব অবন্তিকা নামের এক কন্যাসন্তান রয়েছে। নিহত গৃহবধূর মা যুগ মায়া বৈষ্ণব ও বোন স্মৃতি বৈষ্ণব এ ঘটনায় জন্য নিহতের স্বামী নয়ন বৈষ্ণব, শাশুড়ি লক্ষ্মী  বৈষ্ণব, তিন বোন শিল্পী বৈষ্ণব, শিখা বৈষ্ণব, বিউটি বৈষ্ণবসহ পাঁচজনকে দায়ী করেন। খবর পেয়ে সেনবাগ থানার এসআই নিউটন চৌধুরী ঘটনাস্থল থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। দুপুরে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে গৃহবধূ তার স্বামী নয়ন  বৈষ্ণবের সঙ্গে ফ্যান চালানো নিয়ে ঝগড়া করেন। এরপর স্বামী কাজে বের হয়ে বসুরহাটে চলে যান। পরে স্ত্রী নিজের রুমের ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেন। এ সময় বাড়ির লোকজন তাকে উদ্ধার করে সেবারহাট নুর প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে মরদেহ তারা বাড়িতে নিয়ে আসেন। এ দিকে নিহত গৃহবধূর স্বামী নয়ন বৈষ্ণব খবর পেয়ে থানায় গিয়ে স্ত্রীর আত্মহত্যার বিষয়টি জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ থানায় নিয়ে আসে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সেনবাগ থানার অফিসার ইনচার্চ (ওসি) মো. নাজিম উদ্দিন জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১৫ মার্চ ২০২৪, ১৯:৫৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়