• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
‘রাজনীতির নামে বিশ্ববিদ্যালয়ে যেন অপরাজনীতি না হয়’
রাজনীতির নামে বিশ্ববিদ্যালয়ে যেন অপরাজনীতি না হয় সেই আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সিন্ডিকেট সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। রোববার (৩১ মার্চ) রাতে বুয়েট ক্যাম্পাসে এ কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, আমাদের তরুণ শিক্ষার্থী কোনোভাবেই বিশ্ববিদ্যালয়ে অপরাজনীতির সম্পৃক্ততা চায় না, ফলে সে জায়গায় তাদের দাবি সেভাবেই পূরণ করতে হবে। কোনোভাবেই রাজনীতির নামে অপরাজনীতির সুযোগ বিশ্ববিদ্যালয়ে যেন না থাকে। আমার মনে হয় বুয়েটে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে অপরাজনীতির বিরুদ্ধে মনোভাব কাজ করছে। কারণ তাদেরই এক সহপাঠী অন্যান্য সহপাঠীর হাতে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটিকে রাজনীতির সঙ্গে মেলানো ঠিক হবে না। হয়তো হত্যাকারীদের রাজনৈতিক পরিচয় মিলেছে, তবে মূলত এটা (হত্যাকাণ্ড) অপরাজনীতি। অপরাজনীতির কারণে একজন মেধাবী শিক্ষার্থী হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে। তাকে যারা হত্যা করেছে তারাও মেধা-যোগ্যতা নিয়ে ভর্তি হয়। এ ঘটনা বুঝিয়ে দেয়, অপরাজনীতি কী ভয়াবহ। সাধারণ শিক্ষার্থীরা অপরাজনীতির কারণে এটির প্রতিবাদ করছে। তিনি আরও বলেন, রাজনীতি থেকে ছেলেমেয়েদের বিচ্ছিন্ন করা হলে তাদের মধ্যে মানবিক গুণাবলি থাকবে না। তারা অমানবিক হয়ে পড়বে। এটা কাম্য নয়। সুষ্ঠু রাজনীতির অভাব বিভিন্ন জায়গায় দেখতে পাই, সেটা শিক্ষার্থীদের মধ্যে রাজনীতিভীতি তৈরি করে। আমরা শিক্ষার্থীদের মানুষ হিসেবে দেখতে চাই, রোবট হিসেবে নয়।  একজন শিক্ষার্থী শুধু প্রকৌশল জ্ঞানে শিক্ষিত হবে তা নয়, সতিকার অর্থে ভালো মানুষ হয়ে উঠতে পারে বলেও জানান আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।
০১ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:০৭

‌‘আ.লীগের নেতাকর্মীরা মানুষকে ভালোবাসতে জানে’
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে মানুষকে ভালোবাসতে জানে বলে মন্তব্য করেছেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। শনিবার (২৩ মার্চ) রাজধানীর মালিবাগে শহীদ ফারুক ইকবাল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।  বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে শেখ হাসিনার কর্মী হিসেবে মানুষকে ভালোবাসতে জানে। আওয়ামী লীগ সব সময় মানুষের পাশে থাকে। এই ভালোবাসা নিয়েই আমরা থাকতে চাই। ঢাকা-৮ আসনের জনগণের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা আমাকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করেছেন। আমি আপনাদের সবার কাছে কৃতজ্ঞ। নির্বাচনের পরে নিয়ম অনুযায়ী সবার কাছে যেতে হয়। আমি যেতে পারিনি। আপনারা কেউ মনে কষ্ট নেবেন না। আমি সেবক হিসেবে বারবার আপনাদের কাছে আসব। দোয়া ও ইফতার মাহফিলে স্থানীয় কাউন্সিলর, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং মালিবাগের স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন।
২৩ মার্চ ২০২৪, ২১:৫০

‘এত উন্নয়নের পরও শেখ হাসিনাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে’
এত উন্নয়ন করার পরও একটি গোষ্ঠী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। শনিবার (৯ মার্চ) রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে (কেআইবি) বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের নবনির্বাচিত নেতার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময়ের সময় তিনি এ মন্তব্য করেন। বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে হতদরিদ্র দেশ থেকে আজকের উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে পরিণত করেছেন। বাংলাদেশ আজ বিশ্ব দরবারে উন্নয়নের রোল মডেল। বিশ্বের অনেক উন্নত দেশ আজ বাংলাদেশকে দেখে বিস্ময় চোখে তাকিয়ে থাকে। এসব কিছুই সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার কারণে। তার কারণে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। এত উন্নয়নের পরও একটি গোষ্ঠী বাংলাদেশ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে।’ তিনি বলেন, ‘ষড়যন্ত্রকারীরা দেশবিরোধী অপশক্তি। তারা দেশের মানুষকে শান্তি দিতে জানে না। দেশের মানুষের মুক্তি, শান্তি ও উন্নয়নের লক্ষ্যে তারা কোনো কাজ করে না। শেখ হাসিনা মানুষের জন্য যে নিরন্তর সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন তার এ চলার পথকে তারা বাধাগ্রস্ত করে দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে রুখে দিতে চায়। তারা বারবার আমাদের অর্থনীতির ওপর আঘাত করতে চায়। তাদের বিরুদ্ধে আমাদের যার যার অবস্থান থেকে সজাগ থাকতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাস করে, গণতান্ত্রিক চেতনায় সমৃদ্ধ অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিশ্বাস করে তাদের অবশ্যই ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমরা সবাইকে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থাকব। ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগকে কেউ পরাজিত করতে পারে না। ঐক্যবদ্ধ শক্তি আমাদের আরও শক্তিশালী করবে।’ বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘কেউ যদি অপ্রয়োজনে অথবা নিজের স্বার্থের জন্য বঙ্গবন্ধুর আদর্শের শক্তিকে পরাজিত করে আত্মতৃপ্তি পায়, তাদের সঙ্গে গণতান্ত্রিক, প্রগতিশীল ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় যারা বিশ্বাস করে তাদের পক্ষের শক্তি থাকবে না। যাদের অসৎ উদ্দেশ্য থাকে তারা সবসময় পরাজিত হয়।’
০৯ মার্চ ২০২৪, ২১:২৬

‘রাজাকারদের মুক্তি দিয়েছেন জিয়া’
জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে রাজাকারদের মুক্তি দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। শুক্রবার (৮ মার্চ) বিকেলে টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স (সিপিএস) বিভাগের ২০ বছর পূর্তি ও অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের গ্র্যান্ড রিইউনিয়ন অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার সময় এ কথা বলেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাজাকারদের জেলে ভরেছিলেন। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে তাদের মুক্তি দিয়েছেন। এরপর আমরা ক্ষমতায় এসে তাদের বিচার করছি। যারা প্রধান রাজাকার ছিল তাদের বিচার করা হচ্ছে। আর যাদের বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ করছে তাদের বিরুদ্ধে বিচার কার্যক্রম চলমান। রাজাকারদের তালিকা প্রকাশের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, তালিকা প্রণয়ন করা হচ্ছে, গ্রাম থেকে শুরু করে শহর পর্যন্ত যাচাই-বাছাই হচ্ছে। অতিদ্রুত এ তালিকা প্রকাশ করা হবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফরহাদ হোসেন, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ আর এম সোলাইমান, টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) নাফিসা আক্তার প্রমুখ।
০৯ মার্চ ২০২৪, ০৬:৫০

‘দুই ভাগে হচ্ছে রাজাকারের তালিকা’
রাজাকারের তালিকা দুই ভাগে করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ‘রাজাকারের তালিকার জন্য আলাদা কমিটি আছে। সরকারিভাবে যে তালিকা ছিল, তা কিন্তু আমরা প্রকাশ করার চেষ্টা করেছিলাম। তখন দেখা গেল—অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বা যুদ্ধের সপক্ষে ছিলেন এমন মানুষের নামও তালিকায় এসেছে। তখন দেশবাসী এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে।’ তিনি বলেন, ‘এখন আমরা দুই ভাগে ভাগ করেছি। একটি হলো সক্রিয়ভাবে যারা কাজ করেছে। যেমন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে রাস্তাঘাট চিনিয়ে নিয়ে বাড়িঘর পোড়ানোর জন্য সহযোগিতা করেছে, লুটপাট করার জন্য সহযোগিতা করেছে, অস্ত্র নিয়ে-ট্রেনিং নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে। তাদের একটি তালিকা। আরেকটি হচ্ছে, যারা রাজাকার হিসেবে নাম দিয়ে রেখেছে জীবন বাঁচানোর জন্য। তখন হয়তো কিছু বলার ছিল না।’ তিনি আরও বলেন, ‘এটা একটি জটিল ব্যাপার। তারপরও শাজাহান খানের নেতৃত্বে কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। তারা কাজ করছেন। ওই কমিটি আমাদের কাছে তালিকা পাঠালে আমরা তা প্রকাশ করব।’ মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের যেসব কাজকর্ম চলছে, যেমন- বধ্যভূমি, যুদ্ধকালীন ঐতিহাসিক স্থান সংরক্ষণ, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বীর নিবাস, এসব কাজ যেন যথাযথভাবে হয়, সেজন্য ডিসিদের তদারকি-তৎপরতা বাড়ানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধাদের যেসব সমস্যা আছে বা তারা কিছু নিয়ে গেলে সেগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গুরুত্ব দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
০৫ মার্চ ২০২৪, ১৯:৩১

এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের বিচার নিয়ে যা বললেন সাবেক গণপূর্তমন্ত্রী
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ১ মার্চ সাবেক গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম তার ভেরিফায়েড পেইজে একটি পোস্ট দেন। ফেসবুকের সেই পোস্টে তিনি বেইলি রোডের আগুন ও বনানীর এফআর টাওয়ারের অগ্নিকাণ্ডের বিচার নিয়ে কথা বলেন। আরটিভির পাঠকদের জন্য সাবেক গণপূর্তমন্ত্রীর সেই পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো- বনানীর F R টাওয়ারের অগ্নিকাণ্ডের বিচার আজো হয়নি : বেলি রোডের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মৃতের সংখ্যা ৪৬ ছাড়িয়েছে। এর দায় অবশ্যই তাদের নিতে হবে যাদের গাফিলতির কারণে এই নির্মম হত্যাকান্ড সংগঠিত হলো। স্বজন হারাদের আর্তনাদ, অপূরণীয় ক্ষতি এবং অনেক পরিবারের সুন্দর ভবিষ্যৎ কিভাবে নির্মমতায় শেষ হয়ে গেল, এর বিচার হবে কিনা জানিনা।‌ বনানীর এফ আর টাওয়ারের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়েছিলো, আমাদের ভবনগুলির অব্যবস্থাপনা এবং দেখভাল করার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভিন্ন সংস্থার ব্যর্থতা। উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন তদন্ত কমিটি করেছিলাম একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে। তদন্তে ৬২ জনের দায় নিরূপণ হয়েছিল ভবন নির্মাণ এবং তদারকির সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের মধ্য থেকে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুসারে দায়ীদের সকল তথ্য দিয়েছিলাম দুর্নীতি দমন কমিশনকে। অপ্রিয় হলেও সত্য ,তদন্ত রিপোর্টে যাদের দায় নিরুপন হয়েছিল তাদের সকলের বিরুদ্ধে মামলাও রুজু করা হয়নি। আরো আশ্চর্য যে, তদন্ত শেষে আরো অনেককেই বাদ দিয়ে দেওয়া হয় অভিযোগপত্রে। যাদের দায় নির্ধারণ করেছিল উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন তদন্ত কমিটি, তাদের চেয়ে অনেক নিম্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা ঐ দায়ীদের একটি অংশকে অব্যাহতি দিয়ে দিলেন। অতি দ্রুততার সঙ্গে তাদের জামিন হয়ে গেলো। এমনও নজির রয়েছে, কোন কোন আসামিকে একদিনের জন্যেও জেল হাজতে যেতে হয়নি। বিচারে শাস্তি হওয়াতো অনেক দূরের কথা। যতদূর জানি এই মামলার বিচার আজও হয়নি। ওই ঘটনা দেশি-বিদেশি সকল গণমাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। ওই ঘটনার পরে ফায়ার ব্রিগেড ও সিভিল সার্ভিসের সক্ষমতা বাড়াতে অনেক ইকুইপমেন্ট আনা হয়েছে। রাজউকসহ অন্যান্য সংস্থাকে এজাতীয় ভবনের তদারকের উপরে গুরুত্ব দিয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। বলতে আমার দ্বিধা নেই, সবকিছুই স্থিমিত হয়ে যায় স্বল্প সময়ের মধ্যেই। এভাবেই অপরাধের বিচার প্রক্রিয়াকে ভূলুণ্ঠিত করে দিয়ে বিচারহীনতার সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রভাবশালীদের হাত অনেক লম্বা। তারা সবকিছুই ম্যানেজ করে ফেলতে পারেন। বেলিরোডের নির্মমতা আমাদের হৃদয়কে স্পর্শ করলেও অনেকেই এই সকল অগ্নিকান্ডের ভয়াবহ ঘটনায় দায়ীদের বাঁচাবার জন্যই তৎপর হয়ে যান। নারায়ণগঞ্জের হাশেম ফুড এর ঘটনায় পোড়া দেহগুলি স্বজনদের হাতে হস্তান্তর করার পূর্বেই জামিন হয়ে গেলো আসামিদের। আমাদের বিবেক কি, নির্বাক হয়ে এসব দেখেই যাবে? নিহতদের পরিবারের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা ছাড়া কি আর বলার আছে? চিকিৎসাধীন যারা তাদের আরোগ্য কামনা করছি। আল্লাহ তাআলা আমাদের সহায় হোন। এই ঘটনায় দায়ী অপরাধীরা যেহেতু শক্তিশালী, তাদের হাত অনেক লম্বা, তাই তাদের নিয়ে না হয় কোন মন্তব্য করলাম না।  
০৪ মার্চ ২০২৪, ১৪:৩৪

‘১৩০০ ভবন চিহ্নিত করেছিলাম, কিন্তু ভাঙা সম্ভব হয়নি’
সাবেক গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, ১ হাজার ৩০০ ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করেছিলাম। কারণ ওইসব ভবন মন্ত্রণালয় অনুমোদিত নকশা অনুযায়ী তৈরি করা হয়নি। কিন্তু সেই ভবনগুলো ভাঙা সম্ভব হয়নি। শনিবার (২ মার্চ) জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার রাতে বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে ঘটা ভয়াবহ আগুনের ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে তিনি এসব কথা বলেন। সাবেক গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার হাতে দায়মুক্তির সংস্কৃতি ধ্বংস হয়েছে, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বড় বড় অপরাধীদের বিচার হয়েছে। সেক্ষেত্রে দায়মুক্তির সংস্কৃতি থেকে আমরা বেরিয়ে এসেছি। কিন্তু কিছু কিছু জায়গায় আরও কঠিন পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। শ ম রেজাউল করিম বলেন, বনানীর এফআর টাওয়ারে আগুন লাগার পরে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে কাজ করেছিলাম। তদন্ত করে ৬২ জনের বিরুদ্ধে রিপোর্ট দিয়েছিলাম। দুর্ভাগ্য সর্বোচ্চ পর্যায়ের কমিটি রিপোর্ট দেওয়ার পরও সবার বিরুদ্ধে মামলা হয়নি। তারপর চার্জশিট দেওয়ার সময় অনেককে বাদ দেওয়া হয়েছে। এখানেই শেষ নয় আজকে পর্যন্ত সে মামলার অভিযোগ গঠন হয়নি। সরকার দলের এ সংসদ সদস্য বলেন, নারায়ণগঞ্জে ফ্যাক্টরিতে ৫২ জন লোককে পুড়িয়ে হত্যা করা হলো (২০২১ সালে)। সে মামলার আসামিরা জেলে গেছে, সে বিচার আজ পর্যন্ত শুরু হয়নি। এ রকম অনেক ঘটনা আছে। এ জাতীয় অপরাধের সঙ্গে যারা জড়িত, প্রয়োজনে আইন পরিবর্তন করে স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল করে তাদের বিচার করতে হবে। নাহলে অন্যদের কাছে একটা মেসেজ যাবে না। এর আগে সংসদের বৈঠকের শুরুতে বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনায় জাতীয় সংসদে শোক প্রকাশ করা হয়। এ সময় স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরী গভীর শোক এবং নিহতের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে বনানীর এফআর টাওয়ারে আগুনে ২৭ জনের মৃত্যু হয়। সে সময় গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ছিলেন শ ম রেজাউল করিম। গত বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বেইলি রোডে আগুনে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়।
০২ মার্চ ২০২৪, ২৩:২৩

‘রিজার্ভ নিয়ে আমাদের কোনো সংকট নেই’
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেছেন, দেশে রিজার্ভের কারণে উন্নয়ন প্রকল্পে কার্যক্রম স্থবির হয়ে নেই। কোনো উন্নয়ন কার্যক্রমই স্থবির হয়ে পড়েনি। সব কার্যক্রম চলমান। রিজার্ভ নিয়েও আমাদের কোনো সংকট নেই। রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাজশাহী সার্কিট হাউজ সম্মেলন কক্ষে রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় চলমান উন্নয়ন প্রকল্পগুলোতে দীর্ঘসূত্রিতা পরিহার করে কীভাবে দ্রুত করা যায় সেটি নিশ্চিত করা হচ্ছে বলেও জানান গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী।  তিনি বলেন, কাজের গুণগতমান ভালো করতে গিয়ে অনেক সময় দেরি হয়। সেটি বিবেচনায় রেখে কোনো কাজ যাতে প্রলম্বিত না হয় সে বিষয়ে তৎপর রয়েছি। তিনি আরও বলেন, সিটি করপোরেশন, পিডব্লিউডি ও বিদ্যুৎ বিভাগের মতো পরিষেবা দানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সমন্বয়ের অভাবে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা উন্নয়ন প্রকল্পগুলোতে দীর্ঘসূত্রিতা বাড়ছে। রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (আরডিএ) থেকে অনুমতি না নিয়ে কেউ যদি আবাসন গড়ে তোলেন সেটা বেআইনি কাজ। সেই বিষয়টি দেখবেন জেলা প্রশাসক। কেউ অনিয়ম করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ সময় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, রাজশাহী জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদসহ অন্যান্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। বিকেলে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় এবং সরকারি মেডিকেল কলেজে ১০০ শয্যাবিশিষ্ট ক্যানসার চিকিৎসাকেন্দ্র এবং রাজশাহী বঙ্গবন্ধু স্কয়ার পরিদর্শন করবেন মন্ত্রী।
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:১১

উন্নত আবাসন পাবে দরিদ্র জনগোষ্ঠী : গণপূর্তমন্ত্রী
নগরের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য উন্নত আবাসন ব্যবস্থা করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।  সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ আশ্বাস দেন তিনি। একইসঙ্গে জানিয়েছেন, পরিকল্পিত নগর উন্নয়নের জন্য আন্তরিকভাবে কাজ করে চলেছে সরকার। মন্ত্রী বলেন, নগরের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে। পাশাপাশি অপরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠা এই নগরের পরিবর্তন করে যথাযথ সুযোগ সুবিধা বাড়িয়ে পরিকল্পিতভাবেই নগরায়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে। এই লক্ষ্যে সংশ্লিষ্টদের সব কার্যক্রম তদারকি করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) লোকবল কম। বিভিন্ন অনিয়ম তদারকির পাশাপাশি উন্নয়নমূলক কাজও করেন তারা। সেখানে নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে যাতে কার্যক্রম পরিচালিত হয় সেটি দেখা হবে।  
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:১১

‘ঘুষ দিয়ে অনুমোদন নেওয়া মসজিদে নামাজ পড়া নাজায়েজ’
গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী আ ম উবায়দুল মুক্তাদির চৌধুরী বলেছেন, ঘুষ দিয়ে মসজিদের অনুমোদন নিলে সেখানে নামাজ পড়া নাজায়েজ হবে। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) সচিবালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়সভায় তিনি এ কথা বলেন। এক প্রশ্নের জবাবে গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, রাজউকে ঘুষ দিয়ে যে মসজিদের অনুমোদন নিতে হয়েছে, সেখানে নামাজ পড়া নাজায়েজ হবে। সেই মসজিদ ভেঙে ফেলা উচিত। তবে রাজউকের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে সেটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন দুর্নীতিতে জিরো টলারেন্স। আমরাও চাই দুর্নীতিতে জিরো টলারেন্স। তিনি বলেন, দুর্নীতি রোধ ও সরকারি ভবন নির্মাণে অপচয় কমানোর চেষ্টা করা হবে। এ জন্য দুর্নীতির ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতিগ্রহণ করা হবে।  আ ম উবায়দুল মুক্তাদির চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমার ওপর আস্থা রেখে আমাকে একটি দায়িত্ব দিয়েছেন। এই দায়িত্ব পালনে আমি আপনাদের সহযোগিতা চাই। আমি আশা করি, আপনারা আমাকে সহযোগিতা করবেন। দায়িত্বপালনের সময় যদি আমি কোনো অপরাধমূলক কাজ করি তাহলে অবশ্যই সেটা আপনারা হিসাবে নেবেন। কিন্তু আমি যেন বারবার অপতথ্যের শিকার না হই।  তিনি বলেন, যেখানে যেটা হাত দেওয়া দরকার সেখানেই আমি আমার সাধ্য অনুযায়ী কাজ করব। এটা আমার নিজের জ্ঞান ও আপনাদের পরিবেশিত সংবাদ থেকে সাহায্য নিয়ে করব। আমার জীবনে আমি আইন ভেঙে আন্দোলন করেছি। আইন ভেঙে সংগ্রাম করেছি। কারণ সংগ্রাম করতে গেলে, আন্দোলন করতে গেলে সবসময় আইন মেনে করা যায় না। আইয়ুব খানের সময়ে যদি আমি মনে করতাম আইন ভঙ্গ করব না তাহলে আমার পক্ষে আন্দোলন করা সম্ভব হতো না, আজকের বাংলাদেশও হতো না। আমরা আইন ভেঙ্গেই আন্দোলন করেছিলাম। তিনি আরও বলেন, সরকারি কাজ আইন মেনে চলবে এটাই নিয়ম। আমি আইনগতভাবে বিধি-বিধান মেনে যতটুকু কাজ করা সম্ভব করব। সচিব ও গৃহায়নের চেয়ারম্যানের প্লট নেওয়ার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, আইনের বাইরে কিছু করলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 
৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:৩০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়