• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
কারিগরি বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যানকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে ডিবি
ভুয়া সনদপত্র সরবরাহে জড়িত থাকার অভিযোগে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান আলী আকবর খানকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টায় ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদ এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।  তিনি বলেন, আকবর খানকে রোববার ওএসডি করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) তাকে ডিবি অফিসে ডাকা হয়েছে। এতে তার সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে গ্রেপ্তার করা হবে।  এ ছাড়া এ ঘটনায় যাদের নাম এসেছে পর্যায়ক্রমে সবাইকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলেও জানান হারুন অর রশীদ। এর আগে, একই অভিযোগে শনিবার (২০ এপ্রিল) তার স্ত্রী সেহালা পারভীনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। পরদিন আকবর খানকে ওএসডি করে প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। উল্লেখ্য, গত ১ এপ্রিল কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সনদ জালিয়াতির অভিযোগে প্রথমে গ্রেপ্তার হন সিস্টেম অ্যানালিস্ট প্রকৌশলী এ কে এম শামসুজ্জামান। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসে এই জালিয়াতির সঙ্গে জড়িতদের নাম। ইতোমধ্যে এই মামলায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে কয়েকজন রিমান্ডে আছেন।  
২২ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:২৬

সনদ বাণিজ্য / এবার গ্রেপ্তার কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের স্ত্রী
সনদ বাণিজ্যে জড়িত থাকার অভিযোগে এবার বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আলী আকবর খানের স্ত্রী শেহেলা পারভীনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। সাইবার নিরাপত্তা আইনের মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ডিবি সূত্র।  শনিবার (২০ এপ্রিল) রাতে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানান, কারিগরি বোর্ডের সনদ বাণিজ্য মামলার প্রধান আসামি এ টি এম শামসুজ্জামান এবং সহযোগী আসামি সানজিদা আক্তার ওরফে কলি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এই জবানবন্দির ভিত্তিতে শেহেলা পারভীনকে শনিবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবিতে আনা হয়েছে। এদিকে প্রাথমিকভাবে শেহেলার বিরুদ্ধে এ টি এম শামসুজ্জামানের সঙ্গে টাকা-পয়সা লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া গেছে জানিয়েছে ডিবির একটি সূত্র। এর আগে একই মামলায় কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্ট শামসুজ্জামান, সাবেক কর্মচারী ও বর্তমানে শামসুজ্জামানের সনদ তৈরির নিজস্ব কারখানায় নিয়োজিত কম্পিউটারম্যান ফয়সাল হোসেন, গড়াই সার্ভে ইনস্টিটিউটের পরিচালক সানজিদা আক্তার ওরফে কলি, হিলফুল ফুজুল নামের কারিগরি প্রতিষ্ঠানের প্রিন্সিপাল সরদার গোলাম মোস্তফা ও যাত্রাবাড়ীর ঢাকা পলিটেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালক মাকসুদুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের মধ্যে কয়েকজন বর্তমানে রিমান্ডে আছেন। গ্রেপ্তার অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া গোয়েন্দা-লালবাগ বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মশিউর রহমান (অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) জানান, গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগের একাধিক দল ১ এপ্রিল ভোররাত থেকে নজরদারিতে রেখে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মিরপুরের দক্ষিণ ও মধ্য পীরেরবাগ এবং আগারগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্ট একেএম শামসুজ্জামান এবং তার সহযোগী ফয়সাল হোসেনকে গ্রেফতার করে। তিনি বলেন, গ্রেফতারের সময় কাছাকাছি দুটি বাসায় তাদের হেফাজত থেকে একাধিক কম্পিউটার, ল্যাপটপ, প্রিন্টার, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে চুরি করে নেওয়া হাজার হাজার অরিজিনাল সার্টিফিকেট এবং মার্কশিটের ব্লাঙ্ক কপি, তৈরি করা শতাধিক সনদ এবং ট্রান্সক্রিপ্ট, বায়োডাটা ও গুরুত্বপূর্ণ দলিল উদ্ধার করা হয়েছে। এসব কম্পিউটার, প্রিন্টার ও ল্যাপটপ দিয়ে গত কয়েক বছরে পাঁচ হাজারের বেশি আসল সনদ, মার্কশিট বানিয়ে ভুয়া লোকদের কাছে বিক্রি করা হয়েছে বলে জানান ডিসি মশিউর রহমান। এছাড়া সরকারি ওয়েবসাইট, সরকারি পাসওয়ার্ড ও অথরাইজেশন ব্যবহার করে ভুয়া লোকদের কাছে বিক্রি করা সনদগুলোকে বাংলাদেশ সরকারের কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে। ফলে বাংলাদেশসহ পৃথিবীর যেকোনো দেশে বসে এই ওয়েবসাইটে গিয়ে রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বরগুলোকে সার্চ করলে সার্টিফিকেটগুলো সঠিক বলে প্রমাণিত হবে। ডিসি মশিউর রহমান জানান, একে এম শামসুজ্জামানের বাড়ি দিনাজপুরে। তিনি বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্ট হিসেবে যোগদান করেছেন ২০০৯ সালে। বর্তমানে তার পদ সিনিয়র সিস্টেম অ্যানালিস্ট। বাংলাদেশের ৬৪টি জেলার বিভিন্ন থানার আনাচে-কানাচে অবস্থিত কারিগরি বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়গুলোতে পড়ালেখা করা হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রীর রেজিস্ট্রেশন, রোল নম্বর, সনদ ও ট্রান্সক্রিপ্ট তৈরি, সেগুলোকে নির্দিষ্ট সার্ভারে আপলোড দেওয়া, ভেরিফিকেশন নিশ্চিত করা, কম্পিউটার সিস্টেম কোড সংরক্ষণ গোপনীয়তা বজায় রাখাসহ বাংলাদেশের কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সকল প্রকার ডিজিটালাইজেশন এবং কম্পিউটারাইজেশন মূল দায়িত্ব তার কাঁধে। সিস্টেম অ্যানালিস্ট হওয়ার কারণে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রতি বছর কত হাজার পরীক্ষার্থী এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছে, কতজন ফরম ফিলআপ করে রোল নম্বর পেয়েছে, কতজন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেনি আবার কতজন কৃতকার্য ও অকৃতকার্য হয়েছে তার সব তথ্যই শামসুজ্জামানের কাছে থাকতো। এ বিশাল তথ্যভাণ্ডার, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের কর্তৃপক্ষ, সিস্টেম কোড ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে  লাখ লাখ টাকার সনদ ও মার্কশিট বাণিজ্য করেছেন শামসুজ্জামান এবং তার সহযোগীরা। ডিবির এ কর্মকর্তা আরও জানান, ২০১৭ সালেও মার্কশিট ও সনদ বিক্রির অভিযোগে কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের সিনিয়র সিস্টেম অ্যানালিস্ট প্রকৌশলী একে এম শামসুজ্জামানকে সাময়িকভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়। কিন্তু উচ্চ আদালতের মাধ্যমে আবার চাকরিতে পুনর্বহাল হয়ে তিনি এ পর্যন্ত পাঁচ হাজার সনদ-মার্কশিট বিক্রি করেছেন বলে স্বীকার করেছেন।
২১ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৫১

যে নির্দেশনা না মানলে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি শিক্ষা বোর্ডের
আসন্ন এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে টেস্ট পরীক্ষার নামে বিভিন্নভাবে আর্থিক সুবিধা নেওয়ার বিষয়ে সতর্ক করেছে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। সম্প্রতি সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।  এতে বলা হয়েছে, পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে টেস্ট পরীক্ষার নামে অতিরিক্ত ফি আদায়, পরীক্ষার কারণ দেখিয়ে প্রবেশপত্র দেওয়া থেকে বঞ্চিত করা এবং বিষয়টিকে কেন্দ্র করে বিভিন্নভাবে আর্থিক সুবিধা নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।  এই অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট বোর্ডের নির্দেশনা হলো- ‘টেস্ট পরীক্ষার নামে কোনো পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি আদায় করা যাবে না। পরীক্ষার কারণ দেখিয়ে প্রবেশপত্র দেওয়া থেকে শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত করা যাবে না।’ এই নির্দেশনা না মানলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান এবং প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন এইচএসসি পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষকে এ সংক্রান্ত চিঠি দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে পালনের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আসন্ন এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে টেস্ট পরীক্ষার নামে অতিরিক্ত ফি আদায় করলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। এই বোর্ডের আওতাধীন এইচএসসি পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষকে এসংক্রান্ত চিঠি দেওয়া হয়েছে।
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ২১:০৩

‘সার্টিফিকেট জালিয়াতিতে বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও জড়িত’
নকল সার্টিফিকেট তৈরি করে বিক্রির অভিযোগে গ্রেপ্তার কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্ট এ কে এম শামসুজ্জামান গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) জিজ্ঞাসাবাদে মুখ খুলতে শুরু করেছেন। তিনি একা নন, বোর্ডের ঊর্ধ্বতন অনেক কর্মকর্তা এতে জড়িত রয়েছেন। অনেকে তার অপকর্মের আর্থিক ভাগ নেন বলে জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার(ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, কয়েক দিন আগে পীরেরবাগে অভিযান চালিয়ে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সার্টিফিকেট তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়েছিলাম। এই সার্টিফিকেট কিন্তু জাল নয়। সরকার যে কাগজ ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের সনদ দেয়, শামসুজ্জামান একই কাগজ ব্যবহার করে সার্টিফিকেট বানাত। অর্থাৎ তিনি শিক্ষা বোর্ড থেকে কাগজ এনে বাসায় বসে সার্টিফিকেট বানাতেন। তারপর রেজাল্ট অনুযায়ী টাকা নিতো, তবে ৩৫ হাজারের কমে কোনো সার্টিফিকেট বিক্রি করত না। এরপর সার্টিফিকেট বানানোর পরে সেই রেজাল্টের তথ্য শিক্ষা বোর্ডের সার্ভারে আপলোড করে দিতো। এই কর্মকর্তা বলেন, এসব সার্টিফিকেট দিয়ে অনেকে বিদেশে গেছেন, অনেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছে, আবার অনেকে চাকরি করছে। এভাবে সে দীর্ঘদিনে সাড়ে পাঁচ হাজারের বেশি সার্টিফিকেট দিয়েছে।  ডিবি প্রধান বলেন, গ্রেপ্তারের পর কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্ট এ কে এম শামসুজ্জামানকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি অনেক চমকপ্রদ তথ্য দিচ্ছেন।  শিক্ষা বোর্ড থেকে সনদ তৈরির কাগজ কিভাবে বের করত এই প্রশ্নের জবাবে শামসুজ্জামান গোয়েন্দাদের জানিয়েছেন, বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সবাইকে ম্যানেজ করে কাজ করতো। সবার সঙ্গে যোগসাজশ করে কাগজ বের করত। এমনকি তার এই সার্টিফিকেট তৈরির কারখানার বিষয়ে অনেক গণমাধ্যমের সাংবাদিকরাও জানত। সবাই তার কাছ থেকে অবৈধ সুবিধা নিয়ে তার অপরাধ গোপন রাখত। ডিবি প্রধান বলেন, শামসুজ্জামানের অবৈধভাবে সার্টিফিকেট তৈরির বিষয়ে একাধিকবার তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। বোর্ডের কর্মকর্তারা তদন্ত করতে গিয়ে দেখলেন অনেক কিছু বেরিয়ে আসছে। ফলে সেটা ধামাচাপা পড়ে যায়। এরপর অভিযোগ তদন্তের জন্য পাঠানো হয় কম্পিউটার কাউন্সিলে। তারাও চুপ হয়ে যায়। জিজ্ঞাসাবাদে শামসুজ্জামান বলেছেন, সার্টিফিকেট তৈরির বিষয়টি সবাই জানতেন। টাকার বিনিময়ে সবাই তার কাছে ম্যানেজ হতো। সবকিছুই তদন্ত করছি। তার কাছ থেকে সার্টিফিকেট উদ্ধার করা হয়েছে। হারুন বলেন, শামসুজ্জামানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সে অনেক ব্যাপারে চুপ থাকছে। রিমান্ডে পাওয়া তথ্য যাচাই করে কোন কোন রাঘব বোয়াল জড়িত, সবার নাম প্রকাশ করা হবে।  
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৫৮

মাদরাসা বোর্ডের নতুন চেয়ারম্যান মুহাম্মদ শাহ আলমগীর
মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বিসিএস ১৪তম ব্যাচের কর্মকর্তা প্রফেসর মুহাম্মদ শাহ আলমগীর। বর্তমানে তিনি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের উপসচিব হাছিনা আক্তারের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনক্রমে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড আইন, ২০২০-এর ধারা ১৩(২) অনুযায়ী মুহাম্মদ শাহ আলমগীর (১২৪০), মাদ্রাসা পরিদর্শক, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডকে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ প্রদান করা হলো। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক কায়সার আহমেদ গত বছরের নভেম্বরে অবসরে গেলে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের রেজিস্ট্রার প্রফেসর মো. সিদ্দিকুর রহমান ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। প্রসঙ্গত, অধ্যাপক মুহাম্মদ শাহ আলমগীর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে স্নাতক সম্মান ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ১৯৯৩ সালে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের ১৪তম ব্যাচের একজন কর্মকর্তা হিসেবে চাকরিতে যোগদান করেন। এর আগে, তিনি বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন।‌ এর আগে, তিনি মুন্সীগঞ্জে শ্রীনগর সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ পদে কর্মরত ছিলেন। তিনি থাইল্যান্ডের একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষার মূল্যায়ন এবং মালয়েশিয়ার নটিংহাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লিডারশিপ বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।
০২ এপ্রিল ২০২৪, ২০:৫১

নিপুণের সভাপতির খোঁজে নির্বাচন কমিশনার ও আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান
দরজায় কড়া নাড়ছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৫ মেয়াদের দ্বিবার্ষিক নির্বাচন। আগামী ১৯ এপ্রিল নির্বাচনী মাঠে মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন শিল্পীরা। এবারের নির্বাচনে কেউ সরে দাঁড়াচ্ছেন, আবার কেউ আগের প্যানেল থেকে সরে অন্য প্যানেল গড়ছেন। ইতোমধ্যে চলচ্চিত্রের মুভিলর্ডখ্যাত মনোয়ার হোসেন ডিপজল ও মিশা সওদাগর এক হয়ে নির্বাচন করছেন বলে জানিয়েছেন। এবারের নির্বাচনে  সমিতির বতর্মান সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন আসন্ন অংশ নেবেন না বলে জানা গেছে। তাই তার প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক নিপুণ আক্তার খুঁজছেন নতুন সভাপতি। মূলত ইলিয়াস কাঞ্চন সরে যাওয়ায় নিপুণ বিপাকে পড়েছেন। এরই মধ্যে সভাপতি পদের জন্য চিত্রনায়ক শাকিব খানকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শাকিব রাজি হননি। বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে, শাকিবকে শুরুতে প্রস্তাব দিয়েছিলেন প্রযোজক ও আগামী নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার খোরশেদ আলম খসরু। শাকিব তখন ‘রাজকুমার’ নামে একটি সিনেমার শুটিংয়ে আমেরিকা অবস্থান করছিলেন। খসরুর ফোনে এ প্রস্তাব পেয়ে তিনি বেশ বিরক্ত হন। তাকে ‘না’ করে দেন। এর পরও শাকিবেরই ঘনিষ্ঠ অন্য এক প্রযোজককে দিয়েও নিপুণ চেষ্টা করেছিলেন। কিন্ত তাতে ফল মেলেনি।  সূত্র আরও জানিয়েছে, শাকিবের কাছ থেকে সাড়া না পেয়ে নিপুণ দ্বারস্থ হন নায়ক প্রযোজক অনন্ত জলিলের। সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার প্রস্তাব দেন তাকে। তার কাছে দ্বারস্থ হয়ে ব্যর্থ হয়েছেন নিপুণ। অনন্তকে সভাপতি পদে রাজি করাতে নিপুণের সঙ্গে কাজ করেন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনার খোরশেদ আলম খসরু ও আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান শামসুল আলমসহ বেশ কয়েকজন। রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে অনন্ত জলিলের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন তারা। সোমবার (৪ মার্চ) এক সংবাদ সম্মেলনে নিজেই এসব কথা স্বীকার করেন অনন্ত জলিল। অনন্ত জলিল বলেন, আসন্ন নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার খসরু ও আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান শামসুল আলম, প্রযোজক ইকবাল, মোহাম্মদ হোসেন, নিপুণসহ হোটেল ওয়েস্টিনে বসেছিলাম। তার আগে সবাই মিলে সভাপতি পদে নির্বাচনের জন্য অনন্তের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেন। তারা জরুরি কথা আছে বলে অনন্তের বাসায় যেতে চান। কিন্তু অনন্তের কাজ থাকায় তাদের হোটেল ওয়েস্টিনে বসতে বলেন। সেখানে নিপুণ, খসরু, শামসুল আলম উপস্থিত ছিলেন।  আসন্ন নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নিপুণের প্যানেলে অনন্তকে সভাপতি হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। কিন্তু ‘খোঁজ দ্য সার্চ’ সিনেমার এ নায়ক নিপুণকে ‘না’ করে দেন। নিপুণের প্যানেল থেকে নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে অনন্ত জলিল বলেন, নির্বাচন করলেও হয়ত ভালো হতো। কিন্তু আমার সমস্যা হলো—সময়। চলচ্চিত্রকে ভালোবাসি সবার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রয়েছে, সবার বিপদে আমি পাশে থাকব। কিন্তু নির্বাচন করার মতো সময় আমার হাতে নেই। শাকিব ও অনন্তের কাছ থেকে সাড়া না পেয়ে সভাপতি পদে কাকে নিয়ে প্যানেল গড়বেন নিপুণ সেটা এখনও নির্ধারন করতে পারেননি। এদিকে, মিশা ও ডিপজল তাদের প্যানেল প্রায় গুছিয়ে এনেছেন বলে জানা গেছে। শিগগিরই তারা এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করবেন বলে সূত্র জানিয়েছে।  
০৫ মার্চ ২০২৪, ১৫:৫৬

আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা বুধবার
আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ড বসছে আগামীকাল বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি)। ওই দিন সকাল ১০টায় গণভবনে এ বোর্ডের সভা ডাকা হয়েছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন দলের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া।  সংসদীয় বোর্ডের এ সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৪ ফেব্রুয়ারি বুধবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়ন চূড়ান্ত করতে দলীয় এই মনোনয়ন বোর্ড বসবে। দ্বাদশ সংসদের ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসনে আগামী ১৪ মার্চ ভোটের দিন রেখে ইতোমধ্যে তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। ১৮ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে। এবার সংরক্ষিত আসনে প্রার্থী হতে ১ হাজার ৫৪৯ জন আগ্রহী আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছেন। এতে ক্ষমতাসীন দলটির আয় হয়েছে ৭ কোটি ৭৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। 
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:৩৫

টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই সনদের জন্য জোর চেষ্টা ডিসি ও তাঁত বোর্ডের
টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই সনদ পেতে এখন জোর চেষ্টা চালাচ্ছে জেলা প্রশাসক ও তাঁত বোর্ড। যদিও সনদ পেতে এখনও কার্যকর কোনও পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হয়নি। নিয়ম অনুযায়ী পণ্যটি সম্পর্কে জার্নাল প্রকাশের পর জিআই স্বীকৃতি পেতে সময় লাগে অন্তত দুই মাস। এরপরই বিষয়টি নিয়ে ওয়ার্ল্ড ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টি অর্গানাইজেশনের কাছে যেতে পারবে বাংলাদেশ। সেই প্রক্রিয়া চলছে বলে জানালেন সংশ্লিষ্টরা। আর সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক বা অ্যাসোসিয়েশন অথবা উপযুক্ত কোনো অধিদপ্তর প্রথমে এই আবেদন করার নিয়ম। সেই হিসেবে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক ও তাঁত বোর্ডের এটি করার কথা ছিল। এতদিন গরজ না থাকলেও টাঙ্গাইল শাড়ি নিজেদের বলে ভারতের দাবির পর সরকারের চাপে এখন দুই পক্ষ রীতিমতো আবেদনের প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়েছে।  তাঁত সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, সময়মতো বাংলাদেশ ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্যের আবেদন না করায় এমন ঘটনা ঘটেছে। টাঙ্গাইল শাড়ি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি রঘুনাথ বসাক জানান, এতদিন তেমন কারও আগ্রহ না দেখা গেলেও ভারত ইস্যু সামনে আসায় এখন টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক ও তাঁত বোর্ডের মধ্যে এটি নিয়ে জোর তৎপরতা শুরু হয়েছে। টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক মাহবুব হোসেনের অবশ্য দাবি, ভারতের স্বীকৃতি দেওয়ার আগেই তারা প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তিনি জানান, ভারতের ইস্যু সামনে না আসলেও আমরা আবেদন করতাম। আপনারা কাগজপত্রগুলো দেখবেন, এটা অনেক সময়সাপেক্ষ একটা বিষয়। জার্নালে প্রতিবেদন প্রকাশের পর অন্তত দুই মাস লাগে এই স্বীকৃতি পেতে। এরপর এটি কীভাবে ভারতের জিআই পণ্য হলো সেই প্রশ্ন তুলবে মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি বাংলাদেশের বিখ্যাত টাঙ্গাইল শাড়িকে নিজেদের ঐতিহ্য বলে দাবি করেছে ভারত। দেশটির সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সম্প্রতি এমন দাবি করার পর এ নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক ও সমালোচনার মুখে পড়ে নয়াদিল্লি। এরপর এক সপ্তাহ বাদেই ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে টাঙ্গাইল শাড়িকে স্বীকৃতি দেয় বাংলাদেশ শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি)। শিল্প নকশা ওট্রেডমার্কস অধিদপ্তরের পেটেন্ট পরিচালক আলেয়া খাতুন বলেন, টাঙ্গাইল থেকেই কিছু তাঁতি ভারতে গিয়েছেন। আমাদের শাড়ির নমুনা দেখেই তারা ওখানে শাড়ি বুনছেন। প্রায় ২৫০ বছরের ঐতিহ্য টাঙ্গাইল শাড়ি বোনা হয় টাঙ্গাইল সদর উপজেলার পোড়াবাড়ি, দেলদুয়ার উপজেলার পাথরাইল ও কালিহাতীর বল্লা এলাকায়। এই পেশার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন জেলাটির প্রায় সাড়ে তিন লাখ মানুষ।    
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৩৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়