• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
‘ভাইরাল হওয়াই এখন মুখ্য বিষয় হয়ে উঠেছে’
বাংলাদেশের অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন মনে করেন বাংলাদেশে এখন ভাইরাল হওয়া সবচেয়ে বড় বিপণন কৌশল হয়ে উঠেছে৷ এক্ষেত্রে ন্যায়-অন্যায় নিয়ে মানুষ সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না বলে মনে করেন শিল্পী আফজাল হোসেন৷ গণমাধ্যমের সম্প্রসারণ, নতুন পরিচালক, প্রযোজক, অভিনয় শিল্পীদের উত্থানে আগের যে কোন সময়ের চেয়ে বর্তমানে বেশি কনটেন্ট তৈরি হচ্ছে৷ টেলিভিশন, থিয়েটারের বাইরেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিস্তার লাভ করেছে দর্শকদের সঙ্গে শিল্পীদের যোগাযোগ৷ রুপালি পর্দার বাইরেও তারকাদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আগ্রহী হয়ে উঠছেন অনুসারীরা৷ তবে এই পরিবর্তিত পরিস্থিতি নিয়ে দুই ধরনের মনোভাবই রয়েছে৷ অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন বলেন, আমার কাছে মনে হয় পরিবর্তন মানিয়ে নেয়ার ব্যাপারটা আমাদের থাকা উচিত৷ এক টকশো-তে বিনোদনের একাল ও সেকাল, বিনোদনের মান নিয়ে আলোচনায় অতিথি ছিলেন শিল্পী ও নির্মাতা আফজাল হোসেন এবং অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন৷ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফলোয়ার নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বাঁধন বলেন, আমার ফলোয়ার্স অনেক আছে কিন্তু কতজন আমাকে পছন্দ করে বা আমার ভক্ত সেই ব্যাপারে আমি নিশ্চিত নই৷ বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ায়, সেটা ইনস্টাগ্রাম বা ফেসবুক যা হোক৷ যারা আমাকে আমার কাজের জন্য পছন্দ করে তারা আমি যেমন, যে কাজ করছি সেগুলো দেখেই আমাকে পছন্দ করেন৷ তারা যে সবাই আমার ফলোয়ার্সের মধ্যে আছে বা সবাই আমাকে ফলো করছে সবসময় এমন নয়৷ আমি এই পার্থক্যটা দেখেছি৷ দর্শক নির্বাচন ও সে অনুযায়ী কনটেন্ট নির্মাণের প্রসঙ্গে আফজাল হোসেন বলেন, আমরা একটা পজিটিভ সময়ে কাজ করতে পেরেছি৷ কাজ করার আগে যদি ভাবতে হতো, আমাদের অনেক বড় জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছাতে হবে, তাহলে অনেকগুলো ভালো কাজ হতো না৷ গণমাধ্যম, নির্মাতাদের দর্শক ধরার প্রতিযোগিতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যখন অনেক টেলিভিশন এলো, তখন আর অনুষ্ঠান থাকলো না৷ অনুষ্ঠান দর্শককে খাওয়ানোর বিষয় তৈরি হলো৷ আজমেরী হক বাঁধনের অভিনীত সিনেমা রেহানা মারিয়াম নূর প্রথম বাংলাদেশি চলচ্চিত্র হিসেবে কান উৎসবে মূল প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলো৷ তবে ছবিটি ব্যবসা সফল কিনা সঞ্চালকের প্রশ্নের জবাবে বাঁধন বলেন, সুপার ডুপার হিট বলতে যা বুঝায় তা অবশ্যই ছিল না৷ একটি মোবাইক আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠানের সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া বিপণন কৌশল নিয়ে প্রশ্ন ছিল দুই অতিথির কাছে৷ এ বিষয়ে বাঁধন বলেন, আমাদের মুখ্য বিষয় হচ্ছে ভাইরাল হতে হবে৷ এত কনটেন্ট এত বিজ্ঞাপন, এত খবর, এত কিছু পৃথিবীতে ঘটে যাচ্ছে এখন এটা একটা মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি আমরা কীভাবে ভাইরাল করবো একটা কিছু৷ মানুষ চিন্তা করছে তার কাজটা কয়জন দেখছে, কয়টা ক্লিক হচ্ছে, ভিউ হচ্ছে এটার জন্য তারা অস্থির হয়ে যাচ্ছে৷ আফজাল হোসেন মনে করেন, শুধু বিজ্ঞাপন নয় যে যেখানে আছে সেই অবস্থায় যা খুশি তা করতে পারে৷ এক্ষেত্রে প্রশ্ন করার মানুষ নাই৷ যদি প্রশ্ন কেউ করে থাকে, করে ফেলে তাহলে আক্রমণ করার মানুষেরও অভাব হয় না৷ বলেন, কোনটি ন্যায় কোনটি অন্যায় সেটাও আমরা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে পারি না৷ তবে ভাইরাল হওয়া দোষের কিছু নয় এমনটা মনে করেন তিনি৷ বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বলেন, জনপ্রিয় করে তোলার মাধ্যমে ভাবনায় যদি একটা বড় পরিবর্তন আনা সম্ভব হয় এর মতো অসাধারণ সৃজনশীলতা আর হতে পারে না৷ যখন মানুষ ঐ অসাধারণত্ত্বকে স্পর্শ করতে পারে না তখন খুব সাধারণ বিষয় নিয়ে এসে মানুষ হৈ চৈ ফেলে দেয় এবং এটাকে আমরা ভাইরাল বলি৷ এটা আসলে সাফল্য নয়৷ বরং এই বিষয়গুলো মানুষকে দিনে দিনে নিম্নগামী করে৷
১৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:২২

ঈদের কেনাকাটায় মনে রাখবেন যেসব বিষয় 
ঈদুল ফিতর মুসলমান ধর্মাবলম্বীদের জন্য বছরের সবচেয়ে বড় উৎসব। সারা বছর সবাই এই বিশেষ দিনের জন্য অপেক্ষা করেন। এই দিনকে ঘিরে থাকে নানান পরিকল্পনা। সেই পরিকল্পনার বড় একটি অংশ ঈদের কেনাকাটা করা। আর ঈদের আনন্দ দ্বিগুণ হয় যখন প্রিয়জনের জন্য কেনাকাটা করা যায়। কিন্তু সেসব কিছু কিনতে যাওয়ার আগে কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখা জরুরি। নয়তো আপনার কষ্টের টাকা সঠিকভাবে খরচ নাও হতে পারে। সবকিছুরই একটি পরিকল্পনা থাকা ভালো। এতে সে অনুযায়ী কাজ শেষ করা সহজ হয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক ঈদের কেনাকাটার আগে কোন বিষয়গুলো খেয়াল করা জরুরি- সঠিক পরিকল্পনা : কেনাকাটা করার আগে ঠিকভাবে তালিকা তৈরি করে নিতে হবে। আপনি কী কিনতে চান, কোনটি আপনার বেশি প্রয়োজন, কোনটি কম প্রয়োজন, সেই গুরুত্ব অনুযায়ী তালিকা সাজাতে হবে। তাহলে কেনাকাটা করতে সুবিধা হবে। অনেক সময় দেখা যায়, তাড়াহুড়োয় অপ্রয়োজনীয় জিনিসও কেনা হয়ে যায়। এভাবে তালিকা সাজিয়ে নিলে আর সেই ভয় থাকবে না। বাজেট নির্ধারণ : কেনাকাটার জন্য আপনি কত বাজেট রাখবেন, সেটি আগে থেকেই নির্ধারণ করতে হবে। নয়তো পরে দেখা যাবে, অনেক অপ্রয়োজনীয় জিনিস কেনা হয়ে গেছে, কিন্তু প্রয়োজনীয় জিনিস কেনার জন্য আর টাকা নেই। তখন সমস্যায় পড়তে হবে। তাই আপনার সামর্থ্য বুঝে খরচ করুন। সামর্থ্যের বাইরে গিয়ে বাজেট করবেন না। অর্থের অপচয় না করা : ঈদে সবাই অনেক কেনাকাটা করে, এটা ঠিক। তবে এটাও মাথায় রাখতে হবে, অর্থের খুব বেশি অপচয় যেন না হয়। অপচয় না করার জন্য ইসলাম ধর্মে বলা হয়েছে। কেনাকাটার ক্ষেত্রেও আপনাকে সংযম ধরে রাখতে হবে। কেনাকাটার জায়গা নির্ধারণ : সবার সব জায়গা থেকে কেনাকাটা করার সামর্থ্য থাকে না। তা ছাড়া প্রয়োজনীয় সব জিনিসও সব জায়গায় পাওয়া যায় না। তাই আপনার সামর্থ্য এবং প্রয়োজন অনুযায়ী কোন মার্কেট থেকে কী কিনবেন, তা আগেই ঠিক করে রাখবেন। এতে আপনার সময় বাঁচবে অনেকটাই। আপনাকেও রোজা রেখে এদিক-ওদিক ছোটাছুটি করতে হবে না। আরামদায়ক পোশাক কেনা : ঈদ উপলক্ষে কেনা হলেও সেই পোশাক আমরা সারা বছরই কমবেশি পরে থাকি। তাই পোশাকটা যেন আরামদায়ক হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। অনেক টাকা দিয়ে ভারী জামা কিনে রেখে দিলে সেই পোশাক পরবর্তী সময়ে আলমারিতেই থেকে যাবে। তাই এমন পোশাক কিনুন, যা আরামদায়ক এবং সবসময় ব্যবহারের উপযোগী। যাচাই করে কেনা : যেকোনো জিনিস কেনার সময় যাচাই-বাছাই করে কিনতে হবে এবং ক্রয়ের রসিদ সংগ্রহ করতে হবে। যাতে ঠিকঠাক জিনিস ক্রয় করা যায় কিংবা প্রয়োজনে বদলানো যায়। এই সুযোগ থাকলে আপনার পোশাক কিনে ঠকে যাওয়ার ভয় থাকবে না।  পোশাকের দাম সম্পর্কে ধারণা রাখা: ঈদ উপলক্ষে কেনাকাটার আগে যা কিনবেন তার দাম সম্পর্কে ধারণা নিয়ে যাওয়াই ভালো। কারণ এ সময়টাতে সব কিছুর দামই অনেকটা বাড়িয়ে বলা হয়। তাই দাম সম্পর্কে ধারণা থাকলে কেনাকাটা করতে সহজ হবে।   আত্মীয় ও দরিদ্রদের জন্য কেনাকাটা : বাজেটের একটা অংশ রাখতে হবে নিকাত্মীয় ও দরিদ্রদের জন্য। উপহার আদান-প্রদানে সম্পর্ক আরও সুন্দর হয়ে ওঠে। আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী আত্মীয় ও দরিদ্রদের জন্য কেনাকাটা করুন। তাদের খুশি দেখে আপনার মনও ভালো থাকবে। সতর্কতা অবলম্বন : ঈদের সময় মার্কেটে খুব ভিড় থাকে। এ সময় পকেটমার, ছিনতাইকারীর দৌরাত্ম্য বেড়ে যায়। তাই অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে যেন টাকাপয়সা, মোবাইল বা কোনো প্রয়োজনীয় জিনিস হারিয়ে না যায়।
২৫ মার্চ ২০২৪, ১২:৪১

কেয়ার ভিসা : বাংলাদেশিদের জন্য যেসব বিষয় জানা জরুরি
যুক্তরাজ্যে কেয়ার হোম খাতে কর্মী সংকটের ফলে আইনি শিথিলতার সুযোগে বাংলাদেশসহ বি‌ভিন্ন দেশ থে‌কে বিপুল সংখ্যক অভিবাসী দেশটিতে যাচ্ছেন। তবে ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া, শিক্ষা-কাজের অভিজ্ঞতা, বিমানবন্দ‌রে নানান প্রশ্নের উত্তর বা বিভিন্ন তথ্য উপাত্তে অসঙ্গতি থাকার কারণে অনেককেই দে‌শে ফেরত আসতে হয়। অনেকে আবার গন্তব্যে পৌঁছেও কাজের সন্ধানে গিয়ে নানা বাধার সম্মুখিন হন। সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করে কিভাবে কেয়ার ভিসায় যুক্তরাজ্যে গিয়ে সুযোগ কাজে লাগানো যাবে, এ নিয়ে বিস্তারিত বলেছেন লন্ডন থেকে ব্যারিস্টার সলিসিটর মুহাম্মদ সাঈদ বাকি। কেয়ার ওয়ার্কারদের জন্য কী ধরনের অভিজ্ঞতার প্রয়োজন জানতে চাইলে ব্যারিস্টার সাঈদ বাকি জানান, কেয়ার ভিসায় আসতে হলে একজন মানুষের প্রথমত সংশ্লিষ্ট পেশায় কাজের অভিজ্ঞতা থাকা অত্যন্ত প্রয়োজন। কেয়ার ভিসা হলো ইউরোপের দেশটিতে যেসব বয়স্ক মানুষ রয়েছে তাদের সেবা করা। সেটা হতে পারে কেয়ার হোমে বা বাসায় গিয়ে। কাজগুলো হলো- তাদের যত্ন করা, ঔষধ খাওয়ানো, তাদের দৈনন্দিন কাজে সাহায্য করা। যাদের এ সংশ্লিষ্ট কাজে অভিজ্ঞতা রয়েছে তারাই কেয়ার ভিসায় অ্যাপ্লিকেশন করতে পারবেন। এ ভিসার জন্য কেমন যোগ্যতা আর কী কী ডকুমেন্ট প্রয়োজন? জবাবে তিনি বলেন, বর্তমান আইন অনুয়ায়ী যুক্তরাজ্যে কেউ যদি কেয়ার ভিসায় আসতে চান তাহলে তাকে সর্বপ্রথম যে জিনিসটা প্রমাণ করতে হয় সেটা হলো ভাষাগত দক্ষতা। অর্থাৎ তাকে আইএলটিএসে কম পক্ষে ৪.৫ পেতে হবে। আইএলটিএসের পাশাপাশি তার যে শিক্ষাগত যোগ্যতা সংশ্লিষ্ট পেশায় এবং কাজের যে অভিজ্ঞতা রয়েছে সেটারও প্রমাণ রাখতে হবে। উনি যদি কোনো নার্সিং হোমে কাজ করে থাকেন, কেয়ার হোমে অথবা কোনো হাসপাতালে কাজ করে থাকেন সেই সংশ্লিষ্ট কাজের অভিজ্ঞতার প্রমাণপত্র দিলে অনেক সময় এটা হোম অফিস অথবা তার যে স্পন্সর বা নিয়োগ কর্তা সেটা ইতিবাচকভাবে দেখে।  কেয়ার ভিসায় ইমিগ্রেশনে কী কী প্রশ্নের সম্মুখীন হতে পারে নতুনরা এমন প্রশ্নে ব্যারিস্টার সাঈদ বাকি বলেন, কেয়ার ভিসায় যুক্তরাজ্যে গেলে সেখানকার ইমিগ্রেশন নানান ধরনের প্রশ্ন করতে পারে। এ প্রশ্নগুলো করা হয়ে থাকে যিনি আসছেন তিনি কি সত্যিকারের এমপ্লয়ি কিনা, উনি সঠিকভাবে নির্বাচিত হয়েছেন কিনা। এটা যাচাইয়ের জন্য বিভিন্ন প্রশ্ন করতে পারে। সাধারণ তারা প্রশ্ন করে থাকে তিনি যে কাজে আসছেন তার কাজ সম্পর্কে ধারণা আছে কিনা, তার কাজ কবে থেকে শুরু হবে এবং তিনি যে জবটা পেয়েছেন সেটা কিভাবে পেলেন, তার সাক্ষাৎকার করা হয়েছে কিনা, সংশ্লিষ্ট কাজে অভিজ্ঞতা আছে কিনা। নানাভাবে তারা প্রশ্ন করতে পারেন। এবং এ প্রশ্নের মাধ্যমে তারা যাচাই বাচাই করে যিনি আসছেন তিনি কেয়ার ভিসায় কাজ করার জন্য যোগ্য কি না।  এ ভিসায় যুক্তরাজ্যে গিয়ে অনেকে চাকরি হারিয়েছেন বা পাচ্ছেন না, তাদের করণীয় সম্পর্কে ব্যারিস্টার সাঈদ বাকি জানান, এক্ষেত্রে আমাদের পরামর্শ হচ্ছে, এ দেশে আসার আগে একটু সতর্কতা অবলম্বন করা। চাকরি পাওয়ার আগে উনি কী কী প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে গিয়েছেন। যে কোম্পানীতে চাকরি করবেন সেটা চেক করেছেন কিনা। কোম্পানি যে কেয়ার ওয়ার্কার নিচ্ছে সেটা তিনি কিভাবে জানলেন? কোম্পানী তার কোনো ইন্টারভিউ নিয়েছে কিনা। উনি কী প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আসছেন এটা অনেকটা নির্ভর করে। যুক্তরাজ্যে আসার পর দেখা যায় অনেক কোম্পানির লাইসেন্স চলে গিয়েছে অথবা তারা কাজ দিচ্ছে না তাদের জন্য করণীয় হচ্ছে- তাদের অন্য কোনো কোম্পানীতে অ্যাপ্লিকেশন করা। অর্থাৎ যুক্তরাজ্যে বর্তমানে প্রচলিত যে আইন রয়েছে, সে আইন অনুযায়ী একজন মানুষের যদি ভিসা বাতিল করা হয় বা কোনো কেয়ার কোম্পানীর লাইসেন্স যদি বাতিল করে দেয় সরকার, এতে করে তার যে কর্মচারী রয়েছে তারও কিন্তু ভিসা বাতিল হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে হোম অফিসের নিয়ম অনুযায়ী তাকে ৬০ দিনের সময় দেওয়া হয় অন্য কোনো কোম্পানীতে অ্যাপ্লিকেশন করার জন্য অথবা অন্য কোনো ভিসাতে আবেদন করার জন্য। এ সময়ের মধ্যে তারা যদি সেটা না করতে পারে তাহলে তাদের বলে দেওয়া হয় নিজ দেশে ফেরত যাওয়ার জন্য।  ভিসা আবেদনের আগে প্রত্যেক আবেদনকারীকে কিছু বিষয় জানা জরুরি বলে জানান ব্যারিস্টার সাঈদ বাকি। তিনি বলেন, কোনো এমপ্লয়ার কোনো এমপ্লয়ির কাছ থেকে অর্থাৎ যিনি আসবেন তার কাছ থেকে কোনো অর্থ দাবি করতে পারবেন না। যদি কেউ কাজ দেওয়ার নাম করে অর্থ দাবি করে তাহলে সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে, কেয়ার ভিসার কাজ দেওয়ার নাম করে ওয়ার্ক পার্মিট বেচা কিনা করা যুক্তরাজ্যের আইন অনুযায়ী ফৌজদারি অপরাধ। সরকার এই দেশে কেয়ার হোম গুলোকে লাইসেন্স দিয়েছে বিদেশ থেকে দক্ষ কেয়ার ওয়ার্কার আনার জন্য। অর্থাৎ যারাই যোগ্য বা এসব কেয়ার হোমে কাজ করার জন্য অভিজ্ঞতা রয়েছে শুধুমাত্র সরকার তাদের আনার জন্য অনুমতি দিয়েছে।  কেয়ার ভিসায় বাংলাদেশ থেকে ছেলে-মেয়ে উভয়ে যুক্তরাজ্যে যেতে পারবেন বলে জানিয়েছেন ব্যারিস্টার সাঈদ বাকি। তবে এ ক্ষেত্রে কিছু বেসিক রুল রয়েছে। সেগুলা নিয়ে তিনি বলেন, যে বেসিক রুল রয়েছে তা হলো আইএলটিএসে ৪.৫ পাওয়া। এবং সংশ্লিষ্ট পেশার অর্থাৎ কেয়ার ইন্ড্রাস্ট্রিতে কাজের যোগ্যতা থাকা। সেক্ষেত্রে অনেকে অনলাইন কোর্স করেন, হাসপাতালে কাজের অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেট জমা দেন, নার্সিং হোমের কাজের অভিজ্ঞতা জমা দেন। এ ক্ষেত্রে তার জব পাওয়ার জন্য সহায়ক হয়ে থাকে। বাংলাদেশ থেকে ১৮ বছরের উপর ছেলে-মেয়ে কারই এদেশে আসতে বাঁধা নেই।  কেয়ার ভিসায় ডিপেন্ডেন্ট নেওয়ার বিষয়ে ব্যারিস্টার সাঈদ বাকি বলেন, সম্প্রতি কেয়ার ভিসায় যে নিয়ম রয়েছে যুক্তরাজ্য সরকার সেটাতে বেশ কিছু পরিবর্তন নিয়ে আসছে। বর্তমানে যিনি কেয়ার ভিসায় আসতে যাচ্ছেন তারা কিন্তু তাদের ডিপেন্ডেন্ট নিয়ে আসতে পারবেন। কিন্তু আগামী ১১ মার্চ থেকে যে নিয়ম আসছে সেখানে নতুন করে যারা কেয়ার ভিসায় আসবেন তারা আর ডিপেন্ডেন্ট নিয়ে আসতে পারবেন না। কিন্তু যারা বর্তমানে যুক্তরাজ্যে এ ভিসায় অবস্থান করছেন তারা তাদের ডিপেন্ডেন্ট নিয়ে আসতে পারবেন। উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাজ্য সরকার কেয়ার ভিসাকে শর্টেজ অকেপেশন লিস্টের আওতাভুক্ত করে। এ ক্ষেত্রে তারা ঘোষণা করে যে, কেয়ার ভিসায় আসতে হলে তাদেরকে আইএইচএস ফি অর্থাৎ হেলথ চার্চ ফি প্রতি বছর দিতে হয়, সেটা দিতে হবে না। এতে করে উল্লেখ্যযোগ্য মানুষ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে অ্যাপ্লিকেশন করেছে এবং দেশটিতে যাচ্ছে। তবে সেই সুযোগে হাজার হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী বৈধভাবে পুরো পরিবার নিয়ে দেশটিতে আসা শুরু করে। পুরো বিষয়টি নজরে আসার পর চূড়ান্ত হার্ডলাইনের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ১১ মার্চ থেকে কেয়ার ভিসায় পরিবারের সদস্যদের নেওয়া যাবে না ব্রিটেনে।
০৬ মার্চ ২০২৪, ২২:০৪

‘নির্বাচন এখন মুখ্য বিষয় নয়, প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য’
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, নির্বাচন এখন মুখ্য বিষয় নয়, আমাদের প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।  আল নোমান বলেন, ২০০৮ সালে একটি জনসভায় খালেদা জিয়া বলেছিলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার বিরোধ দূর করা হবে। কিন্তু আজকের দিনে এই কথা চিন্তাও করা যায় না। কারণ, দেশ হায়েনাদের কবলে রয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের কর্মসূচি জনগণের জন্যই। আমাদের এক দফা এক দাবিকে ধারণ করে সবাইকে এগিয়ে যেতে হবে। রাজনীতিতে হতাশার জায়গা নেই।  বিএনপির এই নেতা বলেন, ভোটাধিকারের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ যে ষড়যন্ত্র করেছে, তা ভেঙে দিতে হবে। এগিয়ে যেতে হলে জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজন। রাজনৈতিক স্ট্রাকচার না থাকলে হায়েনাদের কবল থেকে দেশকে রক্ষা করা যাবে না। আল নোমান আরও বলেন, আমাদের এমন একটি পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে কবে, যাতে শাসক দল পরাজিত হয়। আমরা যে বিজয় অর্জন করতে পারিনি, তা নয়। আমরা সামনের দিকে এগোচ্ছি। বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, গত ২৮ অক্টোবর যখন সব ভেঙেচুরে দেওয়া হলো, তখন আমি বলেছিলাম কথা কম, কাজ বেশি। এটাকে সামনে রেখে এগিয়ে গেলেই সফলতা পাওয়া যাবে। আন্দোলন ছাড়া ঐক্য আসবে না।  
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:০৫

আলোচনায় বসছে বিসিবি, বিষয় হাথুরুসিংহের বিস্ফোরক মন্তব্য
কয়েক দিন আগেই বিপিএলের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন টাইগার হেড কোচ। এই সময় বিপিএলকে সার্কাসের সঙ্গে তুলনা করেন তিনি। যা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। তার এমন মন্তব্য ভালোভাবে নেয়নি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তাই হাথুরুর বক্তব্যের তদন্ত করতে মিটিংয়ে বসছে বিসিবি। সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিপিএলের ম্যাচ দেখতে আসেন বিসিবি বস এবং ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন। ম্যাচ শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এ সময় হাথুরুসিংহের বিস্ফোরক মন্তব্যের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে পাপন বলেন, যদি সে এটা বলে থাকে, তাহলে মেনে নেওয়ার তো প্রশ্নই আসে না। ‘আমি যখন প্রথম ম্যাচটি দেখতে আসি, তখন আমাকে প্রথমে কয়েকটি গণমাধ্যমের রিপোর্ট দেখানো হয়। তার আগে পর্যন্ত আমি কিছুই জানতাম না। কারণ, কালকে সারাদিন আমি ব্যস্ত ছিলাম এবং শবেবরাত ছিল তাই দেখার সুযোগ হয়নি। আমি রিপোর্টগুলো দেখার পর আসল রিপোর্ট বা রেকর্ড চেয়েছিলাম, ওটা হাতে পেয়েছি। তিনি বলেন, মূল রিপোর্টটা বাসায় গিয়ে দেখবো। দেখবো যে কোন প্রশ্নের জবাবে কি বলেছে। তবে যদি এমন কিছু বলে থাকে, যা আমাদের দেশের মান ছোট হয়। তাহলে মেনে নেওয়ার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। তাই রিপোর্ট না দেখে মন্তব্য করাটা ঠিক হবে না। যদি গণমাধ্যমে রিপোর্টগুলো সত্যি হয় তাহলে কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে এমন প্রশ্নও ছুটে যায় বিসিবি সভাপতি কাছে। জবাবে তিনি বলেন, আমি রাতে রিপোর্টটা দেখব। মঙ্গলবার কোনো ম্যাচ নাই। দ্বিতীয় কোয়ালিফাইয়ার ম্যাচের আগেই আমরা চলে এসে মিটিংয়ে বসবো। তারপর আমরা আলোচনা করে, আমাদের প্রতিক্রিয়া জানাতে পারব। ছুটি শেষ করে ঢাকায় ফিরেই জনপ্রিয় ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকইনফোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিপিএল নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভ ঝেড়েছেন টাইগার হেড কোচ হাথুরুসিংহে। বাংলাদেশ কেন টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বমানের দল হতে পারছে না? কোচ হিসেবে কেমন মাইন্ডসেট তৈরি করার চেষ্টা করছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে হাথুরু বলেন, উপায় নেই তো! আমাদের একটা সঠিক টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট নেই। শুনতে খারাপ লাগবে, কিন্তু মাঝে মাঝে বিপিএল দেখতে গিয়ে আমি টিভি বন্ধ করে দেই। কিছু খেলোয়াড় তো কোনো ক্লাসেরই না। বিপিএলে ভালো মানের বিদেশি খেলোয়াড় আসছেন কম। যারাও আসছেন, পুরো টুর্নামেন্ট খেলছেন না। যার যখন ইচ্ছে হুট করে চলে যাচ্ছেন আরেক টুর্নামেন্টে। খেলোয়াড়দের আসা-যাওয়ার মধ্যেই দল সাজাতে হচ্ছে। ফলে স্থিতিশীলতা থাকছে না টুর্নামেন্টের। হাথুরু বিপিএলের ওপর আইসিসিকে হস্তক্ষেপ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আমাদের বোর্ডেরও উচিত, এই বিষয়ে কিছু করা। অবশ্যই কিছু নিয়ম থাকতে হবে। একজন খেলোয়াড় একটা টুর্নামেন্ট খেলছে, পরে আরেকটা খেলছে। এটা সার্কাসের মতো। খেলোয়াড়েরা তাদের সুযোগের কথা বলবে, কিন্তু এটা ঠিক নয়। মানুষ আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে, আমি আগ্রহ হারিয়েছি।
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:২৫

অবশেষে বোর্ড সভায় বসছে বিসিবি, আলোচনায় থাকবে যেসব বিষয়
গত ছয় মাসে বাংলাদেশ ক্রিকেটে যত ঘটনা ঘটেছে, হয়তো গত কয়েক বছরও এতকিছু ঘটতে দেখেনি ক্রিকেট বিশ্ব। বিশ্বকাপ ব্যর্থতা, সাকিব-তামিম ইস্যু সবকিছু নিয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি ক্রিকেট বোর্ড। অবশেষে সবকিছু নিয়ে আলোচনায় বসতে যাচ্ছে বিসিবি। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি বসবে বিসিবির নবম বোর্ড সভা। বিসিবির বিশ্বাসস্থ সূত্রের মাধ্যমে এই তথ্য জানা গেছে। এই সভায় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এই বোর্ড সভার আলোচনার বিষয় হিসেবে থাকছে ভারত বিশ্বকাপের ব্যর্থতার রিপোর্ট পর্যালোচনা ও সিদ্ধান্ত, জাতীয় দলের কোচ নিয়োগ ও পজিশন, অধিনায়ক, নির্বাচক প্যানেল, শেখ হাসিনা স্টেডিয়াম, নারী বিশ্বকাপ এবং ক্রিকেটারদের কেন্দ্রীয় চুক্তির বিষয়। গত বছরের জুনে বসেছিল বিসিবির সবশেষ বোর্ড সভা। এবারের সভা আরও আগে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপনসহ পরিচালকরা জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কাজে ব্যস্ত হয়ে যাওয়ায় বোর্ড সভার বিলম্ব হয়। নির্বাচন শেষ হলেও বিসিবি সভাপতির ব্যস্ততার কারণে তারিখ পাওয়া যাচ্ছিল না। প্রথমবারের মতো যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী হওয়া নাজমুল মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন মিটিং-সভায় ব্যস্ত ছিলেন। অবশেষে ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে তারিখটি চূড়ান্ত হয়। বিশ্বকাপের দল থেকে তামিম ইকবালের বাদ পড়া, এরপর সাকিব-তামিমের পাল্টাপাল্টি কথার লড়াই এবং সবশেষ বিশ্বকাপের চরম ব্যর্থতা সবকিছু নিয়ে আলোচনা করা হবে এই বোর্ড সভায়। এর মধ্যে বিসিবির তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি তাদে রিপোর্ট জমা দিয়েছেন।
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৪৯

‘প্রধানমন্ত্রীকে জাতিসংঘের অভিনন্দন কল্পিত কোনো বিষয় নয়’
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের চিঠি মিডিয়ার কল্পিত কোনো বিষয় নয়, যা হয়েছে মিডিয়া তাই বলছে। শনিবার (২০ জানুয়ারি) ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডডের (ডিএমটিসিএল) দিয়াবাড়ির ডিপোতে ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। সেতুমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘের শুভেচ্ছা বার্তা সম্পর্কে আমিও গণমাধ্যম থেকে অবহিত হয়েছি। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমার কথা হয়নি। এটাতো মিডিয়ার কল্পিত কোনো বিষয় নয়, যা হয়েছে মিডিয়া তাই বলছে। তিনি বলেন, বিশ্ব ইজতেমার জন্য মেট্রোরেল চলাচলের সময় সমন্বয় করা হবে। আর বাংলা একাডেমির মহাপরিচালকের (ডিজি) সঙ্গে কথা বলে বইমেলায় সময় সমন্বয়ের বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। ওবায়দুল কাদের বলেন, যাত্রীদের কথা ভেবেই সুফল দেয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। শুক্রবার বাদে প্রতিদিন উত্তরা থেকে সকাল ৭টা ১০ মিনিটে প্রথম ট্রেন এবং মতিঝিল থেকে শেষ ট্রেন ছাড়বে রাত ৮টা ৪০ মিনিটে। তিনি বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে ৬টি এমআরটি লাইন শেষ করা হবে। ২৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। মতিঝিল থেকে কমলাপুর অংশ ২০২৫ সালের জুনে উদ্বোধন করা হবে। তিনি আরও বলেন, সেপ্টেম্বর থেকে পাতাল রেলের কাজ শুরু করা হবে। আর নভেম্বরে এমআরটি লাইন-৫ এর উড়াল অংশের কাজ শুরু হবে।
২০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:৩৮

রাষ্ট্র নায়কের দেওয়া দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করাটাই বড় বিষয় : দীপু মনি
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, একজন রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা তার একজন সহকর্মীকে যে দায়িত্ব দেবেন, আমি মনে করি সেটি তার জন্য সঠিক। সে সেই দায়িত্ব কতটা সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে পালন করল সেটি বড় বিষয়। অতীতে আমি আমার সর্বোচ্চ দিয়ে কাজ করার চেষ্টা করেছি এবং তার আত্মবিশ্বাসের মর্যাদা দিতে এবং সেই চেষ্টা অব্যাহত রাখবো ইনশাআল্লাহ। শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) রাতে চাঁদপুর প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে প্রেস ক্লাবের নবনির্বাচিত কার্যকরী কমিটির নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ডা. দীপু মনি বলেন, আমাদের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় একেবারে প্রান্তিক মানুষের সেবায় অনেক কাজ করার সুযোগ আছে। প্রান্তিক মানুষকে সহায়তা করা, তাদের পাশে দাঁড়ানো এবং উন্নয়নের মাধ্যমে তাদেরকে গুছিয়ে মূলধারায় নিয়ে আসার; নতুন অনেক চিন্তাভাবনার সুযোগ রয়েছে বলে আমি মনে করি। মন্ত্রী বলেন, আমি সাংবাদিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই। আজ থেকে ২৫ বছর আগে চাঁদপুরের তৎকালীন সংবাদিকদের সঙ্গে বসে আমি কাজ শুরু করেছি। দীর্ঘ এই পথ চলায় আপনারা আমাকে সহযোগিতা করেছেন এবং তা অব্যাহত আছে। মতবিনিময় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চাঁদপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি শাহাদাত হোসেন শান্ত। সাবেক সভাপতি এএইচএম আহসান উল্লাহর সঞ্চালনায় অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য দেন চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ডা. জে আর ওয়াদুদ টিপু, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মো. জিল্লুর রহমান। প্রেস ক্লাব নেতাদের মধ্যে বক্তব্য দেন প্রেস ক্লাব সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান সুমন, সাবেক সভাপতি জালাল চৌধুরী, বিএম হান্নান, শহীদ পাটওয়ারী, গিয়াস উদ্দিন মিলন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রহিম বাদশা, সোহেল রুশদী, টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি আল-ইমরান শোভন, সাধারণ সম্পাদক কাদের পলাশ ও প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ তালহা জুবায়ের ও কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ওমর পাটওয়ারী। চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান ভূঁইয়া, ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদ সাবেক চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম রোমান, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অধ্যাপক মাসুদা নুর, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জহির উদ্দিন মিজিসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
২০ জানুয়ারি ২০২৪, ০৮:৩২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়