• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বিরামপুর সীমান্তে সোয়া কোটি টাকার সাপের বিষ উদ্ধার
দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার ঘাসুড়িয়া সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচারের চেষ্টাকালে সাপের বিষ উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় জড়িত কাউকে আটক করা যায়নি।  বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা বুধবার (১০ এপ্রিল) মধ্যরাতে অভিযান চালিয়ে সোয়া কোটি টাকা মূল্যের সাপের বিষ উদ্ধার করেন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন জয়পুরহাট ২০ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল মোহাম্মদ তানজিলুর রহমান ভূঁইয়া। তিনি জানান, ঘাসুড়িয়া সীমান্ত এলাকা দিয়ে রাতে ভারতে সাপের বিষ পাচার করা হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে ব্যাটালিয়নের উপঅধিনায়ক মেজর আফিক হাসানের সমন্বয়ে ঘাসুরিয়া বিওপির টহল কমান্ডার নায়েক আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি বিশেষ টহল দলকে ঘাসুড়িয়া সীমান্তে অভিযানে পাঠানো হয়। এ সময় বিজিবির দলটি সীমান্তের ২৮৯ এর ১নং সাব পিলার থেকে আনুমানিক ৪০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ওসমান মোড় নামক স্থানে অভিযান চালায়। পরে সেখান থেকে ১ কেজি পরিমাণ সাপের বিষ উদ্ধার করে। তিনি আরও জানান, পাচারের সঙ্গে জড়িত কাউকে আটক করা যায়নি। তবে জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে। উদ্ধারকৃত সাপের বিষের আনুমানিক মূল্য ১ কোটি ২০ লাখ টাকা।  ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান বিজিবির এ কর্মকর্তা।
১১ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৪৫

৮ বছর ধরে আশরাফুলের দোকানে খেতে আসে ঝাঁকে ঝাঁকে কবুতর
আট বছর আগে দোকানের বারান্দায় একটি অচেনা কবুতর এসেছিল। কবুতরটিকে খেতে দেন দোকানি আশরাফুল ইসলাম। পরদিন একই সময়ে দোকানে আসে তিনটি কবুতর। তাদেরও খেতে দেন তিনি। এর পর থেকে দোকানের সামনে বারান্দায় বাড়তে থাকে কবুতরের সংখ্যা। এখন প্রতিদিন দুপুর ১২টা থেকে ১টা বাজলেই দুই শতাধিক কবুতর এখানে এসে হাজির হয়। খাবার ছিটিয়ে দিলে তা খেয়ে আবার চলে যায়। কবুতরের প্রতি ভালোবাসা দেখানো দেখাই সবাই সাধুবাদ জানিয়েছে।  প্রতিদিন এমন দৃশ্য দেখা যায় দিনাজপুরের বিরামপুর পৌর শহরের নতুনবাজার এলাকায় দয়াল ভান্ডার নামের সবজির আড়তে। আড়তের মালিক ব্যবসায়ী আশরাফুল ইসলামের বাড়ি পৌরসভার মাহমুদপুর মহল্লায়। আট বছর ধরে তিনি এসব কবুতরকে প্রতিদিন নিয়ম করে দুপুরের খাবার হিসেবে গম, সরিষা খাওয়ান। টিনের চালের ওপরে বিদ্যুতের তারে পূর্ব-পশ্চিম লম্বা সারিতে বসে আছে অনেক কবুতর। বাকবাকুম, বাকবাকুম শব্দে মুখর আশপাশ। আশরাফুল যখনই হাতে খাবারের থলে নিয়ে দোকানের বারান্দায় আসেন, তখনই কবুতরগুলো তাকে ঘিরে ধরে। খাবার ছিটিয়ে দিলে পাল্লাপাল্লি করে তা খেয়ে নেয়। তখন বাজারের অন্য দোকানি, ক্রেতা ও সাধারণ মানুষ মুগ্ধ হয়ে এমন দৃশ্য উপভোগ করেন। কবুতরগুলো কোথা থেকে আসে, তা জানেন না আশরাফুল। তবে কবুতরগুলোকে খাবার দিয়ে তিনি আনন্দ পান। এসব কবুতরকে খাওয়ানোর জন্য প্রতিদিন তাকে দেড় থেকে দুই কেজি গম ছিটাতে হয়।  বিরামপুর নতুন বাজারের আছমান আলী, রবিউল ইসলাম, মোসলেম উদ্দীন বলেন, কবুতর ছাড়াও একই সময়ে দোকানের টিনের চালে খাবারের জন্য আসে অচেনা ২০ থেকে ৩০টি কাক। তাদেরও নিয়ম করে খাবার হিসেবে পাউরুটির টুকরা ছিটিয়ে দেন টিনের চালে। এতেই থেমে থাকেননি আশরাফুল ইসলাম। দিনের বিভিন্ন সময় দোকানে খাবার খেতে মা-ছানাসহ আসে চারটি বিড়াল। পাশের আড়তের সবজি ব্যবসায়ী সাব্বির হোসেন আদর করে পুরুষ বিড়ালটির নাম রেখেছেন ‘সম্রাট’। নাম ধরে ডাকলে বিড়ালটি আশরাফুলের দোকানে ছুটে আসে খাবার খেতে। তাদের খাবার হিসেবে দেন পাশের দোকান থেকে কেনা কেক। জীবের প্রতি তার এই ভালোবাসা দেখতে প্রতিদিনই ভিড় করছেন উচ্ছুক জনতা। কবুতরপ্রেমী আশরাফুল ইসলাম বলেন, কবুতরগুলো টিনের চালে ঝাঁকে ঝাঁকে এলে কখনো আশরাফুল নিজে খাবার দেন। কখনো দোকানের কাজে তিনি ব্যস্ত থাকলে দোকানের কর্মচারী খাবার দেন। খাওয়া শেষে কবুতরগুলো চলে যায় যে যার গন্তব্যে। কবুতরগুলোকে এভাবে খাওয়াতে পেরে মনের মধ্যে একটা ভালো লাগা কাজ করে, নিজের মধ্যে তৃপ্তি লাগে। বিরামপুর উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বিপুল কুমার চক্রবর্তী বলেন, জীবে প্রেম তো নিঃসন্দেহে একটি প্রশংসনীয় কাজ। ব্যবসায়ী আশরাফুল ইসলাম নিঃস্বার্থভাবে এতগুলো পশুপাখিকে প্রতিদিন খাবার দিচ্ছেন, সেটি প্রকৃতির প্রতি তার অকৃত্রিম প্রেম। পশুপাখি থেকে কেউ কোনো স্বার্থ আশা করেন না। কবুতর তো সুখের পায়রা। কবুতর যেখানে ভালোবাসা পায়, সেখানে যায়। বিরামপুর পৌর মেয়র আক্কাস আলী মন্ডল বলেন, আশরাফুল ইসলাম একজন ভালো মানুষ এবং সফল ব্যবসায়ী। মানুষকে ভালোবাসার পাশাপাশি তিনি জীবকে অনেক ভালোবাসেন। এটি আসলেই একটি মহৎ কাজ। কবুতরগুলো মানুষটির কাছে ভালোবাসা পাচ্ছে। আমি এটিকে অবশ্যই ভালো চোখে দেখছি। 
২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:৫৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়