• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
টেলিভিশনে সরাসরি দেখাবে না বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া সিরিজ
সবকিছু বিবেচনায় অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফর বড় ঘটনাই। হোক না সেটা নারী দলের! দেশের ক্রিকেটে এটি বহুল কাঙ্ক্ষিত একটি সিরিজ। যে কারণে এই সিরিজ আয়োজনে কোনো ত্রুটি রাখেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এই সিরিজটির গুরুত্ব বিবেচনায় ঢাকার বাইরে আয়োজন করা হয়েছে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা পুরুষ দলের পূর্ণাঙ্গ সিরিজ। সিলেটে টি-টোয়েন্টি ও চট্টগ্রামে ওয়ানডে পর টেস্ট সিরিজও ঢাকার বাইরেই রাখা হয়েছে। কেননা, ঢাকাতেই এই সিরিজটি আয়োজন করতে চেয়েছিল বোর্ড।  অন্যদিকে বাংলাদেশ নারী দলও মিরপুরে অজিদের বিপক্ষে খেলতে আগ্রহ দেখায়। যাতে মাঠে দর্শক, সাংবাদিকদের বাড়তি উপস্থিতি ও ভালো কাভারেজ পাওয়া যায়।  একই সঙ্গে টিভির পর্দায় দর্শক পাওয়ার প্রত্যাশাও করেছিলেন নিগার সুলতানা জ্যোতিরা। তবে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া নারী দলের ঐতিহাসিক সিরিজ দেখাবে না কোনো টেলিভিশন। কেননা, দেশের কোন টিভি সিরিজটির সম্প্রচার স্বত্ব কেনেনি। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটের মতো এই সিরিজের ম্যাচগুলো ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে দেখাবে বিসিবি। বাংলাদেশ ও অজিদের মধ্যকার ওয়ানডে সিরিজ মাঠে গড়াবে বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ)। ওয়ানডে সিরিজের বাকি দুই ম্যাচ হবে ২৪ মার্চ ও ২৭ মার্চ। এরপর তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে দুই দল। এই সিরিজের ম্যাচগুলো হবে ৩১ মার্চ, ২ এপ্রিল এবং ৪ এপ্রিল।
২০ মার্চ ২০২৪, ১০:০৩

বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া বাণিজ্য বাড়াতে পণ্য বহুমুখীকরণ জরুরি
বাংলাদেশ–অস্ট্রেলিয়া দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য পণ্য বহুমুখীকরণের উপর গুরুত্বারোপ করেছে উভয় দেশ। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের পক্ষ থেকে একটি পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।  বিজ্ঞপ্তিতে হাইকমিশন জানায়, ১১ থেকে ১৭ ফেব্রুয়ারি অস্ট্রেলিয়া সফর করেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ। সফরকালে তার সঙ্গে বৈঠকে অস্ট্রেলিয়ার বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বিষয়ক কমিশনের উপ-নির্বাহী প্রধান ফিলিপ্পা কিং বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করার পাশাপাশি দুদেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে পণ্য বহুমুখীকরণের ওপর জোর দেন। এ সময় তপন কান্তি ঘোষ তৈরি পোশাক ছাড়াও অন্যান্য সম্ভাবনাময় খাত হিসেবে তথ্য প্রযুক্তি, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও শিক্ষার বিষয় উল্লেখ করেন। অস্ট্রেডের উপ-নির্বাহী প্রধান উচ্চ শিক্ষার বিকল্প মডেল হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে বংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশীদারত্ব বাড়ানোর ওপর জোর দেন। বৈঠকে উচ্চ শিক্ষা ছাড়াও কারিগরী শিক্ষা কার্যক্রমে অস্ট্রেলিয়ার সহযোগিতা চাওয়া হয়। দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগ বাড়াতে অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ যৌথভাবে বিনিয়োগ সংক্রান্ত সেমিনার আয়োজনের বিষয়েও এ সময় আলোচনা হয়।   সিনিয়র সচিব এ সফরকালে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য দপ্তরের প্রথম সহকারী সচিব গ্যারি কাওয়ান, অস্ট্রেলিয়ান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির বাণিজ্য বিষয়ক প্রধান ক্রিস বার্নস এবং সেদেশে স্থানীয় বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়া চেম্বারের সদস্যদের সঙ্গেও বৈঠক করেন। তপন কান্তি ঘোষ অস্ট্রেলিয়ার গ্যারি কাওয়ানের সঙ্গে বৈঠককালে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পরবর্তী সময়ে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা প্রদত্ত সুযোগ সুবিধা বাংলাদেশের জন্য অব্যাহত রাখার বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ার সমর্থন কামনা করেন। এছাড়া আগামী মে মাসে অনুষ্ঠিতব্য জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের তৃতীয় সভায় ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ফ্রেমওয়ার্ক অ্যারেঞ্জমেন্টেকে পরবর্তী ধাপে উন্নয়নের জন্য করণীয় সম্পর্কিত আলোচনা হয় এই বৈঠকে। অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের আয়োজনে সিডনিতে অনুষ্ঠিত সেমিনারেও প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তপন কান্তি ঘোষ। সেমিনারে বক্তারা বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এছাড়া বক্তারা বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান উন্নয়নেরও প্রশংসা করেন। বর্তমানে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চার বিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলারের অধিক। গত দশকে দুদেশের বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বার্ষিক প্রবৃদ্ধির হার প্রায় ১১ শতাংশ। বাংলাদেশ–অস্ট্রেলিয়া প্রতিশ্রুতিশীল এ বাণিজ্যিক সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ হাইকমিশন।
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৫৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়