• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ব্যক্তিচর্চা দিয়ে কখনোই সম্মান আসে না : বর্ষা
বর্তমানে কাজের চেয়ে ব্যক্তিচর্চায় বেশি ব্যস্ত অনেক তারকাই। বিশেষ করে সিনেমার নায়িকারা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রীতিমতো অন্যের ব্যক্তিগত জীবনের নানান বিষয়ে সমালোচনার প্রতিযোগিতায় মেতে ওঠেন তারা। তবে ব্যক্তিচর্চা দিয়ে কখনোই সম্মান আসে না বলেই মনে করেন ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়িকা আফিয়া নুসরাত বর্ষা।  সম্প্রতি দেশের এক গণমাধ্যমে বর্তমান ব্যস্ততা ও সমসাময়িক বিভিন্ন প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বলেন বর্ষা। এসময় অভিনেত্রী জানান, প্রতিযোগিতা হলে কাজ নিয়েই হওয়া উচিত। ব্যক্তিচর্চা দিয়ে কখনোই সম্মান আসে না, বরং হিংসা-বিদ্বেষ তৈরি হয়।  বর্ষা বলেন, আমি আসলে সোশ্যাল মিডিয়ায় এসব খুব একটা দেখি না। ব্যবসায়িক কাজে ফ্যাক্টরি নিয়ে এত ব্যস্ত থাকতে হয় যে— অন্যকিছু দেখার বা ভাবার সময় পাই না। যেটুকু সময় পাই সেটা সংসার ও সন্তানদের জন্য ব্যয় করি।  তবুও দু’একটা কথা যে কানে আসে না তেমনটাও নয়। তবে আমি মনে করি, প্রতিযোগিতা হলে কাজ নিয়েই হওয়া উচিত।         অভিনেত্রী আরও বলেন, ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে একে অন্যের প্রতি কাদা ছোঁড়াছুড়ি কখনোই প্রতিযোগিতার মধ্যে পড়ে না। এগুলো কখনোই কাম্য নয়। আমাদের সিনিয়র নায়িকারা নিজেদের কাজ দিয়েই আলোচনায় ছিলেন, প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। সুতরাং যারা এগুলো করছে তাদের বলব— এসব বাদ দিয়ে কাজে মনোযোগ দিতে। দিন শেষে কাজটাই দর্শকরা মনে রাখে। ব্যক্তিচর্চা দিয়ে কখনোই সম্মান আসে না, বরং হিংসা, বিদ্বেষ ও ঘৃণা তৈরি হয়। প্রসঙ্গত, সর্বশেষ ‘কিল হিম’ সিনেমায় দেখা গেছে বর্ষাকে। গেল বছর ঈদে মুক্তি পায় সিনেমাটি। এবার প্রস্তুতি নিচ্ছেন এই সিনেমার সিকুয়্যালের। এছাড়া অভিনেত্রীর হাতে রয়েছে আরও দুটি সিনেমার কাজ। অন্যদিকে ব্যবসায়ী হিসাবেও বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন তিনি। 
২৩ মার্চ ২০২৪, ১০:০৯

হালাল-হারাম নিয়ে যা বললেন বর্ষা
ঢাকাই সিনেমার এ প্রজন্মের চিত্রনায়িকা আফিয়া নুসরাত বর্ষা। বেশিরভাগ সময়ই অভিনয়ের চেয়ে এলোমেলো কথা-বার্তার কারণেই আলোচনায় থাকেন তিনি। শুধু তাই নয়, নেটমাধ্যমে ভয়ংকর ট্রলেরও শিকার হন বর্ষা। এবার হালাল-হারাম নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়েছেন এই নায়িকা।  সেই অভিজ্ঞতা ও এমন বিষয়গুলো নিয়ে ভক্তদের সঙ্গে সম্প্রতি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন বর্ষা। সেই সঙ্গে কিছু শিক্ষণীয় বার্তাও দিয়েছেন এই নায়িকা।  পাঠকদের সুবিধার জন্য বর্ষার স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো— ‘সোশ্যাল মিডিয়া এখন সবার জন্য উন্মুক্ত। কে কীভাবে ব্যবহার করবেন, এটা যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার। কিন্তু এই মাধ্যমকে, নেতিবাচক না ইতিবাচকভাবে ব্যবহার করা হবে, সেটা একটু ভেবে দেখা দরকার। এই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে অনেকে অনেক ভালো কাজ করছেন। এর মাধ্যমেই ভালো কাজগুলো জানতে পারি। আবার নেতিবাচক খবরও হচ্ছে। ছোট ও তুচ্ছ বিষয়গুলো খুব বড়ভাবে প্রচার করা হয়। যা মোটেও কাম্য নয়।’ বর্ষা আরও লেখেন, ‘এসব নেতিবাচক ছোট ও তুচ্ছ বিষয়গুলোকে গুরুত্ব না দিয়ে নিজেকে নিয়ে ভাবি, চিন্তা করি। সবচেয়ে জরুরি, হালাল-হারাম (ন্যায়-অন্যায়) নিয়ে একটু ভাবি। এটা সব জায়গায় খুব দরকার।’   প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে স্বামী নায়ক-প্রযোজক অনন্ত জলিলের বিপরীতে ‘খোঁজ: দ্য সার্চ’ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক হয় বর্ষার। প্রথম সিনেমার পর ২০১১ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর ভালোবেসে ঘর বাঁধেন এই তারকা দম্পতি। তাদের সংসারে আরিজ ইবনে জলিল ও আবরার ইবনে জলিল নামে দুই পুত্রসন্তান রয়েছে।    
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:৩০

এসব বিষয়ে খোটা দিলে সংসারটাই টিকত না : বর্ষা
ঢালিউডের রোমান্টিক জুটি অনন্ত-বর্ষা। এক যুগেরও বেশ সময় ধরে সংসার করছেন তারা। বর্তমানে দুই সন্তান নিয়ে বেশ সুখেই দিন পার করছেন অনন্ত-বর্ষা। কম-বেশি সবার সংসারেই খুনসুটি, মান-অভিমান থাকে। অনন্ত-বর্ষাও তার ব্যতিক্রম নন। তবে তাদের সংসারে মান-অভিমান থাকলেও ভালোবাসার উদাহরণই বেশি।  খুব গরিব ঘরের মেয়ে চিত্রনায়িকা বর্ষা। বরাবরই সেটি প্রকাশ্যে স্বীকার করে এসেছেন তিনি। বলা যায়, সিনেমার মতোই ধনী-গরিবের প্রেম ছিল অনন্ত-বর্ষার। তবে সেসব নিয়ে কখনও কথা শোনাননি অনন্ত। বরং ভালোবাসার মানুষকে শুরু থেকেই আগলে রেখেছেন এই নায়ক।   সম্প্রতি দেশের একটি গণমাধ্যমে নিজেদের ভালোবাসার গল্প জানালেন বর্ষা। এ সময় তিনি বলেন, আমি গরিব ঘরের মেয়ে বলে কখনও কোনো বিষয়ে কথা শোনাননি অনন্ত। খোটা দিলে হয়তো আমাদের সংসারটাই টিকত না।    বর্ষা বলেন, একটি অনুষ্ঠানে অনন্তের সঙ্গে প্রথম দেখা ও পরিচয় হয় আমার। আমি তখন গার্লস হোস্টেলে থাকতাম। আমি তো অর্থবিত্তে অত বড় পরিবারের কেউ নই। হোস্টেলের সেই একই খাবার খেতে ভালো লাগত না প্রতিদিন। পরিচয়ের পর থেকে মাঝে মাঝেই অনন্ত আমাকে ওর গাড়িতে করে বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে নিয়ে খাওয়াত।  এভাবেই দুজনের মধ্যে কথাবার্তা বাড়তে থাকে। আমি জীবনটা খুব বাস্তবতা থেকে দেখি। আমি কখনও কোনো কিছু লুকাইনি অনন্তর কাছে, যেটা তার ভান মনে হবে। অনন্তও ঠিক তাই। সে কারণেই হয়তো আমাদের প্রেমটাও নিবিড় হয়েছে।   দুজনের মধ্যে পরস্পরের প্রেম নিবেদনটা কীভাবে হয়েছিল? এমন প্রশ্নের জবাবে বর্ষা বলেন, একদিন ঘুমানোর আগে অনন্তকে বললাম দেখি এক মিনিটে কে কতবার ‘আই লাভ ইউ’ লিখে পাঠাতে পারে? আমি জানতাম অনন্ত এসএমএস-এ খুবই স্লো। তাই ভেবেছিলাম আমিই জিতব। কিন্তু দেখলাম এক মিনিটে প্রায় হাজারবার ‘আই লাভ ইউ’ লিখে পাঠিয়েছে। পরে জানলাম, ওর হাতে স্মার্ট ফোন ছিল, সে কপি করে ইচ্ছেমতো পেস্ট করে দিয়েছে। যেটা আমি পারিনি। কারণ, আমার কাছে তখন বাটন ফোন ছিল।  এই যে ধনী-গরিবের প্রেম, সংসারের শুরুতে এ নিয়ে কোনো বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছেন কি না? জানতে চাইলে চিত্রনায়িকা বলেন, আমি খুব গরিব ঘরের মেয়ে। বিষয়টি সবসময়ই স্বীকার করি আমি। এটা বলতে তো আমার দ্বিধা নেই। কিন্তু আমার আত্মসম্মানবোধ আছে। সেটা অনন্ত বুঝত। আর কখনও অনন্ত এসব বিষয়ে কথা শুনালে হয়তো আমাদের সংসারটাই টিকত না। ও আমাকে শুরু থেকেই সেই সম্মানের জায়গাটা দিয়েছে।    সবার আগে নিজেদের পরিবারের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য প্রাধান্য দিয়েছি আমরা। জীবনের এই পরিচয় কিংবা জনপ্রিয়তার মোহও বেশি দিনের না। কিন্তু অনন্ত আমার সারাজীবনের প্রেম। ওর সঙ্গেই আমি বুড়ি হতে চাই। বৃদ্ধ বয়সে কিন্তু এসব কিছুই থাকবে না। শুধু আমি আর অনন্তই থাকব।
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৫৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়