• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
পুলিশের সামনে মিথিলাকে পেটাল ইউটিউবার রাকিব টিম
ডিজিটাল এই যুগে নতুন নতুন কনটেন্ট নিয়ে দর্শকদের সামনে হাজির হন ক্রিয়েটররা। কখনও ইউটিউব বা কখনও ফেসবুকে সেই সব কনটেন্ট দিয়ে মাসে আয় করছেন লাখ লাখ টাকা। সেই সব কনটেন্ট নিয়ে আবার অনেকেই প্রশংসা করেন আবার অনেকেই সমালোচনা করেন। এদিকে দেশের জনপ্রিয় ইউটিউবারদের মধ্যে তালিকার রাকিব হোসাইন একজন। নানা কনটেন্ট দিয়ে আসতে আসতে নিজের অবস্থান শক্ত করেছেন তিনি। সম্প্রতি তার টিম থেকে বেরিয়ে যাওয়া ইয়াসিন এবং মিথিলার সঙ্গে টিম রাকিবের তুমুল মারামারি হয়েছে যা ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে নেট দুনিয়ায়। জানা গেছে, শনিবার (২০ এপ্রিল) রাত প্রায় ১০টার দিকে রাজধানীর মিরপুর ১ নম্বরের একটি রেস্টুরেন্ট থেকে বের হচ্ছিলেন ইউটিউবার ইয়াসিন ও মিথিলা রহমান। রাস্তায় তাদেরকে পেয়ে মিথিলার গায়ে হাত তোলেন রাকিবের টিমের সদস্যরা। ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, মিথিলার মাথায় হেলমেট। সেসময় তার গায়ে হাত তোলা হয়। সেখানে পুলিশকেও দেখা গেছে। কিন্তু পুলিশের কোনো উদ্যোগ ভিডিওতে দেখা যায়নি। মিথিলা কান্নাকাটি করলে তাকে সিএনজিতে করে একটি হাসপাতালে যেতে দেখা গেছে সেই ভিডিওটিতে। তবে মিথিলার গায়ে হাত তোলার কারণ জানা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, কাজের সুবাদে বনিবনা না হওয়ার কারণে দুই পক্ষের মধ্যে এমন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। রাকিব হোসেন তার ইউটিউবে কনটেন্ট ক্রিয়েটের পাশাপাশি ২০২২ সাল থেকে নাটকও তৈরি করছেন।
২১ এপ্রিল ২০২৪, ২১:৫৭

ফ্যান বন্ধ করা নিয়ে রুমমেটকে পেটাল কুবি শিক্ষার্থী
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে ফ্যানের সুইচ বন্ধ করাকে কেন্দ্র করে শেখ সজীব নামে মার্কেটিং বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীকে মারধর করেছে তারই রুমমেট আবু সাঈদ আহমেদ। আবু সাঈদ আইন বিভাগের একই শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।  শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ৫১৮ নম্বর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় হল প্রভোস্ট বরাবর অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। প্রত্যক্ষদর্শী রুমমেট জানায়, শনিবার বিকেল ৪টার দিকে বাড়ি থেকে হলে ফিরে আসেন সজীব। এসে গরম লাগার কারণে রুমের ফ্যান ছেড়ে দিলে তার রুমমেট সাঈদ আহমেদ ফ্যান বন্ধ করতে বলে। এক পর্যায়ে সাঈদ নিজেই ফ্যান বন্ধ করে দেয়। পরে সজীব আবার ফ্যান ছেড়ে দিলে সাঈদ পুনরায় ফ্যান বন্ধ করে এবং ফ্যানের রেগুলেটর ভেঙে ফেলে। পরে এ নিয়ে দুইজনের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। বাগবিতণ্ডার এক পর্যায়ে সাঈদের বিছানার নিচে থাকা এসএস পাইপ নিয়ে সজীবকে আঘাত করেন। পরে অন্যান্য রুমমেট ও পাশের রুমের সহপাঠীরা এসে সজীবকে উদ্ধার করে এবং সাঈদকে আরেক রুমে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় সজীব ডান হাতের বাহু, পেট এবং মাথার ডানপাশে আঘাত প্রাপ্ত হয়। পরে সহপাঠীরা তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী মো. হুমায়ুন বলেন, হৈচৈ শুনে আমি ওই রুমে আসার পর দেখি সাঈদের হাতে রড এবং দুজন তাকে বাধা (সাঈদ) দেওয়ার চেষ্টা করছে। তবুও সাঈদ সজীবকে আঘাত করে। এ বিষয়ে আহত শেখ সজীব বলেন, গরম লাগার কারণে রুমের ফ্যান চালু করি। তখন সাঈদ সঙ্গে সঙ্গে ফ্যান বন্ধ করতে বলে। আমি দুই মিনিট অপেক্ষা করতে বলি। কারণ, আমার গরম লাগছে। তখন সাইদ ফ্যান বন্ধ করে দেয় এবং এক পর্যায়ে ফ্যানের রেগুলেটর ভেঙে ফেলে। এ সময় আমি কারণটি জানতে চাইলে তিনি আমাকে গালি দেন এবং তার বেডের নীচ থেকে একটা পাইপ বের করে আমাকে জোরে আঘাত করেন।  তিনি বলেন, এর আগেও সাঈদ অনেককে মারধর করতে উদ্যত হয়। এখন আমি আমার নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত। তাই প্রভোস্ট স্যার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।  তবে অভিযোগ অস্বীকার করে সাঈদ আহমেদ বলেন, বিকালে আমি রুমে শুয়েছিলাম। সজীব বাসা থেকে রুমে এসে ফ্যান ফুল স্পিডে ছেড়ে দেয়। ফ্যানে ময়লা থাকার ফলে পুরো রুমে ময়লা ছড়িয়ে পড়ে। ফলে আমি ফ্যান বন্ধ করে দিই। তখন সজীব বলে ফ্যান বন্ধ করলি কেন? এ সময় সজীব আবার ফ্যান ছেড়ে দেয়। পরে আবার আমি বন্ধ করে দিলে তখন সজীব আমাকে ধাক্কা দেয় এবং কথা কাটাকাটি হয়। তখন রুমে ব্যাচমেটরা চলে আসে। এক পর্যায়ে সজীব দুই লিটারের বোতল দিয়ে আমাকে আঘাত করে। পরে আমি ওকে পাইপ দিয়ে আঘাত করি।  এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত হল প্রভোস্ট মু. আবু বকর সিদ্দিক বলেন, আমরা বিষয়টি অবগত আছি। কালকে আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বসে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।  প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) ড. কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, এটি হলের অভ্যন্তরীণ বিষয় তাই এটি হল প্রশাসন দেখবে। তবে হল প্রশাসন আমাদের সহযোগিতা চাইলে আমরা অবশ্যই সহযোগিতা করব।
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:১৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়