• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে ইসরায়েলকে যে পরামর্শ দিল যুক্তরাজ্য
ইসরায়েলে ইরানের হামলার ইস্যু নিয়ে বিশ্ব রাজনীতি অঙ্গন উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। তেল আবিবকে পাল্টা হামলা না চালাতে জোর দিচ্ছে বিভিন্ন দেশ। যদিও প্রতিশোধ নিতে বায়না ধরে আছে ইসরায়েল। এ অবস্থায় বন্ধু হিসেবে তেল আবিবকে কিছু পরামর্শ দিয়েছে যুক্তরাজ্য। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইসরায়েলের উদ্দেশে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বলেন, তেহরানের হামলা প্রায় ব্যর্থ হয়েছে। এ অবস্থায় আর প্রতিশোধমূলক আক্রমণে যাওয়া উচিত নয়।  ইরানের হামলার জবাব অবশ্যই দেওয়া ন্যায্য উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, তবে বন্ধু হিসেবে আমি বলল, মস্তিস্কের পাশাপাশি হৃদয় দিয়ে চিন্তা করুন। মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা না বাড়ানোর অনুরোধ করছি। এ সময় ইরানের ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার ব্যাপারে ব্রিটিশ সরকার তার মিত্রদের সঙ্গে কাজ করবে বলেও জানান ডেভিড ক্যামেরন। এদিকে, সোমবার (১৫ এপ্রিল) ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর চিফ অব স্টাফ হারজি হালেভি বলেন, ইরানের ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন নিক্ষেপের জবাব দেওয়া হবে। তবে কিভাবে জবাব দেওয়া হয়ে সে বিষয়ে তিনি বিস্তারিত কিছু জানাননি। অন্যদিকে, ইরানের সামরিক বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ হোসাইন বাঘেরি বলেছেন, অভিযান চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা আমাদের নেই। তবে, ইসরায়েল পাল্টা কিছু করার চেষ্টা করলে বড় পরিসরে হামলা চালানো হবে ইরানের প্রতিক্রিয়া। এর আগে, গত ১ এপ্রিল সিরিয়ায় ইরানি কনস্যুলেটে হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে ১৩ জনের মৃত্যু হয়। এ হামলার জন্য ইসরায়েলকে সরাসরি দায়ী করেছে ইরান। হামলার জবাবে শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাতে ইসরায়েলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। ইসরায়েলের দাবি, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র গুলো ইসরাইলের আকাশসীমায় পৌঁছানোর আগেই ভূপাতিত করা হয়েছে। শতাংশ হামলাই প্রতিহত করা হয়েছে। তবে ইরান বলছে, হামলায় ইসরায়েলের একটি গোয়েন্দা কেন্দ্র ও একটি বিমান ঘাঁটি ধ্বংস হয়েছে।
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২:১৭

ড. ইউনুসের সংবাদ সম্মেলনের পরে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে গ্রামীণ ব্যাংকের বক্তব্য
সম্প্রতি দরিদ্র ও ভূমিহীন সদস্যদের আইনগত অধিকার প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছেন গ্রামীণ ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদ। তারই অংশ হিসেবে গ্রামীণ ব্যাংকের ১৫৫তম বোর্ড সভায় গ্রামীণ টেলিকম ও গ্রামীণ কল্যাণসহ সাতটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা বোর্ডে চেয়ারম্যান ও নির্দিষ্ট সংখ্যক পরিচালক মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে গ্রামীণ ব্যাংক।  বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) গ্রামীণ ব্যাংক মিডিয়া সেল প্রধান মোছা. আঞ্জু আরা বেগম সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অত্যন্ত দুঃখের সাথে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, এ বিষয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূস একটি সংবাদ সম্মেলন করে বেশ কিছু বিভ্রান্তমূধুক্ত, অসত্য, বেআইনি ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্য দিয়েছেন, যা ১ কোটি ৫ লক্ষ সদস্য ও তাদের পরিবারের অধিকার খর্ব করার শামিল। তাই গ্রামীণ ব্যাংক এ বিষয়ে সঠিক তথ্য উল্লেখ করে নিজেদের বক্তব্য ও ব্যাখ্যা জাতির সামনে প্রকাশ করাকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে করছে। গ্রামীণ ব্যাংক কর্তৃপক্ষের ব্যাখ্যা- আর্টিকেল অব অ্যাসোসিয়েশন পরিবর্তনের বিষয়ে ড. ইউনূসের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছে, ২০০৯ সালে গ্রামীণ টেলিকম ও গ্রামীণ কল্যাণের আর্টিকেল অব অ্যাসোসিয়েশন পরিবর্তন করে চেয়ারম্যান ও পরিচালনা পর্ষদের নির্দিষ্ট সংখ্যক পরিচালক মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রে গ্রামীণ ব্যাংকের ক্ষমতা বিলুপ্ত করা হয়েছে। তাদের এই বক্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, বিভ্রান্তিকর ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। লিখিত বক্তব্যে ড. ইউনূস নিজেকে গ্রামীণ ব্যাংক ও এই ব্যাংক কর্তৃক সৃষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহের মালিক দাবি করে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা গ্রামীণ ব্যাংকের ১ কোটি ৫ লক্ষ ঋণগ্রহীতার স্বার্থের সঙ্গে সাংঘর্ষিক, অনৈতিক ও আইন পরিপন্থী। কারণ, গ্রামীণ ব্যাংক অধ্যাদেশ ১৯৮৩ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা, যার মালিক বাংলাদেশ সরকার ও এর ঋণগ্রহীতা শেয়ারহোল্ডারগণ। এমনকি এ বিষয়টি বাংলাদেশের মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে নিষ্পত্তি হয়েছে। লিখিত বক্তব্যে ড. ইউনূসের পক্ষে বলা হয়েছে, সরকারি আদেশবলে তৈরিকৃত কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যাংক কখনোই আইনগতভাবে কোনো প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি সৃষ্টি করা বা উহার মালিক হতে পারে না। এই বক্তব্য স্ববিরোধী ও আইনের অপব্যাখ্যার শামিল। কারণ ২৫-০৪-১৯৯৬ তারিখে অনুষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংকের ৪২তম বোর্ড সভার সিদ্ধান্তে গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে ড. ইউনূসের প্রস্তাবেই খোদ গ্রামীণ কল্যাণ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এইসব আইনি বিধান মেনেই গত ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদের ১৫৫তম বোর্ড সভার সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে ব্যাংকের পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট প্রতিনিধিগণ গ্রামীণ টেলিকম ভবনে অবস্থিত ছয়টি প্রতিষ্ঠানে যান। সংবাদ সম্মেলনে তারা জবরদখলের অভিযোগ তুললেও প্রকৃত পক্ষে সেদিন তারা ব্যাংকের প্রতিনিধিগণকে সাদর অভ্যর্থনা জানান এবং আপ্যায়ন করেন। প্রতিনিধিগণ নিয়ম মেনে প্রতিষ্ঠানের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে গ্রামীণ ব্যাংকের বোর্ড সভার সিদ্ধান্তের চিঠি হস্তান্তর করেন। গ্রামীণ ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদ আশা করছে, গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর বৃহত্তর কল্যাণে এবং তাদের স্বার্থরক্ষার যে অঙ্গীকারে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বোর্ড সভার এ সিদ্ধান্ত তা বাস্তবায়নে সহায়ক হবে।
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়