• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
‘কোথাও কোথাও নির্বাচনি ফল পূর্বনির্ধারিত ছিল’
সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা জিএম কাদের বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিন ধরনের ভোট হয়েছে। কোথাও কোথাও ইলেকশন যেভাবেই হোক ফল পূর্বনির্ধারিত ছিল, শিট বানিয়ে দেওয়া হয়েছে। কোথাও ভোট সুষ্ঠু হয়েছে। কোথাও আবার টাকা, অস্ত্র ও পেশিশক্তির দাপটের নির্বাচন হয়েছে। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় সরকারি দলের সংসদ সদস্যরা ব্যাপকভাবে তার বক্তব্যের প্রতিবাদ জানাতে থাকেন। পরে জিএম কাদের হেসে বলেন, এটা নাও হতে পারে। দ্রব্যমূল্যের সিমাহীন ঊর্ধ্বগতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্দিষ্ট কিছুসংখ্যক ব্যক্তি আমদানি করছেন। এতে সিন্ডিকেট হওয়াটা স্বাভাবিক। এসব ব্যবসায়ী সরকারের নীতিনির্ধারণে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত। বিকল্প না থাকার কারণে সরকার তাদের হাতে জিম্মি। বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, দেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের বিষয়ে সরকারের দায়িত্বশীলদের বক্তব্য তদন্তকাজকে বিলম্বিত করতে উৎসাহিত করতে পারে। এ ব্যাপারে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন তিনি। তিনি বলেন, সংবিধান ও আইন যে কোনো ধরনের নির্বাচনকে বৈধতা দিতে পারে। কিন্তু সবক্ষেত্রে তা সঠিক বা ভালো নির্বাচন বলে গ্রহণযোগ্য হবে, সেটা সব সময় নিশ্চয়তা দিতে পারে না। জিএম কাদের বলেন, ষষ্ঠ নির্বাচনে ১৫ ফেব্র“য়ারি ২১ শতাংশ ভোট পড়েছিল। সব দল নির্বাচনে না এলে ভোট স্বতঃস্ফূর্ত হয় না। খুব গ্রহণযোগ্য হয়েছে সপ্তম, অষ্টম, নবম সংসদ নির্বাচনে ৭৫-৮২ শতাংশ ভোট পড়েছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বিএনপির একটি দল না এলে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করা কঠিন। এতে মানুষ ভোট দিতে আসে না। যে প্রেক্ষাপটে ছিল তাতে ৪২ শতাংশ ভোট দিতে গেলে সব ভোটকেন্দ্রের সামনে ৮ ঘণ্টা লাইন থাকার কথা। কিন্তু তা ছিল না। আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ সব বড় দল নির্বাচনে অংশ নিলে এই মুহূর্তে ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ ভোট পড়বে। জিএম কাদের বলেন, অনেকে বলেছেন ঘণ্টায় তিন চারটার বেশি ভোট হয়নি। আমি আমার কথা বলছি না। ধারণার কথা বলছি। তিনি আরও বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংবিধান মোতাবেক ও প্রচলিত আইন অনুযায়ী বৈধ হিসাবে গণ্য করা যায়। আইন অনুযায়ী তা বৈধ হয়েছে। কেউ বেআইনি ঘোষণা করেনি। কিন্তু সিংহভাগ মানুষ মনে করে ভালো নির্বাচন হয়নি, সঠিকভাবে জনমতের প্রতিফলন হয়েছে বলে মনে করে না। আমি মনে করি, আইনকানুন ব্যাপকভাবে লঙ্ঘিত হয়েছে। যারা দেখার কথা তারা এড়িয়ে গেছেন, অনেক সময় লঙ্ঘনে সহায়তা করেছেন। রাষ্ট্রপতির বক্তব্যে দুর্নীতির প্রসঙ্গ আসেনি উল্লেখ করে জিএম কাদের বলেন, দুর্নীতিতে দেশ সয়লাব হয়ে গেছে। এটা বেশ কিছুদিন ধরে চলছে। দুর্নীতি ছাড়া কোনো কাজ হয় না। এটি প্রত্যেক সমাজের অভিশাপ। দুর্নীতির কারণে ভোগান্তি বাড়তে থাকে। এটা সমাজ উন্নয়নে বাধাগ্রস্ত করে। সরকার সাধারণত দুর্নীতি স্বীকার করে না। এ সময় ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের দুর্নীতি সূচকের কথা তুলে ধরে জিএম কাদের বলেন, ২০০১ সাল থেকে পরপর পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ। যার প্রথমে ক্ষমতায় ছিল আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ ক্ষমতা গ্রহণের সময় ২০০৯ সালে বাংলাদেশ দুর্নীতিতে ১৩তম স্থানে ছিল বলে উল্লেখ করে জিএম কাদের বলেন, বর্তমানে আমরা ১০ম স্থানে আছি। মানে দুর্নীতি অবস্থান এখন নিচের দিকে নেমে গেছে। এটা হলো ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের রিপোর্ট।
০৬ মার্চ ২০২৪, ০০:৩০

বিএনপির সঙ্গে ইইউ নির্বাচনি বিশেষজ্ঞ দলের বৈঠক
বিএনপির সঙ্গে বৈঠক করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নির্বাচনি কারিগরি বিশেষজ্ঞ দল। ভার্চুয়ালি এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা। বুধবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেল ৫টায় শুরু হওয়া দেড় ঘণ্টার এ বৈঠক শেষ হয় সন্ধ্যায়।বৈঠকে বিএনপি পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, চেয়ারপার্সন উপদেষ্টা কাউন্সিল সদস্য ইসমাইল জবিউল্লাহ, বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, দলটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির ও বিএনপি মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান আসাদ। ইইউ নির্বাচনি কারিগরি বিশেষজ্ঞ দলের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, সদস্য ডেভিড নোয়েল ওয়ার্ড (ইলেকশন এক্সপার্ট), আলেকজান্ডার ম্যাটাস (ইলেকটোরাল এনালিস্ট), সুইবেস শার্লট (ইলেকটোরাল এনালিস্ট) এবং রেবেকা কক্স (লিগ্যাল এক্সপার্ট)। কারিগরি বিশেষজ্ঞ দলটি ২৯ নভেম্বর একটি বিশেষ ফ্লাইটে দুই মাসের মিশনে বাংলাদেশে আসেন বিশেষজ্ঞ দলের চার সদস্য। শুরুতে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে বৈঠক করে। এর আগে, গত ২০ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে বাংলাদেশে এবারের নির্বাচনে পূর্ণাঙ্গ কোনো পর্যবেক্ষক দল পাঠাচ্ছে না বলে জানায় ইইউ। চিঠিতে ইইউ জানায়, বাংলাদেশে নির্বাচনের যথাযথ পরিবেশ নেই। তাই বাংলাদেশে তারা নির্বাচন পর্যবেক্ষণে কোনো পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে না। বাংলাদেশে পূর্ণাঙ্গ পর্যবেক্ষক মিশন পাঠানোর মতো তহবিল না থাকার বিষয়টিও উল্লেখ করা হয় চিঠিতে। তফসিল অনুযায়ী, সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৭ জানুয়ারি। নির্বাচন দেখতে বিভিন্ন সংস্থার ৮৭ জন পর্যবেক্ষক ইতোমধ্যে আবেদন জানিয়েছে। এ ছাড়া ৩৪ দেশ ও চারটি সংস্থার ১১৪ জন পর্যবেক্ষককে ভোট দেখতে আমন্ত্রণ জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:৪৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়