• ঢাকা রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo

‘কোথাও কোথাও নির্বাচনি ফল পূর্বনির্ধারিত ছিল’

আরটিভি নিউজ

  ০৬ মার্চ ২০২৪, ০০:৩০
জাতীয় সংসদ, জিএম কাদের
ফাইল ছবি

সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা জিএম কাদের বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিন ধরনের ভোট হয়েছে কোথাও কোথাও ইলেকশন যেভাবেই হোক ফল পূর্বনির্ধারিত ছিল, শিট বানিয়ে দেওয়া হয়েছে কোথাও ভোট সুষ্ঠু হয়েছে কোথাও আবার টাকা, অস্ত্র পেশিশক্তির দাপটের নির্বাচন হয়েছে

মঙ্গলবার ( মার্চ) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে তিনি কথা বলেন সময় সরকারি দলের সংসদ সদস্যরা ব্যাপকভাবে তার বক্তব্যের প্রতিবাদ জানাতে থাকেন পরে জিএম কাদের হেসে বলেন, এটা নাও হতে পারে

দ্রব্যমূল্যের সিমাহীন ঊর্ধ্বগতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্দিষ্ট কিছুসংখ্যক ব্যক্তি আমদানি করছেন এতে সিন্ডিকেট হওয়াটা স্বাভাবিক এসব ব্যবসায়ী সরকারের নীতিনির্ধারণে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত বিকল্প না থাকার কারণে সরকার তাদের হাতে জিম্মি

বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, দেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের বিষয়ে সরকারের দায়িত্বশীলদের বক্তব্য তদন্তকাজকে বিলম্বিত করতে উৎসাহিত করতে পারে ব্যাপারে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন তিনি

তিনি বলেন, সংবিধান আইন যে কোনো ধরনের নির্বাচনকে বৈধতা দিতে পারে কিন্তু সবক্ষেত্রে তা সঠিক বা ভালো নির্বাচন বলে গ্রহণযোগ্য হবে, সেটা সব সময় নিশ্চয়তা দিতে পারে না

জিএম কাদের বলেন, ষষ্ঠ নির্বাচনে ১৫ ফেব্রয়ারি ২১ শতাংশ ভোট পড়েছিল সব দল নির্বাচনে না এলে ভোট স্বতঃস্ফূর্ত হয় না খুব গ্রহণযোগ্য হয়েছে সপ্তম, অষ্টম, নবম সংসদ নির্বাচনে ৭৫-৮২ শতাংশ ভোট পড়েছে

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বিএনপির একটি দল না এলে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করা কঠিন এতে মানুষ ভোট দিতে আসে না যে প্রেক্ষাপটে ছিল তাতে ৪২ শতাংশ ভোট দিতে গেলে সব ভোটকেন্দ্রের সামনে ঘণ্টা লাইন থাকার কথা কিন্তু তা ছিল না আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ সব বড় দল নির্বাচনে অংশ নিলে এই মুহূর্তে ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ ভোট পড়বে

জিএম কাদের বলেন, অনেকে বলেছেন ঘণ্টায় তিন চারটার বেশি ভোট হয়নি আমি আমার কথা বলছি না ধারণার কথা বলছি

তিনি আরও বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংবিধান মোতাবেক প্রচলিত আইন অনুযায়ী বৈধ হিসাবে গণ্য করা যায় আইন অনুযায়ী তা বৈধ হয়েছে কেউ বেআইনি ঘোষণা করেনি কিন্তু সিংহভাগ মানুষ মনে করে ভালো নির্বাচন হয়নি, সঠিকভাবে জনমতের প্রতিফলন হয়েছে বলে মনে করে না আমি মনে করি, আইনকানুন ব্যাপকভাবে লঙ্ঘিত হয়েছে যারা দেখার কথা তারা এড়িয়ে গেছেন, অনেক সময় লঙ্ঘনে সহায়তা করেছেন

রাষ্ট্রপতির বক্তব্যে দুর্নীতির প্রসঙ্গ আসেনি উল্লেখ করে জিএম কাদের বলেন, দুর্নীতিতে দেশ সয়লাব হয়ে গেছে এটা বেশ কিছুদিন ধরে চলছে দুর্নীতি ছাড়া কোনো কাজ হয় না এটি প্রত্যেক সমাজের অভিশাপ দুর্নীতির কারণে ভোগান্তি বাড়তে থাকে এটা সমাজ উন্নয়নে বাধাগ্রস্ত করে সরকার সাধারণত দুর্নীতি স্বীকার করে না সময় ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের দুর্নীতি সূচকের কথা তুলে ধরে জিএম কাদের বলেন, ২০০১ সাল থেকে পরপর পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ যার প্রথমে ক্ষমতায় ছিল আওয়ামী লীগ

আওয়ামী লীগ ক্ষমতা গ্রহণের সময় ২০০৯ সালে বাংলাদেশ দুর্নীতিতে ১৩তম স্থানে ছিল বলে উল্লেখ করে জিএম কাদের বলেন, বর্তমানে আমরা ১০ম স্থানে আছি মানে দুর্নীতি অবস্থান এখন নিচের দিকে নেমে গেছে এটা হলো ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের রিপোর্ট

মন্তব্য করুন

daraz
  • রাজনীতি এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
সংসদ অধিবেশন বসবে ২ মে
সংসদ ভবনে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত
কেএনএফের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জিএম কাদেরের
বিরোধীদলীয় নেতাকে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ শুভেচ্ছা
X
Fresh