• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
logo
সাত দিনেও প্রতিবেদন দেয়নি তদন্ত কমিটি, যা বললেন অবন্তিকার মা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় গঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটি সাত দিনের মধ্যেও প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি। প্রতিবেদন কবে দেওয়া হবে তাও জানায়নি তদন্ত কমিটি।  শুক্রবার (২২ মার্চ) দীর্ঘ আড়াই ঘণ্টা অবন্তিকার মা তাহমিনা শবনমের সঙ্গে আত্মহত্যার বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন তদন্ত কমিটির সদস্যরা। এ সময় তারা বিভিন্ন বিষয়ে অবন্তিকার মায়ের কাছে জানতে চান। আলোচনা শেষে অবন্তিকার মা সাংবাদিকদের বলেন, তদন্ত কমিটি আসছে তদন্ত করার জন্য, তারা আমাদের কাছ থেকে যে ঘটনা ঘটেছিল তার তথ্য নিয়েছে। আমি তাদের বিস্তারিত ঘটনার বিবরণ দিয়েছি। তারা আমাকে আশ্বস্ত করেছে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেবে। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখন যতটা আন্তরিক, আগে এতটা আন্তরিক হলে হয়তো আমার মেয়েকে হারাতে হতো না। তদন্ত কমিটির প্রধান অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন বলেন, তদন্তের স্বার্থে তথ্য সংগ্রহের জন্য কুমিল্লায় এসেছি। অবন্তিকার মায়ের সঙ্গে প্রায় দেড় ঘণ্টার মতো কথা বলেছি। বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেছি। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁদের কাছ থেকে কোনো তথ্য-উপাত্ত থাকলে সেগুলো নেব। তিনি বলেন, আমাদের তদন্তকাজ চলছে। তবে কবে নাগাদ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে, সেটি নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। চেষ্টা করছি দ্রুত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শীবেন বিশ্বাস বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্তকারী দল আবন্তিকার মামলার প্রয়োজনীয় নথিপত্র নিয়েছেন। বিভিন্ন তথ্য জানতে চেয়েছেন। আমরা তাদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করেছি। এর আগে গত ১৫ মার্চ ফেসবুক স্ট্যাটাসে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীকে মৃত্যুর জন্য দায়ী করে আত্মহত্যা করেন ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা। 
২৩ মার্চ ২০২৪, ০০:২২

বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তালা দেয়নি পুলিশ : ডিএমপি
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশ তালা দেয়নি এমনটাই দাবি করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। এ সংক্রান্ত প্রমাণ পুলিশের কাছে আছে বলেও দাবি করা হয়। বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) রাতে ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ শাখা থেকে দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ফটকে পুলিশ তালা দিয়েছে বলে যে দাবি বৃহস্পতিবার সকালে দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী করেছেন, তা সত্য নয়। এর আগে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিএনপি জানায়, আড়াই মাস পর বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী নেতা-কর্মীদের নিয়ে তালা ভেঙে দলের কার্যালয়ে ঢোকেন। বিজ্ঞপ্তিতে বিএনপি আরও জানায়, গত ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে সংঘর্ষে কর্মসূচিটি পণ্ড হয়ে যায়। এরপর থেকে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের মূল ফটকে তালা ঝুলছিল। এদিকে ডিএমপি বলছে, কার্যালয়ের ফটকের তালার চাবি ফেরত পাওয়ার অনুরোধ জানিয়ে বুধবার ডিএমপি কমিশনার বরাবর একটি পত্র পাঠান রুহুল কবির রিজভী। এরপর বৃহস্পতিবার সকালে তালা ভেঙে কার্যালয়ে প্রবেশ করে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, কার্যালয়ে পুলিশ তালা দিয়ে রেখেছিল। ডিএমপি বলছে, বিএনপির কার্যালয়ে পুলিশ কখনো তালা দেয়নি। বিষয়টি একাধিকবার স্পষ্ট করা হয়েছে। এরপরও এ নিয়ে অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২৮ অক্টোবর সমাবেশ শেষে সে রাতে কার্যালয়েই ছিলেন ভবনটির নিরাপত্তাকর্মী সোহাগ। পরদিন সকালে ফটকে তালা লাগিয়ে চলে যান তিনি। ফলে তালা দেওয়া নিয়ে রুহুল কবির রিজভীর বক্তব্য ও চাবি ফেরত চাওয়ার এই পত্র যথাযথ নয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রিজভী সকালে একটি হাতুড়ি দিয়ে বিএনপি কার্যালয়ের মূল ফটকের তালা ভাঙেন। পরে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তার অভিযোগ, গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশ পণ্ড করে পুলিশ তাণ্ডব চালিয়েছিল। এরপর পুলিশ কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে দিয়েছিল। দুই মাসের বেশি সময় পুলিশ কাউকে ঢুকতে দেয়নি, আশপাশে ভিড়লেও তাদের আটক করে নিয়ে গেছে। পুলিশ চাবি না দেওয়ায় তালা ভেঙে কার্যালয়ে ঢুকেছেন তারা।
১২ জানুয়ারি ২০২৪, ০২:২৯

নির্বাচনে জাতীয় পার্টিকে ছাড় দেয়নি আ.লীগ : জি এম কাদের
আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টিকে আওয়ামী লীগ কোনো ছাড় দেয়নি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও সংসদ নির্বাচনে রংপুর-৩ আসনের প্রার্থী জি এম কাদের।  সোমবার (১ জানুয়ারি) রংপুরের কাচারি বাজার কোর্ট এলাকায় গণসংযোগকালে তিনি এমন মন্তব্য করেন। জি এম কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ এই নির্বাচনে জাতীয় পার্টিকে কোনো ছাড় দেয়নি। যে ২৬টি আসনে নৌকা তুলে নিয়েছে, সেগুলোর দু-একটি বাদে সব আসনেই আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছে। দলের নেতাকর্মীরা তাদের পক্ষেই কাজ করছেন। তাহলে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আমাদের আসন ভাগাভাগি হলো কী করে? এবারের নির্বাচনে কোনো মহাজোট হয়নি। যারা এসব নিয়ে কথার ফুলঝুরি ছড়ান, তারা অপপ্রচার করছেন। তিনি বলেন, আমরা সব জায়গায় চেয়েছিলাম প্রশাসনের নিরপেক্ষ ভূমিকা। আরেকটা চেয়েছিলাম, অস্ত্র, পেশিশক্তি এবং অর্থের প্রভাব থেকে নির্বাচনকে সরিয়ে রাখা। তাহলে আমরা নির্বাচন করব। সেখানে আওয়ামী লীগ তাদের নিজেদের ইচ্ছায় ২৬টি আসনে তাদের নৌকা প্রার্থী উঠিয়ে নিয়েছে। কিন্তু একই সঙ্গে এসব আসনে তাদের স্বতন্ত্র প্রার্থী রেখেছে। তারা কোনো বিদ্রোহী প্রার্থী নয়, তারা স্বতন্ত্র প্রার্থী। সেই স্বতন্ত্র প্রার্থীদের পক্ষে আওয়ামী লীগ সরাসরি কাজ করছে। তারা আমাদের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছে না। তিনি আরও বলেন, বরিশালসহ কয়েকটি আসনে জাপার কয়েকজন প্রার্থীর নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এটি করা ঠিক হয়নি। এতে দলের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের কাছে ভুল বার্তা পৌঁছাবে। তবে আমাদের প্রার্থীদের মধ্যে আর্থিক সমস্যা দেখা দিয়েছে। দলীয়ভাবে প্রার্থীদের আর্থিক সহায়তা দেওয়ার সামর্থ্য আমাদের নেই। জাপা চেয়ারম্যান বলেন, রংপুরে আমাদের প্রচার-প্রচারণায় কোনো সমস্যা হচ্ছে না এবং কেউ বাধাও দিচ্ছে না। তবে নির্বাচনের দিন ভোটাররা যাতে পরিবার-পরিজনসহ ভোট দিতে আসেন, সেটিই প্রত্যাশা। এবারের নির্বাচন নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক সাড়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কিন্তু রংপুরে প্রচণ্ড শীত আর হিমেল বাতাস অব্যাহত রয়েছে। এটা কমে গেলে ভোটারদের উপস্থিতি আশাব্যঞ্জক হবে। তিনি বলেন, যেখানেই যাচ্ছি, দলমত নির্বিশেষে সবার কাছ থেকে অভূতপূর্ব সাড়া পাচ্ছি। এ ছাড়া রংপুর হচ্ছে জাতীয় পার্টির দুর্গ এবং লাঙ্গলের ঘাঁটি। এখানকার মানুষ জাতীয় পার্টির প্রতি এমনিতেই সহানুভূতিশীল। সম্প্রতি রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আমাদের দলের মেয়র প্রার্থী আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে এক লাখেরও বেশি ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে মেয়র নির্বাচিত হয়েছে। আর যেহেতু সদর আসন, ভোটারও বেশি, আমি আশা করি বিপুল ভোটে জয়ী হব।
০১ জানুয়ারি ২০২৪, ২০:৩০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়