• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
আগে ইকামত না দিলে কি নামাজ শুদ্ধ হবে?
নামাজ একটি দৈনিক নিয়মিত ইবাদত। একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে নামাজ আদায় করতে হয় যা কোরআন ও হাদিসে বর্ণিত আছে। এটি মুসলমানদের জন্য প্রতিদিন অবশ্যকরণীয় একটি ধর্মীয় কাজ। তবে প্রতিদিন আবশ্যকরণীয় বা ফরজ ছাড়াও বিবিধ নামাজ রয়েছে যা সময়ভিত্তিক বা বিষয়ভিত্তিক। ইসলামে ইচ্ছাকৃত ফরজ নামাজ না পড়া কবিরা গুনাহ বা বড় পাপ। নামাজ (সালাত) ইসলামের পাঁচটি রোকনের মধ্যে দ্বিতীয় রোকন। নামাজ প্রতিটি প্রাপ্তবয়স্ক ও বুদ্ধি-জ্ঞান সম্পন্ন, নারী পুরুষ নির্বিশেষে, প্রতিটি মুসলিমের জন্য ফরজ বা অবশ্যকরণীয়। পবিত্র কুরআনের ১৭টি আয়াতে বলা হয়েছে সালাত প্রতিষ্ঠা করো। ফরজ নামাজের জামাতের আগে ইকামত দেওয়া সুন্নতে মুআক্কাদা। নবিজি সব সময় ইকামত দিয়েই নামাজ পড়াতেন। তাই জামাতে নামাজ পড়ার সময় ইকামত না দেওয়া মাকরূহ। একা নামাজ পড়ার সময়ও ইকামত দেওয়া উত্তম। তবে ভুল করে বা অন্য কোনো কারণে ইকামত ছাড়া জামাতে নামাজ আদায় করলে সুন্নতের খেলাফ ও মাকরুহ হলেও নামাজ শুদ্ধ হবে। পুনরায় ওই নামাজ আদায় করতে হবে না। নামাজের ইকামত শুরু হলে মুক্তাদীদের করণীয় হলো দাঁড়িয়ে কাতার সোজা করতে থাকা যেন ইকামত শেষ হতে হতে জামাতের কাতার সোজা হয়ে যায় এবং ইকামত শেষ হলে ইমাম নামাজ শুরু করতে পারেন।  সহিহ মুসলিমে বর্ণিত হাদীসে এসেছে, বেলাল (রা.) আল্লাহর রাসুলকে (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আসতে দেখে ইকামত শুরু করতেন। মুক্তাদিরা কাতার সোজা করা শুরু করতেন। এভাবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজের জায়গায় পৌঁছার আগেই কাতার পুরোপুরি সোজা হয়ে যেত। (সহিহ মুসলিম: ১/২২০)
২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৪৬

তুমি আমার জীবন এত সুখে ভরিয়ে দিলে খোদা : পরীমণি (ভিডিও)
চিত্রনায়িকা পরীমণির একমাত্র ছেলে শাহীম মুহাম্মদ রাজ্য। স্বামী শরিফুল রাজের সঙ্গে ডিভোর্সের পর রাজ্যকে ঘিরেই তার সব। কাজের বাইরে পুরো সময়টা ছেলেকেই দেন এই নায়িকা। রাজ্যর বাবা-মা বলতে এখন পরীমণিই।  শুধু তাই নয়, প্রায় সময়ই ছেলের সঙ্গে নানান খুনসুটিতে মেতে ওঠেন পরীমণি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভক্তদের সঙ্গেও সেসব শেয়ার করতেও ভোলেন না এই নায়িকা। এমনকি সময় সুযোগ পেলেই ছেলেকে নিয়ে ঘুরতে বেরিয়ে পড়েন পরীমণি। এবারও তার ব্যতিক্রম হলো না। ফের ছেলেকে নিয়ে আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি।   মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে ছেলের সঙ্গে একটি ভিডিও শেয়ার করে পোস্ট দেন পরীমণি।    ক্যাপশনে চিত্রনায়িকা লিখেছেন— ‘খোদা! তুমি আমার জীবন এতো সুখে ভরিয়ে দিলে খোদা! আমাকে আরও শত শত দিন এভাবে বাচঁতে দিও তুমি। পরীপুণ্য’। সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন একটি লাভ ইমোজি। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, পরীমণি বসে আছে। তার পাশে দাঁড়িয়ে রাজ্য তার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে। আর পরীমণি খুব আরাম করে সেটা উপভোগ করছেন।  ভিডিওটি পোস্ট করার সঙ্গে সঙ্গেই ৯১ হাজারেরও বেশি প্রতিক্রিয়া পড়েছে নেটিজেনদের। রীতিমতো মন্তব্যের ঝড় উঠেছে পরীমণির কমেন্টসবক্সে। একজন লিখেছেন, মা আর সন্তানের ভালোবাসা অটুট থাকুক আজীবন। চিত্রনায়িকার আরেক ভক্ত লেখেন, পরীপুণ্যের ভালোবাসা। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর গোপনে বিয়ে করেন পরীমণি ও শরিফুল রাজ। খবরটি প্রকাশ্যে গত বছরের ১০ জানুয়ারি। একই দিন আরও ঘোষণা করেন, সন্তান আসছে তাদের ঘরে। এরপর ২২ জানুয়ারি পারিবারিক আয়োজনে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতাও করেন তারা। ২০২২ সালের ১০ আগস্ট পরীমণির কোলজুড়ে আসে রাজ্য। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে ভেঙে যায় তাদের ঘর।     
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১০:০৯

ঈদের আগে মামুনুল হককে মুক্তি না দিলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি
মাওলানা মামুনুল হককে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর খলিল আহমাদ কাসেমী। শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর গুলশানে ‘পবিত্র মাহে রমজানের তাৎপর্য ও করণীয়’ শীর্ষক এক আলোচনাসভা ও ইফতার মাহফিলে তিনি এ দাবি জানান। খলিল আহমাদ কাসেমী বলেন, মামুনুল হককে ২০২১ সালের ১৮ এপ্রিল অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এখনো তিনি কারাবন্দি। আমরা ঈদের আগেই তাকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।  তিনি বলেন, জামিন পাওয়া দেশের প্রত্যেক নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার। মাওলানা মামুনুল হক দেশের একজন বিশিষ্ট আলেমেদ্বীন। তাকে জামিন না দিয়ে বছরের পর বছর জেলে আটকে রাখা দেশে বিচারহীনতার প্রমাণ বহন করে। বিচারহীনতার এ ধারাবাহিকতা আর চলতে দেওয়া যায় না। মামুনুল হককে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। আমরা সরকার পতন আন্দোলন করি না। কিন্তু আমাদের বাধ্য করলে কোনো উপায় থাকবে না। এ সময় হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নামে করা সব মামলা প্রত্যাহারেরও দাবি জানান সংগঠনটির সিনিয়র নায়েবে আমীর খলিল আহমাদ কাসেমী। ইফতার মাহফিলে আরও বক্তব্য রাখেন আবদুল হামিদ পীর সাহেব মধুপুর, মাওলানা আবদুল আউয়াল, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা ওবায়দুল্লাহ ফারুক, মাওলানা ড. আহমদ আব্দুল কাদের প্রমুখ।
২৯ মার্চ ২০২৪, ২৩:০৮

‘শিক্ষিত লোক নেতৃত্বে দিলে দেশ এগিয়ে যাবে’
শিক্ষিত লোকজন নেতৃত্বে আসলেই দেশ অনেক দূর এগিয়ে যাবে। শিক্ষিত লোক খারাপ করলে কতটুকু খারাপ করবে, খারাপেরও সীমা আছে। তারা বুঝেশুনে আইন মেনে চলবে। শিক্ষিত শিক্ষার্থীরা রাজনীতিতে আসলে দেশের অবস্থা আরও উন্নত হবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা-১৯ আসনের সংসদ সদস্য জনাব মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। সোমবার (২৫ মার্চ) গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের (গবি) একাডেমিক মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু অসংখ্য দিন জেল খেটেছেন। ৫০ বছর বয়সে তিনি দেশ স্বাধীন করেছেন। বঙ্গবন্ধুই প্রথম স্বাধীনতা ঘোষণা দিয়েছেন, যার জন্য আমরা ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস পালন করি। আমেরিকা বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধী। তারা বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বলে। যারা দেশবিরোধী তারাই এই কথা বলে।’ এ ছাড়াও তিনি বলেন, ‘আমি মিথ্যা কথা বলিনা, অবৈধভাবে উপার্জনও করি না। আমি নির্বাচিত হওয়ার জন্য আজ সাভারে শান্তির সুবাতাস বইছে। সন্ত্রাসী কার্যকলাপ নেই।’  এ সময় তিনি মাদকের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোরও আহ্বান জানান। মূল আলোচকের বক্তব্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী আমাদের পড়তে হবে। ভারত মহাদেশের ইতিহাস বঙ্গবন্ধুকে বাদ দিয়ে সম্ভব নয়। তিনিই একমাত্র ব্যক্তি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে, সেই রাষ্ট্রে বসেছেন ও পরিচালিত করেছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন মানুষের অভাব ও শোষণ নিপীড়ন থাকবে না। এই চেতনা আজ মৃত। তার আদর্শে আমরা নেই। তার আদর্শে উজ্জীবিত হতে হবে। বঙ্গবন্ধু যা বলে গেছেন তা শিখানো ও উৎসাহিত করতে হবে শিশুদের।’ সভাপতির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন বলেন, ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী পড়লে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে। তার ১৭ মিনিটের ৭ মার্চের ভাষণে ঐ সময়ের পরিস্থিতি জানতে পারি। আমরা গ্রামে যাই না, গেলে মাদকের ছড়াছড়ি দেখতে পাবেন। মাদকের প্রভাব সবচেয়ে বেশি শিশু-কিশোরদের প্রতিই পড়ে। মাদককে না বলতে হবে এবং এর খারাপ দিক তুলে ধরতে হবে।’ অনুষ্ঠানের শুরুতে বঙ্গবন্ধুর জীবনের প্রামাণ্যচিত্র দেখানো হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের শিশুদের মাঝে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ করা হয়। এরপর শিশু দিবস উপলক্ষে ‘শিক্ষায় মুজিব দর্শন’ শিরোনামে রচনা প্রতিযোগিতার বিজয়ী শিক্ষার্থীদের পুরস্কৃত করা হয়। আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. সিরাজুল ইসলাম, রেজিস্ট্রার এস তাসাদ্দেক আহমেদ, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, পাথালিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জনাব মো. পারভেজ দেওয়ান, বিশিষ্ট সমাজসেবক মুহাম্মদ লুৎফর রহমান, বিভিন্ন বিভাগের প্রধান, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
২৫ মার্চ ২০২৪, ১৭:০৪

সেনাবাহিনীতে যোগ দিলে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দেবে মিয়ানমার সরকার
মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশ থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্বের কথা বলে সেনাবাহিনীতে নিচ্ছে জান্তা সরকার। এ জন্য অনেক গ্রাম এবং ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গা পুরুষদের ধরে আনা হচ্ছে।  শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) থাইল্যান্ড থেকে পরিচালিত দেশটির ইংরেজি সংবাদমাধ্যম ইরাবতি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। রাখাইনের অধিকারকর্মী ও স্থানীয় বাসিন্দারাদের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানায়, যেসব রোহিঙ্গা পুরুষ সেনাবাহিনীতে যোগ দেবেন তাদের এক বস্তা চাল, নাগরিকত্বের একটি পরিচয়পত্র এবং মাসিক ১ লাখ ১৫ হাজার কিয়াট বেতন দেওয়া হবে।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আরাকান আর্মির কাছে হারানো শহরগুলো পুনরায় নিজেদের দখলে নিতে রোহিঙ্গা পুরুষদের যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠানো হচ্ছে। জান্তার পক্ষে যুদ্ধে যোগদানের জন্য বিভিন্ন ক্যাম্প এবং গ্রাম থেকে ৪০০ রোহিঙ্গাকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। জান্তা বাহিনী ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী সকলের তালিকা তৈরির জন্য বুচিডং, মংডু এবং সিত্তের গ্রাম প্রশাসক ও নেতাদের চাপ দিয়েছে।এরমধ্যে ছোট গ্রাম থেকে অন্তত ৫০ জন, বড় গ্রাম ও প্রতিটি শরণার্থী ক্যাম্প থেকে অন্তত ১০০ জনের তালিকা দেয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।  ফ্রি রোহিঙ্গা কোয়ালিশনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা নে সান বলেছেন, প্রশিক্ষণের সময় মাত্র দুই সপ্তাহ। যাদের দুই সপ্তাহের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে তাদের জান্তা বাহিনী শুধুমাত্র মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে। আমরা নিশ্চিত করে বলতে পারি বুধবার পর্যন্ত সিত্তের শরণার্থী ক্যাম্প থেকে ৩০০ জনকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং তারা এখন প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। এর আগে বুচিডং থেকে গত ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি শতাধিক মুসলিম রোহিঙ্গা পুরুষকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে তাদের সামরিক প্রশিক্ষণের জন্য পাঠিয়ে দেয়া হয়। প্রসঙ্গত, গত ১০ ফেব্রুয়ারি ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী সব নারী-পুরুষের সামরিক বাহিনীতে যোগদান বাধ্যতামূলক করে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা। 
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৪:৪৭

জিম্মিদের মুক্তি না দিলে রমজানেও হামলার হুঁশিয়ারি ইসরায়েলের 
বন্দী ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি না দিলে রমজানেও গাজায় হামলা চালানো হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে দখলদার ইসরায়েল।  দেশটির যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার সদস্য বেনি গান্তজ এ হুঁশিয়ারি দেন।  তিনি বলেন, জিম্মি ব্যক্তিরা রমজান শুরুর আগে ইসরায়েলে না ফিরলে রাফাসহ গাজার সব জায়গায় লড়াই চলবে। হামাসের সামনে একটিই পথ খোলা। তারা আত্মসমর্পণ করতে পারে, জিম্মিদের মুক্তি দিতে পারে। তাহলেই তারা রমজানে রোজা পালন করতে পারবেন। গত বছরের ৭ অক্টোবর দখলদার ইসরাইলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। ওই হামলায় প্রায় এক হাজার ২০০ নিহত ও দুই শতাধিক ইসরাইলিকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে গেছে হামাস যোদ্ধারা। এর জবাবে ওই দিনই গাজায় ব্যপক হামলা শুরু করে ইসরাইলি বাহিনী। যা এখনও চলমান।  ইসরায়েলের আগ্রাসনে গাজার ২৩ লাখ বাসিন্দার মধ্যে ৮৫ শতাংশই বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। যাদের মধ্যে ১০ লাখেরও বেশি সীমান্তবর্তী শহর রাফাহতে আশ্রয় নিয়েছেন। কিন্তু সম্প্রতি সেখানেও হামলা চালাচ্ছে দখলদার ইসরাইলি।  উল্লেখ্য, ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ২৯ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। নিহত ও আহতের পাশাপাশি বিভিন্ন ভবনের ধ্বংসস্তূপে অনেকে চাপা পড়েছেন। সূত্র : গার্ডিয়ান  
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:৪৭

এসব বিষয়ে খোটা দিলে সংসারটাই টিকত না : বর্ষা
ঢালিউডের রোমান্টিক জুটি অনন্ত-বর্ষা। এক যুগেরও বেশ সময় ধরে সংসার করছেন তারা। বর্তমানে দুই সন্তান নিয়ে বেশ সুখেই দিন পার করছেন অনন্ত-বর্ষা। কম-বেশি সবার সংসারেই খুনসুটি, মান-অভিমান থাকে। অনন্ত-বর্ষাও তার ব্যতিক্রম নন। তবে তাদের সংসারে মান-অভিমান থাকলেও ভালোবাসার উদাহরণই বেশি।  খুব গরিব ঘরের মেয়ে চিত্রনায়িকা বর্ষা। বরাবরই সেটি প্রকাশ্যে স্বীকার করে এসেছেন তিনি। বলা যায়, সিনেমার মতোই ধনী-গরিবের প্রেম ছিল অনন্ত-বর্ষার। তবে সেসব নিয়ে কখনও কথা শোনাননি অনন্ত। বরং ভালোবাসার মানুষকে শুরু থেকেই আগলে রেখেছেন এই নায়ক।   সম্প্রতি দেশের একটি গণমাধ্যমে নিজেদের ভালোবাসার গল্প জানালেন বর্ষা। এ সময় তিনি বলেন, আমি গরিব ঘরের মেয়ে বলে কখনও কোনো বিষয়ে কথা শোনাননি অনন্ত। খোটা দিলে হয়তো আমাদের সংসারটাই টিকত না।    বর্ষা বলেন, একটি অনুষ্ঠানে অনন্তের সঙ্গে প্রথম দেখা ও পরিচয় হয় আমার। আমি তখন গার্লস হোস্টেলে থাকতাম। আমি তো অর্থবিত্তে অত বড় পরিবারের কেউ নই। হোস্টেলের সেই একই খাবার খেতে ভালো লাগত না প্রতিদিন। পরিচয়ের পর থেকে মাঝে মাঝেই অনন্ত আমাকে ওর গাড়িতে করে বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে নিয়ে খাওয়াত।  এভাবেই দুজনের মধ্যে কথাবার্তা বাড়তে থাকে। আমি জীবনটা খুব বাস্তবতা থেকে দেখি। আমি কখনও কোনো কিছু লুকাইনি অনন্তর কাছে, যেটা তার ভান মনে হবে। অনন্তও ঠিক তাই। সে কারণেই হয়তো আমাদের প্রেমটাও নিবিড় হয়েছে।   দুজনের মধ্যে পরস্পরের প্রেম নিবেদনটা কীভাবে হয়েছিল? এমন প্রশ্নের জবাবে বর্ষা বলেন, একদিন ঘুমানোর আগে অনন্তকে বললাম দেখি এক মিনিটে কে কতবার ‘আই লাভ ইউ’ লিখে পাঠাতে পারে? আমি জানতাম অনন্ত এসএমএস-এ খুবই স্লো। তাই ভেবেছিলাম আমিই জিতব। কিন্তু দেখলাম এক মিনিটে প্রায় হাজারবার ‘আই লাভ ইউ’ লিখে পাঠিয়েছে। পরে জানলাম, ওর হাতে স্মার্ট ফোন ছিল, সে কপি করে ইচ্ছেমতো পেস্ট করে দিয়েছে। যেটা আমি পারিনি। কারণ, আমার কাছে তখন বাটন ফোন ছিল।  এই যে ধনী-গরিবের প্রেম, সংসারের শুরুতে এ নিয়ে কোনো বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছেন কি না? জানতে চাইলে চিত্রনায়িকা বলেন, আমি খুব গরিব ঘরের মেয়ে। বিষয়টি সবসময়ই স্বীকার করি আমি। এটা বলতে তো আমার দ্বিধা নেই। কিন্তু আমার আত্মসম্মানবোধ আছে। সেটা অনন্ত বুঝত। আর কখনও অনন্ত এসব বিষয়ে কথা শুনালে হয়তো আমাদের সংসারটাই টিকত না। ও আমাকে শুরু থেকেই সেই সম্মানের জায়গাটা দিয়েছে।    সবার আগে নিজেদের পরিবারের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য প্রাধান্য দিয়েছি আমরা। জীবনের এই পরিচয় কিংবা জনপ্রিয়তার মোহও বেশি দিনের না। কিন্তু অনন্ত আমার সারাজীবনের প্রেম। ওর সঙ্গেই আমি বুড়ি হতে চাই। বৃদ্ধ বয়সে কিন্তু এসব কিছুই থাকবে না। শুধু আমি আর অনন্তই থাকব।
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৫৫

‘ভোটদানে বাধা দিলে কঠোরভাবে দমন করা হবে’
ভোট দেওয়া গণতান্ত্রিক অধিকার। ভোটদানে ভোটারদের বাধা দেওয়া বা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা বেআইনি। এ বেআইনি কাজ যারা করবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে তাদের কঠোরভাবে দমন করা হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন র‌্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) অতিরিক্ত আইজিপি এম খুরশীদ হোসেন। শনিবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীতে বিভিন্ন নির্বাচন কেন্দ্র পরিদর্শন এবং নির্বাচন কেন্দ্রে গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। র‌্যাব মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন বলেন, প্রতি ৫ বছর পর একবার মানুষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দেওয়ার সুযোগ পায়। ৭ জানুয়ারি সব শ্রেণি-পেশার মানুষ নির্বিঘ্নে যাতে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে সেজন্য আমরা প্রস্তুত রয়েছি। এরই মধ্যে আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্য যারা রয়েছি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা রয়েছে সবার সঙ্গে সমন্বয় করে আমরা পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। আমি বেশ কয়েকটি ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করেছি। দেখে মনে হয়েছে সব ঠিক আছে, সুন্দর পরিবেশ। সারাদেশে আমাদের র‌্যাবের ইউনিট রয়েছে সেখানে আমরা স্টাইকিং ফোর্স হিসেবে রোবাস্ট পেট্রলিং করছি। নির্বাচন উপলক্ষে আমাদের প্রায় ৭০০ মোবাইল পেট্রোল কাজ করবে। সে সঙ্গে আমাদের সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত থাকবে। আমাদের সাইবার পেট্রোলিংয়ের কাজ চলছে বিভিন্ন ধরনের গুজব প্রতিরোধ করার জন্য। আমাদের সুইপিং টিম কাজ করছে। থাকবে ডগ স্কোয়াড, বোম স্কোয়াড থাকবে। বিশেষ কোনো জরুরি প্রয়োজন হলে আমাদের হেলিকপ্টার স্ট্যান্ডবাই থাকবে। র‌্যাব ডিজি বলেন, র‌্যাবের ডিভাইস ‘ওআইভিএস’ ব্যবহার করা হচ্ছে। এক এলাকার ভোটার ব্যতীত অন্য এলাকার বহিরাগত আসতে চাইলে তাকে যেন আইডেন্টিফাই করা যায়। আমরা এ ব্যবস্থা রেখেছি যাতে করে বহিরাগতরা ভোট সেন্টারে প্রবেশ করতে না পারে। আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে যে ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার তা গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, এরই মধ্যে বিএনপি-জামায়াত ও কিছু দল নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা দিয়েছে। মানুষের ব্যক্তিগত অধিকার রয়েছে কেউ নির্বাচনে ভোট দিতেও পারে নাও পারে। কিন্তু কেউ যদি ভোট দিতে চায় আর তাকে যদি বাধা দেওয়া হয় বা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয় তা হবে সম্পূর্ণ অসংবিধানিক ও বেআইনি। আর এ বেআইনি কাজ যারা করবে আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রয়েছি তাদের আমরা কঠোর আছে দমন করবো। তিনি আরও বলেন, হ্যা টাইম দিস টাইম, কিছু নাশকতা হয়েছে। এটা হতেই পারে। এটা হবে স্বাভাবিকভাবে। একদম হান্ডেট পার্সেন্ট আপনি সবকিছু ঠেকাতে পারবেন তা কিন্তু না। শুধু আমাদের দেশে না যুক্তরাষ্ট্রেও গত নির্বাচনের আগে হোয়াইট হাউজ পর্যন্ত অ্যাটাক হয়েছে। ভারতেও বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য অনেক ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে অনেক লোক মারাও যায়। সে তুলনায় আমি মনে করি গত ২০১৪ ও ২০১৮ সালের তুলনায় এবারের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেক ভালো। আমরা বিশ্বাস করি আস্থা রাখি, এ নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিরপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে আমরা সক্ষম হবো।
০৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:৪২

নাশকতাকারীদের তথ্য দিলে লাখ টাকা পুরস্কার
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে দেশের কোথাও নাশকতাকারীদের সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য দিলে ২০ হাজার থেকে লাখ টাকা পর্যন্ত পুরস্কার দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) দুপুরে পুলিশ সদর দপ্তরের পুলিশ সুপার (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস) ইনামুল হক সাগর এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, আইজিপি ঘোষণা দিয়েছেন, সংসদ নির্বাচনে দেশের কোথাও নাশকতাকারীদের সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য দিলে ২০ হাজার থেকে লাখ টাকা পর্যন্ত পুরস্কার দেওয়া হবে। তবে পুলিশের কাছে যে তথ্য দেবেন তার পরিচয়ও গোপন রাখা হবে। এদিকে শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলস্থ উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজে ৭ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্রিফিংপরবর্তী মিডিয়া ব্রিফিং করেন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। এ সময় তিনি বলেন, সম্প্রতি মাগুরায় ছাত্রদের একজন নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নির্বাচনকেন্দ্রিক সহিংসতার ঘটানোর বেশ কিছু তথ্য তার কাছ থেকে পাওয়া গেছে। সহিংসতা-নাশকতা করার জন্য তাদের বেশ কিছু পরিকল্পনার বিষয় আমরা জানতে পেরেছি। সেই আলোকে আমরা আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছি। এ বিষয়ে আরও তথ্য সংগ্রহ করছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন পর্যায় থেকে নাশকতাকারীদের বিষয়ে প্রতিনিয়ত আমরা তথ্য পাচ্ছি। তারা যত পরিকল্পনাই করুক তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি আরও বলেন, নাশকতাকারীরা মানুষের মনে ভীতি তৈরির পরিকল্পনা করছে বলে আমরা তথ্য পেয়েছি। তাই আমারা পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিয়েছি। আশা করি এ ধরনের ভীতি সঞ্চার করতে পারবে না। দেশের মানুষ সবাই মিলে আগে যেভাবে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও নাশকতার বিরুদ্ধে আমাদের সহায়তা করেছে। এবারও সেইভাবে নাশকতাকারীদের দমন করা হবে। প্রসঙ্গত, আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনের আগে শুক্রবার ভোরে ফেনীর সোনাগাজীর একটি ভোটকেন্দ্রে পেট্রোল ঢেলে আগুন দেওয়া হয়। এতে পুড়ে গেছে আসবাবপত্রসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতেও রাজশাহীর চারটি ভোটকেন্দ্রে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে।
০৫ জানুয়ারি ২০২৪, ২০:৩৫

ভোট দিতে বাধা দিলে প্রতিহত করা হবে : কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী ৭ জানুয়ারি মানুষ নির্ভয়ে ভোট দেবে। ভোট দিতে কেউ বাধা দিলে তাদের প্রতিহত করা হবে। শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) দুপুরে দলটির তেজগাঁও কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। আরও পড়ুন : আ.লীগ কর্মী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে হাতাহাতি, মহাসড়ক অবরোধ কাদের বলেন, ভোটার উপস্থিতি সন্তোষজনক হবে। সবাই ভোটকেন্দ্রে আসবে। তারা নির্ভয়ে ভোট দেবে। ৭ জানুয়ারি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দেওয়া হবে। ওইদিন যারাই বাধা দেবে তাদেরই প্রতিরোধ করা হবে।    ভোট ঠেকাতে বিএনপির হরতাল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, হরতাল হলো একটা মরিচা ধরা হাতিয়ার, এই অস্ত্র বিএনপি আগেও ব্যবহার করেছে; লাভ হয়নি। এবারও হবে না। এ সময় আওয়ামী লীগের বিজয় নিশ্চিত জানিয়ে দলটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, কত আসন পাবে তা এখনই বলতে চাই না। তবে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হবে। আর ভোটের ফলই বলে দেবে কারা বিরোধী দলে যাবে। আরও পড়ুন : ডগ স্কোয়াড দিয়ে ট্রেনে বিজিবির তল্লাশি যদিও নির্বাচন ওয়ান সাইডেড হচ্ছে না বলেই মনে করেন আওয়ামী লীগের এই নেতা। তিনি বলেন, এখানে যা হচ্ছে ওয়ান সাইডেড অপজিশন। ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনে যে বা যারাই বাধা দেবে যুক্তরাষ্ট্র তাদের নিষেধাজ্ঞা দেবে বলেছিল। কিন্তু বিএনপি প্রকাশ্যে নির্বাচনে বাধা দিচ্ছে, হরতাল দিচ্ছে। সেক্ষেত্রে কেনো যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির বিরুদ্ধে ভিসানীতি প্রয়োগ করছে না। সেটা আমাদের মনে প্রশ্ন জাগায়।
০৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:৪৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়