• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
তিন দশকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার যত রেকর্ড
মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ চলছে দেশের উত্তরাঞ্চলসহ বেশ কয়েকটি জেলায়। ঘন কুয়াশায় সূর্যের দেখা মিলছে না সেখানে। অন্যসব অঞ্চলে সূর্যের মুখ দেখা গেলেও তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে বেশির ভাগ জেলাতে। শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রার সাক্ষী হয়েছে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়; তাপমাত্রা নেমে এসেছে ৫-এর ঘরে। আজ এ জেলার তেঁতুলিয়ায় রেকর্ড হয়েছে ৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। এর আগে মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় চুয়াডাঙ্গা ও সিরাজগঞ্জে। এদিন এ দুই জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে দেশের ইতিহাসে এর চেয়েও কম তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে বেশ কয়েকবার। আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি শীত পড়েছে ২০১৮ সালে। ওই বছরের ৮ জানুয়ারি পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা নেমে এসেছিল ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এটিই এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড। একইদিন সৈয়দপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া এদিন নীলফামারীর ডিমলায় ৩ ডিগ্রি, কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ৩ দশমিক ১ ডিগ্রি এবং দিনাজপুরে ৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়।   ২০১৩ সালের ১০ জানুয়ারি সৈয়দপুরে ৩ ডিগ্রি এবং ২০০৩ সালের ৯ জানুয়ারি রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। এরও আগে, ১৯৯৬ সালে দিনাজপুরে ৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।   এ ছাড়া ২০১৯ সালে তেঁতুলিয়ায় ৪ দশমিক ৯ ডিগ্রি, ২০১১ সালের ১২ জানুয়ারি যশোরে ৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি এবং ২০১৭ সালে কুড়িগ্রামে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল।  এদিকে দেশের তাপমাত্রা নিয়ে নতুন তথ্য দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে সংস্থাটি জানিয়েছে, এ সময়ে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তবে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। এ ছাড়া মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশা পড়বে, তা কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। ফলে বিমান, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন ও সড়ক পরিবহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটতে পারে।   তাপমাত্রার বিষয়ে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী তিন দিনের মধ্যে প্রথম দিন রাতের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। দ্বিতীয় দিন রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকলেও দিনে সামান্য বাড়তে পারে। পরে তৃতীয় দিন রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। তবে দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকার সম্ভাবনাই বেশি। এ ছাড়া বর্ধিত পাঁচ দিনের পূর্বাভাসে বৃষ্টির প্রবণতা দেখছে আবহাওয়া অফিস।
২৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:০২

তাপমাত্রার পারদ নেমেছে মেহেরপুরে
মেহেরপুরে আজও কমেছে তাপমাত্রার পারদ। গতকাল মঙ্গলবার আগের দিনের চেয়ে তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও তা কমে দাঁড়িয়েছে ৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ায় শ্রমজীবী মানুষ সীমাহীন কষ্টের মধ্যে সময় পার করছেন।  বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস এ অঞ্চলে সর্বনিম্ন ৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে।  আজ সকাল থেকে রাস্তাঘাট শূন্য অবস্থা বিরাজ করছে। কাজের প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হলেও তীব্র শীত আর গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক চলাফেরা। কাজ না পারায় চরম বিপাকে পড়েছেন নিম্ন-আয়ের শ্রমজীবী মানুষ। চায়ের দোকান আর বাড়িতে বসে বসে সময় পার করছেন অনেকে।  পূর্ব মালসাদহ গ্রামের রাজমিস্ত্রি আক্তার হোসেন বলেন, গত ১০ দিন ধরে কাজ করতে গিয়ে নানা সমস্যার মোকাবেলা করতে হচ্ছে। সকালে একজন মিস্ত্রি আসে তো জোগালে আরেকজন আসেন না। আবার মালামাল বহনের জন্য সময়মত ভ্যান গাড়ি পাওয়া যায় না। তীব্র শীতের কারণেই এসব হচ্ছে। এজন্য আমাদের আয় রোজগারে ভাটা পড়েছে। মেহেরপুর শহরের রিক্সা চালক ইকলাস হোসেন বলেন, আমি সবসময় ভোর থেকে রিক্সা চালায় আর বিকেলে অন্য কাজ করি। শীত আর কুয়াশার কারণে এখন রাস্তায় যাত্রী তেমন একটা পাচ্ছি না। দীর্ঘ সময় বসে থেকেও মিলছে না প্রয়োজনীয় সংখ্যক যাত্রী।   
১৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়