• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
যেকোনো দুর্যোগে পুলিশ জনগণের পাশে রয়েছে: ডিএমপি কমিশনার
জনগণের কল্যাণে সব ক্ষেত্রেই পুলিশের সতর্ক অবস্থান থাকবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান।  তিনি বলেন, শুধু এই গরমেই নয়, যেকোনো দুর্যোগ-দুর্বিপাকে পুলিশ জনগণের পাশে রয়েছে। পুলিশ মানুষের জীবন বাঁচাতে এবং সাজাতে সব ক্ষেত্রেই পাশে থেকে কাজ করছে। সেই প্রতিজ্ঞা নিয়েই দেশব্যাপী এই সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।  বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ বার্ষিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। পরে তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান। প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন শাহীন সামাদ,  সুজিত মোস্তফা ও চন্দনা মজুমদার। অনুষ্ঠানের মিডিয়া পার্টনার ছিল আরটিভি।
১৬ ঘণ্টা আগে

জনগণের জানমাল রক্ষার্থে বিএনপির সমাবেশের দিনে কর্মসূচি দিই: কাদের
জনগণের জানমাল রক্ষার্থেই বিএনপি যেদিন সমাবেশ ডাকে, সেদিন আওয়ামী লীগও নিজেদের কর্মসূচি দেয় বলে দাবি করেছেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।  বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি করেন তিনি। বিএনপির সমাবেশের দিনেই আওয়ামী লীগেরও সমাবেশ থাকে কেন, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে জনগণকে রক্ষায় কর্মসূচি দেয় আওয়ামী লীগ। বিএনপি একতরফা সমাবেশ করতে গেলে সন্ত্রাস ও আগুন সন্ত্রাসের আশঙ্কা থেকে যায়। জনগণের জানমাল রক্ষায় সরকারি দল হিসেবে আমাদের দায়িত্ব আছে।  তিনি বলেন, আমরা মাঠে থাকলে বিএনপি নিজেদের অপকর্ম করার ক্ষেত্রে মানসিকভাবে চাপে থাকবে। সেজন্যই আমরা কর্মসূচি দিই। বিএনপির চোরাগোপ্তা হামলা প্রতিহত করতে জনগণের স্বার্থে আমাদের কর্মসূচি থাকা উচিত। আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের অংশগ্রহণের ব্যাপারেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। পাশাপাশি প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে সময়মতো সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও সতর্ক করেন তিনি।  ওবায়দুল কাদের বলেন, উপজেলা নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় পেরিয়ে গেছে। এখনও মন্ত্রী-এমপিদের অনেক স্বজন বলেছেন যে, ‘আমরা বিষয়টি আরও আগে জানলে সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হতো।’ কিন্তু  নির্বাচন হওয়া পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সুযোগ আছে। এখানে কেউ নির্দেশনা অমান্য করলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ আছে দলে। সময় মতো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, আমাদের দলে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশনের বিষয় আছে। দল যার যার কর্মকাণ্ড বিবেচনায় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কৌশলে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশন নিয়ে থাকে। চূড়ান্ত পর্যায়ে যারা প্রার্থীতা প্রত্যাহার করবে না তাদের ব্যাপারে সময়মতো দল সিদ্ধান্ত নেবে। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, সুজিত রায় নন্দীসহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতারা।
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:০৫

‘নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের কারণে বিএনপির প্রতি জনগণের আগ্রহ নেই’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের প্রতি জনগণের কোনো আগ্রহ নেই, বরং বিএনপির প্রতি তাদের এক ধরনের ঘৃণা রয়েছে। যে কারণে জনগণ বারবার তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। রোববার (২১ এপ্রিল) বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ অভূতপূর্ব উন্নয়ন-অগ্রগতি এবং ইতিবাচক পরিবর্তনের মাধ্যমে দেশ ও দেশের জনগণকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। যা দেখে বিএনপির গাত্রদাহ হয়। বিভিন্ন সময় বিএনপি ও তার দোসরদের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত সব ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হওয়ায় তারা আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠার চেষ্টা করছে এবং দেশের জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে উসকানি সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জনগণকে রাষ্ট্রযন্ত্র ঝাঁকুনি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। অথচ বিএনপি নিজেই রাজনৈতিকভাবে টালমাটাল অবস্থায় রয়েছে। ব্যর্থ রাজনীতির ধারায় হাঁটায় হোঁচট আর ঝাঁকুনির প্রকোপে পর্যদুস্ত বিএনপি। এ ঝাঁকুনি হলো বারবার পরাজয়ের ঝাঁকুনি। হতাশার গভীরে নিমজ্জিত হয়ে বিএনপির নেতাদের বোধশক্তি লোপ পেয়েছে। দিন দিন তারা দেশ, রাষ্ট্র ও জনগণকে শত্রুতে পরিণত করে চলেছে। বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন তাদের অর্জনগুলো নাকি বর্তমান সরকার ধ্বংস করেছে! অথচ বিএনপি দেশের অগ্রগতি ও জনগণের ভাগ্যোন্নয়নে কী ভূমিকা রেখেছে? বরং দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করে হত্যা, গুম ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতির প্রচলন করেছিল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান।  বিবৃতিতে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে বর্তমান সরকার। আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থবারের মতো রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে এসেছে। দেশের স্বার্থ আর জনগণের কল্যাণ অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকার। আর সরকার যে জনগণের সেবক বাংলাদেশে এ ধারণা প্রতিষ্ঠিত করেছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ দেশের জনগণের প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক সংগঠন। তাই যে অপশক্তি দেশ ও জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে তারা স্বয়ংক্রিয়ভাবে আওয়ামী লীগের প্রবল প্রতিপক্ষ বা শত্রু হিসেবে গণ্য হবে।
২১ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:১৮

টাকার হিসাব জানার অধিকার জনগণের আছে: ব্যারিস্টার সুমন
জনপ্রতিনিধিরা যত টাকা বরাদ্দ পান, তার হিসাব জানার অধিকার জনগণের আছে বলে জানিয়েছেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।  শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দির বহরপুর রেলস্টেশন সংলগ্ন ঐতিহ্যবাহী বহরপুর রেলওয়ে মাঠে ব্যারিস্টার সুমন একাডেমি বনাম মাগুরা জেলা ফুটবল একাদশের প্রীতি ম্যাচে অংশ নেওয়ার আগে এ কথা বলেন হবিগঞ্জ-৪ আসনের এ সংসদ সদস্য। তিনি বলেছেন, জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমি যে টাকা বরাদ্দ পাই, তা আমার বাবার টাকা না। ফলে জনগণের জানার অধিকার আছে। তাই জনগণকে তাদের টাকার হিসাব জানিয়ে নিজের দায়িত্ব পালন করতে চাই।   ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘আমি এমপি হওয়ার আগে ৪৯টি সেতু নির্মাণ করেছি। আর এমপি হওয়ার পর মাত্র আড়াই মাসে ১৫টি সেতু বানানোর কাজ শেষ করেছি। এর আগে আপনারা জানতেন না একজন এমপি কত টাকা বেতন পায়। আমি সেটা সম্পূর্ণ উন্মুক্ত করে দিয়ে বলেছি এক লাখ ৭২ হাজার টাকা বেতন পেয়েছি।’  তিনি বলেন, ‘গত আড়াই মাসে আমি ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ পেয়েছি। টিআর-কাবিখায় দুই কোটি এবং মসজিদ-মাদরাসার জন্য আরও দুই কোটি টাকার বরাদ্দ পেয়েছি। আমার ৪৪ বছর বয়সে শুনি নাই কোনো এমপি তার এলাকায় কত টাকা বরাদ্দ পেয়েছেন। যে যাই বলুক না কেন, জনগণের টাকার হিসাব আমি জনগণকে জানাতে চাই।’ একজন এমপি চাইলে তার এলাকায় অনেক উন্নয়ন করতে পারেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মাত্র আড়াই মাসে আমি আমার এলাকাকে যে স্থানে নিয়ে এসেছি, চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি আগামী একবছর পর আমার এলাকায় এলে আপনারা এলাকার প্রেমে পড়ে যাবেন। আমি হয়তো অনেকের মনে জায়গা করে নিতে পারবো না। তবে আমার কাজকর্ম কোনোভাবেই ঠেকায় রাখতে পারবেন না।’ সুমন বলেন, ‘যার চুরি করার ইচ্ছা সে-ই তথ্য লুকায়। কিন্তু আমি সব প্রকাশ করি।’ এরপর ফুটবল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এই ৩৯ ডিগ্রি তাপমাত্রার মধ্যে শুধু ফুটবলকে ফিরিয়ে আনা ও যুবসমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখতে আজ বালিয়াকান্দিতে এসেছি। ফুটবলের সুদিন ফিরে না এলে বর্তমান প্রজন্মকে রাজনীতি দিয়ে বাঁচাতে পারবেন না। দেশে শুধু অবকাঠামো উন্নয়ন করলে হবে না, এ জাতি ও মানুষেরও উন্নয়ন করতে হবে। অন্যথায় বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়া যাবে না। আমি আমার যোগ্যতা অনুযায়ী সারাদেশের দায়িত্ব ফুটবলের মাধ্যমে পালন করতে চাই।’ ব্যারিস্টার সুমন একাডেমি ও মাগুরা জেলা ফুটবল একাদশের মধ্যকার প্রীতি ফুটবল ম্যাচটি দেখতে মাঠে জড়ো হন হাজার হাজার ফুটবলপ্রেমী। এসময় নীলফামারী-৩ আসনের এমপি সাদ্দাম হোসেন পাভেল, বহরপুর বিএনবিএস আন্তঃজেলা ফুটবল টুর্নামেন্ট পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজদসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। খেলায় ২-১ গোলে পরাজিত হয় ব্যারিস্টার সুমন একাডেমি।  
১৯ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:১১

জনগণের সেবা করলে ভোট নিয়ে চিন্তা থাকবে না : প্রধানমন্ত্রী
ময়মনসিংহ ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আপনারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত। জনগণের সেবা নিশ্চিত করলে ভবিষ্যতে ভোট নিয়ে কোনো চিন্তা থাকবে না। মানুষ আপনাদের ওপর আস্থা ও বিশ্বাস রাখবে। তাই জনসেবার দিকে বিশেষ দৃষ্টি দেবেন। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) সকালে প্রধানমন্ত্রীর তেজগাঁও কার্যালয়ে দুই সিটির নবনির্বাচিত মেয়রদের শপথ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা মানুষের দোরগোড়ায় চিকিৎসাসেবা পৌঁছে দিতে থমে ইউনিয়ন পর্যায়ে দশ শয্যার হাসপাতাল তৈরি করার ব্যবস্থা নিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি সেই কাজ সম্পন্ন করতে পারেননি। আমরা সরকারে আসার পর কমিউনিটি ক্লিনিক করে দিই। জনপ্রতিনিধিদের এসব দিকে নজর রাখতে হবে যেন স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলো সঠিকভাবে চলে। মানুষ যেন যথাযথ চিকিৎসা সেবা পায়।  অনুষ্ঠানে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র ডা. তাহসীন বাহার সূচনা ও ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র ইকরামুল হক (টিটু) শপথ নেন। তাদের শপথ বাক্য পাঠ করান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সময়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে শপথ নেন কুড়িগ্রাম, ঠাকুরগাঁও, সিরাজগঞ্জ, ব্রাক্ষণবাড়িয়া ও হবিগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। এ ছাড়া স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের কাছে শপথ নেন ময়মনসিংহ সিটির ৪৪ জন কাউন্সিলর।
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:০৮

বিএনপি-জামাতের উদ্দেশ্য জনগণের ওপর অত্যাচার : শেখ পরশ
আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেছেন, বিএনপি যখন ক্ষমতায় এসেছে এদেশের দুঃখী-দরিদ্র, বঞ্চিত মানুষদের আরও বঞ্চিত করেছে।  বিএনপি-জামাতের উদ্দেশ্যই হচ্ছে এদেশের জনগণের ওপর অত্যাচার করা ও বাংলাদেশকে একটা ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করা। সোমবার (২৫ মার্চ) গণহত্যা দিবস উপলক্ষে পল্লবী, বাউনিয়াবাধ ঈদগা মাঠে যুবলীগ ঢাকা মহানগর উত্তরের উদ্যোগে গরীব ও অসহায় রোজাদারদের মাঝে শাড়ি-লুঙ্গি বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, সভ্যতার ইতিহাসের ভয়ঙ্কর একটা রাত ২৫ মার্চের কালরাত। শুধু ১৯৭১ এর এই ২৫ মার্চ রাতেই বাংলাদেশে প্রায় ১ লাখ ঘুমন্ত নিরীহ বাঙালিকে বিনা বিচারে হত্যা করেছিল পাকিস্তান হানাদার বাহিনী। যা গণহত্যার ইতিহাসে এক জঘন্যতম ভয়াবহ ঘটনা। সেই থেকে আত্মরক্ষার স্বার্থে শুরু হয় আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ। আর ওই দিনের হত্যাকাণ্ডের সমর্থন ও সহযোগিতা করেছিল আমাদের দেশেরই রাজাকারদের দল। নিজের পরিবার, প্রতিবেশী অথবা নিজ দেশের নাগরিকের উপর পরিকল্পিতভাবে এই নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে মানুষ হিসাবে ওরা সমগ্র জাতিকে কলঙ্কিত করেছে, ছোট করেছে। বাঙালি জাতিকে বিলুপ্ত করে দিতে এই গণহত্যা চালানো হয়েছিল এব্যাপারে সন্দেহ নাই। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে  আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল এমপি বলেন, জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসার পর ভারতের সবধরণের পণ্য বাংলাদেশের বাজারে আসার সুযোগ করে দিয়েছিল। ভারতের পণ্য বর্জনের ঘোষণা যারা দিয়েছে তারা যেন রোজার সময় ভারত থেকে আমদানি করা পণ্য না খায়। আওয়ামী যুবলীগ, ঢাকা মহানগর উত্তর এর সহসভাপতি মজিবুর রহমান বাবুলের সভাপতিত্বে  এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন  আওয়ামী যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সোহেল পারভেজ, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক বিপ্লব মুস্তাফিজ, উপ-দপ্তর সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকতসহ কেন্দ্রীয় মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতারা।
২৫ মার্চ ২০২৪, ১৬:৪৭

স্মার্টফোনের মাধ্যমে জনগণের ওপর নজরদারি করছে সরকার : ফখরুল
স্মার্টফোনের মাধ্যমে সরকার দেশের প্রতিটি মানুষের ওপর নজরদারি করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সেইসঙ্গে দেশে এখন ছদ্মবেশী গণতন্ত্র চলছে বলেও দাবি তার।  সোমবার (২৫ মার্চ) নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।  মির্জা ফখরুল বলেন, জোর করে ক্ষমতা দখলকারী সরকার আজ মানুষের বুকে চেপে বসেছে। অথচ তাদের ক্ষমতায় বসার কোনো বৈধতা নেই। এরা ১৯৭৫ সালেও বাকশালের মাধ্যমে প্রতারণা করেছিল, আর এখন ছদ্মবেশী গণতন্ত্রের মাধ্যমে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করছে। সত্য কথা বললেই এখন গ্রেপ্তার করা হয় দাবি করে এরপর তিনি বলেন, আজ সত্য কথা বললেই গ্রেপ্তার করা হয়। আমরা এই অবস্থার পরিবর্তন করতে চেয়েছি, তা নিয়ে সংগ্রাম করেছি। খালেদা জিয়া সুষ্ঠু নির্বাচনের একটি পরামর্শ দিয়েছিলেন, যে নির্বাচন হবে একটি নির্দলীয় সরকারের অধীনে। কিন্তু এসব কিছুই বাস্তবায়ন না করে বাকশালের মত একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করা হয়েছে। আর এজন্য দেশের যাবতীয় গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি স্থানে দলীয় লোক বসানো হয়েছে। জনগণ আজ রাষ্ট্রের মালিকানা হারিয়েছে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, যে ভোটাধিকারের মাধ্যমে দেশে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়, সে অধিকার আজ কেড়ে নেওয়া হয়েছে।  ১৯৭১ সালে একটি স্বপ্ন নিয়ে এ দেশটা স্বাধীন করা হয়েছিল, আর তা হলো রাষ্ট্রের মালিক হবে তারা (জনগণ)।এরপর যখন সংবিধান তৈরি করা হলো, সেখানে স্পষ্ট ভাবে লেখা ছিল দেশের মালিক হবে জনগণ। অথচ দুর্ভাগ্য এই যে স্বাধীনতার ৫২ বছর পর এদেশের মানুষ তার দেশের মালিকানা হারিয়েছে। তিনি আরও বলেন, স্মার্টফোনের মাধ্যমে সরকার দেশের প্রতিটি লোকের ওপর নজরদারি করছে। ফলে মানুষ যখনই কথা বলতে চায়, বিদ্রোহ করতে চায়, তখনই তাকে তুলে নেওয়া হয়। এই ভয়াবহ ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে লড়াই করা এতো সহজ নয়। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে তাদের বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি, এখনো চালাচ্ছি। জনগণকেও আমাদের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, তাহলেই বিজয় আসবে।
২৫ মার্চ ২০২৪, ১৩:২৮

‘প্রযুক্তি ব্যবহার করে জলবায়ু সেবা জনগণের কাছে পৌঁছানো সম্ভব’
আধুনিক বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আবহাওয়া ও জলবায়ু সংক্রান্ত সেবা দ্রুততার সঙ্গে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ‘বিশ্ব আবহাওয়া দিবস’ উপলক্ষে শুক্রবার (২২ মার্চ) দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন। রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতিসংঘ ঘোষিত আবহাওয়া ও জলবায়ু সংক্রান্ত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশের আবহাওয়া ও জলবায়ু নাতিশীতোষ্ণ হলেও তা দিনে দিনে চরম ভাবাপন্ন হয়ে উঠছে। ফলে দেশের কৃষি, জনস্বাস্থ্য, মৎস্য, জীববৈচিত্র্যসহ সামগ্রিক ক্ষেত্রে এর বিরূপ প্রভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে বাংলাদেশে দুর্যোগের সংখ্যা ও তীব্রতা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। জলবায়ু ও আবহাওয়ার পরিবর্তনজনিত প্রভাব মোকাবিলার জন্য বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশও বিভিন্ন গবেষণা কার্যক্রম ও উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার করছে। আবহাওয়া, জলবায়ু ও পানির প্রভাবে সৃষ্ট দুর্যোগকালীন ক্ষয়ক্ষতি সর্বনিম্ন পর্যায়ে রাখার লক্ষ্যে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। তিনি বলেন, আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ ও তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণের জন্য বিদ্যমান প্রযুক্তির সঙ্গে উন্নত বায়ু পরিমাপক ও রেকর্ডিং সিস্টেম, ডিজিটাল ব্যারোমিটার, জিপিএস রেডিও স্টেশন স্থাপনসহ বিভিন্ন প্রযুক্তি সংযোজন করা হয়েছে। এ সকল আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে প্রাকৃতিক দুর্যোগের অধিকতর সঠিক ও আগাম পূর্বাভাস পাওয়া সম্ভব হবে, যা দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।  রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে বিশ্ব আবহাওয়া দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘এট দ্য ফ্রন্টলাইন অব ক্লাইমেট অ্যাকশন’ তাৎপর্যপূর্ণ হয়েছে। মো. সাহাবুদ্দিন বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব আবহাওয়া দিবস’ উদযাপনের উদ্যোগকে স্বাগত জানান এবং এ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন। সূত্র : বাসস
২২ মার্চ ২০২৪, ২৩:৩৫

চিনির দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার
জনগণের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে চিনির দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেছে সরকার। যদিও আজ দুপুরের দিকে প্রতিকেজি চিনিতে ২০ টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  তিনি জানান, জনগণের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে চিনির দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত বদলেছে সরকার।   এর আগে কেজিতে ২০ টাকা বাড়িয়ে সরকারি মিলের চিনির সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১৬০ টাকা নির্ধারণ করে চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন (বিএসএফআইসি)। বিএসএফআইসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক এবং দেশীয় চিনির বাজার মূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিএসএফআইসি কর্তৃক উৎপাদিত চিনির বিক্রয়মূল্য পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। রমজান উপলক্ষে চিনির বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন। ৫০ কেজি বস্তার চিনির মিলগেট বিক্রয়মূল্য ১৫০ টাকা (এক কেজি) ও ডিলার পর্যায়ে বিক্রয়মূল্য ১৫৭ টাকা (এক কেজি) নির্ধারণ করেছে করপোরেশন। এ ছাড়া করপোরেশনের ১ কেজি প্যাকেটজাত চিনির মিলগেট বা করপোরেট সুপারশপ বিক্রয়মূল্য ১৫৫ টাকা ও বিভিন্ন সুপারশপ, চিনি শিল্প ভবনের বেজমেন্টে ও বাজারে সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয়মূল্য ১৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৭:১৩

নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণ ও জনগণের কল্যাণে শেখ হাসিনার সরকার বদ্ধপরিকর
শেখ হাসিনার সরকারের অধীনে প্রকৃত গণতন্ত্র চর্চার ধারাবাহিকতা বজায় রেখে গত ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনে বাংলাদেশের জনগণ পুনরায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবাহী এবং জাতির পিতার আদর্শকে বুকে ধারণ করে পরিচালিত আওয়ামী লীগের প্রতি আস্থা রেখেছে।  ফলে, দেশ ও জনগণের উন্নয়ন ও কল্যাণকে বজায় রাখতে জনগণ ভোট প্রদানের মাধ্যমে শেখ হাসিনার সরকারকে পুনরায় নির্বাচিত করেছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন খুব স্বচ্ছ ও সুন্দরভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। শেখ হাসিনার সরকারের অধীনে জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পেরে অত্যন্ত কৃতজ্ঞ।  এই কৃতজ্ঞতার প্রমাণ হচ্ছে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগকে পুনরায় জয়ী করা। দেশের জনগণ প্রমাণ করে দিয়েছে দেশে সুষ্ঠু গণতন্ত্রচর্চা এবং দেশ ও জনগণের কল্যাণ একমাত্র জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত আওয়ামী লীগ সরকারের দ্বারা সম্ভব। এছাড়াও, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বেশ প্রশংসা অর্জন করেছে।    বিগত দিনে আমরা দেখেছি, শেখ হাসিনার সরকার সকল নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছে এবং জনগণের কল্যাণ সাধনে শতভাগ বদ্ধপরিকর থেকেছে।  তারই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে শেখ হাসিনার সরকার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পরই কালক্ষেপণ না করে দেশ ও জনগণের কল্যাণের জন্য বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আমরা জানি যেকোনো রাষ্ট্রে সুষ্ঠুভাবে সরকার পরিচালনা করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে সরকারের মন্ত্রিসভা। আজকে আমরা দেখতে পাচ্ছি, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে শেখ হাসিনা সুযোগ্য নেতৃবৃন্দকে নিয়ে মন্ত্রিসভা গঠন করেছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গঠিত এই মন্ত্রিসভা দেশ ও জনগণের কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাবে এবং সফল হবে নিঃসন্দেহে। পুনরায় দায়িত্ব গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গেই বর্তমান শেখ হাসিনার সরকার নানারকম পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে নির্বাচনী ইশতেহারের প্রতিশ্রুতি রক্ষা এবং দেশ ও জনগণের কল্যাণের জন্য মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে নানারকম দিকনির্দেশনা প্রদান করেছেন।  জাতির পিতা যেমন সর্বদা অন্যায়, অত্যাচার কিংবা দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন ঠিক তেমনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সন্ত্রাস, মাদক ও  দুর্নীতির বিরুদ্ধে সর্বদা জিরো টলারেন্স অবস্থান গ্রহণ করেছেন।  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনী ইশতেহার পূরণ, দেশে মূল্যস্ফীতি ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, দুর্নীতি মোকাবিলায় জিরো টলারেন্স এবং জাতীয় ও  বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলায় নতুন মুদ্রানীতিবিষয়ক একগুচ্ছ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। শেখ হাসিনার সরকার সর্বদা দেশ ও জনগণের কল্যাণের জন্য কাজ করে চলেছে। সীমিত আয়ের জনগণকে সহযোগিতায় পারিবারিক কার্ডের মাধ্যমে বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয় ও অতিদরিদ্রদের জন্য বিনা পয়সায় খাদ্য প্রদানসহ নানা কর্মসূচি নিয়ে শেখ হাসিনার সরকার কাজ করছে। ইতোমধ্যে শেখ হাসিনার সরকারের গৃহহীনদের জন্যে গৃহায়ন প্রকল্পটি প্রশংসা অর্জন করেছে। বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখার অন্যতম খাত হচ্ছে কৃষি। জাতির পিতার আদর্শের ধারক ও বাহক শেখ হাসিনার সরকার সর্বদা কৃষি ও কৃষকের কথা ভেবেছে, দেশের খেটে খাওয়া মানুষের জীবনমান উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে গেছে। তারই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে বর্তমান শেখ হাসিনার সরকার কৃষি উৎপাদন ও কৃষিপণ্য সংরক্ষণের জন্য আরও বেশি সংরক্ষণাগার তৈরির পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এ ছাড়াও বর্তমান শেখ হাসিনার সরকার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের চারটি স্তম্ভ (স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট সোসাইটি, স্মার্ট ইকোনমি ও স্মার্ট গভর্নমেন্ট) নিয়ে কাজ করার পাশাপাশি নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখতে, দেশের পণ্য রপ্তানির বহুমুখীকরণ, পণ্যের নতুন নতুন বাজার অনুসন্ধান, পোশাক শিল্পের বিকাশের মতো চামড়া, পাট ও কৃষি শিল্পের বিকাশ এবং শিক্ষাক্ষেত্রে যুগোপযোগী আইসিটি শিক্ষার প্রচার, প্রসার ও বাস্তবায়নে কাজ করবে।  সুতরাং দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের প্রতি জনগণের আস্থার প্রতিদান নির্বাচনী ইশতেহারের প্রতিশ্রুতি পূরণ এবং সর্বোপরি দেশ ও জনগণের কল্যাণ সাধনের মাধ্যমে প্রাপ্তি হবে নিঃসন্দেহে। আর নির্বাচনী ইশতেহারের প্রতিশ্রুতি পূরণ এবং দেশ ও জনগণের কল্যাণে শেখ হাসিনার সরকার শতভাগ বদ্ধপরিকর। লেখক : সহকারী অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৫২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়