• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
কালীগঞ্জে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যু, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা 
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে দারুস শেফা প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে লাভলী বেগম (২৬) নামে এক প্রসূতি মা ভুল চিকিৎসায় মারা যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। লাভলী বেগম কালীগঞ্জ পৌরসভাধীন বলিদাপাড়ার বাসিন্দা। স্বামী এনামুল কবিরের চাকরির সুবাধে কালীগঞ্জে বসবাস করেন। তাদের গ্রামের বাড়ি জেলার হরিণাকুন্ডু উপজেলার তৈলটুপি। শনিবার (৩০ মার্চ) বেলা ৩টার দিকে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইসরাত জাহানের নেতৃত্বে ক্লিনিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এ সময় ক্লিনিকের মালিক ডাক্তার জহুরুল ইসলামকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও ওটিসিলগালা করে দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কালীগঞ্জ উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আলমগীর হোসেন ও কালীগঞ্জ থানার পুলিশ। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, লাভলী বেগম দ্বিতীয়বারের মতো সন্তান জন্ম দিতে ২৯ মার্চ সকালে কালীগঞ্জ শহরের কালীবাড়ি মোড় এলাকার দারুস শেফা প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি হন। সেখানে বিকেল ৪ টার দিকে তার শরীরে অস্ত্রোপচার করেন ডাক্তার রেক্সোনা পারভীন। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে লাভলী বেগম কন্যা সন্তানের জন্ম দেন কিন্তু তার শরীর থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হতে থাকে। রক্ত বন্ধ না হওয়ায় লাভলী বেগমকে নেওয়া হয় অপারেশন থিয়েটারে। রাত ৮ টা পর্যন্ত রোগীকে দ্বিতীয় অপারেশনের কথা বলে অপারেশন থিয়েটারেই রাখা হয়। স্বজনরা এ সময় রোগীর অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে অপারেশন থিয়েটারের ভেতর থেকে বার বার জানানো হয় রোগী ভালো আছে। সেলাই শেষ করেই তাকে বেডে দেওয়া হবে। দীর্ঘ সময় পার হলেও রোগীকে অপারেশন থিয়েটার থেকে বের না করাই স্বজনদের মনে সন্দেহ হয়। এরপর একজন অপারেশন থিয়েটারে প্রবেশ করে দেখেন রোগী অচেতন অবস্থায় পড়ে আছে। অপারেশন থিয়েটারের মেঝে রক্তে ভরে গেছে। এ সময় ডাক্তার রেক্সোনা রোগীর স্বজনদের বলেন, উন্নত চিকিৎসার জন্য লাভলী বেগমকে এখনই যশোরে নেওয়া প্রয়োজন। রাতেই ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ জোর করেই যশোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। শনিবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান লাভলী বেগম। রোগীর স্বজন সাদ্দাম হোসেন এই প্রতিবেদককে জানান, দারুস শেফা প্রাইভেট হাসপাতালের ডাক্তারের অপচিকিৎসায় লাভলী বেগম মারা গেছে। হাসপাতালের ডাক্তার রেক্সোনা পারভীন অপ্রয়োজনে তার জরায়ু কেটে ফেলেছেন। জরায়ু কেন কাটা হলো এমন প্রশ্নের কোনো উত্তর তিনি দিতে পারেননি। রোগীর শরীরের রক্তক্ষরণ দেখে ডাক্তার রেক্সোনা নিজেই ঘাবড়ে যান। তিনি আমাদেরকে বলেন এই রোগীর সব দায়-দায়িত্ব আমি নেব। আমি সঙ্গে লোক দিচ্ছি আপনারা দ্রুত যশোর নিয়ে যান বলে গাড়িতে উঠিয়ে দেন। আমরা এ অপচিকিৎসকের বিচার চাই।  এ ব্যাপারে শেফা প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ডা. রেক্সোনা পারভীনের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। পরে ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে গেলে নিরাপত্তারক্ষীরা বলেন ম্যাডাম আজ আসেননি।  কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আলমগীর হোসেন বলেন, দারুস শেফা প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে প্রায়ই রোগী মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। প্রতিবারই ভুক্তভোগীরা বিভিন্ন সময় অভিযোগ করলেও প্রাইভেট হাসপাতাল মালিক পক্ষের সঙ্গে সমঝোতা করাই শেষ পর্যন্ত ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয় না। ঘটনা শুনলাম, আমি অবশ্যই এ ব্যাপারে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।  
৩০ মার্চ ২০২৪, ১৭:১৩

কবিরাজি চিকিৎসায় শিশুর মৃত্যু, কবর থেকে তোলা হলো মরদেহ
শরীয়তপুরে জাজিরা উপজেলায় কবিরাজের চিকিৎসায় এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আল ইসলাম নামের সেই শিশুর মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়া দাফন করা হলে আদালতের নির্দেশে এক মাস পর ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (১১ মার্চ) শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার কেন্দ্রীয় কবরস্থান থেকে তোলা হয় আল ইসলামের মরদেহ। নিহত আল ইসলাম (২৯ দিন) জাজিরা ইউনিয়নের খোসাল শিকদার কান্দি গ্রামের রাসেল মাঝির ছেলে। পুলিশ জানায়, গত ৪ ফেব্রুয়ারি ঠান্ডাজনিত সমস্যায় আক্রান্ত ২৯ দিনের শিশু আল ইসলামকে প্রথমে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে তার পরিবার। সেখানে তার অবস্থা অবনতি হলে চিকিৎসক তাকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন। সদর হাসপাতালেও আল ইসলামের উন্নতি না হওয়ায় চিকিৎসক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে পরামর্শ দেন। শিশুটির মা-বাবা তাকে ঢাকার নেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এমন সময় জাজিরা উপজেলার কবিরাজ মাহমুদ আকন কান্দি যিনি রহিম খান ওরফে রহিম ফকির নামে পরিচিত তিনি শিশুটির বাবাকে ফোন করে বলেন, ‘ঢাকা নেওয়ার দরকার নেই। এটা কবিরাজি চিকিৎসা। তুমি আমার কাছে নিয়ে আসো। আমি তোমার ছেলেকে সুস্থ করে দেব।’  পুলিশ আরও জানায়, তার কথায় বিশ্বাস করে বাবা রাসেল মাঝি শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল থেকে গত ৫ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৩টার দিকে শিশুটিকে রহিম ফকিরের কাছে নিয়ে যান। এরপর রহিম ফকির শিশু আল ইসলামকে প্রতিদিন ৩ বার কবিরাজি চিকিৎসা প্রদান করেন। ফকিরের চিকিৎসা চলাকালীন সময়ে গত ৮ ফেব্রুয়ারি আল ইসলাম মারা যায়। পরে শিশু আল ইসলামের বাবা রাসেল মাঝি ৫ জনকে আসামি করে জাজিরা থানায় মামলা দায়ের করলে আদালত শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন পুলিশকে। পুলিশ শিশুটি দাফনের ১ মাস ৩ দিন পর জাজিরা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরিফুর রহমানের উপস্থিতিতে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠান। শিশুটির বাবা রাসেল মাঝি কান্নজড়িত কণ্ঠে বলেন, কেউ যেন ফকিরের (কবিরাজ) কথা বিশ্বাস না করে। ফকির আমার ছেলেকে শেষ করে দিছে। আমি এর বিচার চাই। জাজিরা থানার ওসি হাফিজুর রহমান বলেন, আদালতের নির্দেশে শিশু আল ইসলামের মরদেহ উদ্ধার করে শরীয়তপুর হাসপাতালে পাঠিয়েছি। ময়নাতদন্তের পর আল ইসলামের মরেদহ তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
১২ মার্চ ২০২৪, ১২:৩৩

চিকিৎসায় বিদেশ গমন ঠেকাতে উদ্যোগ নেওয়ার প্রস্তাব
চিকিৎসার জন্য নাগরিকদের বিদেশ গমন ঠেকাতে উদ্যোগ গ্রহণের জন্য প্রস্তাব করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে অসংখ্য রোগী চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যাচ্ছে। এতে করে দেশের প্রচুর অর্থ চলে যাচ্ছে বিদেশে।  এ অবস্থায় রোগীদের ঠেকাতে দূতাবাসকে পৃথক একটি সেল গঠনের মাধ্যমে উদ্যোগ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। সোমবার (৪ মার্চ) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে সারাহ ইসলাম ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্ট সেল আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে এই প্রস্তাব করেন তিনি। বিএসএমএমইউ উপাচার্য বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে ট্রান্সপ্লান্টের রোগীরা সেবা নিতে যাচ্ছে। এতে দেশের প্রচুর অর্থ বিদেশে চলে যাচ্ছে। যদি পার্শ্ববর্তী দেশে যেতে হয় সেজন্য দূতাবাসে একটি সেল গঠন করে বোর্ডের সুপারিশের মাধ্যমে যেতে হবে। এজন্য দূতাবাসগুলোকে উদ্যোগ নিতে হবে। শারফুদ্দিন আহমেদ এরপর বলেন, বাংলাদেশে প্রতি বছর সাড়ে ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার মানুষের কিডনি ট্রান্সপ্লান্টের প্রয়োজন হয়। কিন্তু সে অনুযায়ী আমাদের লোকবল নেই। এজন্য আমরা ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্ট টিম তৈরি করছি। ট্রান্সপ্লান্ট করার জন্য দক্ষ জনবল তৈরি করছি। তিনি বলেন, আমরা সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে প্রতি সপ্তাহে তিনটি করে কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট করতে পারি। কিডনি ট্রান্সপ্লান্টের জন্য শিশু হাসপাতাল আমাদের সঙ্গে কাজ শুরু করেছে। হার্ট প্রতিস্থাপনের জন্যেও আমরা বিশেষজ্ঞ দল তৈরির উদ্যোগ নিয়েছি। বিএসএমএমইউ উপাচার্য আরও বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন ইসলামি দেশ যেমন ইরান, সৌদি আরব, কুয়েত  ইত্যাদি দেশেও ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্ট করা হচ্ছে। এতে কোনো ধর্মীয় বাধা নেই। ইসলাম ধর্মসহ হিন্দু ধর্ম, বৌদ্ধ ধর্ম, খ্রিস্টান ধর্মসহ সব ধর্মেই মানবকল্যাণের কথা বলা হয়েছে। মানুষের জীবন বাঁচানোর কথা বলা হয়েছে। তাই এই ধরনের মহৎকাজে অঙ্গদান করলে তাতে কোনো ধর্মীয় বিধি নিষেধ নেই। যাদের মাথায় চুল নেই, আগামীতে আমরণ তাদের জন্য হেয়ার ইমপ্ল্যান্টের ব্যবস্থাও করব।
০৪ মার্চ ২০২৪, ১৮:২৮

ক্যানসার চিকিৎসায় নতুন ট্যাবলেট আনছে ভারত, দাম হাতের নাগালেই
ক্যানসারের চিকিৎসায় নতুন এক ওষুধ আনতে যাচ্ছে ভারতের শীর্ষস্থানীয় চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান টাটা মেমোরিয়াল সেন্টার (টিএমসি)। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা এমন একটি চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন, যা রোগীর দ্বিতীয়বার ক্যানসার আক্রান্ত হওয়া ঠেকাবে।  ঘোষণা অনুযায়ী, এই চিকিৎসায় যে ট্যাবলেট ব্যবহার করা হবে, তার দামও থাকছে হাতের নাগালে, মাত্র ১০০ রুপি। খবর ভারতের বহুল প্রচারিত সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস ও এনডিটিভির। নতুন এই চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ ক্যানসার চিকিৎসক রাজেন্দ্র বাদভে। গবেষণা দলে যুক্ত এই চিকিৎসক জানিয়েছেন, তাদের আবিষ্কৃত নতুন ট্যাবলেটটি যে শুধু দ্বিতীয়বারের মতো ক্যানসার আক্রান্ত হওয়া থেকে ঠেকাবে, তা নয়; এর সঙ্গে ক্যানসারের চিকিৎসার যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে, তারও প্রভাব কমবে রোগীর শরীরে।  গবেষক দলের দাবি অনুযায়ী, রোগীর শরীরে কেমোথেরাপি বা রেডিয়েশনের মতো চিকিৎসাপদ্ধতির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ৫০ শতাংশ কমে আসবে এই ট্যাবলেট সেবনে।  গবেষকেরা জানিয়েছেন, এই ওষুধ তৈরির জন্য মানুষের ক্যানসার কোষ ইঁদুরের মধ্যে ঢোকানো হয়েছিল। এরপর ইঁদুরগুলোর শরীরে টিউমারের জন্ম নেয়। এরপর সেই ইঁদুরগুলোর অপারেশন হয়, কেমোথেরাপি এবং রেডিয়েশনও হয়। দেখা গেছে, এই ক্যানসার কোষ যখন মরে যায়, তা ক্রোমাটিন নামে ছোট ছোট বস্তুতে পরিণত হয়ে রক্তের মাধ্যমে শরীরের অন্যত্র চলে যায় এবং পরবর্তী সময়ে সুস্থ কোষে প্রবেশ করে ক্যানসার সেলে পরিণত করতে পারে। পরবর্তী ক্যানসার সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে ১০ বছর ধরে গবেষণা করেছেন ভারতের এই বিজ্ঞানীরা।  তবে, এখনই মানবদেহের ওপর এই ওষুধের ট্রায়াল শুরু করার সময় আসেনি বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। তারা বলছেন, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার প্রভাব ইঁদুর এবং মানুষ- উভয়ের ওপর পরীক্ষা করা হয়েছে, তবে প্রতিরোধ পরীক্ষাটি শুধুমাত্র ইঁদুরের উপর করা হয়েছে। মানবদেহে পরীক্ষা শেষ করতে আরও প্রায় পাঁচ বছর সময় লাগবে। গবেষণাটি বেশ চ্যালেঞ্জিং ছিল। গবেষণা চলাকালে বিভিন্ন সময়ে অনেকেই মনে করেছিল এটি সময় এবং অর্থের অপচয়। কিন্তু আজ সবাই খুশি এবং উত্তেজিত। চিকিৎসা বিজ্ঞানে বড় একটি সাফল্য হয়ে ধরা দিতে যাচ্ছে তাদের নতুন আবিষ্কারটি।    
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:৫১

খতনায় অতিরিক্ত রক্তপাত : সেই শিশুর চিকিৎসায় গাফিলতি   
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে শিশুর খতনায় ভুলে অতিরিক্ত রক্তপাতে অসুস্থ শিশু আল নাহিয়ান তাজবীবের (৭) চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।  শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর পৌনে ৪টার দিকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী শিশুর বাবা প্রবাসী আলমগীর হোসেন ওরফে বাদল।    তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা আমাদের ব্যাপক আশ্বাস দিয়ে তাজবীবকে উন্নত চিকিৎসা দিতে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে নিয়ে আসেন। এখানে বর্তমানে আমার ছেলে আশানুরূপ চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে না। শুক্রবার সকাল থেকে জ্বরে ছেলের শরীর পুড়ে যাচ্ছে। কিন্তু ডাক্তার একবারের জন্যও তাকে দেখতে আসেনি। হাসপাতাল থেকে জানানো হয়েছে আজ শুক্রবার তাই ডাক্তার আসবে না।     অপরদিকে, এ ঘটনায় অভিযুক্ত উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার বিজয় কুমার দে’কে শাস্তিমূলক বদলি করা হয়েছে। একই সঙ্গে উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার সৌরভ ভৌমিকের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ঘটনা তদন্তে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মো. যোবায়েরকে প্রধান করে দুই সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।  কমিটিকে আগামী তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। তবে অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে নোয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার বলেন, আজ বিকেল বেলা হাসপাতালে ডাক্তার সাইফুদ্দিন ওই শিশুকে দেখতে যাবে।    ভুক্তভোগী শিশু আল নাহিয়ান তাজবীব উপজেলার চরকাঁকড়া ইউনিয়নের আলমগীর হোসেন বাদলের ছেলে। সে বসুরহাট পৌরসভা এলাকার চাইল্ড কেয়ার স্কুলের প্রথম শ্রেণির ছাত্র।  উল্লেখ্য, বুধবার ২১ ফেব্রুয়ারি দুপুর সোয়া ১২টার দিকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে এ ঘটনা ঘটে। ওই সময় ছেলেকে খতনা করাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছেলে নিয়ে যান তার বাবা। একপর্যায়ে তিনি চিকিৎসকের খোঁজ করলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নৈশ প্রহরীসহ তিনজন চিকিৎসক শিশুটিকে তার বাবার কাছ থেকে জরুরী বিভাগে নিয়ে নিজেরাই খতনা করাতে থাকেন। এ সময় তিনি আবারও চিকিৎসকের খোঁজ করলে তারা নিজেদেরকে এ বিষয়ে অভিজ্ঞ দাবি করে ছেলের বাবাকে আশ্বস্ত করে সেখান থেকে বের করে দেন। এক পর্যায়ে শিশুটির চিৎকার শুনে তিনি সেখানে গিয়ে দেখেন শিশুর অতিরিক্ত রক্তপাতে সব ভিজে গেছে।      
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৫৪

ভুল চিকিৎসায় বন্ধুর মৃত্যুর ভয়ংকর অভিজ্ঞতা জানালেন রাফসান
বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় কনটেন্ট ক্রিয়েটর, ইউটিউবার, ফুডব্লগার ও মডেল ইফতেখার রাফসান শুক্রবার( ১৬ ফেব্রুয়ারি) জানান, ভুল চিকিৎসার কারণে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু রাহিব রেজা। বিষয়টি নিয়ে নানা সমালোচনা ও চর্চার মধ্যেই মৃত্যু হয় রাহিবের। এ ঘটনার একদিন পরই নিজেকে সামলে নিয়ে বন্ধুর মৃত্যুতে ভয়ংকর এক অভিজ্ঞতার কথা জানালেন রাফসান। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাতে সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে ৫ মিনিট ৫২ সেকেন্ডের একটি ভিডিও পোস্ট করেন রাফসান। সেখানেই ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কথা জানান তিনি। কাছের বন্ধুকে হারিয়ে বিধ্বস্ত ও উদাস হয়ে পড়েছেন। চিকিৎসকের অবহেলায় প্রিয়জনের মৃত্যু মেনে নেয়া যায় না বলেও জানান এ কনটেন্ট ক্রিয়েটর। এরপরই তিনি বলেন, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি বিকেলে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম আমি। সেখানে জানিয়েছিলাম, আমার বন্ধু রাহিব রেজা হঠাৎ অসুস্থ হলে এন্ডোস্কপির জন্য ল্যাবএইড হাসপাতালে গিয়েছিলেন। হেঁটে অনেকটা সবল অস্থাতেই হাসপাতালে এন্ডোস্কোপি করতে গিয়েছিলেন। দেশের একজন জনপ্রিয় ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলেন। ওই ডাক্তার তাকে সন্ধ্যা ৬টায় সময় দেন। পরীক্ষা করার জন্য ১-২ ঘণ্টা আগে থেকে না খেয়েছিল আমার বন্ধু। রাফসান বলেন, পরীক্ষাটি করার আগে একটি প্রি ভ্যালুয়েশন রিপোর্ট করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এরপর ৬টার জায়গায় ৯টায় আসেন ওই ডাক্তার। তখনও না খাওয়া আমার বন্ধু। ১০টা ৫৫ মিনিটে ওর (রাহিব রেজা) পরীক্ষা করা হয়। আর এর কিছুক্ষণ পরই পুরো লাইফ সাপোর্টে চলে যায় সে। এ কনটেন্ট ক্রিয়েটর বলেন, আমি ডাক্তার না। হঠাৎ কেন আমার বন্ধু লাইফ সাপোর্টে চলে গেল―বিষয়টি জানার জন্য আমি আমার কয়েকজন ডাক্তারকে বন্ধুর সব মেডিকেল রিপোর্ট দেখালাম। তারা সবাই রিপোর্ট দেখে, বিশেষ করে প্রি ভ্যালুয়েশন রিপোর্ট দেখে বলেন, রাহিব রেজা তো এন্ডোস্কোপি পরীক্ষার জন্য ফিট না। এটি প্রি ভ্যালুয়েশন রিপোর্টে স্পষ্ট লেখা রয়েছে। তারপর ল্যাবএইড হাসপাতালের সেই জনপ্রিয় ডাক্তারকে বন্ধু রাহিব রেজার এমন পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ছোট্ট একটা ভুল হয়ে গেছে।  রাফসান জানান, ওই ডাক্তার প্রি ভ্যালুয়েশন রিপোর্ট না দেখেই এন্ডোস্কোপি করান রাহিব রেজার। এ কারণে মাত্র ৩২ বছর বয়সেই জীবন প্রদীপ নিভে যায় তার। এতসব রোগীর মাঝে সব রিপোর্ট ডাক্তারের পক্ষে দেখা সম্ভব না বলে জানানো হয় রাফসানকে। এরপরই তিনি সবার কাছে প্রশ্ন রাখেন, যেখানে একজন রোগীর জীবন প্রদীপ নিভে যায়, সেখানে একজন ডাক্তারের এমন কারণ দর্শানো ঠিক কতটা যুক্তিসঙ্গত হতে পারে?
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৩৫

বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসায় পরীক্ষাগারে ভ্রুণ নষ্ট হলে মামলা করা যাবে! 
বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসায় ইন-ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন (আইভিএফ) পদ্ধতিতে শিশুর জন্ম দিতে গিয়ে হাসপাতালের পরীক্ষাগারে মানবভ্রুণ নষ্ট হলে মামলা করা যাবে এখন থেকে। কারণ, হিমায়িত মানবভ্রূণকেও বিবেচনা করা হবে শিশু হিসেবে। সম্প্রতি এমনই এক রুল জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের আলাবামা রাজ্যের সুপ্রিম কোর্ট। আদালত বলেছেন, দুর্ঘটনাক্রমে হিমায়িত মানবভ্রূণ নষ্ট বা ধ্বংসের জন্য ব্যক্তিকে আইনগতভাবে দায়ী করা যাবে। খবর বিবিসির।  সংবাদমাধ্যমটি বলছে, প্রজনন চিকিৎসা নিয়ে তর্কবিতর্কের নতুন একটি ক্ষেত্রের সূত্রপাত ঘটিয়েছে আলাবামার সুপ্রিম কোর্টের এই রুল। আদালতের এমন সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে ইতোমধ্যে আইভিএফ সেবা সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছে বার্মিংহাম হাসপাতালের আলাবামা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলীয় অক্ষরাজ্যটির বৃহত্তম হাসপাতাল এটি। ফৌজদারি বিচারের মুখোমুখি হওয়ার আশঙ্কা থেকেই তারা এমন পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানা গেছে। রাজ্যের শীর্ষস্থানীয় চিকিৎসাসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানটি এক বিবৃতিতে দুঃখ প্রকাশ করেছে এ সিদ্ধান্ত নিয়ে।  চিকিৎসা বিশেষজ্ঞসহ প্রজনন অধিকার গোষ্ঠীগুলো সতর্ক করে বলছে,  আলাবামা অঙ্গরাজ্য ও তার বাইরে বন্ধ্যত্বের চিকিৎসার ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে আদালতের এই রুল। আলাবামা বিশ্ববিদ্যালয় বলছে, তারা কৃত্রিম গর্ভধারণ পদ্ধতি আইভিএফ প্রক্রিয়ার পরবর্তী ধাপ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখবে। তবে, তারা নারীদের ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বাণু পুনরুদ্ধারের কাজ চালিয়ে যাবে।  রক্ষণশীল গোষ্ঠীগুলো অবশ্য আদালতের এই রুলকে স্বাগত জানিয়েছে। ক্ষুদ্রতম ভ্রূণও আইনি সুরক্ষা পাওয়ার দাবি রাখে বলে অভিমত তাদের।   
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:২৩

চঞ্চলের চিকিৎসায় সামন্ত লালকে চিঠিতে যা লিখেছিলেন এ টি এম শামসুজ্জামান
বরেণ্য অভিনেতা এ টি এম শামসুজ্জামানের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ ২০ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার)। ২০২১ সালের এই দিনে ৮০ বছর বয়সে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান এ শিল্পী। তাকে স্মরণ করে অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রী স্মৃতি শেয়ার করেছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।তাদের মধ্যে একজন চঞ্চল চৌধুরী।  তিনি তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, আজ বাংলাদেশের দুজন কিংবদন্তি অভিনেতার প্রয়াণ দিবস।তারা হলেন জনাব গোলাম মুস্তাফা এবং জনাব এ টি এম শামসুজ্জামান। গভীর শ্রদ্ধা জানাই তাঁদের বিদেহী আত্মার প্রতি। তিনি লেখেন,  গভীর শ্রদ্ধা জানাই তাঁদের বিদেহী আত্মার প্রতি। গোলাম মুস্তাফা সাহেবের সঙ্গ লাভ বা তার সঙ্গে অভিনয় করবার সৌভাগ্য আমার কখনো হয়নি। তবে ছোটবেলা থেকে তাঁর অভিনয় ও আবৃত্তির একনিষ্ঠ ভক্ত আমি। যথারীতি এ টি এম ভাই ডা. সেন স্যারকে একটা চিঠি লিখে দিলেন, আমি দেখা করলাম। সেন স্যার হলেন বিখ্যাত ডা. সামন্ত লাল সেন। যিনি বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। সেন স্যার আমাকে দেখেই চিনে ফেললেন। তারপর এ টি এম ভাইয়ের লেখা চিঠিটা পড়ে হাসতে লাগলেন। চিঠির লেখাগুলো ছিলো সেন, প্রীতস্তি কুশল রইলো। চঞ্চলকে পাঠালাম। ও ইদানীং ওর অভিনয়ে আমাদের সবাইকে চঞ্চল করে তুলেছে। কপাল জোড় কদমে দৌড়চ্ছে। সেই কপালে কি যেন হয়েছে। দেখে যদি মনে করেন ফাটিয়ে দেবেন। একবার ফাটলে আর ধরে কে ওকে। ভালো আছেন। ভালো থাকবেন। বৌদিকে নমস্কার। বাকী পরিবারের সবাইকে ভালবাসা।  এ টি এম শামসুজ্জামান ২৯ শে শ্রাবন, ১৪১৩ বাংলা।” তারপর সত্যিই আমার কপালটা ফাটিয়ে দিলেন ডা. সামন্ত লাল সেন। এ টি এম ভাই যখন খুব অসুস্থ হয়ে পিজি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন, একদিন বৃন্দাবনদা, খুশী আর আমি ওনাকে দেখতে গেলাম। আমাদেরকে দেখে উনি আনন্দে কেঁদে ফেললেন। বললেন, আল্লার রহমতে, সকলের দোয়ায় আমি সুস্থ হইয়া যামু…..আবার অভিনয় করমু, তোমরা রেডি হও। আমরা সত্যিই রেডি ছিলাম ওনার অভিনয়ে ফেরার আশায়, রেডি ছিলাম না ওনার চির বিদায় নেওয়ার সংবাদ শোনার জন্য। হাসপাতালে ওনার সাথে সেই শেষ দেখা। শেষের ছবিটা আমাদের শেষ স্মৃতি। আর ডা. সেন স্যারকে লেখা তাঁর হাতের লেখা চিঠিটা আগলে রেখেছি অনেক যত্নে। পরপারে শান্তিতে থাকুন হে কিংবদন্তি।
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:৫৮

ভুল চিকিৎসায় উনিশেই পরপারে আমিরের ‘দঙ্গল’ কন্যা
মাত্র ১৯ বছর বয়সেই পরপারে পাড়ি জমালেন আমির খানের ‘দঙ্গল’ কন্যা সুহানি ভাটনগর। ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতে 'মিস্টার পারফেকশনিস্ট' খ্যাত  আমির খানের 'দঙ্গল' ছবিতে তার মেয়ে ববিতা ফোগতের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি। সীমিত স্ক্রিন টাইমেই সাবলীল অভিনয়ে মুগ্ধ করেছিলেন দর্শকদের। এনডিটিভি, টাইমস অব ইন্ডিয়াসহ ভারতীয় বেশ কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা গেছে, শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দিল্লিতে মৃত্যু হয়েছে সুহানি ভাটনগরের। সংবাদ মাধ্যমগুলোর দাবি, ভুল চিকিৎসায় মাত্র ১৯ বছর বয়সেই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করতে হলো সম্ভাবনাময় এ অভিনেত্রীকে। প্রতিবেদনে জানা গেছে, কিছুদিন আগেই পা ভেঙে যায় অভিনেত্রী সুহানি ভাটনাগরের। তার চিকিৎসা চলছিল। সেই চিকিৎসার জন্য বেশ কিছু ওষুধ খাওয়ানো হয়েছিল তাকে। ওষুধগুলোর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কারণে তার শরীরে তরল পদার্থ জমতে শুরু করে। আর সেটাই সুহানির এই অকাল মৃত্যুর কারণ। জানা গেছে, চিকিৎসার জন্য বেশ কিছুদিন ধরে দিল্লির এইমস হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন সুহানি। শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ফরিদাবাদে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।   প্রসঙ্গত, ‘দঙ্গল’ ছবিতে কিশোরী ববিতা ফোগতের চরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসিত হন সুহানি। ছবিতে সুপারস্টার আমির খান, সাক্ষী তানওয়ার, ফতিমা সানা শেখ, সানিয়া মালহোত্রা এবং জাইরা ওয়াসিমের সঙ্গে কাজ করেছিলেন তিনি। এছাড়াও বেশকিছু টিভি বিজ্ঞাপনেও অভিনয় করেছিলেন সুহানি। 
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৫৪

ভুল চিকিৎসায় শাবিপ্রবি কর্মকর্তার মৃত্যু
ভুল চিকিৎসায় মারা গেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) নিরাপত্তা শাখার প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাহেদ আহমদ (৪০)। সিলেটের বেসরকারি প্রতিষ্ঠান মাউন্ট এডোরা হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় তার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা। মঙ্গলবার (১৩ ফ্রেব্রুয়ারি) দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকায় ল্যাব এইড হাসপাতালে মৃত্যু হয় তার।  জানা যায়, গত ডিসেম্বরে সিলেটের আখালিয়াস্থ মাউন্ট এডোরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যান সাহেদ আহমদ। সেখানের কর্তব্যরত চিকিৎসক নাক-কান-গলা রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. শাহ কামাল কর্তৃক সাহেদের নাকে এন্ডোসকপিক সাইনাস অপারেশন করানো হয়। এর আগে একই দিন সার্জারি বিশেষজ্ঞ ডা. খালেদ মাহমুদ সাহেদকে সিস্টের অপারেশন করেন। অপারেশনের পরেরদিন পেটের তীব্র ব্যথা অনুভব করলে তাকে আলট্রাসনো ও স্লিপেস টেস্ট করানো হয়।  পরে হাসপাতালের এমডি অধ্যাপক ডা. আক্তারুজ্জামান সাহেদের প্যানক্রিয়াটাইস লিক হয়ে গেছে বলে নিশ্চিত করেন। তবে একই সময় সাইনাস ও সিস্টের অপারেশনের ফলে সাহেদের একটি চোখ নষ্ট হয়ে যায়, প্যানক্রিয়াস লিক হয়ে যায় এবং অগ্নাশয়ের জটিল সমস্যায় পড়েন বলে অভিযোগ উঠে। পরে সাহেদের চিকিৎসা মাউন্ট এডোরা হাসপাতাল আয়ত্ত্বের বাইরে চলে গেলে গত ৬ ডিসেম্বর তাকে ঢাকার পিজি হাসপাতালে স্থানান্তর করে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এরপর ঢাকার ল্যাব এইড হাসপাতালসহ কয়েকটি হাসপাতালে তার চিকিৎসা দেওয়া হয় বলে জানা গেছে। সাহেদকে চিকিৎসা দেওয়ার বিষয়ে মাউন্ট এডোরা হাসপাতালের সার্জারি বিশেষজ্ঞ ডা. খালেদ মাহমুদ বলেন, গত ডিসেম্বরে সে রোগীর পরামর্শক্রমে আমি সিস্টের অপারেশন করিয়েছিলাম। শুনেছি এরপরে তার শরীরে অন্যান্য সমস্যা দেখা দেয়। তবে আমার অপারেশনের সঙ্গে তার পরবর্তী সমস্যাগুলোর (রোগের) কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। চিকিৎসা দেওয়া মাউন্ট এডোরা হাসপাতালের নাক-কান-গলা রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. শাহ কামালের কাছে জানতে চাইলে তিনি মিটিংয়ে আছে বলে জানিয়ে পরে কথা বলব বলে ফোন কেটে দেন।  এর আগে, গত বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তরের কর্মকর্তা নূরজাহান ফাতেমা সিলেটের নয়াসড়কস্থ মাউন্ট এডোরা হাসপাতালে সিস্টের অপারেশন ও অ্যানেসথেসিয়া করার পরপরই তিনি মৃত্যু হয়েছে বলে হাসপাতালটির ডাক্তারের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে।  সহকর্মীর মৃত্যুতে সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে শাবি অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক অশোক বর্মন অসীম বলেন, মাউন্ট এডোরার হাসপাতালের চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসার জন্য আমাদের সহকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। মাউন্ট এডারা কর্তৃপক্ষের কারণে আমাদের সহকর্মীর যে সমস্যা হয়েছে তাতে তার চিকিৎসা সহায়তা চেয়েছি, তাদের কাছে কোনো ক্ষতিপূরণ চাইনি। তবে তারা আশ্বাস দিয়ে কালক্ষেপন করেছে, কোনো সদোত্তর দেয়নি, তারা আমাদের সঙ্গে সম্পূর্ণ ব্যবসায়িক আচরণ করেছে। তাতেই আমাদের সহকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। আমরা মাউন্ট এডোরা কর্তৃপক্ষের বিচার এবং এই মৃত্যুর কারণ উদঘাটন করে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।  
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:১১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়