• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
খেলাপি ঋণ ও ভর্তুকি কমানোর পদক্ষেপ জানতে চায় আইএমএফ
দেশের ব্যাংক খাত ভুগছে নানা সংকটে। এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল-আইএমএফের ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ ছাড়ে রিজার্ভের বেঁধে দেওয়া লক্ষ্য পূরণে বারবার ব্যর্থ হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এমন পরিস্থিতিতে ঋণের শর্তগুলো নিয়ে বুধবার (২৪ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠক করেছে ঢাকা সফররত আইএমএফ প্রতিনিধিদল। আইএমএফ’র দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ শর্তগুলোই পূরণ করতে পারেনি বাংলাদেশ ব্যাংক। মুদ্রা বিনিময়ে চাপিয়ে দেওয়া দরের কারণেই দেশের আর্থিক হিসাব ঋণাত্মক ও রিজার্ভে পতন অব্যহত রয়েছে বলে মনে করে আইএমএফ। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ কী ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে, সে বিষয়ে জানতে চেয়েছে আইএমএফ। এছাড়া বাজার ভিত্তিক মুদ্রা বিনিময় হার ও সুদের হার বাস্তবায়নে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, সে বিষয়েও জানতে চেয়েছে সংস্থাটি। বৈঠকে উপস্থিত বাংলাদেশ ব্যাংকের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে সরকারি ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণ ১০ শতাংশে নামিয়ে আনতে হবে। পাশাপাশি বেসরকারি ব্যাংকগুলোর গড় খেলাপি ৫ শতাংশে নামিয়ে আনার কথা। এ বিষয়ে বাংলাদেশের পদক্ষেপেরে বিষয়ে জানকে চেয়েছে সংস্থাটি।  ইতোমধ্যে আইএমএফের ৪ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলার ঋণ ছাড়ে রিজার্ভের বেঁধে দেওয়া লক্ষ্যমাত্রা পূরণে বারবার ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। একইসঙ্গে সুদের হার বাস্তবায়ন, রাজস্ব আয় বাড়ানো ও বাজার ভিত্তিক মুদ্রা বিনিময় চালু করার ক্ষেত্রেও পিছিয়ে পড়েছে বাংলাদেশ। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে মুদ্রা বিনিময় ও ক্রলিং পেগ বাস্তবায়ন নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হওয়ায় ক্রলিং পেগ বাস্তবায়ন নিয়ে আপাতত কোনো পরামর্শ দেয়নি বাংলাদেশে অবস্থানরত আইএমএফের প্রতিনিধি দল। বৈঠকে উপস্থিত বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আর্থিক খাত সংস্কার, খেলাপি ঋণ, সুদের হার বাস্তবায়ন, মুদ্রানীতি, মূল্যস্ফীতি, বিদেশি বাণিজ্যের ভারসাম্য ও আউটলুক, মুদ্রা বাজার ও তারল্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা করেছে আইএমএফ। তিনি আরও বলেন, আইএমএফের মিশনের সঙ্গে বুধবার (২৪ এপ্রিল) আমাদের বৈঠক শুরু হয়েছে। এখন সংস্থাটি আমাদের কাছ থেকে বিশ্লেষণ করার জন্য তথ্যগুলো সংগ্রহ করছে। এরপর হয়তো বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দেবে। বৈঠকে উপস্থিত অর্থ বিভাগের একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, শুধু আইএমএফের শর্ত পূরণই নয় দেশের সার্বিক উন্নয়নে রাজস্ব বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। বিষয়টি নিয়ে অনেক বছর থেকে আলোচনা হলেও তেমন উন্নতি হয় নি। বরং ২০১৫ সালের তুলনায় কিছুটা কমে গত কয়েক বছর কর জিডিপির অনুপাত ৭ থেকে ৮ শতাংশের মধ্যেই ঘুরপাক খাচ্ছে। এ জন্য করনীতি  এবং কর আহরণ কর্তৃপক্ষ আলাদা করার পুরনো আলোচনাও পুনরায় উঠে এসেছে। এলডিসি থেকে উত্তরণের পর আগামীতে সহজ শর্তের এবং কম সুদের বৈদেশিক ঋণ কমে যাবে। ইতোমধ্যে বিশ্বব্যাংকসহ বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগীর ঋণের সুদহার বেড়েছে।  আগামী আরও বাড়বে । বাজেট সহায়তা নিলে বিভিন্ন ধরনের শর্ত বিষয় আসে। অভ্যন্তরীণ সম্পদ বাড়ানো গেলে বাজেট সহায়তা নেওয়ার প্রয়োজন হয় না।  এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠকে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার আরও বাজারভিত্তিক করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। রেমিট্যান্স ও রপ্তানি কিছুটা বাড়ায় ইতোমধ্যে চলতি হিসাবে বেশ উন্নতি হয়েছে। তবে আর্থিক হিসাবে ঘাটতি রয়েই গেছে।  চলতি হিসাবে স্থিতিশীলতা রক্ষার পাশাপাশি আর্থিক ঘাটতি কাঠিয়ে উঠার তাগিদ দেওয়া হয়। সার্বিকভাবে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ানোর ওপর বাড়তি নজর দিতে বলা হয়েছে। আইএমএফ গত বছরের ৩০ জানুয়ারি বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি ডলার ঋণপ্রস্তাব অনুমোদন করে। ইতোমধ্যে দুই কিস্তিতে ১১৫ কোটি ৮২ লাখ ডলার ছাড় করেছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী মে মাস নাগাদ তৃতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ২০ লাখ ডলার ডলার ছাড় করা হতে পারে। 
২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০১:০৫

পাকিস্তানে নয়, ‘হাইব্রিড’ মডেলেই চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলতে চায় ভারত
গত এশিয়া কাপে ভারতের একগুয়েমিতে হাইব্রিড মডেলে টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে বাধ্য হয়েছিল পাকিস্তান। তবে পাকিস্তানের বিশ্বাস ছিল ভারতে বিশ্বকাপ খেলতে গেলে পাকিস্তানে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলবে রোহতিরা। কিন্তু পাকিস্তানে নয়, হাইব্রিড মডেলেই চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলতে চায় ভারত। ইন্দো-এশিয়ান নিউজ সার্ভিস (আইএএনএস)-এর এক প্রতিবেদনে জানা গেছে এসব তথ্য। ফলে ভারতীয় দলকে পাকিস্তানের মাটিতে ক্রিকেট খেলাতে পিসিবির (পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড) নানা উদ্যোগ কোনো কাজে আসছে না।  সবশেষ রোহিত-কোহলিদের পাকিস্তানে খেলা স্বাভাবিক করে তুলতে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ আয়োজনের কথাও বলেছিলেন পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নকভি। কিন্তু সায় দেয়নি ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা (বিসিসিআই)। বরং দ্বিপাক্ষিক সিরিজ তো নয়ই, এমনকি ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়্নস ট্রফি খেলতেও পাকিস্তান যেতে চায় না ভারতীয়রা।  ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আয়োজন করবে পাকিস্তান। আইসিসির এই বড় আসরও পাকিস্তানের মাটিতে গিয়ে খেলতে চায় না ভারত। এর জন্য ভেন্যু পরিবর্তন করতে বলছে বিসিসিআই। অর্থাৎ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি হাইব্রিড মডেলে চায় ভারত। ভারতের ম্যাচগুলো পাকিস্তানের বাইরে অন্য কোনো দেশে আয়োজনের দাবি করছে বিসিসিআই। বিসিসিআই সূত্রের বরাতে আইএএনএস বলছে, দ্বিপাক্ষিক সিরিজ ভুলে যান...। এমনকি ভারতীয় দল চ্যাম্পিয়নস ট্রফির জন্য পাকিস্তানে না-ও যেতে পারেন। ভেন্যু পরিবর্তন হতে পারে। হাইব্রিড মডেলেও করার সম্ভাবনা আছে। চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আইসিসির আয়োজন হওয়া সত্ত্বেও ভারতের অংশগ্রহণ সরকারি নির্দেশের ওপর নির্ভর করে, এমনটি জানিয়েছে বিসিসিআই।  ‘চ্যাম্পিয়নস ট্রফি একটি আইসিসি ইভেন্ট। তাই এটি ভারতের জন্য একটি কঠিন সিদ্ধান্ত হবে। কিন্তু সরকারের নির্দেশ-সবুজসংকেত ছাড়া কিছুই করার নেই। দ্বিপাক্ষিক সিরিজ আমি অদূর ভবিষ্যতে দেখতে পাচ্ছি না। এটি প্রায় অসম্ভব।’ সবশেষ ভারতের বিপক্ষে ২০১২-১৩ সালে সিরিজ খেলতে গিয়েছিল পাকিস্তান। এরপর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে আর কোনো দ্বিপাক্ষিক সিরিজ আয়োজন করা হয়নি।  গত বছর এশিয়া কাপ পাকিস্তানের আয়োজন হলেও সেখানে খেলতে যায়নি ভারত। রোহিতদের ম্যাচগুলো হয়েছিল শ্রীলঙ্কার মাটিতে। তবে ভারতীয় দল পাকিস্তানে না গেলেও ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলতে পাকিস্তান দল ঠিকই ভারতের মাটিতে খেলতে গিয়েছিল।
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৪৮

যুক্তরাষ্ট্রের তুলায় উৎপাদিত পোশাকের শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা চায় ঢাকা
যুক্তরাষ্ট্রের তুলা থেকে তৈরি বাংলাদেশি পোশাকের জন্য শুল্ক ও কোটামুক্ত বাজার সুবিধা প্রদানের অনুরোধ করেছে বাংলাদেশ। একইসঙ্গে পোশাকের বাইরে অন্যান্য সম্ভাবনাময় পণ্য যেমন ওষুধ, সিরামিকসহ বেশ কিছু পণ্য রপ্তানির সুযোগ এবং ওষুধ রপ্তানির ক্ষেত্রে বিদ্যমান নিবন্ধন প্রক্রিয়া সহজ করার দাবি করেছে বাংলাদেশ। রোববার (২১ এপ্রিল) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কো-অপারেশন ফোরাম অ্যাগ্রিমেন্ট (টিকফা) এর অন্তবর্তী বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এসব দাবি উত্থাপন করা হয়। বৈঠক শেষে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের প্রধান বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, বাংলাদেশের পোশাকশিল্প এখন অনেক বেশি কমপ্লায়েন্ট। এখানে পোশাক শিল্পে কর্মরত শ্রমিকরা দরিদ্র জনগোষ্ঠির, তাদের জীবমান উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্র যদি অবদান রাখতে চায় তাহলে শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রদান করতে পারে। এছাড়া বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) বিধান অনুসারে আফ্রিকার স্বল্পোন্নত দেশগুলোর পণ্যের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র শুল্কমুক্ত সুবিধা বহাল রেখেছে। তাহলে বাংলাদেশসহ এশিয়ার দেশগুলো কেন পাবে না। আমরা ইতোমধ্যে শ্রম পরিস্থিতির যথেষ্ট উন্নতি করেছি এবং আইনি সংস্কার আনা হয়েছে।  তিনি বলেন, সার্বিক বিবেচনায় বাংলাদেশি পোশাক যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার পাওয়ার যোগ্য বলে আমরা যুক্তি উপস্থাপন করেছি। তপন কান্তি ঘোষ আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আমরা প্রযুক্তি সহায়তা চেয়েছি, যার মাধ্যমে কৃষিসহ অন্যান্য পণ্য উৎপাদন বৃদ্ধি ও সংরক্ষণ ব্যবস্থার উন্নতি করতে পারি। একইসঙ্গে কৃষিপণ্য রপ্তানির জন্য স্ট্যান্ডার্ড সার্টিফিকেশন এবং প্রয়োজনীয় এ্যাক্রিডিটেশন নিশ্চিতকল্পে সহায়তা চেয়েছি।   তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের শ্রম পরিস্থিতির অধিক উন্নতির জন্য সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়নে ১১ দফা প্রস্তাব তুলে ধরেছে। এছাড়া তারা মেধাস্বত্ব আইনের যথাযথ প্রয়োগ করার অনুরোধ জানিয়েছে। বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ইউএস ইন্টারন্যাশনাল ডেভলপমেন্ট ফাইন্যান্স করপোরেশন ফ্যাসালিটিজের আওতায় আর্থিক সহায়তা প্রদানের অনুরোধ জানিয়েছে। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে তুলা রপ্তানি বাড়াতে আগ্রহী। যুক্তরাষ্ট্র ইতমধ্যে তুলা আমদানিতে ডাবল ফিউমিগেশন পদ্ধতি বাতিল করেছে। এ কারণে যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুলা আমদানি অনেক বেড়ে গেছে। বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, দুই বছর আগে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের তুলার বাজারের হিস্যা ছিল ৯ শতাংশ। ডাবল ফিউমিগেশন পদ্ধতি বাতিল করার পর এখন তা বেড়ে প্রায় ১৪ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। এমতাবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানিকৃত তুলা ব্যবহার করে বাংলাদেশে উৎপাদিত আরএমজি পণ্যগুলোতে শুল্কমুক্ত রপ্তানি সুবিধা প্রদানের প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ। সূত্র : বাসস
২১ এপ্রিল ২০২৪, ২২:১৭

ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনা নিরসন চায় বাংলাদেশ  
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশ যুদ্ধ নয়, শান্তির পক্ষে এবং আমরা চাই, ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনা নিরসনে যে সব রাষ্ট্রের ভূমিকা রাখার কথা, তারা কার্যকর ভূমিকা নিক এবং গাজায় ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞ বন্ধ হোক। রোববার (১৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাজধানীতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সম্প্রতি সিরিয়ার দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে হামলার বদলা হিসেবে শনিবার রাতে তেল আবিব, পশ্চিম জেরুজালেমসহ ইসরায়েল জুড়ে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের ঘটনা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।  ড. হাছান বলেন, ইসরায়েল সিরিয়ায় ইরানি দূতাবাসে  হামলা করায় ইরান এ আক্রমণের সুযোগ পেয়েছে, অন্যথায় এটি হতো না, ইরান 'রিটালিয়েট' করেছে -ইরানের বক্তব্য তাই। তিনি বলেন, আমরা আশা করবো,  যে সব রাষ্ট্রের ভূমিকা রাখার কথা, তারা ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনা নিরসনে এবং গাজায় যে নির্বিচারে মানুষ হত্যা হচ্ছে, অবিলম্বে সেই হত্যাযজ্ঞ বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেবে। আমরা কখনোই যুদ্ধ-বিগ্রহের পক্ষে নই, আমরা শান্তির পক্ষে। অপহৃত বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ উদ্ধার বিষয়ে তিনি বলেন, সরকার ও সংশ্লিষ্টদের সর্বাত্মক তৎপরতায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে জিম্মি নাবিক ও জাহাজ নিরাপদে উদ্ধার হয়েছে। জাহাজটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের দিকে ১শ’ নটিক্যাল মাইল এগিয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ'র সহযাত্রী হয়েছে। সবার পাশাপাশি কেএসআরঅএম  গ্রুপকেও ধন্যবাদ দেই, তারাও অত্যন্ত সক্রিয় ছিল। দক্ষিণ সীমান্তে মিয়ানমারের আরও ৯ বিজিপি সদস্যের দেশে প্রবেশ নিয়ে মন্ত্রী হাছান বলেন, আগের ১৮০ জনসহ সবাইকে ফেরত পাঠানো নিয়ে কাজ চলছে, মায়ানমার নৌপথের কথা বলেছে। এদিকে রোববার বিকেলে রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় মন্ত্রীর সাথে সাক্ষাত করেন পাঁচদিনের বাংলাদেশ সফরে আসা এন্টিগা ও বারবুডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ই. পি. শেত গ্রিন। বৈঠক বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কোন্নয়ন ও বহুপাক্ষিক সহযোগিতার নানা দিক নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তাদের পর্যটন খাত অত্যন্ত উন্নত। আমাদের পর্যটন বিভাগের সাথে 'টেকনিকাল কো-অপারেশনে'র মাধ্যমে এ খাতে প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ সহযোগিতার সম্ভাবনার কথা হয়েছে। হাছান বলেন, বাংলাদেশের ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য আমেরিকা-কানাডা-ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিশ্বের ১৪০টি দেশে রপ্তানি হয়, তাদেরকেও তা আমদানির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তৈরি পোষাক, সিরামিকস, চামড়াজাত পণ্য এ দেশ থেকে আমদানির কথা আলোচনা করেছি। বাংলাদেশিদের জন্য তাদের দেশে ভিসা ফ্রি করলে আমরাও 'রিসিপ্রোসিটি' ভিত্তিতে তাদের জন্যও একই ব্যবস্থা বিবেচনায় নিতে পারি, উল্লেখ করেন মন্ত্রী। এন্টিগা ও বারবুডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ই. পি. শেত গ্রিন সাংবাদিকদের কাছে তার দেশের বিশ্বখ্যাত ক্রিকেটার ভিভিয়ান রিচার্ডসের বাংলাদেশ সফরের সম্ভাবনার কথা জানান। মন্ত্রী গ্রিনের সাথে দেশি শিল্পগ্রুপ পিএইচপি ফ্যামিলির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম এবং এন্টিগা ও বারবুডার কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ এবং দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উত্তর আমেরিকা উইংয়ের মহাপরিচালক খন্দকার মাসুদুল আলম, মন্ত্রীর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মীর আকরাম উদ্দীন আহম্মদসহ পদস্থ কর্মকর্তারা বৈঠকে যোগ দেন। এন্টিগা ও বারবুডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বৃহস্পতিবার ঢাকা ত্যাগের আগে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু ও এফবিসিসিআই প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি ঢাকা ও চট্টগ্রামে বিভিন্ন শিল্প স্থাপনা পরিদর্শন করার কথা রয়েছে। -বাসস।  
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৩৭

ইসরায়েলে জার্মানির অস্ত্র বিক্রি বন্ধ চায় নিকারাগুয়া
ইসরায়েলে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করতে এবং ইউএনআরডাব্লিউএ-র সহায়তা স্থগিতের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে জার্মানিকে নির্দেশ দিতে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালত আইসিজেকে অনুরোধ করেছে নিকারাগুয়া৷ নিকারাগুয়ার কূটনীতিক কার্লোস খোসে আর্গুয়েলিও গোমেজ বলেন, গাজায় গণহত্যার মারাত্মক ঝুঁকি রয়েছে৷ ইসরায়েলকে সমর্থন করে জার্মানি জেনোসাইড কনভেনশন লঙ্ঘন করছে বলে ১ মার্চ আইসিজেতে অভিযোগ করেছিল নিকারাগুয়া৷ এরপর সোম ও মঙ্গলবার শুনানির দিন নির্ধারণ করে আইসিজে৷ এর অংশ হিসেবে সোমবার নিজেদের যুক্তি উপস্থাপন করেন নিকারাগুয়ার কূটনীতিক গোমেজ৷ মঙ্গলবার নিজেদের যুক্তি তুলে ধরবে জার্মানি৷ এর কয়েক সপ্তাহ পর আদালত রায় দিতে পারে৷ অবশ্য আইসিজে কাউকে তার রায় মানতে বাধ্য করতে পারে না৷ তবে সরকারের উপর রাজনৈতিক ও নাগরিকদের পক্ষ থেকে চাপ তৈরি করতে পারে এই আদালতের রায়৷ এর আগে জানুয়ারিতে দেওয়া এক রায়ে আইসিজে বলেছিল, গাজায় হামলার সময় ইসরায়েল জেনোসাইড কনভেনশনে নিশ্চিত করা কিছু অধিকার লঙ্ঘন করেছে বলে সাউথ আফ্রিকা যে অভিযোগ এনেছে, তা বিশ্বাসযোগ্য৷ হলোকস্টের সময় ৬০ লাখ ইহুদি হত্যার পর এমন ঘটনা যেন আর কোনো দেশে না ঘটে সেজন্য ১৯৪৮ সালে জেনোসাইড কনভেনশন তৈরি করেছিল জাতিসংঘ৷ সুইডেনের স্টকহোমের আন্তর্জাতিক শান্তি বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপ্রির হিসেব বলছে, ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ইসরায়েলকে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র সরবরাহ করা দেশের তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের পরেই আছে জার্মানি৷ ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের সন্ত্রাসী হামলার পর জার্মানি ইসরায়েলকে অতিরিক্ত অস্ত্র সরবরাহের অনুমতি দিয়েছে৷ এদিকে, ইসরায়েলের হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩২ হাজার ছাড়িয়ে গেছে বলে জানিয়েছে গাজার হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ৷ জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সাধারণ নাগরিকদের উপর নির্বিচারে হামলা চালানোর অভিযোগ এনেছে৷ ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় সমর্থক বলে পরিচিত যুক্তরাষ্ট্রও বলেছে, গাজায় সাধারণ নাগরিক নিহত হওয়ার সংখ্যা অনেক বেশি৷
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:২৯

ব্রাজিল থেকে কোরবানির পশু আনতে চায় সরকার
কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে সরকার ব্রাজিল থেকে বাংলাদেশ পশু আমদানি করতে চায় বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। রোববার (৭ এপ্রিল) ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাওরো ভিয়েইরার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্বল্পমূল্যে মাংসজাত পণ্য বাংলাদেশে রপ্তানি করতে আগ্রহী ব্রাজিল। তবে মাংসজাত পণ্য নয় বরং ব্রাজিল থেকে পশু আমদানির প্রস্তাব দেয়া হয়েছে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাওরো ভিয়েইরাকে।  বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, মূলত কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ব্রাজিল থেকে এসব পশু আমদানি করা হবে। এছাড়া তৈরি পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে শুল্কমুক্ত সুবিধা দিতে ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে আহ্বান জানানো হয়েছে বলেও জানান বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী।  এদিকে, রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় দুদিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাওরো ভিয়েইরা।
০৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৩২

পাহাড়ি সাত উপজেলায় নিজেদের শাসন চায় কেএনএফ!
দেশের তিন পার্বত্য জেলায় ত্রাসের আরেক নাম হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)। সম্প্রতি বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকের তিনটি শাখায় নজিরবিহীন ডাকাতির ঘটনা ঘটিয়েছে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনটি। এ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই গত বৃহস্পতিবার থানচি বাজারে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে পুলিশ-বিজিবির ওপর হামলা করে বসে তারা। একইদিন গভীর রাতে আরেকটি সন্ত্রাসী হামলা হয় বান্দরবানের আলীকদমে; পুলিশ ও সেনাবাহিনীর তল্লাশি চৌকিতে।  এরই মধ্যে দেশের পার্বত্য অঞ্চলের ত্রাস হয়ে ওঠা গোষ্ঠীটির বিরুদ্ধে যৌথ অভিযানে নেমেছে প্রতিরক্ষা বাহিনী; শনিবার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রুমা সফরে যান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। সেখানে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত ধারণা হচ্ছে যে কেএনএফের সন্ত্রাসীদের মূল উদ্দেশ্য ছিল অর্থ সংগ্রহ করা। তাদের দমনে যা যা করা দরকার তার সবই করবে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী। তবে এবার কেএনএফই নিজেদের সাম্প্রতিক তৎপরতার কারণ স্পষ্ট করেছে, যা থেকে বোঝা যাচ্ছে যে অর্থ নয়, বরং পার্বত্য অঞ্চল দখলই মূল উদ্দেশ্য তাদের। শনিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বিবৃতি দিয়ে বিষয়টি স্পষ্ট করেছে পাহাড়ের শান্তির জন্য হুমকি হয়ে ওঠা সংগঠনটি। রাত ১২টার কাছাকাছি সময়ে ‘কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)’ নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে সামনে এসেছে এমনই দাবি সংবলিত একটি পোস্ট। দেশের বিজ্ঞ মহল, বিশ্লেষক ও সাংবাদিকগণের জ্ঞাতার্থে এবং টকশোর আলোচনায় বিশেষ সুবিধার্থে পোস্টটি করা হয়েছে দাবি করে তাতে বলা হয়, আগে পার্বত্য চট্টগ্রামে নয়টি উপজেলা নিয়ে নিজেদের পৃথক রাজ্য প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়ে এলেও এখন সাতটি উপজেলা নিয়ে ‘স্বশাসিত পরিষদ’ চায় কেএনএফ, যার নাম হবে ‘কুকি-চিন টেরিটোরিয়াল কাউন্সিল’ (কেটিসি)।  ছয় দফা দাবি সংবলিত পোস্টটিতে বলা হয়, দাবিকৃত অঞ্চলে শাসন প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর সেখানকার ভূমি ও পর্যটন বিষয়ক সংক্রান্ত সব কর্মকাণ্ডের সর্বময় ক্ষমতা সম্পূর্ণভাবে কেটিসিকে দিতে হবে সরকারের। এছাড়া দাবি অনুযায়ী, কেটিসি’র অঞ্চলে পুলিশ বাহিনীর নিয়োগ প্রদানসহ সব ক্ষমতা কেএনএফেরই থাকবে।  কেএনএফের অতীতের সব হামলা ও অন্যান্য আইন লঙ্ঘনকারী কর্মকাণ্ডকে আন্দোলন দাবি করে আরেকটি দফায় এসব কর্মকাণ্ডে জড়িত কেএনএফ সদস্যদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সব মামলা প্রত্যাহারের দাবি করা হয়েছে সংগঠনটির পক্ষ থেকে।  পরবর্তী দফায় দাবি করা হয়েছে, যেন বিভিন্ন সময়ে পার্শ্ববর্তী অঞ্চল তথা ভারতের মিজোরামে পালিয়ে যাওয়া বম জনগোষ্ঠী এবং মিয়ানমারের পালেতুয়া এলাকায় পালিয়ে যাওয়া খুমি ও ম্রো জনগোষ্ঠীর লোকজনকে দেশে ফিরিয়ে এনে পুনর্বাসনের সুযোগ ও সুব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। আর পোস্টের সবশেষ দফায় নিজেদের সশস্ত্র বাহিনী গঠনের সুযোগ দাবি করা হয়েছে কেএনএফের পক্ষ থেকে, যার নাম হবে কুকি-চিন আর্মড ব্যাটেলিয়ন (কেএবি)।  ফেসবুক পোস্টটি থেকে জানা যায়, বান্দরবানে পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী এ সশস্ত্র সংগঠনটির সঙ্গে দুই দফায় মুখোমুখি সংলাপ হয় শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির। ঈদের পর এপ্রিলের মাঝামাঝি আরেক দফায় উভয়পক্ষের সংলাপে বসার কথা থাকলেও হঠাৎ গত মঙ্গলবার বান্দরবানের রুমায় ও বুধবার থানচিতে দফায় দফায় সশস্ত্র হামলা চালায় কেএনএফ সন্ত্রাসীরা। তিন ব্যাংকে লুটপাট চালানোর পর অপহরণ করে নিয়ে যায় সোনালী ব্যাংকের রুমা শাখার ম্যানেজারকে। পরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় র‍্যাবের মধ্যস্থতায় রুমা বাজারে নেজাম উদ্দিন নামে ওই ব্যক্তিকে ছেড়ে দিলেও ওইদিনই রাতে দুই দফায় থানচি ও আলীকদমে সংগঠনটির পৃথক দুটি গ্রুপ চড়াও হয় পুলিশ, বিজিবি ও সেনা সদস্যদের ওপর। এ পর্যন্ত কেএনএফের আকস্মিক এ অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির পেছনে তাদের অর্থাভাবের বিষয়টিকেই মূল কারণ হিসেবে ধারণা করা হলেও নিজেদের ফেসবুক পেইজ থেকে শেষ পর্যন্ত ভিন্ন ইঙ্গিত দিলো পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীটি।   
০৭ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৪৭

গাজায় ১৯৬ ত্রাণকর্মী নিহতের তদন্ত চায় জাতিসংঘ
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের হামলায় ১৯৬ ত্রাণকর্মী নিহতের ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছে জাতিসংঘ। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান। তিনি বলেন, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় ১৯৬ জন ত্রাণকর্মী নিহত হয়েছে। আমরা প্রতিটি ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত চাই। আর কোনো ত্রাণকর্মীর মৃত্যু চাই না। এদিকে, ইসরায়েলের ভয়াবহ আগ্রাসনের কারণে তাদের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধের আহ্বান জানিয়ে প্রস্তাব পাস হয়েছে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদে। ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) পক্ষ থেকে উত্থাপিত এ প্রস্তাবেন বাংলাদেশসহ ২৮টি দেশ পক্ষে ভোট দিয়েছে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানিসহ ছয়টি দেশ প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছিল। আর ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিল ভারত ও ফ্রান্সসহ ১৩টি দেশ। উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর গাজার ইরেজ সীমান্ত দিয়ে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জন মানুষকে হত্যা করে হামাস। পাশপাশি জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় ২৪২ জনকে। এরপর গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। দখলদারদের এমন হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৩ হাজার ছাড়িয়েছে। এরমধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই ২৪ হাজারের বেশি। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ২০ লাখ মানুষ। ২২৯টি মসজিদ সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে। সূত্র : রয়টার্স
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:১১

বাংলাদেশকে ৪৯৫ টাকায় গরুর মাংস দিতে চায় ব্রাজিল
লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল বেশ কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশে গরুর মাংস রপ্তানিতে আগ্রহ দেখিয়ে আসছে। প্রতি কেজি গরুর মাংস সাড়ে চার মার্কিন ডলারে (৪৯৫ টাকা) বাংলাদেশকে দিতে চায় লাতিন আমেরিকার এই দেশটি। কূটনীতিক সূত্র জানিয়েছে, রোববার (৭ এপ্রিল) ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাউরো ভিয়েরা দুই দিনের সফরে ঢাকায় আসবেন। তখন বিষয়টি আলোচনায় গুরুত্ব পাবে। ২০২৩ সালে বিশ্বের ১২৬টি দেশে গরুর মাংস রপ্তানি করেছিল ব্রাজিল। গত বছর ব্রাজিল ছিল বিশ্বের সবচেয়ে বেশি গরুর মাংস রপ্তানিকারক দেশ। ঢাকা ও ব্রাজিলের কূটনৈতিক সূত্রে জানা যায়, মাউরো ভিয়েরার সফরকে সামনে রেখে গত মঙ্গলবার পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে আলোচনা করেন ঢাকায় নিযুক্ত ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত পাওলো ফার্নান্দো দিয়াস ফেরেস। এ সময় তিনি গরুর মাংস রপ্তানির বিষয়টি আলোচনায় তুলেছেন। ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে সে দেশের গরুর মাংস রপ্তানিকারক সমিতির একাধিক জ্যেষ্ঠ প্রতিনিধির ঢাকায় আসার কথা রয়েছে। দুই দিনের সফরে ঢাকা এসে রোববার (৭ এপ্রিল) বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন মাউরো ভিয়েরা। সোমবার (৮ এপ্রিল) তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। এই প্রথম ব্রাজিলের কোনো পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকা সফরে আসছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ গত মঙ্গলবার তার দপ্তরে সাংবাদিকদের সফরটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে অভিহিত করেছেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেছিলেন, ব্রাজিল থেকে আমরা ভোজ্যতেল ও অন্যান্য পণ্য আমদানি করি। দক্ষিণ আমেরিকায় আমাদের রপ্তানি অনেকটাই এখনো আন–এক্সপ্লোরড রয়ে গেছে। ব্রাজিল বড় দেশ, তাদের ক্রয়ক্ষমতাও বেশি। ফলে তাদের সাথে বাণিজ্য সম্পর্ক বৃদ্ধির ব্যাপক সুযোগ রয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের পর কারিগরি সহযোগিতার রূপরেখা চুক্তি ও ক্রীড়া খাতে সহযোগিতা, বিশেষ করে ফুটবলের বিকাশে একটি সমঝোতা স্মারক সই হবে। বিভিন্ন খাতে সহযোগিতার বিষয়ে ব্রাজিল এখন পর্যন্ত বিশ্বের ১১৮টি দেশের সঙ্গে একটি রূপরেখা চুক্তি সই করেছে। এবারের সফরে বাংলাদেশের সঙ্গে কারিগরি সহযোগিতার ওই রূপরেখা চুক্তি সই হবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, চুক্তিতে কোন কোন খাতে সহযোগিতা হবে, তা চিহ্নিত করা হবে। পরে নির্দিষ্ট খাতের আওতায় প্রকল্প নিয়ে সেগুলো বাস্তবায়ন করা হবে। বাংলাদেশের সঙ্গে ব্রাজিলের কারিগরি সহযোগিতার রূপরেখা চুক্তিতে রয়েছে কৃষি, জ্বালানি, পানিসম্পদ, বনায়ন, শিক্ষ ও মৎস্যসম্পদ খাত। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রথম ঢাকা সফরে দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ানোর বিষয়ই মূলত প্রাধান্য পাবে। ব্রাজিলের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য তিন বছরের মধ্যে ১৫০ কোটি ডলার থেকে বেড়ে এ মুহূর্তে ২৭০ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। এর মধ্যে ভোজ্যতেল, চিনি ও তুলার আমদানিতে অধিকাংশ ব্যয় হয়েছে। ব্রাজিলের পক্ষ থেকে এ সফরে ইথানল রপ্তানি, তুলার রপ্তানি বাড়ানো, পোলট্রি ও ফিশ ফিড ও গরুর মাংস রপ্তানির বিষয়গুলো গুরুত্ব পাবে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ওষুধ ও তৈরি পোশাক রপ্তানি, ইথানল আমদানি বা দেশে ইথানল উৎপাদনে সহায়তা প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি গভীর সমুদ্রে মাছ ধরা ও সামুদ্রিক পর্যটনে সহায়তার ওপর জোর দেওয়া হবে।
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৩০

আ.লীগ ছদ্মবেশে একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চায় : মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ১৯৭৫ সালের মতো আওয়ামী লীগ বাকশাল তৈরি করতে চায়। এবার তারা রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে বাকশালী শাসনব্যবস্থা কায়েম করছে। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) ঠাকুরগাঁও শহরের সাধারণ পাঠাগার চত্বরে সদর উপজেলা বিএনপির দোয়া ও ইফতার মাহফিলে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।  মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে অসংখ্য মানুষকে হত্যা ও গুম করেছে। প্রায় ৬০ লাখ নিরপরাধ মানুষের নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। কারাগারে এক দিনে নিয়ে গেছে ৩০ হাজার মানুষকে। এভাবে তারা রাষ্ট্র যন্ত্রকে অসাংবিধানিকভাবে ব্যবহার করে দেশের জনগণের যে আকাঙ্ক্ষা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা সেটি ধ্বংস করে দিয়েছে। কিন্তু আন্দোলন দমিয়ে রাখতে পারিনি, আজকের সমাবেশে হাজার হাজার নেতা কর্মীদের উপস্থিতিতে সেটি তার প্রমাণ। নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, এ অবৈধ সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়নি। যাদের কোনো ম্যান্ডেট নাই, তাদের যদি ক্ষমতায় আরও থাকতে দেওয়া হয় তাহলে ভয়াবহ পরিণতি হবে বাংলাদেশের। বর্তমানে গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার কোনো বিকল্প নেই। সে জন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে শক্তিশালী সংগঠন গড়ে তুলে সেই সংগ্রামকে আরও বেশি জোরদার করতে হবে। মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপিকে ক্ষমতায় নিয়ে আসার জন্য আমরা আন্দোলন করছি না, আমরা আন্দোলন করছি ভোটের অধিকার, অন্নের অধিকার, বেঁচে থাকার অধিকার এবং কথা বলার অধিকারের জন্য। পুলিশের সাবেক আইজি বেনজির প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, তিনি ১৭০০ কোটি টাকার সম্পত্তি তৈরি করেছেন নিজের নামে। এরপরও নামে–বেনামে হাজার-হাজার কোটি টাকার মালিক। আওয়ামী লীগ এভাবে সমস্ত রাষ্ট্রযন্ত্রকে দুর্নীতিগ্রস্ত করে তাদের ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করছে। সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল হামিদের সভাপতিত্বে ইফতার মাহফিলে আরও বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমীন, অর্থ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক মামুন-উর-রশিদ প্রমুখ। এর আগে তিনি বিভিন্ন মামলায় কারামুক্ত দলীয় নেতাকর্মীদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। 
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ২১:৩১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়