• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
‘রিজার্ভ নিয়ে আমাদের কোনো সংকট নেই’
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেছেন, দেশে রিজার্ভের কারণে উন্নয়ন প্রকল্পে কার্যক্রম স্থবির হয়ে নেই। কোনো উন্নয়ন কার্যক্রমই স্থবির হয়ে পড়েনি। সব কার্যক্রম চলমান। রিজার্ভ নিয়েও আমাদের কোনো সংকট নেই। রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাজশাহী সার্কিট হাউজ সম্মেলন কক্ষে রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় চলমান উন্নয়ন প্রকল্পগুলোতে দীর্ঘসূত্রিতা পরিহার করে কীভাবে দ্রুত করা যায় সেটি নিশ্চিত করা হচ্ছে বলেও জানান গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী।  তিনি বলেন, কাজের গুণগতমান ভালো করতে গিয়ে অনেক সময় দেরি হয়। সেটি বিবেচনায় রেখে কোনো কাজ যাতে প্রলম্বিত না হয় সে বিষয়ে তৎপর রয়েছি। তিনি আরও বলেন, সিটি করপোরেশন, পিডব্লিউডি ও বিদ্যুৎ বিভাগের মতো পরিষেবা দানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সমন্বয়ের অভাবে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা উন্নয়ন প্রকল্পগুলোতে দীর্ঘসূত্রিতা বাড়ছে। রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (আরডিএ) থেকে অনুমতি না নিয়ে কেউ যদি আবাসন গড়ে তোলেন সেটা বেআইনি কাজ। সেই বিষয়টি দেখবেন জেলা প্রশাসক। কেউ অনিয়ম করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ সময় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, রাজশাহী জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদসহ অন্যান্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। বিকেলে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় এবং সরকারি মেডিকেল কলেজে ১০০ শয্যাবিশিষ্ট ক্যানসার চিকিৎসাকেন্দ্র এবং রাজশাহী বঙ্গবন্ধু স্কয়ার পরিদর্শন করবেন মন্ত্রী।
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:১১

‘ঘুষ দিয়ে অনুমোদন নেওয়া মসজিদে নামাজ পড়া নাজায়েজ’
গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী আ ম উবায়দুল মুক্তাদির চৌধুরী বলেছেন, ঘুষ দিয়ে মসজিদের অনুমোদন নিলে সেখানে নামাজ পড়া নাজায়েজ হবে। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) সচিবালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়সভায় তিনি এ কথা বলেন। এক প্রশ্নের জবাবে গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, রাজউকে ঘুষ দিয়ে যে মসজিদের অনুমোদন নিতে হয়েছে, সেখানে নামাজ পড়া নাজায়েজ হবে। সেই মসজিদ ভেঙে ফেলা উচিত। তবে রাজউকের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে সেটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন দুর্নীতিতে জিরো টলারেন্স। আমরাও চাই দুর্নীতিতে জিরো টলারেন্স। তিনি বলেন, দুর্নীতি রোধ ও সরকারি ভবন নির্মাণে অপচয় কমানোর চেষ্টা করা হবে। এ জন্য দুর্নীতির ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতিগ্রহণ করা হবে।  আ ম উবায়দুল মুক্তাদির চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমার ওপর আস্থা রেখে আমাকে একটি দায়িত্ব দিয়েছেন। এই দায়িত্ব পালনে আমি আপনাদের সহযোগিতা চাই। আমি আশা করি, আপনারা আমাকে সহযোগিতা করবেন। দায়িত্বপালনের সময় যদি আমি কোনো অপরাধমূলক কাজ করি তাহলে অবশ্যই সেটা আপনারা হিসাবে নেবেন। কিন্তু আমি যেন বারবার অপতথ্যের শিকার না হই।  তিনি বলেন, যেখানে যেটা হাত দেওয়া দরকার সেখানেই আমি আমার সাধ্য অনুযায়ী কাজ করব। এটা আমার নিজের জ্ঞান ও আপনাদের পরিবেশিত সংবাদ থেকে সাহায্য নিয়ে করব। আমার জীবনে আমি আইন ভেঙে আন্দোলন করেছি। আইন ভেঙে সংগ্রাম করেছি। কারণ সংগ্রাম করতে গেলে, আন্দোলন করতে গেলে সবসময় আইন মেনে করা যায় না। আইয়ুব খানের সময়ে যদি আমি মনে করতাম আইন ভঙ্গ করব না তাহলে আমার পক্ষে আন্দোলন করা সম্ভব হতো না, আজকের বাংলাদেশও হতো না। আমরা আইন ভেঙ্গেই আন্দোলন করেছিলাম। তিনি আরও বলেন, সরকারি কাজ আইন মেনে চলবে এটাই নিয়ম। আমি আইনগতভাবে বিধি-বিধান মেনে যতটুকু কাজ করা সম্ভব করব। সচিব ও গৃহায়নের চেয়ারম্যানের প্লট নেওয়ার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, আইনের বাইরে কিছু করলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 
৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:৩০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়