• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ঘরে বসেই করা যাবে ডেঙ্গু পরীক্ষা, খরচ ১২০ টাকা
বাংলাদেশ রেফারেন্স ইনস্টিটিউট ফর কেমিক্যাল মেজারমেন্টসের (বিআরআইসিএম) তৈরি কিট দিয়ে এখন ঘরে বসেই ডেঙ্গু পরীক্ষা করা যাবে। ডেঙ্গু র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন কিটটি নামক কিটটির মূল্য মাত্র ১২০ টাকা। যা ডেঙ্গুর সব ধরনের সেরোটাইপ শনাক্ত করতে সক্ষম। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) গণমাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন বিআরআইসিএম-এর মহাপরিচালক মালা খান। তিনি বলেন, ২০২১ সাল থেকে যখন দেশে ডেঙ্গু বাড়তে শুরু করে তখন থেকে আমরা কিট তৈরির কাজ করি। প্রোটোকলটি তৈরির পর ২০২২ সালের মার্চ মাসে এটি বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল (বিএমআরসি) এর কাছে জমা দেই। পরে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন অ্যান্ড রেফারেল সেন্টারে ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৩ সালের আগস্ট মধ্যে কিটটির ক্লিনিকাল ট্রায়াল হয়। আমরা যে কিট তৈরি করেছি সব করসহ এর দাম হবে ১২০ টাকা, যা আমদানি করা কিটের চেয়ে সস্তা। ডিজিডিএর উপ-পরিচালক মো. আব্দুল মালেক।সবকিছু যাচাই-বাছাই করার পর, আমরা বিআরআইসিএমকে ড্রাগ লাইসেন্স দিয়েছি এবং এই বছরের ১৫ জানুয়ারি থেকে কিট উৎপাদন শুরু করার অনুমোদন দিয়েছি। জানা গেছে, গত জানুয়ারিতে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর (ডিজিডিএ) কিটটির বাণিজ্যিক উৎপাদনের অনুমোদন দেয়। বিআরআইসিএম কর্মকর্তারা বলেন, সরকারকে বৈদেশিক মুদ্রা খরচ করে বিদেশ থেকে বিপুল সংখ্যক টেস্ট কিট আমদানি করতে হয়। যদি সরকারি হাসপাতালগুলো স্থানীয় পরীক্ষার তাদের কিট ব্যবহার করে তবে এটি ফরেক্সের ওপর চাপ কমিয়ে দেবে। তারা জানান, গত ২১ জানুয়ারি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে এই পরীক্ষার কিটগুলো কেনার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবে এখনও কোনো অর্ডার পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম জানান, এটি খুবই ভালো খবর। যেকোনো পণ্য কেনার জন্য আমাদের পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। আমরা আমাদের স্থানীয় পণ্যের প্রচার করতে চাই। সবগুলো মানদণ্ড পূরণ হলে আমরা অবশ্যই কিটটি কিনব।
২০ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:০৫

হজ প্যাকেজের খরচ কমলো
এ বছর সাধারণ হজ প্যাকেজের খরচ সরকারিভাবে ১ লাখ ৪ হাজার ১৭৮ টাকা এবং বেসরকারিভাবে ৮২ হাজার ৮১৮ টাকা কমানো হয়েছে। শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে হজ যাত্রী প্রশিক্ষণ ২০২৪ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানান ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। মন্ত্রী বলেন, হজ যাত্রীরা যাতে একেবারেই যৌক্তিক খরচে হজ্জ পালন করতে পারেন সে বিষয় সরকার তৎপর রয়েছে সরকার। যাত্রীদের নিবন্ধন থেকে শুরু করে দাপ্তরিক যে প্রক্রিয়াগুলো আরও কিভাবে সহজ করা যায় সে বিষয়ে কাজ করা হচ্ছে।  তিনি আরও বলেন, টাকার বিপরীতে ডলারের দাম বৃদ্ধির পরেও হজের খরচ কমানো সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছায়। প্রশিক্ষণে হজ্জের নিয়ম, হজ্জক্যাম্পে, বিমান বন্দরে, সৌদি আরবে হজ্জের সময় করণীয় ও সার্বিক ব্যবস্থা নিয়ে হজ যাত্রীদের হাতে-কলমে বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে হজ যাত্রীদের সব ধরনের দায়িত্ব ও সুবিধা অসুবিধা সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়।
২০ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:০৫

ইরানের এক রাতের হামলা ঠেকাতে যত খরচ ইসরায়েলের
রাতভর ইরানের বিশাল ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ঠেকিয়ে দেওয়া প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করতে ইসরায়েলের ১০০ কোটি ডলারের বেশি খরচ হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর সাবেক অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রিম আমিনোচ। রোববার (১৪ এপ্রিল) এ খবর জানিয়েছে মিডলইস্ট আই। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ইয়ানেত নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ খবর অনুমান করে জানান রিম আমিনো। তিনি বলেন, রাতারাতি ইরানের বিপুল সংখ্যক ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা রুখে দেওয়ার জন্য প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করতে ইসরায়েলের ১ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি খরচ হয়েছে। অ্যামিনোচ বলেন, ইসরাইলে আক্রমণ পরিচালনার জন্য ইরান খুবই স্বল্প পরিমাণে ব্যয় করেছে। এই রাতে তাদের ব্যয় ইসরায়েলের ব্যয়ের ১০ শতাংশেরও কম।    গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে ইরানের বিপ্লবী গার্ডের দুই কমান্ডারসহ ৭ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হত্যা করে ইসরায়েল। সেই থেকে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যকার উত্তেজনা চরম পর্যায়ে ওঠে। এরপর প্রতিশোধ হিসেবে শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাতে ইসরায়েলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে কয়েকশ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়ে ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড কোর তথা আইআরজিসি। এছাড়া ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতি এবং লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকেও রকেট হামলা চালানো হয়। ইসরায়েল বলছে, তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে ইরান।
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ০০:১৫

‘নির্বাচনে খরচ ১ কোটি ২৬ লাখ, যেভাবেই হোক তুলবো’
নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনের সংসদ সদস্য মো. আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, ‘নির্বাচনে ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এইটা আমি তুলব, যেভাবেই হোক। এটুকু অন্যায় আমি করব, আর করব না।’ মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) জেলার লালপুর উপজেলা পরিষদে আয়োজিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এমন বক্তব্য দেন। তার এ বক্তব্যের ভিডিও এখন ‘টক অব দ্য টাউনে’ পরিণত হয়েছে। ভিডিওতে সংসদ সদস্য মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আপনার টাকা আমার প্রকল্প থেকে দিয়েছি। আমি তো বাড়ির জমি বিক্রি করে দিইনি। আমার বেতন-ভাতার টাকাটাও দিইনি। গত পাঁচ বছরের বেতন-ভাতার এক কোটি ২৬ লাখ টাকা ছাড়া আমার কোনো সম্পদ ছিল না। আগামীতেও থাকবে না। তবে নির্বাচনে ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা খরচ করেছি, এটা তুলবো। এটা আমি তুলবো, যেভাবেই হোক আমি তুলবো। এইটুক অন্যায় করবো, আর করবো না।’ তিনি বলেন, ‘গত নির্বাচনে ২৫ লাখ টাকা ব্যাংকে জমা দিয়েছি। ট্যাক্স-ফ্রি গাড়ি কিনেছিলাম ২৭ লাখ টাকা দিয়ে। আমি চাইলে এক কোটি টাকা দিয়ে কিনতে পারতাম। যেহেতু আমার টাকা নেই, আমি ২৭ লাখ টাকা দিয়ে কিনেছিলাম। এবার আমি কিনব, ওই টাকা দিয়ে কিনব। ওই টাকা, আমি তুলে নেবো এবার। নিয়ে আর কিছু করবো না। খালি এই এক কোটি ২৬ লাখ টাকা তুলবো।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমার প্রকল্প থেকে আগে সাইকেল দিছি, দরকার হলে মোটরসাইকেল দেব অসুবিধা নেই। আমি অন্যায় করবো না। যার টাকা তাকে দেব।’ সংসদ সদস্য মো. আবুল কালাম আজাদের এ বক্তব্য নিয়ে বিব্রতবোধ করছেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাও। নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম বলেন, আবুল কালাম আজাদ দলীয় অনুষ্ঠানে এমন বক্তব্য দেননি। এটি তার নিজস্ব বক্তব্য, এর দায়ভার আওয়ামী লীগ নেবে না। এই দায়ভার তার একদম নিজস্ব। তার এ বক্তব্যকে কাণ্ডজ্ঞানহীন। লালপুরের ইউএনও শারমিন আখতার সংসদ সদস্যের এ বক্তব্য প্রসঙ্গে বলেন, এমপি যা বলেছেন, তা সম্পূর্ণভাবে তার নিজস্ব ব্যাপার। এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না।  বক্তব্যের বিষয়ে সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমার বক্তব্য বিকৃত করে প্রচার করা হচ্ছে। আমি সিরিয়াস কোনো কথা বলিনি, কথার কথা বলেছি। এটা মজা করেও বলা যেতে পারে।  
২৯ মার্চ ২০২৪, ০৯:১১

খরচ বেড়েছে মোবাইল ইন্টারনেটের
চলতি বছরে মোবাইল ইন্টারনেটের দাম প্রতি জিবিতে গড়ে বেড়েছে ২০ টাকা। গ্রামীণফোনের ইন্টারনেটের দাম প্রতি জিবিতে বেড়েছে ২১ টাকা। আর রবি ও বাংলালিংকের দাম বেড়েছে জিবিতে ২০ টাকা।   এই তিন কোম্পানির সিম দিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের খরচ বেড়ে গেছে ৩০ শতাংশ। তবে রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল অপারেটর কোম্পানি টেলিটকের ইন্টারনেটের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন। জানা গেছে, ২০২৩ সালের ১৫ অক্টোবর থেকে ৩ থেকে ১৫ দিনের ইন্টারনেট প্যাকেজ বন্ধ করে দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। পাশাপাশি ইন্টারনেট প্যাকেজের সংখ্যা ৯৫ থেকে কমিয়ে ৪০টিতে নামিয়ে আনা হয়। এর ফলে ইন্টারনেট ব্যবহারে গ্রাহকদের খরচ বাড়ে ১০ থেকে ১৫ টাকা। পরবর্তিতে নির্বাচনের আগে ৬৮ টাকায় দেড় জিবি ইন্টারনেট দেয় অপারেটরগুলো। কিন্ত দুই সপ্তাহ আগে ৬৮ টাকায় এক জিবি ইন্টারনেট পাচ্ছেন গ্রাহকরা। তার আগে এক জিবি ইন্টারনেট ব্যবহারে খরচ ছিল ৪৮ টাকায়। এ প্যাকেজের দাম জাতীয় নির্বাচনের আগে বাড়িয়ে ৬৮-৬৯ টাকা করা হয়। এর প্রতিবাদ জানান গ্রাহকরা। সে সময় তৎকালীন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার কমিশনে অপারেটরদেরকে ডেকে আগের দাম বহাল রাখতে নির্দেশনা দেন। বাধ্য হয়ে অপারেটররা এক জিবি সাতদিন মেয়াদে দাম নির্ধারণ করে দেয় ৪৮ টাকায়। কিন্তু নভেম্বরে দেড় জিবি ইন্টারনেটের প্যাকেজ করা হয় ৬৮-৬৯ টাকায়। ২০ জানুয়ারির পর দেড় জিবির স্থলের ইন্টারনেট প্যাকেজ এক জিবির দাম একই রাখে, অর্থাৎ এক জিবি ইন্টারনেটের দাম ৬৮-৬৯ টাকা নেওয়া হয়। বর্তমানেও ৭ দিন মেয়াদের এক জিবি ইন্টারনেট কিনতে গ্রাহককে গুনতে হচ্ছে ৬৮ থেকে ৬৯ টাকা। ফলে সর্বনিম্ন প্যাকেজের প্রতি জিবির ইন্টারনেটের দাম বেড়েছে ২০- ২১ টাকা । বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, এভাবে ইন্টারনেটের দাম বাড়ানোয় গ্রাহকের মধ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। গ্রাহক সংখ্যাও কমে যাচ্ছে। কেন অপারেটররা ইন্টারনেটের দাম বাড়ালো, তার সঠিক ব্যাখ্যা কমিশনের নেওয়া উচিত। বিটিআরসির তথ্যমতে, গত বছরের ডিসেম্বরে দেশে মোবাইল ইন্টারনেট গ্রাহকের সংখ্যা ছিল ১১ কোটি ৮৪ লাখ। চলতি জানুয়ারিতে সেই সংখ্যা কমে হয় ১১ কোটি ৬৩ লাখ। এরপর ফেব্রুয়ারি মাস পার হলেও এখনো এ মাসের ইন্টারনেট গ্রাহক সংখ্যা প্রকাশ করেনি বিটিআরসি।
১৭ মার্চ ২০২৪, ১৯:৪১

প্লে-অফের লড়াই দেখতে খরচ করতে হবে বাড়তি টাকা
গত ১৯ জানুয়ারি মিরপুরে পর্দা উঠেছিল বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল)। এরই মধ্যে শেষ হতে চলেছে টুর্নামেন্টটি। লিগ পর্ব শেষ করে এবার শুরু হবে চার দলকে নিয়ে নকআউট পর্ব। যেখানে অংশ নিয়েছে শক্তিশালী চার দল। এই চার দলের লড়াই দেখতে দর্শকদের খরচ করতে আগের ম্যাচের থেকে বাড়তি অর্থ। শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে বিপিএলের নকআউট পর্বের ম্যাচের মূল্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। যেখানে লিগ পর্বের ম্যাচের তুলনায় বাড়ানো হয়েছে টিকিটের দাম। নকআউট পর্বে সাধারণ গ্যালারি অর্থাৎ সর্বনিম্ন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে মাত্র ৩০০ টাকা, যা আগে ছিল ২০০টাকা। উত্তর ও দক্ষিণ স্ট্যান্ডের টিকিটের দাম ধরা হয়েছে ৫০০ টাকা যার পর্বের মূল্য ছিল ৪০০ টাকা।   তবে বাড়ানো হয় গ্র্যান্ডস্ট্যান্ড টিকিটের মূল্য। আগের মতোই সর্বোচ্চ মূল্য ধরা হয়েছে ২ হাজার ৫০০ টাকা। এ ছাড়াও ক্লাব হাউজ ৮০০ টাকা ও ভিআইপি স্ট্যান্ডের প্রবেশ মূল্য ১ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি মাঠে পড়াবে বিপিএলের নকআউট পর্বে প্রথম দুই ম্যাচ। আর এই ম্যাচের টিকিট পাওয়া যাবে ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে। সকাল ৯টা ৩০ মিনিট থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত মিরপুরের ইনডোরে এবং শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ১ নং গেট থেকে টিকিট নিতে পারবে দর্শকরা।
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:০৪

রোহিঙ্গা খাতে দেশের বার্ষিক খরচ ১২০ কোটি টাকা : দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী
বাংলাদেশে শরণার্থী হিসেবে বাস করা রোহিঙ্গাদের পেছনে প্রতি বছর সরকারের ১২০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান। শুধু তাই নয়, শরণার্থীদের জনসংখ্যা বৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতি এবং বিদেশি সাহায্য কমে আসার কারণে এই খরচ আরও বাড়ছে বলেও জানান তিনি।  সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার গুলশানে এজ গ্যালারি বে’স এজওয়াটারে ইন্টারন্যাশনাল রেস্কিউ কমিটি আয়োজিত আলোকচিত্র প্রদর্শনী 'থ্রু দ্য লেন্স অফ হোপ: রোহিঙ্গা ক্রাইসিস আনফোল্ডেড' শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব তথ্য দেন প্রতিমন্ত্রী।  মহিববুর রহমান বলেছেন, মিয়ানমার থেকে বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা নাগরিক গত সাত বছরেরও বেশি সময় ধরে আমাদের কক্সবাজার উপকূলে আশ্রয় নিয়ে আছে। ২০১৭ সালে বাংলাদেশ সরকার তাদের আশ্রয় দিয়েছে। আর এই উদারতা আমাদের অর্থনীতির জন্য বড় আকারের বোঝা হিসেবে পরিণত হতে বেশি সময় নেয়নি। এরপর তিনি বলেন, প্রতি বছর এই রোহিঙ্গা খাতে আমাদের খরচ হয়েছে প্রায় ১২০ কোটি টাকা। এছাড়াও শরণার্থীদের জনসংখ্যা বৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতি এবং বিদেশি সাহায্য কমে আসার কারণে খরচের পরিমাণ প্রতিনিয়ত বাড়ছে।  শরণার্থীদের আগমনের কারণে স্থানীয় চাকরির বাজারেও প্রভাব পড়েছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, শ্রমিকের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় শ্রমের মূল্য কমেছে। ফলে স্থানীয় শ্রমিকদের কাজের সুযোগ কমে গেছে।  তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের উপস্থিতি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য মারাত্মক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনও ধরনের সমাধান না আসায় এই সমস্যা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে। শরণার্থীদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের সিদ্ধান্ত এখনও অনিশ্চিত থাকায় বিভিন্ন ধরণের সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। যার মধ্যে মাদক ও মানবপাচারের মতো বিভিন্ন সীমান্ত অপরাধ রয়েছে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই সমস্যার চূড়ান্ত সমাধান হলো নিরাপদে, স্বেচ্ছায় এবং স্থায়ীভাবে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করা। আইআরসির এমন একটি আলোকচিত্র প্রদর্শনীর মাধ্যমে আমরা এক ধরনের ইতিবাচক পরিবর্তনের আশা করছি, যার মাধ্যমে জাতিসংঘের প্রতিনিধি, দাতা সংস্থা, ইউএসএইড এবং বিশ্বনেতারা সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ গ্রহণে সচেষ্ট হতে পারবেন।  অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসান, ইউএসএইড-এর মিশন ডিরেক্টর রিড জে একিলম্যান, ইউএনএইচসিআর প্রতিনিধি এমএস সুম্বুল রিজভি, ইন্টারন্যাশনাল রেস্কিউ কমিটির কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিনা রহমানসহ বিভিন্ন দাতা সংস্থা, দূতাবাস, জাতিসংঘ, আইএনজিও এবং এনজিও প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০১:১৫

খরচ কমাতে বাড়িতে গাঁজা চাষ, বাগান মালিকসহ গ্রেপ্তার ৪
গাঁজা তো কিনে সেবন করতে হয়। যদি গাছই লাগানো যায়! এতে নিজের চাহিদা যেমন পূরণ হবে তেমনি বিক্রি করে বাড়তি আয় করা যাবে। দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে এমন পরিকল্পনা থেকেই বাড়ির আঙিনার পাশে বাঁশের চাটাই দিয়ে চারপাশে বেড়া তৈরি করে গাঁজার চাষ করেন বীরবল (৪০) নামের এক ব্যক্তি। এ খবর জানতে পেরে পুলিশ অভিযান চালায় তার বাড়িতে।  রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টায় উপজেলার সিংড়া ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে ওই গাঁজা গাছের মালিকসহ গ্রেপ্তার করা হয় আরও তিনজনকে। গ্রেপ্তারকৃত অন্য তিনজন হলেন ঘোড়াঘাট উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের সত্যজিৎ (৩০), সাতপাড়া গ্রামের শাহ আলম (৩৫) ও গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলা সুলতানপুর গ্রামের উপেন দাস (৫৫)।  ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্তাকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান। তিনি জানান, সাধারণ মানুষ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ এড়াতে বীরবল নামের ওই ব্যক্তি নিজের বাড়ির আঙিনাতেই সযত্নে রোপণ করেছিলেন গাঁজার গাছ। তিনি নিজেও একজন গাঁজা সেবনকারী। বাইরে থেকে কিনতে গেলে খরচ বেশি হয়। তাই নিজেই বীজ রোপণ করেছিলেন। এ ছাড়াও তিনি নিজের গাছের গাঁজা বিক্রি করে অর্থ উপার্জনের স্বপ্ন দেখছিলেন। বিক্রিও শুরু করেছিলেন। পরে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে উপ-পরিদর্শক মেহেদী হাসান ও অরুপ কুমার রায়সহ পুলিশের একটি দল তার বাড়িতে অভিযান চালায়। সেসময় ১৩ কেজি ওজনের ১১ ফিট লম্বা গাঁজার গাছ ও ৭০ গ্রাম গাঁজাসহ গাঁজা সেবনের সামগ্রী উদ্ধার করা হয়।  তিনি আরও জানান, বসতবাড়িতে গাঁজার গাছ চাষাবাদ এবং ক্রয়-বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে হেফাজতে রেখে সেবনের অপরাধে চার জনের নাম উল্লেখ করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু হয়েছে। আজ রোববার তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়।
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:০৬

ডলারের দাম বাড়ায় হজের খরচ কমানো সম্ভব হয়নি : ধর্মমন্ত্রী
ডলারের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় সৌদি আরবের মুদ্রা রিয়ালের মূল্য অনেক বেড়ে গেছে, তাই সরকারের ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও হজের ব্যয় কমানো সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে ঢাকা-৫ আসনের সংসদ সদস্য মশিউর রহমান মোল্লা সজলের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে তিনি এই কথা জানান। অধিবেশনে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন। ধর্মমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম হজে প্রেরণকারী দেশ বাংলাদেশ। ২০২৪ সালে বাংলাদেশের হজযাত্রীর কোটা এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন। বিগত বছরগুলোর মতো এবারও যেন পূর্ণ কোটায় হজযাত্রী পাঠানো যায় সেজন্য ২০২৩ সালের হজের চেয়ে ৯২ হাজার ৪৫০ টাকা কমিয়ে পাঁচ লাখ ৭৮ হাজার ৮৪০ টাকার সাধারণ হজ প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। সব শ্রেণি-পেশার মানুষ যেন হজে যেতে পারেন সেজন্যই এটি করা হয়েছে। তিনি বলেন, সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনার অনেক এলাকায় বাড়ি ও হোটেল ভেঙে ফেলায় বাড়ি ভাড়ার ব্যয় এ বছর অনেক বেড়েছে। বৈশ্বিক নানা কারণে ডলারের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় রিয়ালের মূল্যও অনেক বেড়েছে। এ ছাড়া মিনায় মিনা আরাফায় তাবু ভাড়াসহ মেয়াল্লেম ফি বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব কারণে সরকারের ইচ্ছা সত্ত্বেও হজের ব্যয় আর কমানো সম্ভব হয়নি। ফরিদুল হক খান আরও বলেন, অধিক সুযোগ-সুবিধা আশা করেন এরকম হজযাত্রীদের ক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি উভয় মাধ্যমের জন্য বিশেষ প্যাকেজের ব্যবস্থা রয়েছে। সরকারি মাধ্যমের বিশেষ প্যাকেজের মূল্য ৯ লাখ ৩৬ হাজার টাকা।
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৪৮

প্রবাসীদের জন্য হজের খরচ কমলো
এবার নিজ দেশের নাগরিক ও প্রবাসীদের জন্য হজের খরচ কমিয়েছে সৌদি সরকার। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। গত ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশটির হজ ও উমরাহ মন্ত্রণালয় ইলেকট্রনিক পদ্ধতি ব্যবহার করে নিজেদের নাগরিক এবং প্রবাসীদের হজ নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু করে। মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট ও নুসুক অ্যাপের মাধ্যমে এই নিবন্ধন চলছে। এর মাধ্যমে খুব সহজেই নিবন্ধন করতে পারছেন হজ পালনে ইচ্ছুকরা। এ ছাড়া এবার সৌদির নাগরিক ও প্রবাসীদের জন্য হজের খরচ কমানো হয়েছে। এবার অভ্যন্তরীণ হাজিদের জন্য চারটি প্যাকেজ থাকবে। যার মধ্যে একটি হলো ‘কম খরচের’ প্যাকেজ। এবার এই প্যাকেজটির মূল্য কমিয়ে করা হয়েছে ৩ হাজার ১৪৫ সৌদি রিয়াল। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৯২ হাজার টাকা। এ ছাড়া হাজিদের পরিবহনে আল মাসেয়ার ট্রেন সার্ভিসের ভাড়া ৪০০ রিয়াল থেকে ৩০০ রিয়াল করা হয়েছে বলেও জানা গেছে। তবে এ বিষয়টি এখনও নিশ্চিত করেনি সৌদির হজ ও উমরাহ মন্ত্রণালয়। উল্লেখ্য, আগামী জুনে সৌদি আরবে হজের নতুন মৌসুম শুরু হবে। আগে মক্কায় নির্দিষ্ট দেশের জন্য নির্দিষ্ট স্থান বরাদ্দ রাখা হতো। তবে এবার যেসব দেশ আগে নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে সেসব দেশ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে স্থান বরাদ্দ পাবে।
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:০১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়