• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ক্ষেপণাস্ত্র হামলার তথ্য নাকচ করলো ইরান
ইরানে ইসরায়েল ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দাবিটি নাকচ করে দিয়েছে ইরান। তেহরানের দাবি, ইরানে কোনো ক্ষেপণাস্ত্রের হামলা হয়নি, তিনটি ড্রোন এসেছিল সেগুলো আকাশেই ধ্বংস করা হয়েছে। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) এক ইরানি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। ইরানি ওই কর্মকর্তা বলেন, ইসফাহানের বিমানবন্দরে বিস্ফোরণের যে শব্দ পাওয়া গেছে তার কারণ ইরানের আকাশ সুরক্ষাব্যবস্থা সক্রিয় হয়ে ওঠা। ইরানে কোনো ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়নি। এদিকে ইরানের মহাকাশ সংস্থার মুখপাত্র হোসেইন দালিরিয়ান সামাজিকমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলেছেন, এয়ার ডিফেন্সের মাধ্যমে বেশ কয়েকটি ড্রোন সফলভাবে ভূপাতিত করা হয়েছে। আপাতত কোনো ক্ষেপণাস্ত্র হামলার খবর নেই। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (১৯ এপ্রিল) রাতে ইরানের ইসফাহান শহরে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। ইসফাহান শহরের কাছে বিস্ফোরণের খবর পাওয়ার পর বিভিন্ন প্রদেশে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করেছে ইরান। একই সঙ্গে তেহরান, ইসফাহান এবং শিরাজের ফ্লাইট স্থগিত করা হয়েছিল। এর আগে, গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে হামলা চালায় ইসরায়েল। হামলায় ইরানের কয়েকজন শীর্ষ সেনা কর্মকর্তা নিহত হন। ওই হামলার জবাবে গত ১৩ এপ্রিল শনিবার রাতে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি)। এ হামলার প্রতিশোধ নিতে ইরানে পাল্টা হামলার কথা বলেছিল ইসরায়েল। এর আগে, ইরান বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে জানায়, ইসরায়েলকে তাদের স্বার্থের বিরুদ্ধে সামরিক দুঃসাহসিকতা বন্ধ করতে বাধ্য করতে হবে। বিশ্লেষকরা বলছেন, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যকার যুদ্ধ এখন পুরো মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৪৮

যেসব মাইলফলক স্পর্শ করলো হায়দ্রাবাদ-বেঙ্গালুরু ম্যাচ
চলতি আইপিএলের ৩০তম ম্যাচে হায়দ্রাবাদের মুখোমুখি হয়েছিল বেঙ্গালুরু। দুই ইনিংস মিলিয়ে ৫৪৯ রান আইপিএলের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড এবং সেই সঙ্গে এক ম্যাচে ৮১টি বাউন্ডারির মাইলফলকও স্পর্শ করেছে এদিন। তবে শেষ পর্যন্ত ২৫ রানে হেরে গেছেন বিরাট কোহলিরা। প্রথম ইনিংসে আইপিএলের ইতিহাসে রেকর্ড সর্বোচ্চ ২৮৭ রান করে হায়দ্রাবাদ। ৪৯ বলে ৯টি চার আর ৮টি ছক্কায় সেঞ্চুরি করেন অস্ট্রেলিয়ান তারকা ট্রাভিস হেড। ৩১ বলে ৬৭ রান করেন দক্ষিণ আফ্রিকার তারকা ব্যাটসম্যান হেইনরিচ ক্লাসেন। মাত্র ১০ বলে ৩৭* রান করেন আবদুল সামাদ। ১৭ বলে ৩২ রান করেন এইডেন মার্করাম। বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৭ উইকেটে ২৬২ রান করে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। দলের হয়ে ৩৫ বলে ৫টি চার আর ৭টি ছক্কায় ৮৩ রান করেন দীনেশ কার্তিক। ২৮ বলে ৭টি চার আর ৪টি ছক্কায় ৬২ রান করেন অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসি। ২০ বলে ৪২ রান করে ফেরেন সাবেক অধিনায়ক বিরাট কোহলি।  এই ম্যাচে ৪০ ওভারে দুই দল মিলে ৩৮টি ছক্কা আর ৪৩টি চার মিলে টি-টোয়েন্টিতে রেকর্ড ৮১টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৫৪৯ রান করে; যা আইপিএলের ইতিহাসে রেকর্ড। এর আগে আসরের অষ্টম ম্যাচে হায়দ্রাবাদের রাজিব গান্ধী স্টেডিয়ামে হায়দ্রাবাদের মুখোমুখি হয় মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। সেই ম্যাচে দুই দল মিলে ৩৮টি ছক্কার বিশ্বরেকর্ড গড়ে ৫২৩ রান করে;যা টি-টোয়েন্টিতে কোনো ম্যাচ সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড ছিল। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে এক ম্যাচে সবচেয়ে বেশি ছক্কার আগের রেকর্ডটি হয়েছিল আফগানিস্তান প্রিমিয়ার লিগে। ২০১৮ সালে বালখ লেজেন্ডস ও কাবুল জাওয়ানানের ম্যাচে হয়েছিল ৩৭টি ছক্কা। আর আইপিএলে এক ম্যাচে আগে সবচেয়ে বেশি ছক্কা ছিল ৩৩টি। আইপিএলে এক ম্যাচে সবচেয়ে বেশি ৬৯টি বাউন্ডারির রেকর্ডও হয়েছে হায়দ্রাবাদ-মুম্বাইয়ের ম্যাচটিতে। এই ম্যাচে বাউন্ডারি হয়েছে ৬৯টি। এর আগে ২০১০ সালে চেন্নাই ও রাজস্থানের ম্যাচটিতেও হয়েছিল সমান সংখ্যক বাউন্ডারি। তবে সোমবার হায়দ্রাবাদ-বেঙ্গালুরু ম্যাচে ৮১টি বাউন্ডারির বিশ্ব রেকর্ড হয়। চার-ছক্কা থেকে আইপিএলে সবচেয়ে বেশি রান হয়েছে এই ম্যাচে ৪০০ রান। এর আগে গত ১৭ মার্চ হায়দ্রাবাদ-মুম্বাই ম্যাচে বাউন্ডারি থেকে আসে ৩৫২ রান। 
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৫৫

জাহাজ মুক্ত করলো ভারতীয় নৌবাহিনী, ১৭ ক্রু উদ্ধার
অক্ষত অবস্থায় ১৭ জন ক্রুসহ সোমালি জলদস্যুদের হাত থেকে মাল্টার পতাকাবাহী জাহাজ এমভি রুয়েনকে মুক্ত করেছে ভারতীয় নৌবাহিনী। শনিবার (১৬ মার্চ) ভারতীয় নৌবাহিনীর মুখপাত্র তার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, গত বছরের ডিসেম্বরে সোমালি দস্যুদের হাতে ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছিল কার্গো জাহাজ এমভি রুয়েনকে ভারতীয় নৌবাহিনী উদ্ধার করেছে। ভারতীয় নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ আইএনএস কলকাতা ও আইএনএস সুভদ্রার প্রচেষ্টায় গত ৪০ ঘণ্টার চেষ্টায় ৩৫ জলদস্যুকে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য করেছে। এরপর শনিবার (১৬ মার্চ) সন্ধ্যায় জাহাজটি থেকে অক্ষত অবস্থায় ১৭ জন ক্রুকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়েছে। ভারতীয় নৌবাহিনীর মুখপাত্র জানান, আইএনএস কলকাতা ভারতীয় উপকূল থেকে প্রায় ১ হাজার ৪০০ নটিক্যাল মাইল দূরে দস্যুদের নিয়ন্ত্রণে থাকা জাহাজ এমবি রুয়েনকে থামাতে বাধ্য করে। এরপর আইএনএস সুভদ্রা, হালে আরপিএ ড্রোন, পি-৮আই সামুদ্রিক টহল প্লেনের সমন্বিত কার্যকলাপ এবং সি-১৭ প্লেন থেকে কমান্ডোদের এয়ারড্রপের মাধ্যমে জাহাজটি উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, বাংলাদেশি জাহাজ আবদুল্লাহ ছিনতাইয়ে জলদস্যুরা এই জাহাজটি ব্যবহার করেছিল। #INSKolkata, in the last 40 hours, through concerted actions successfully cornered and coerced all 35 Pirates to surrender & ensured safe evacuation of 17 crew members in the evening today #16Mar 24 from the pirate vessel without any injury.#INSKolkata had carried out the https://t.co/eKxfEdMRES pic.twitter.com/tmQq2fG8yE— SpokespersonNavy (@indiannavy) March 16, 2024
১৭ মার্চ ২০২৪, ১২:২৪

সাফজয়ী ফুটবলারদের ফুল দিয়ে বরণ করলো বাফুফে
ভারতকে হারিয়ে সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশেরে মেয়েরা। ফাইনালে নির্ধারিত সময় শেষেও ১-১ গোলে ড্র হলে, টাইব্রেকারে ৩-২ গোলে ভারতকে হারিয়ে ট্রফি নিয়ে দেশে ফিরেছে সাফজয়ী মেয়েরা। সোমবার (১১ মার্চ) বাংলাদেশ বিমান এয়ালাইন্সের একটি ফ্লাইকে বিকেল ৩টা ৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল বিমান বন্দরে পা রাখেন লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। এরপর তাদের বিমান বন্দরে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের পক্ষ্য থেকে তাদের ফুল দিয়ে বরণ করা হয়। পুরো টুর্নামেন্টে টানা চার ম্যাচ জিতে অপরাজিত থেকে শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ। যেখানে ভারতকেই দুইবার হারাতে হয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের। লিগ পর্বের প্রতিবেশী দেশটিতে ৩-১ ব্যবধানে এবং ফাইনালে টাইব্রেকারে ৩-২ ব্যবধানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। অন্যদিকে লিগ পর্বের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক নেপালকে ২-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে আসর শুরু করেছিল বাংলাদেশ। লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে ভুটানকে ৬-০ গোলে গুঁড়িয়ে ফাইনালে ওঠে  প্রীতি-ফাতেমারা। মেয়েদের এমন অর্জনের পর পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ছাড়াও সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়ন দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন।  এক অভিনন্দন বার্তায় ক্রীড়ামন্ত্রী বলেন, সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ নারী ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মধ্যে দিয়ে বয়সভিত্তিক নারী ফুটবলে বাংলাদেশ আরও একটি সাফল্য সৃষ্টি করলো।    
১১ মার্চ ২০২৪, ১৬:১৪

ঘুমন্ত ছোট ভাইকে হত্যা করলো বড় ভাই
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে ঘুমন্ত ছোট ভাইকে জবাই করে হত্যা করেছে বড় ভাই মেহেদী হাসান। মেহেদী হাসান মানসিক রোগী ছিলেন। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সকালে কিশোরগঞ্জ উপজেলার কুঠিপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।  নিহত ছোট ভাই আওকত হোসেন ওই এলাকার মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য খগেন্দ্রনাথ রায়। স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, বছরখানেক ধরে মানসিক রোগে ভুগছিলেন মেহেদী হাসান। তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। মানসিক সমস্যার কারণে স্বামী-স্ত্রী আলাদা থাকতেন। মায়ের অনুরোধে ছোট ভাই আওকত হোসেন জুয়েল বড় ভাইয়ের সঙ্গে ঘুমাতেন। মঙ্গলবার ভোরে ঘুমন্ত অবস্থায় ছোট ভাইকে জবাই করে এবং মাথায় কুপিয়ে হত্যা করে নিহতের বুকের ওপর বসে থাকেন বড় ভাই। পরে বিষ পান করে নিজে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন মেহেদী হাসান। সকালে রক্তাক্ত অবস্থায় ছোট ভাইয়ের নিথর দেহ দেখতে পান পরিবারের অন্য সদস্যরা। তাদের চিৎকারে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা।  এ সময় স্থানীয় ইউপি সদস্য বিষয়টি কিশোরগঞ্জ থানা পুলিশকে অবগত করেন। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে নিয়ে যান।  এ সময় অভিযুক্ত বড় ভাইকে আটক করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়।
০৫ মার্চ ২০২৪, ১৮:৩৩

বিপিএলের প্রাইজমানি প্রকাশ করলো বিসিবি
দারজায় কড়া নাড়ছে বিপিএলের দশম আসরের ফাইনাল। আগামীকাল শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে মাঠে নামবে কুমিল্লা ও বরিশাল। দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের প্রাইজমানি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতির মাধ্যমে বিপিএলের প্রাইজমানি ঘোষণা করেছে বিসিবি। এবারের আসরের প্রাইজমানি গত আসরের মতোই থাকছে। এবারও চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ২ কোটি টাকা। আর রানার্স আপ দল পাবে এক কোটি টাকা। আসরের সেরা খেলোয়াড়ের জন্য থাকছে ১০ লাখ টাকা। এ ছাড়া  টুর্নামেন্টের এবারের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি ও সেরা রান সংগ্রাহক পাবে সমান ৫ লাখ টাকা করে। তাদের সম পরিমাণ অর্থ পুরস্কার থাকছে ফাইনাল ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ের জন্য। আর আসরের সেরা ফিল্ডার পাবেন ৩ লাখ টাকা। শুক্রবার (১ মার্চ) মিরপুরের শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে শিরোপার লড়াইয়ে ফরচুন বরিশালের প্রতিপক্ষ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। এদিন সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে ম্যাচটি মাঠে গড়াবে। বিপিএল-২০২৪ এর পুরস্কারের তালিকা : ফাইনাল ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়:- ৫ লাখ টাকা টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক: ৫ লাখ টাকা টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক:  ৫ লাখ টাকা টুর্নামেন্টের সেরা ফিল্ডার:  ৩ লাখ টাকা প্লেয়ার অফ দ্য টুর্নামেন্ট: ১০ লাখ টাকা রানার-আপ দল: ১ কোটি টাকা চ্যাম্পিয়ন দল: ২ কোটি টাকা স্তর চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে।
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:৪৫

বিশ্বকাপ বাছাইয়ের জন্য দল ঘোষণা করলো বাংলাদেশ
বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ফিলিস্তিনের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। আগামী মাসে ২১ ও ২৬ তারিখ মাঠে নামবে দুই দল। এই ম্যাচকে সামনে রেখে প্রাথমিক দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। স্ট্রাইকার রাব্বী হোসেন রাহুল, ডিফেন্ডার তাজ উদ্দিন ও কানাডা প্রবাসী মিডফিল্ডার সৈয়দ শাহ কাজেম কিরমানি হলেন কোচের নতুন তুরুপের তাস। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) তিন নতুন ফুটবলারকে নিয়ে ২৮ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে স্প্যানিশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। ব্রাদার্সের তরুণ স্ট্রাইকার রাব্বী এবার প্রিমিয়ার লিগে ৫ গোল করে আলোচনায় চলে এসেছেন। কেড়েছেন সবার দৃষ্টি। ক্রিকেটার বাবা সৈয়দ হালিম শাহের ছেলে কিরমানি এবার পুলিশ দলে খেলে গোলের পাশাপাশি অ্যাসিস্টও করেছেন।  তার খেলার ধরনও কাবরেরাকে আকৃষ্ট করেছে। আর সাদ উদ্দিনের ভাই তাজও ডিফেন্ডার পজিশনে শেখ জামালের হয়ে ভালোই খেলছেন। এবার দুই ভাই মিলে পেলেন একাদশে খেলার সুযোগ। এ ছাড়া ২৮ সদস্যের দলে সুযোগ পাওয়া অন্য সবার বাংলাদেশের প্রাথমিক কিংবা চূড়ান্ত দলে থাকার অভিজ্ঞতা রয়েছে। তবে দলের দুই নির্ভরযোগ্য ফুটবলার ফরোয়ার্ড শেখ মোরসালিন ও ডিফেন্ডার তারিক কাজী চোটের কারণে ছিটকে গেছেন।  অন্যদিকে শৃঙ্খলা ভঙ্গের শাস্তি কাটিয়ে খেলায় ফিরে আসা গোলকিপার আনিসুর রহমান জিকো ও ডিফেন্ডার তপু বর্মণ অবশ্য আবারও জাতীয় দলে জায়গা করে নিয়েছেন। এছাড়া এক বছর আগে প্রাথমিক দলে ডাক পাওয়া ফরোয়ার্ড মোহামেডানের শাহরিয়ার ইমনও সুযোগ পেয়েছেন।   বাংলাদেশের প্রাথমিক স্কোয়াড গোলকিপার: মিতুল মারমা, মেহেদী হাসান শ্রাবণ, আনিসুর রহমান জিকো, মাহফজু হাসান প্রীতম।  ডিফেন্ডার: বিশ্বনাথ ঘোষ, হাসান মুরাদ, তাজ উদ্দিন, তপু বর্মণ, রহমত মিয়া, ইসা ফয়সাল, শাকিল হোসেন, সাদ উদ্দিন। মিডফিল্ডার: সোহেল রানা, মোহাম্মদ হৃদয়, মোহাম্মদ সোহেল রানা, মজিবর রহমান জনি, রবিউল হাসান, চন্দন রায়, জামাল ভূঁইয়া, সৈয়দ শাহ কাজেম কিরমানি ও জায়েদ আহমেদ। ফরোয়ার্ড: রাকিব হোসেন, শাহরিয়ার রিমন, সুমন রেজা, ফয়সাল আহমেদ ফাহিম, রাব্বি হোসেন রাহুল, আরমান ফয়সাল আকাশ ও রফিকুল ইসলাম।  
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:৩৭

ড. ইউনূসের অভিযোগ প্রত্যাখান করলো কংগ্রেস অব বাংলাদেশি আমেরিকানস
নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূসের ভিত্তিহীন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বিবৃতি দিয়েছে কংগ্রেস অব বাংলাদেশি আমেরিকানস ইনকর্পোরেটেড। গ্রামীণ ব্যাংক ইস্যুতে ড. ইউনূসের মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে জানায় সংগঠনটি।   বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন- সংগঠনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সিদ্দিক, প্রধান উপদেষ্টা শামীম চৌধুরী, উপদেষ্টা ডা. প্রদীপ কর, পরিচালক অ্যাডভোকেট শাহ বখতিয়ার, মহাসচিব মঞ্জুর চৌধুরী, উপদেষ্টা মো. জালাল উদ্দিন জলিল, পরিচালক রুমানা আক্তার, মোঃ শহিদুল ইসলাম, কায়কোবাদ খান এবং উপদেষ্টা হাকিকুল ইসলাম খোকন। বিবৃতিতে বলা হয়, কর ফাঁকির বিষয়ে ইউনূস মিথ্যাচার করেছেন। ড. ইউনূস সম্প্রতি ডয়চে ভেলেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি মিথ্যা দাবি করেছেন। ইউনুস বলেছিলেন যে তিনি কর ফাঁকি দেওয়ার জন্য নয়, বরং তাদেরকেই পরিশোধ করতে হবে কিনা তা স্পষ্ট করার জন্য আদালতে গিয়েছিলেন। তার এই বক্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর। ড. ইউনূস ২০০৯ সালে 'ইউনূস ট্রাস্ট' এবং ২০১১ সালে 'ইউনূস ফ্যামিলি ট্রাস্ট' নামে দুটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। এর মূল উদ্দেশ্য ছিল কর ফাঁকি দেওয়া। ২০১১-১২ অর্থবছরে ইউনূস এই দুটি প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৬২ কোটি টাকা অনুদান দেন। তিনি অনুদানের উপর কর দেননি। পরবর্তী দুই বছরে প্রতিষ্ঠান দুটিকে টাকা দিয়েছেন এবং কর পরিশোধ করেননি। উল্লেখ্য, এসব ট্রাস্টের ট্রাস্টি নিজেও একই কাজ করেছেন। তখন বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনআরবি) এসব অনিয়ম নিয়ে আপত্তি জানায়। আইনে বলা হয়েছে, স্ত্রী, পুত্র বা কন্যাকে দান করলে অর্থ করযোগ্য হবে না। অন্যসব ক্ষেত্রে কর প্রদানযোগ্য। আইনে লেখা থাকলেও ইউনূস এই সহজ বিষয়টিকে জোড়াতালি দিয়ে যাচ্ছেন। ইউনূস কর কমিশন, ট্যাক্স আপিল বিভাগ ও আদালতে যান। এর মূল উদ্দেশ্য বিলম্ব করা। এটা ইউনূসের পুরনো অভ্যাস। বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার দীর্ঘ প্রক্রিয়ার সুযোগ নিয়ে ইউনূস একটি সাধারণ বিষয় নিয়ে আদালতে গিয়েছিলেন। ইউনূস ১২ বছর অনুপস্থিত এবং অসুস্থ ছিলেন, যার ফলে তিনি কর পরিশোধ করেননি। ফলে তার পাওনার পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ১২ কোটি টাকা। ড. ইউনূস তার দীর্ঘদিনের কর বকেয়া পরিশোধের পরিবর্তে কর অব্যাহতি চেয়ে আদালতে মামলা করেন। ১২ বছর ধরে কর ফাঁকি দিয়ে তিনি লাভবান হলেও নিঃসন্দেহে তার সুনাম এখন প্রশ্নবিদ্ধ। একইভাবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে জড়িত আরেকটি মামলায় ২৫ শতাংশ জমা দিয়ে আপিল করার বিধান থাকলেও এনবিআরকে ১০ বছরের বেশি সময় ধরে আদালতে টেনে নিয়ে গেছেন তিনি। আদালত সম্প্রতি তাকে প্রচলিত বিধি অনুযায়ী আপিল করার নির্দেশ দিয়েছেন। নিয়ম না মেনে বিদেশ ভ্রমণ ও অসুস্থতাসহ নানা অজুহাতে একের পর এক তারিখ পরিবর্তন করে সহজে সমাধানযোগ্য বিষয়টি ১০-১৫ বছর বিলম্বিত করার অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে তিনি আদালতে গিয়েছিলেন।  প্রসঙ্গত, ইউনূস তার নামে প্রতিষ্ঠিত দুটি দাতব্য প্রতিষ্ঠানে মোটা অঙ্কের অর্থ দান করেন; এসব প্রতিষ্ঠান গত ১৫ বছরে কোন দাতব্য কাজ করেনি। খালেদ মুহিউদ্দিন আয়োজিত ডয়চে ভেলের টকশোতে এক সাক্ষাৎকারে ড. মুহাম্মদ ইউনূস দাবি করেন, ‘গ্রামীণ ব্যাংকে আমি কোনো অনিয়ম করিনি। কোনও আয়কর ফাঁকি দেওয়া হয়নি।’ প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আদালতের রায়ে পদত্যাগে বাধ্য হওয়ার আগ পর্যন্ত এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন। গ্রামীণ ব্যাংকের সাফল্য নিশ্চিত করতে এবং গ্রামীণ ব্যাংকের উদ্যোক্তাদের ব্যক্তিত্ব ও উদ্ভাবনী বিবেচনায় সরকার ইউনূসের ইচ্ছা অনুযায়ী গ্রামীণ ব্যাংককে চালানোর অনুমতি দেয়। সরকারের এই শুভ উদ্যোগের সুযোগ নিয়ে তিনি প্রতিটি ব্যাংকের নিয়ম-কানুন ভঙ্গ করে বেপরোয়াভাবে গ্রামীণ ব্যাংকের কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। তার নিয়োগ করা পরিচালনা পর্ষদ বা চেয়ারম্যান এসব গুরুতর আইনি বিষয় নিয়ে কখনো কোনো প্রশ্ন তোলেননি। নব্বইয়ের দশকে নরওয়ে গ্রামীণ ব্যাংকের কিছু দিক নিয়ে গবেষণা করতে চেয়েছিল। এরপর সরকার গ্রামীণ ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি সমাধানের আহ্বান জানায়। ড. মুহাম্মদ ইউনূস ৬০ বছর বয়সে কোম্পানি নিয়ন্ত্রিত অবসর গ্রহণের বয়সেও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন  বিবৃবিতে আরও বলা হয়,  ১৯৯৯ সালে পরিচালনা পর্ষদ প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে চাকরির নিয়ম অনুসরণ না করে ৬০ বছর বয়স হওয়া সত্ত্বেও অনির্দিষ্টকালের জন্য ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেয়। এই চুক্তিতে আইনের মর্যাদা দেওয়া হয়নি এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নেওয়া হয়নি। এই অনিয়মের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংক তার পরিদর্শন বই ১৯৯৯-এ মন্তব্য করেছে।  ২০১০ সালে, একটি নরওয়েজিয়ান টেলিভিশন প্রোগ্রাম বিষয়টি প্রচার করেছিল এবং তদন্তের জন্য আহ্বান জানানো হয়েছিল। এরই প্রতিফলন হিসেবে ২০১১ সালে প্রফেসর ইউনূসকে পদত্যাগ করতে বলা হয়। প্রফেসর ইউনূস এরপর আদালতের শরণাপন্ন হন এবং আদালতের রায়ে ২০১১ সালের এপ্রিলে পদত্যাগ করেন। আয়কর নিয়ে ছলচাতুরির খেলা খেলতে থাকেন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আইন এবং সরকার আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ এর অধীনে প্রদেয় আয়কর অধ্যাদেশ থেকে আবাসিক/অনাবাসিক অবস্থা নির্বিশেষে বাংলাদেশের যে কোনও নাগরিকের আয়কে অব্যাহতি দিয়েছে। প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস ২০০৪ সালের জুলাই থেকে ২০১১ সালের জুন পর্যন্ত  সাত অর্থবছরে ১৩৩টি বিদেশি প্রতিষ্ঠান থেকে করমুক্ত আয় হিসেবে মোট ৫০ কোটি ৬১ লাখ ৮৫ হাজার ৫৮৮ টাকা, ১০টি প্রতিষ্ঠান থেকে পুরস্কার এবং ১৩টি প্রতিষ্ঠান থেকে রয়্যালটি পেয়েছেন। তিনি মোট ১২ কোটি ৬৫ লাখ ৪৬ হাজার ৩ শত ৯৭ টাকা দেখিয়ে আয়কর ছাড়ের সুবিধা নিয়েছে। বিদেশ থেকে এই সম্মাননা, পুরস্কার বা রয়্যালটি পাওয়ার আগে ড. ইউনূস ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন। ইউনূস ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন নেননি।  ফান্ড ট্রান্সফারে অনিয়ম ১৯৯৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর উপরোক্ত অর্থ গ্রামীণ ব্যাংক থেকে ‘গ্রামীণ কল্যাণ’ নামক প্রতিষ্ঠানে স্থানান্তর করা হয় বলে দাবি করা হয়। এরপরও অর্থ স্থানান্তর না হওয়ায় গ্রামীণ ব্যাংকের বিদ্যমান সম্পদের উৎস হিসেবে গ্রামীণ কল্যাণের অর্থ একই দিনে আবার ঋণ হিসেবে দলিল করা হয়। এর মাধ্যমে সম্পদের বিপরীতে তহবিল না থাকলে ‘ব্যাখ্যাহীন আয়’ হিসেবে বিবেচিত অর্থের ওপর প্রযোজ্য আয়কর ফাঁকির চেষ্টা করেছে গ্রামীণ ব্যাংক। এমতাবস্থায়, আয়কর অব্যাহতি কর্তন এসআরও নং ৯৩-আইন/২০০০ এর শর্ত ভঙ্গ করা হয়েছে। তহবিল স্থানান্তর সংক্রান্ত গ্রামীণ ব্যাংক ও গ্রামীণ কল্যাণের মধ্যে চুক্তি ১৯৯৭ সালের মে মাসে সম্পাদিত হয়। যদিও তহবিল স্থানান্তর ১৯৯৬ সালের ডিসেম্বরে দেখানো হয়, অর্থাৎ, চুক্তি স্বাক্ষরের পাঁচ মাস আগে। সরকার গ্রামীণ ব্যাংককে আয়কর থেকে অব্যাহতি দিয়েছে কিন্তু গ্রামীণ কল্যাণকে নয়। তাই তহবিল স্থানান্তর অবৈধ হয়েছে। উপরোক্ত অর্থ ১৯৯৭ সালের ১ জানুয়ারির পর গ্রামীণ ব্যাংক থেকে গ্রামীণ কল্যাণে স্থানান্তর করা হয়। নিরীক্ষা প্রতিবেদনে হিসাব মিলিয়ে ১৯৯৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর উল্লিখিত হস্তান্তর দেখানো হয়। 
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৫৭

এশিয়া কাপ আর্চারিতে দুটি স্বর্ণ হাতছাড়া করলো বাংলাদেশ
এশিয়া কাপ আর্চারির চারটি ইভেন্টে পদক জয়ের জন্য লড়াই করেছিল বাংলাদেশ। এরমধ্যে দু’টি ইভেন্টে স্বর্ণ আর দু’টিতে ব্রোঞ্জ পদক। তবে দুই স্বর্ণের লড়াইয়ে হেরে গেছে বাংলাদেশ। ভারতের কাছে হেরে রুপা নিশ্চিত করেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। আর ব্রোঞ্জের দুই লড়াইয়ে একটিতে জিতেছে আরেকটি ইভেন্টের খেলা পরে অনুষ্ঠিত হবে। রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারিÑ ইরাকের রাজধানী বাগদাদে রিকার্ভ পুরুষ দলগত ইভেন্টে বাংলাদেশ স্বর্ণের লড়াইয়ে ভারতের কাছে ৬-২ সেট পয়েন্টে হেরেছে। যদিও ফাইনালে বাংলাদেশ শক্তিশালী ভারতের বিপক্ষে জয় দিয়েই শুরু করেছিল।  বাংলাদেশের তিন আর্চার আলিফ আব্দুর রহমান, সাগর ইসলাম ও হাকিম আহমেদ রুবেল প্রথম সেটে ৫৫ স্কোর করেছেন। বিপরীতে ভারতীয় আর্চাররা ৫৪ স্কোর করলে বাংলাদেশ প্রথম সেট জিতে এগিয়ে গিয়েছিল। এরপর প্রতিদ্বন্দ্বিতা হলেও জিততে পারেনি মার্টিন ফ্রেডরিকের দল। সবশেষ চতুর্থ সেটে ভারত ৫৬ আর বাংলাদেশ ৫৩ স্কোর করলে ৬-২ সেট পয়েন্টে স্বর্ণ হাতছাড়া হয় বাংলাদেশের। রিকার্ভ পুরুষ দলগত ইভেন্টে স্বর্ণ হারানোর কয়েক মিনিটের মধ্যেই রিকার্ভ মিশ্র দলগত ইভেন্টে খেলেন সাগর ইসলাম ও দিয়া সিদ্দিকী। জিততে পারেননি তারা। মিশ্র ইভেন্টে ভারত টানা তিন সেট জিতে ৬-০ সেট পয়েন্টে স্বর্ণ নিশ্চিত করেছে। এর আগে দিনের শুরুতেই ব্রোঞ্জ জিতেছিল বাংলাদেশ। রিকার্ভ নারী দলগত ইভেন্টে স্বাগতিক ইরাকের বিপক্ষে বাংলাদেশ সরাসরি ৬-০ সেটে জয়লাভ করে। বাংলাদেশ রিকার্ভ নারী দলে খেলছেন দিয়া সিদ্দিকী, শিমা আক্তার ও নিশা ফাহমিদা সুলতানা।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:২৮

খুলনাকে হারিয়ে বিপিএল শেষ করলো সিলেট
চলতি বিপিএলের শুরুটা ভালো করতে পারেনি সিলেট। টানা পাঁচ ম্যাচ হেরে প্লে-অফ থেকে আগেই ছিটকে গিয়েছিল গতবারের রানার্স আপরা। তবে পরের ছয় ম্যাচের তিনটি জয় তুলে নেয় শান্তরা। লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে খুলনাকে ছয় উইকেটে হারিয়ে বিপিএলের দশম আসর শেষ করেছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) টস জিতে খুলনাকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানায় সিলেট। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শান্ত-মিঠুনদের ১২৯ রানের সহজ লক্ষ্য দেয় বিজয়-আফিফরা। জবাব দিতে নেমে ১২ বল ও ছয় উইকেট হাতে থাকতেই জয় তুলে নেয় সিলেট। এতে চার জয় নিয়ে সিলেট এবং পাঁচ জয় নিয়ে আসর শেষ করল খুলনা। সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় সিলেট। ৩ বলে শূন্য রান করে জাকির আউট হলে, ৬ বলে পাঁচ রান করে তাকে সঙ্গ দেন কেনার লুইস। এরপর ইয়াসির আলীকে সঙ্গে নিয়ে সিলেট শিবিরে হাল ধরেন নাজমুল হাসান শান্ত। দুজনের নিয়ন্ত্রিত ব্যাটিংয়ে জয়ের পথে এগিয়ে যায় সিলেট। ৩৭ বলে ৩৯ রান করে শান্ত আউট হলে ইয়াসির সঙ্গ দেন অধিনায়ক মিঠুন। ৪৩ বলে ৪৬ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস খেলেন ইয়াসির। শেষ পর্যন্ত বেনি হাওয়েলের ৫ বলে ১২ রান এবং মিঠুনের ১৫ বলে ১৯ রানের ইনিংসে ভর করে ১২ বল ও ছয় উইকেট হাতে থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় সিলেট। সিলেট স্ট্রাইকার্সের হয়ে নাহিদুল ইসলাম, ওয়েন পারনেল, জেসন হোল্ডার ও আরিফ আহমেদ একটি করে উইকেট শিকার করেন। এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরু করে খুলনা। তবে ইনিংস বড় করতে পারেনি এনামুল হক বিজয়। ৯ বলে ১০ রান করে বোল্ড আউট হন তিনি। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেনি হাবিবুর রহমানও। ১৪ বলে ৩ রান করে আউট হন তিনি। হাবিবুরের পর ১২ বলে ১১ রান করে আউট হন মাহমুদুল হাসান জয়। কিন্তু পিচের এক প্রান্ত আগলে রেখে রান তুলতে থাকেন আফিফ হোসেন। ৩১ বলে নিজের ফিফটি পূরণ করেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। ৩৫ বলে ৫২ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ৬ বলে ৮ রান করে জেসন হোল্ডার আউট হলে পাঁচ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে খুলনা। এরপর খুলনা শিবিরে হাল ধরেন ওয়েন পারনেল। ১৪ বলে ২১ রানের ইনিংস খেলে আউট হন তিনি। শেষ পর্যন্ত আরিফ আহমেদের ৪ রান এবং রুবেলের ১০ বলে ৬ রানে ভর করে আট উইকেট হারিয়ে ১২৮ রানের লড়াকু পুঁজি পায় খুলনা।
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:১৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়