• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ভাইকে বলেছিলাম আমি একুশে পদক নেব না!
না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছেন কিংবদন্তি রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী, শিক্ষক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন রবিরাগের পরিচালক সাদি মহম্মদ। বুধবার (১৪ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টার মোহাম্মদপুরের নিজ বাসায় আত্মহত্যা করেন তিনি। গুণী এই শিল্পীর মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন তার ছোট ভাই প্রখ্যাত নৃত্যশিল্পী শিবলী মহম্মদ। শিবলী নিজেই প্রথমে ঘরের দরজা ভেঙে ভাইয়ের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান। যে মুহূর্ত কোনোভাবেই ভুলতে পারছেন না তিনি। বড় ভাই সাদি মহম্মদকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করে শিবলী মহম্মদ বলেন, আমার ভাই মনে কষ্ট নিয়ে চলে গেছে। সে মনে করত, তাকে মূল্যায়ন করা হয়নি। কত মানুষ কত পদক পাচ্ছে, এসব তাকে খুব ভাবাতো। সে বড্ড অভিমানী ছিল। আমরা তাকে বোঝাতাম, আমাদেরকে মানুষ ভালোবাসে। পদক দিয়ে কী হবে? কিন্তু তার মনে চাপা কষ্ট ছিল। সেই কষ্ট নিয়েই চলে গেল। ইফতার করে ভাই নিজের রুমে গিয়ে গানের রিহার্সেল করছিল। এরপর তার সহকারীকে বলেছে, তুমি বাইরে যাও আমি রিহার্সেল শেষ করে ফোন করলে এসো। তখন আমি তার রুমের সামনে গিয়ে দেখতে পাই ভেতর থেকে দরজা বন্ধ। যেটা আমার কাছে অস্বাভাবিক মনে হয়। কারণ, তিনি কখনোই রুমের দরজা বন্ধ করেন না রিহার্সেলের সময়। এরপর কড়া নাড়লেও ভেতর থেকে কোনো শব্দ মেলে না। পরে আমি বলি দরজা ভাঙো। দরজা ভেঙে ভেতরে যে দৃশ্য আমি দেখলাম....। আমার জীবনে কেন এই দৃশ্য দেখতে হলো! আমার ভাই রাষ্ট্রীয় কোনো স্বীকৃতি পেলে একটু তৃপ্তি পেত। সাদি মহম্মদ তো আমার বড়, তার সামনে যখন আমি একুশে পদক পাই সেটা ছিল আমার জন্য বিব্রতকর। আমি ভাইকে বলি, একুশে পদক নেব না। কিন্তু সে আমাকে বলে, কেন নিবি না? তুই তো নাচের জন্য বাংলাদেশে কম কিছু করিস নি। পরে তাকে যখন একুশে পদক অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য কার্ড দিলাম, সে বললো, না থাক রে। তুই যা। আমি সেখানে যাব না। গেলে অনেকেই প্রশ্ন করবে, আমি কেনো পদক পাই না। এগুলো আমাদেরকে বিব্রত করবে।
১৫ মার্চ ২০২৪, ১৩:৪৬

আরও দুইদিন বাড়লো বইমেলার সময়সীমা
আরও দুই দিন বাড়ানো হয়েছে অমর একুশে বইমেলা-২০২৪ এর সময়সীমা। ফলে ২৯ ফেব্রুয়ারির পর আগামী ১ ও ২ মার্চ শুক্রবার এবং শনিবারও অনুষ্ঠিত হবে মেলা। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদের বরাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য ও আগামী প্রকাশনীর প্রকাশক ওসমান গনি। তিনি জানিয়েছেন,  বইমেলার সময়সীমা দুদিন বাড়ানোর আবেদনে সাড়া দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাই আগামী ২ মার্চ পর্যন্ত বইমেলা চলবে। বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহাম্মদ নুরুল হুদাও রাত ৯টায় বইমেলার ঘোষণা কেন্দ্র থেকে মেয়াদ বাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর সদয় সম্মতিক্রমে বইমেলা দুই দিন বাড়ানো হয়েছে। এর আগে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি একুশে বইমেলার সময় আরও দুই দিন বাড়ানোর জন্য বাংলা একাডেমিকে চিঠি দেয় বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক বিক্রেতা সমিতি। চিঠিতে বলা হয়, ‘অমর একুশে বইমেলা শুরু হওয়ার প্রথম তিন দিন মেলাপ্রাঙ্গনের প্রস্তুতি ও বৃষ্টিজনিত সমস্যার কারণে মেলায় অংশ নেওয়া প্রকাশকরা যথাযথভাবে বিক্রি শুরু করতে পারেনি। সে কারণে অনেকে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ। তাই ১ ও ২ মার্চ শুক্রবার ও শনিবার হওয়ায় দুই দিন অমর একুশে বইমেলার সময় বৃদ্ধির অনুরোধ করছি।’ মূলত এই বছর অধিবর্ষ হওয়ার কারণে বইমেলা ২৯ দিন হওয়ার কথা ছিল। এখন দুইদিন বাড়ানোর ফলে এবারের মেলা হচ্ছে ৩১ দিন।
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৩২

শবেবরাতের ছুটিতে জমজমাট বইমেলা
শেষ প্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছে অমর একুশে বইমেলা । আর তিনদিন পরই পর্দা নামবে প্রাণের বইমেলার। বইপ্রেমীদের মনে বিদায়ের সুর বাজতে শুরু করেছে এরই মধ্যে। তবে শেষ সময়ে এসে লোকসমাগমে জমজমাট হয়ে উঠেছে মেলা । তার উপর শবে বরাতের ছুটি। সপ্তাহে বাড়তি একটা ছুটি পেয়ে মেলায় ছুটে আসছেন বইপ্রেমীরা। বিক্রি বাড়ায় খুশি বইয়ের দোকানিরাও। রাজধানীর বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ১ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়েছে ঐতিহ্যবাহী অমর একুশে বইমেলা। তবে বইয়ের দোকান বেশি হওয়ায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশেই বেশি ভিড় হয়। সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সেখানে গিয়ে দেখা যায়, লোকে লোকারণ্য হয়ে উঠেছে মেলা প্রাঙ্গন। ছেলে থেকে বুড়ো বিভিন্ন মানুষ আসছেন মেলায়। বেশির ভাগের হাতেই ছিল বইয়ের ব্যাগ। অন্যান্য দিনের মতো বেশি ভিড় দেখা যায় মেলার শিশু কর্নার ও স্টলগুলোতে। মিরপুর থেকে এসেছেন শাহলিনা বেগম ও জামির আহমেদ। প্রতি বছরই বইমেলায় আসেন এ দম্পতি। কিন্তু, দুজনই চাকরিজীবী হওয়ায় ঘোরাঘুরির সময়-সুযোগ বের করা কঠিন। এবারের মেলায় এটাই তাদের প্রথম আসা জানিয়ে এ দম্পতি বলেন, চাকরি-সংসার মিলিয়ে বেশ ব্যস্ত থাকতে হয়। এদিকে মেলাও শেষ হয়ে যাচ্ছে। বইমেলায় আসতে না পারায় মনের মধ্যে কেমন যেন যেন হাহাকার জেগে উঠেছিল। তাই ভাবলাম, শবে বরাতের এ ছুটিই এবার শেষ সুযোগ। শেষমেশ আসা হলো।' এই প্রথম বইমেলায় এসেছেন লুবনা। মেলার গেটে যখন প্রবেশ করছিলেন বারবার সেই মুহূর্তকে নিজের মোবাইলে ধারণ করছিলেন। এ সময় কথা হয় তার সঙ্গে। তিনি বলেন, টিভিতে অনেক দেখেছি। পত্রিকায় বইমেলার ফিচার পড়েছি। কিন্তু আজ বাস্তবে সরাসরি এলাম। অনুভূতিটাই অন্যরকম। পুরো মেলায় ঘুরবো, বইও কিনবো। লুবনার প্রিয় লেখক কে জানতে চাইলে কোনও কিছু না ভেবেই উত্তর দিয়ে দেন, হুমায়ূন আহমেদ।  ছুটির দিন হওয়ায় সকাল থেকে দর্শনার্থীরা আসতে শুরু করেছে। দুপুর ১২টা নাগাদ গেট খুলে দেওয়া হলে প্রবেশ করতে শুরু করেন বইপ্রেমীরা। ক্রেতা সমাগমে খুশি বই বিক্রেতারাও। শেষ দিকে একে জমে উঠেছে বেচাবিক্রি। ঘুরতে আসা বেশিরভাগ দর্শনার্থীরাই কিনছেন বই।   আগামী প্রকাশনীর স্টলে গিয়ে কথা হয় দায়িত্বরত কর্মকর্তা আমিরুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, কমবেশি সবাই বই কিনছেন। প্রথমা প্রকাশনের জ্যেষ্ঠ বিক্রয় প্রতিনিধি মোহাম্মদ সোহেলের কথাতেও বোঝা গেল শেষ দিকে এসে তুলনামূলক বেশি বই বিক্রি হচ্ছে। তিনি বলেন, যারা আসছেন, তারাই কমবেশি বই কিনছেন। বাছাই করা তালিকা ধরে বই কিনছেন অনেকে।
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৩৯

শবেবরাতের ছুটি উপলক্ষে বইমেলা শুরুর সময়ে পরিবর্তন
আজ সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) অমর একুশে বইমেলা দুপুর ১২টায় শুরু হয়ে চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। পবিত্র শবেবরাতের ছুটি উপলক্ষে মেলায় শুরুর সময়ে এই পরিবর্তন আনা হয়েছে।  বাংলা একাডেমির জনসংযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ বিভাগ থেকে বিষয়টি জানানো হয়। আজ মেলার ২৬তম দিনে বিকেল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে ‘স্মরণ : আবুবকর সিদ্দিক’ এবং ‘স্মরণ: আজিজুর রহমান আজিজ’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে কবি আসাদ মান্নানের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেবেন মামুন মুস্তাফা, মো. মনজুরুর রহমান, তৌহিদুল ইসলাম ও আনিস মুহম্মদ। প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন ফরিদ আহমদ দুলাল এবং কামরুল ইসলাম। বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রায় সাড়ে ১১ লাখ বর্গফুট জায়গায় ১ ফেব্রুয়ারি থেকে চলছে অমর একুশে বইমেলা। বাংলা একাডেমি আয়োজিত এবারের বইমেলার প্রতিপাদ্য ‘পড়ো বই, গড়ো দেশ: বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’। বইমেলায় ৬৩৫টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৯৩৭টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বাংলা একাডেমি মাঠে ১২০টি প্রতিষ্ঠানকে ১৭৩টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৫১৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৭৬৪টি স্টল বরাদ্দ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এ বছর মোট ৩৭টি প্যাভিলিয়নও বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। গত বছর ৬০১টি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে মোট ৯০১টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল।
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০৫

নিজ গ্রামের স্কুলে সংবর্ধিত একুশে পদকপ্রাপ্ত জিয়াউল হক 
একুশে পদক প্রাপ্ত জিয়াউল হককে সংবর্ধনা দিয়েছে তারই গ্রামের মুশরীভূজা ইউসুফ আলী হাইস্কুল এ্যান্ড কলেজ।  রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে বৃষ্টি উপেক্ষা করেই এ গুনি মানুষটিকে সন্মান জানায় বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। দই বিক্রি করে জ্ঞানের আলো ছড়ানো জিয়াউল হক, এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। জিয়াউল হকের একুশে পদক প্রাপ্তিতে তাই আনন্দের বন্যা এখানকার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে। সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে জিয়াউল হক তার জীবনের কঠিন সংগ্রামের কথা শিক্ষার্থীদের সামনে তুলে ধরেন, সেই সঙ্গে সবাইকে পড়ালেখায় মনোযোগী হওয়ায় আহ্বান জানান। তিনি বলেন, পড়ালেখা করে ভালো মানুষ হতে হবে, দেশের কল্যাণে তোমাদের সবাইকে কাজ করতে হবে।  অনুষ্ঠানে একুশে পদকে সন্মানিত করায় জিয়াউল হক প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। সেই সঙ্গে তার নাম প্রস্তাব করায় জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খানের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানান।  সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে, দলদলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ মোজাম্মেল হক, মুশরীভূজা ইউসুফ আলী হাইস্কুল এ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আজগার আলী, অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তার, বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. আলাউদ্দিনসহ অনান্যরা উপস্থিত ছিলেন। 
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:১৩

প্রধানমন্ত্রীকে যা বলেছেন একুশে পদকপ্রাপ্ত জিয়াউল
এবার একুশে ফেব্রুয়ারি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের দিনটি যেন ভোলাহাট উপজেলার মানুষের জন্য একটু ভিন্ন ভাবেই এসেছে। কেননা তাদের উপজেলার জিয়াউল হক পেয়েছেন রাষ্ট্রের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মানজনক একুশে পদক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে সে পদক গ্রহণের পর গ্রামে ফিরেছেন জিয়াউল হক। বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকেই তাই জিয়াউল হকের বাড়িতে তার ছোট্ট পাঠাগারে ছিল গ্রামের মানুষের ভিড়। একুশে প্রদকপ্রাপ্ত জিয়াউল হককে নিয়েই একুশের প্রভাত ফেরি করে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। একুশে পদক প্রদান অনুষ্ঠানে জিয়াউল হকের সঙ্গে বেশ কিছুসময় ধরে কথোপকথন হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। তাই বুধবার জিয়াউলের বাড়িতে অভিনন্দন জানাতে আসা অনেকেরই আগ্রহ ছিলো কি কথা হয়েছিলো প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে, কি বলছিলেন সাদাসিধে জিয়াউল হক। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথোপকথনের বিষয়ে জিয়াউল হক বলেন, আমি আমার পাঠাগারের স্থায়ী ভবন ও বই চেয়েছিলাম, সেই সঙ্গে আমার এলাকার স্কুলটি সরকারিকরণের বিষয়ে কথা বলেছি। প্রধানমন্ত্রী আমার কথা শুনেছেন ও দাবিগুলো মেনে নিয়েছেন। অনেকে দিন থেকেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার ইচ্ছা ছিলো সাদা মনের মানুষ জিয়াউল হকের। অনেকের কাছেই বলেছিলেন সেই আকাঙ্ক্ষার কথা। তার সেই স্বপ্ন পূরণ হওয়ায় খুশি ৯১ বছর বয়সী জিয়াউল হক। আনন্দাশ্রুতে এ প্রতিবেদকের কাছে তিনি বলেন, এখন মরেও শান্তি পাব। জিয়াউল হক পাঠাগারের বই পড়ে আজ অনেকেই শিক্ষকসহ বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত হয়েছেন। জিয়াউল হকের একুশের পদক প্রাপ্তির পর তারাও জানিয়েছেন জিয়াউল হকের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও নিজেদের আনন্দের অনুভূতি। একুশে পদক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর কাছে নিজের জন্য কিছুই চাননি সাদা মনের মানুষ জিয়াউল হক হক। প্রধানমন্ত্রীর কাছে সাদাসিধে মানুষটির আবদার ছিলো, তার পাঠাগারের উন্নয়ন ও তার গ্রামে তারই সহযোগিতায় গড়ে উঠা স্কুলটি সরকারিকরণের। প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যেই জিয়াউল হকের সেই দাবি পূরণের আশ্বাস দেন। প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসে বেশ খুশি স্থানীয়রা। এ দিকে দুপুরে জিয়াউল হককে শুভেচ্ছা জানাতে তার বাড়িতে যান চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খান ও পুলিশ সুপার ছাইদুল হাসান। এ সময় জেলা প্রশাসক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি সকল বিষয় অক্ষরে অক্ষরে পালন করা হবে। এ সময় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জিয়াউল হকের পাঠাগারের জন্য বই উপহার দেন জেলা প্রশাসক।
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:৩৫

একুশে পদক নিয়ে ফিরলেন জিয়াউল হক, গ্রামজুড়েই আনন্দ
এবার একুশে ফেব্রুয়ারি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের দিনটি যেন ভোলাহাট উপজেলার মানুষের জন্য একটু ভিন্ন ভাবেই এসেছে। কেননা তাদের উপজেলার জিয়াউল হক পেয়েছেন রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ সম্মানজনক একুশে পদক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে সে পদক গ্রহণের পর গ্রামে ফিরেছেন জিয়াউল হক। বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকেই তাই জিয়াউল হকের বাড়িতে তার ছোট্ট পাঠাগারে ছিল গ্রামের মানুষের ভিড়। একুশে প্রদকপ্রাপ্ত জিয়াউল হককে নিয়েই একুশের প্রভাত ফেরি করে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। একুশে পদক প্রদান অনুষ্ঠানে জিয়াউল হকের সঙ্গে বেশ কিছুসময় ধরে কথপোকথন হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। তাই বুধবার জিয়াউলের বাড়িতে অভিনন্দন জানাতে আসা অনেকেরই আগ্রহ ছিলো কি কথা হয়েছিলো প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে, কি বলছিলেন সাদাসিধে জিয়াউল হক। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথোপকথনের বিষয়ে জিয়াউল হক বলেন, আমি আমার পাঠাগারের স্থায়ী ভবন ও বই চেয়েছিলাম, সেই সঙ্গে আমার এলাকার স্কুলটি সরকারিকরণের বিষয়ে কথা বলেছি। প্রধানমন্ত্রী আমার কথা শুনেছেন ও দাবিগুলো মেনে নিয়েছেন। অনেকে দিন থেকেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার ইচ্ছা ছিলো সাদা মনের মানুষ জিয়াউল হকের। অনেকের কাছেই বলেছিলেন সেই আকাঙ্ক্ষার কথা। তার সেই স্বপ্ন পূরণ হওয়ায় খুশি ৯১ বছর বয়সী জিয়াউল হক। আনন্দাশ্রুতে এ প্রতিবেদকের কাছে তিনি বলেন, এখন মরেও শান্তি পাব। জিয়াউল হক পাঠাগারের বই পড়ে আজ অনেকেই শিক্ষকসহ বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত হয়েছেন। জিয়াউল হকের একুশের পদক প্রাপ্তির পর তারাও জানিয়েছেন জিয়াউল হকের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও নিজেদের আনন্দের অনুভূতি। একুশে পদক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর কাছে নিজের জন্য কিছুই চাননি সাদা মনের মানুষ জিয়াউল হক হক। প্রধানমন্ত্রীর কাছে সাদাসিধে মানুষটির আবদার ছিলো, তার পাঠাগারের উন্নয়ন ও তার গ্রামে তারই সহযোগিতায় গড়ে উঠা স্কুলটি সরকারিকরণের। প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যেই জিয়াউল হকের সেই দাবি পূরণের আশ্বাস দেন। প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসে বেশ খুশি স্থানীয়রা। এ দিকে দুপুরে জিয়াউল হককে শুভেচ্ছা জানাতে তার বাড়িতে যান চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খান ও পুলিশ সুপার ছাইদুল হাসান। এ সময় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জিয়াউল হকের পাঠাগারের জন্য বই উপহার দেন জেলা প্রশাসক। এ সময় জেলা প্রশাসক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি সকল বিষয় অক্ষরে অক্ষরে পালন করা হবে।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:২৩

‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস আজ সব ভাষা সংরক্ষণের প্রেরণা’
‘একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস আজ সব ভাষা সংরক্ষণের প্রেরণা’ বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে  রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস আজ সব ভাষা সংরক্ষণের প্রেরণা। আর বহুভাষার সংস্কৃতির মেলবন্ধন পৃথিবীতে শান্তি ও সৌহার্দ্য প্রতিষ্ঠায় বড় ভূমিকা রাখতে পারে। তিনি বলেন, তখনকার তরুণ নেতা শেখ মুজিবুর রহমান সেসময় ভাষার দাবিতে আন্দোলনের কারণেই জেলে বন্দি ছিলেন। জেলখানায় বসে সহযোগীদের সঙ্গে সভা করে তিনি সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন ২১ ফেব্রুয়ারি প্রতিবাদ দিবস পালিত হবে। তিনি আরও বলেন, কানাডা প্রবাসী দুজন বাঙালি রফিক ও সালামের উদ্যোগ এবং বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ত্বরিত সিদ্ধান্তে জাতিসংঘে প্রস্তাব পাঠানোর পর ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ইউনেসকোর এক ঘোষণায় ২১ ফেব্রুয়ারি ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতি পায়। এর মধ্য দিয়ে বাঙালির সেই আত্মত্যাগের দিনটি বিশ্বের প্রতিটি মানুষের মায়ের ভাষার অধিকার রক্ষার দিন হিসেবে স্বীকৃত হয়েছে এবং মানুষ বহুভাষাকে সযত্নে ধারণের প্রেরণা পেয়েছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, সামুদ্রিকবিষয় ইউনিট সচিব রিয়ার এডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম, অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সচিব ড. মুহ. নজরুল ইসলামসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও বিদেশি কূটনীতিক এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা ।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৫৯

একুশে ফেব্রুয়ারি নিয়ে যা বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ
মাতৃভাষা মহান আল্লাহর অপার দান। মায়ের ভাষার কথা বলা মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি। ইসলাম মায়ের প্রতি যেমন অকৃত্রিম শ্রদ্ধাবোধের শিক্ষা দিয়েছে, তেমনি মাতৃভাষার প্রতিও অত্যধিক গুরুত্ব দিয়েছে।  বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) মাতৃভাষা এবং ভাষা শহীদদের নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছেন জনপ্রিয় ইসলামি আলোচক শায়খ আহমাদুল্লাহ। পোস্টে তিনি বলেছেন, প্রিয় নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিশুদ্ধ ও মার্জিত ভাষায় কথা বলতেন। শুদ্ধ ও সুন্দর ভাষায় কথা বলা সুন্নাহ।  তিনি বলেন, সকল নবী-রাসুলকে মহান আল্লাহ স্বজাতির ভাষায় (মাতৃভাষায়) প্রেরণ করেছেন। আমাদের মায়ের ভাষায় কথা বলার অধিকার আদায়ের জন্য যারা আত্মত্যাগ করেছেন—সেই আবদুস সালাম, আবদুল জাব্বার, রফিক উদ্দীন আহমাদ, শফিউর রহমান ও আবুল বরকতকে মহান আল্লাহ আমাদের পক্ষ হতে উত্তম বিনিময় দান করুন।  শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, তাদের অবদানের প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা প্রদর্শন হবে তখনই, যদি সর্বত্র আমরা বাংলা ভাষার চর্চা করি, বাংলাভাষায় কথা বলতে হীনম্মন্যতায় না ভুগি, বাংলা ভাষার বিকৃত উচ্চারণ থেকে বিরত থাকি এবং অপ্রয়োজনীয় অন্য ভাষা ব্যবহার থেকে বেঁচে থাকতে পারি।  আসুন, আল্লাহর নেয়ামতের যথাযথ ব্যবহার এবং তাদের অর্জনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সবাই সর্বত্র নিঃসংকোচে বাংলাভাষার চর্চা করি এবং ভাষার অপব্যবহার (খারাপ ভাষায় কথা বলা, গালমন্দ, মিথ্যা, প্রতারণা ইত্যাদি) থেকে বিরত থাকি।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:১৫

‘অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের এক অগ্নিঝরা দিন একুশে ফেব্রুয়ারি’
‘অধিকার আদায় এবং অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের এক অগ্নিঝরা দিন একুশে ফেব্রুয়ারি’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে এমন মন্তব্য করেন তিনি। মির্জা ফখরুল বলেন, মাতৃভাষার জন্য জীবন উৎসর্গ করে ছাত্ররা আত্মত্যাগের যে মহিমান্বিত দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন, পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে তা আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করেছে। তাদের আত্মদানের ধারাবাহিকতায় গণতান্ত্রিক ও স্বাধিকার আন্দোলনের পথ বেয়ে আমরা অবতীর্ণ হয়েছি স্বাধীনতা যুদ্ধে। অর্জিত হয়েছে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ।  তিনি বলেন, জাতীয়তাবোধ ও অধিকারবোধের চেতনা পরিপূর্ণতা পায় মহান একুশে ফেব্রুয়ারি ছাত্রদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে। সেই চেতনা নস্যাৎ করে একদলীয় শাসনের জগদ্দল পাথর আজ জনগণের কাঁধের ওপর চাপানো হয়েছে। গণতন্ত্রকে সমাহিত করে অপশাসনের বেড়াজালে গোটা জাতিকে অবরুদ্ধ করা হয়েছে।গত ৭ জানুয়ারি একতরফা ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে আবারো দখলকৃত ক্ষমতা সম্প্রসারণের প্রচেষ্টায় বেপরোয়া ও অত্যাচারী হয়ে উঠেছে অবৈধ সরকার।  তিনি আরও বলেন, অবৈধ শক্তির জোরে সাজানো মিথ্যা মামলায় ফরমায়েশি সাজা দিয়ে জনগণের প্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে বন্দি করে প্রতিহিংসা চরিতার্থ করা হয়েছে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি-একুশের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে এ দেশের সংগ্রামী মানুষ মৃতপ্রায় গণতন্ত্রের পুনরুজ্জীবনসহ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনকে আরও বেশি জোরালো ও তীব্রতর করবে।  বিএনপির মহাসচিব বলেন, ভাষা শহীদদের মহিমান্বিত অবদানের কারণে অমর একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে সারাবিশ্বে পালিত হচ্ছে। এটি বিশ্বজুড়ে ভাষাগত বৈচিত্র্য এবং বহুভাষিকতা প্রচারের একটি দিন। জাতি হিসেবে মাতৃভাষার প্রতি আমাদের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা প্রকাশের এক গর্বিত দিন একুশে ফেব্রুয়ারি।  তিনি বলেন, আমাদের ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে চর্চার মাধ্যমে অধিকতর সমৃদ্ধশালী করে তুলতে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। যাতে জাতি হিসেবে বিশ্বসভায় আমাদের সম্মান ও মর্যাদা আরও বেশি উচ্চস্থান লাভ করে। মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ’৫২-র ভাষা আন্দোলনের বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি।
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৪১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়