• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
পেশাদার সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য আইন দরকার : তথ্য প্রতিমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, পেশাদার সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য আইন ও নিয়ম-নীতি দরকার। রোববার (১০ মার্চ) সচিবালয়ে নিজ দপ্তর কক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মারি মাসদুপুই এর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে রাষ্ট্রদূতের সাথে আলোচনার প্রসঙ্গ টেনে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী। ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ফ্রান্সে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং মূল ধারার গণমাধ্যমে অপতথ্যের বিস্তার কিভাবে মোকাবিলা করা হয় সেটা নিয়ে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতের সাথে কথা হয়েছে। ফ্রান্সে বেশ কিছু আইন আছে, নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা এ বিষয়গুলো দেখভাল করে। রাষ্ট্রদূত এমনও বলেছেন যে, কোন ব্যক্তি যদি ফ্রান্সের মধ্যে ফ্রান্সের সরকারের বিপক্ষে কোন অপতথ্য প্রচার করে এবং সে ক্ষেত্রে তার পেছনে যদি কোন বিদেশি শক্তিও থাকে তাদেরকে রীতিমতো জেরা করার জন্য নিয়ে আসা হয়। এখানে তারা কোন ছাড় দেয় না। তাদের বিভিন্ন নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান আছে যারা অপতথ্য খুঁজে বের করে সরকারের কাছে পেশ করে। তিনি বলেন, ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত বলেছেন, রেগুলেশন যেমন গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে ব্যাহত করতে পারে, আবার গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সংরক্ষণের জন্য নিয়ম-নীতি দরকার। আমিও এ বিষয়ে একমত। পেশাদার সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য আইন ও নিয়ম-নীতি দরকার। আইনের প্রয়োগ বা অপপ্রয়োগ হচ্ছে কিনা সেটি হচ্ছে বিষয়। কিন্তু নিয়ম-নীতির বাইরে পৃথিবীর কোন দেশ নেই। সব দেশে আইন আছে। অপতথ্যের ব্যাপারে কারও কোন ছাড় নেই।   প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ইউরোপ বা পাশ্চাত্যের দেশগুলো বা আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশসমূহ কিভাবে এই অপতথ্যকে মোকাবিলা করে সে অভিজ্ঞতা জানা ও বোঝা এবং আমাদের এখানে কাজে লাগানোর বিষয়গুলো নিয়ে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতের সাথে আলাপ হয়েছে। এ সময় সাংবাদিকদের তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের সরকারের প্রতি এবং মানুষের প্রতি ফ্রান্সের আস্থা আছে এবং তারা গভীরভাবে বিভিন্ন বিষয়ে আমাদের সাথে কাজ করতে চায় বলে রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন। অপতথ্য মোকাবিলার ক্ষেত্রে ফ্রান্স বাংলাদেশের সাথে কাজ করবে। ফ্রান্সের সরকারি ভর্তুকিতে চলা টেলিভিশন চ্যানেল ফ্রান্স টুয়েন্টিফোরের সাথে বাংলাদেশ টেলিভিশনের যৌথ সহযোগিতার বিষয়ে রাষ্ট্রদূতের সাথে আলাপ হয়েছে বলে এ সময় জানান প্রতিমন্ত্রী। ক্যাবল অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব)-এর সাম্প্রতিক ধর্মঘট ডাকার প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী কোয়াবের সদস্যদের এ ধরনের ধর্মঘট ডাকা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি কোয়াব নেতৃবৃন্দের সাথে বসেছি, কথা বলেছি। তারা তাদের সমস্যার বিষয়গুলো তুলে ধরেছে। তখন আমি তাদের একটি বিষয় পরিষ্কারভাবে বলেছি, আইনের বাইরে গিয়ে কেউ কিছু করতে পারবেনা। ওটিটি প্লাটফর্ম সবগুলো চ্যানেলকে প্যাকেজ করে যা করছে এটা বেআইনি। এগুলো দেখার জন্য আমি মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছি। ইতিমধ্যে মন্ত্রণালয় থেকে কোয়াব, অ্যাটকো, আইএসপি অ্যাসোসিয়েশন এবং ডিটিএস থেকে দুজন করে প্রতিনিধি পাঠাতে চিঠি দেওয়া হয়েছে । তাদের নিয়ে কোলাবরেশন সেল তৈরি করা হয়েছে। শিগগিরই তাদের নিয়ে সভা করা হবে। সেখান থেকে সবগুলো সমস্যা সমাধানের পথে আমরা এগুবো।  মন্ত্রণালয় এ বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করছে। সেজন্য মাঝপথে এসে এ ধরনের ধর্মঘটে যাওয়া ঠিক হবে না। আইনের মধ্যে থেকে সকল সমস্যার সমাধান করা হবে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে শেরপুরের নকলা উপজেলার একজন সাংবাদিককে সাজা দেওয়ার ঘটনা নিয়ে সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই বিষয়ে দুই ধরনের তথ্য পাওয়া গেছে। একটি হচ্ছে তথ্য চাওয়ার অপরাধে তাকে সাজা প্রদান করা হয়েছে, অপরটি হচ্ছে অসদাচরণের দায়ে তাকে সাজা দেওয়া হয়েছে। দুটি তথ্য পরস্পর বিরোধী। কোনটি সত্য সেটি এখনো নিশ্চিত হতে পারছি না। আমি চাই এটার একটা তদন্ত হোক এবং তদন্ত করে সত্যটা বের হোক। সে উদ্যোগ ইতোমধ্যে তথ্য কমিশন নিয়েছে। আমি প্রধান তথ্য কমিশনারের সাথে কথা বলেছি। তারা বিস্তারিত তদন্ত করবে এবং তদন্তের পরে যেটা সঠিক সেভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আইনের প্রয়োগ মানেই ক্ষমতার অপব্যবহার এটা আমি মনে করি না। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে অপব্যবহারের সুযোগও থাকে। দুটোই আছে। কাজেই পুরো বিষয়টি না জেনে কোন উপসংহারে যাওয়া ঠিক হবে না। তবে একটি বিষয় নিশ্চিত করতে চাই বিষয়টি আমি পর্যবেক্ষণ করছি, তদন্ত সাপেক্ষে যেন সঠিক তথ্য বের হয়। বাংলাদেশের সাংবাদিক,শিল্পী বা সাহিত্যিক যেই হোক কেউ যেন কোন কারণে ক্ষমতার অপব্যবহারের কারণে ভিকটিম না হয়, এটা আমরা নিশ্চিত করব।
১০ মার্চ ২০২৪, ১৮:৪৯

‘অনিবন্ধিত অনলাইন পোর্টালকে শৃঙ্খলার মধ্যে আনা হবে’
অনিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টালকে শৃঙ্খলার মধ্যে আনা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান। প্রতিমন্ত্রী বলেন, অনলাইনে কতগুলো অনিবন্ধিত পোর্টাল আছে, যেগুলো বিভিন্ন ধরনের গুজব ছড়াচ্ছে। সেগুলোকে শৃঙ্খলায় আনার একটা পরিকল্পনা আমাদের আছে। যেসব অনলাইন পোর্টাল পেশাদার, রেজিস্টার্ড (নিবন্ধিত) এবং আইনগতভাবে সিদ্ধ, সেগুলোই থাকবে এবং চলবে। যাতে করে সবকিছুর মধ্যে একটা জবাবদিহি এবং শৃঙ্খলা থাকে। যেটা সাংবাদিকরাও চান। তিনি বলেন, সাংবাদিকরা যেমন বলেন, গোটা বাংলাদেশে গণমাধ্যমে একটা শৃঙ্খলা নিয়ে আসা দরকার, সাংবাদিকদের ন্যূনতম একটি যোগ্যতা থাকা দরকার, গণমাধ্যমকর্মী আইন শিগগিরই করে ফেলা দরকার। জেলা প্রশাসকদের কাছ থেকেও একই ধরনের বক্তব্য পাওয়া গেছে। সাংবাদিকসহ সবার দাবি যেহেতু একই রকম আমরা সরকারের পক্ষ থেকে এ দাবিগুলোর সঙ্গে একমত পোষণ করে সে জায়গায় কাজ করব। এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, গুজব নিয়ে জেলা প্রশাসকরাসহ আমরা সবাই চিন্তার মধ্যে আছি। গুজব প্রতিরোধ নিয়ে জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে কিছু আলাপ হয়েছে। অনলাইনের মাধ্যমে যে গুজবগুলো ছড়ানো হয় তা প্রতিরোধ করতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় একা পারবে না। এ জন্য আমাদের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কাজ করতে হবে।
০৫ মার্চ ২০২৪, ২১:২৭

‘জানুয়ারি পর্যন্ত ২০৮ নিউজ পোর্টালকে নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে’
চলতি বছর জানুয়ারি পর্যন্ত ২০৮টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ১৬৮টি দৈনিক পত্রিকার অনলাইন নিউজ পোর্টালকে নিবন্ধন সনদ দেওয়া হয়েছে। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত এ তথ্য জানান। তবে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর পক্ষে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এ প্রশ্নের উত্তর দেন। ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সদস্যদেশগুলোর তথ্যমন্ত্রীদের সম্মেলনে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে রয়েছেন বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। তুরস্ক সফর শেষে ২৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকা ফিরবেন তিনি। তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর পক্ষে আইনমন্ত্রী জানান, সারাদেশের অনিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলো নিবন্ধনের জন্য সরকার রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতি চালু করেছে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে ক্ষমতাপ্রাপ্ত হয়ে তথ্য অধিদপ্তর নিবন্ধনের কাজ পরিচালনা করে থাকে। তথ্য অধিদপ্তর থেকে চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ২০৮টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও ১৬৮টি দৈনিক পত্রিকার অনলাইন নিউজ পোর্টালকে নিবন্ধন সনদ প্রদান করা হয়েছে।  তিনি বলেন, অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিবন্ধনের বিষয়টি একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে পর্যায়ক্রমে আরও অনলাইন পোর্টালের নিবন্ধন দেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, পর্যায়ক্রমে অন্যান্য অনলাইন পোর্টালগুলো নিবন্ধনের আওতায় এনে সরকারিভাবে নজরদারি বাড়ানোর পরিকল্পনা সরকারের আছে। এ ছাড়া দেশের অনিবন্ধিত কোনো অনলাইন সংবাদপত্রে বা অনলাইনভিত্তিক পোর্টালে দেশবিরোধী সংবাদ প্রচার বা মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রচারের অভিযোগ পাওয়া গেলে তা বন্ধের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়ে থাকে।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:৩১

‘সত্য তথ্য দিয়ে অপতথ্য ও ভুল তথ্যকে চ্যালেঞ্জ জানাতে চাই’
সত্য তথ্য দিয়ে অপতথ্য ও ভুল তথ্যকে চ্যালেঞ্জ জানাতে চাই বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিজ দপ্তর কক্ষে বাংলাদেশ সফররত জার্মানীর বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের সাক্ষাৎকার প্রদানকালে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন। জার্মানির বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিক রিচার্ড বাইল, মাইকেল স্ট্যাং, সুসান ক্রুটজম্যান, আলজোসা হার্টম্যান, জুলিয়া থেরাস হেল্ড, নাটালি মেরোথ, বেঞ্জামিন বার্ন্ড থমাস এ সময় উপস্থিত ছিলেন। রিপোর্টার্স উইদাইট বর্ডারস (আরএসএফ) প্রকাশিত ২০২৩ সালের প্রতিবেদন ও র‌্যাংকিং এর জবাব প্রদান সংক্রান্ত জার্মান সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি আমি আরএসএফ ওয়েবসাইটে প্রকাশিত  প্রতিবেদন ও র‌্যাংকিং এর ব্যাপারে সমালোচনা নয় বরং প্রকৃত তথ্য তুলে ধরেছি। কারণ ২০২৪ সালেও এটি তাদের ওয়েবসাইটে আছে। আরএসএফ এর প্রতিবেদনে অনেক ভুল তথ্য আছে এবং এর বিপরীতে প্রকৃত সত্য আমি তথ্য-প্রমাণসহ গণমাধ্যমে তুলে ধরেছি এবং এ সংক্রান্ত একটা চিঠি আরএসএফ-কে পাঠিয়েছি। আমাদের উদ্দেশ্য আরএসএফ এর কাছে সত্য তুলে ধরা এবং আমাদের নিয়ে করা র‌্যাংকিং পুনর্মূল্যায়ন করা। এ সময় তিনি আরও বলেন, মাঝে মাছে কিছু মানুষ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে খারাপ উদ্দেশ্যে সরকারের কাজের সমালোচনা করে। বর্তমান সরকার গঠনমূলক সমালোচনা স্বাগত জানায়। আমরা শুধু অপতথ্য ও ভুল তথ্য প্রতিরোধ করতে চাই। গণমাধ্যম সঠিক তথ্য-প্রমাণসহ সরকারের সমালোচনা করলে সেটি সরকারকে সহযোগিতা করে। কিন্ত ভুল তথ্য দিয়ে কোনকিছুর সমালোচনা করলে সেটা কাউকে সহযোগিতা করে না। সাক্ষাৎকার প্রদানকালে তিনি আরও যোগ করেন, ডিজিটাল দুনিয়া থেকে জনগণকে নিরাপদ রাখার জন্য সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করেছে। এর অপব্যবহার নিয়ে সমালোচনা হওয়ায় সরকার এটি পরিবর্তন করে সাইবার নিরাপত্তা আইন করেছে। এটিই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের সৌন্দর্য। তাঁর সরকার সবসময় চাহিদার নিরিখে সবকিছুর সমন্বয় করে, পরিবর্তন করে।    বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত এক প্রশ্বের জবাবে এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশ। বাংলাদেশ ডেল্টাকে রক্ষার জন্য বাংলাদেশ ১০০ বছরের ডেল্টা প্ল্যান প্রণয়ন করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জলবায়ু উদ্বাস্তুদের জন্য গৃহ নির্মাণ করে দিচ্ছে। বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় আরও গবেষণা করা প্রয়োজন। এ বিষয়ে বাংলাদেশ সব সময় আন্তর্জাতিক ফোরামে জোরালো বক্তব্য তুলে ধরে আসছে। জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আরও সহযোগিতা ও বাস্তবসম্মত সমাধানে আসা প্রয়োজন। রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ সময় মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, রোহাঙ্গিদের প্রতি বাংলাদেশ সর্বোচ্চ সহানুভূতি দেখিয়েছে। বর্তমানে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিকরা বাংলাদেশের মতো ঘনবসতিপূর্ণ দেশের জন্য বড় ধরণের চাপের কারণ। বাংলাদেশ চায় রোহিঙ্গারা তাদের নিজ দেশে সম্মানজনকভাবে ফিরে যাক। গোটা বিশ্বের রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের নিয়ে দায়িত্ব রয়েছে। মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তনের উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করতে উন্নত রাষ্ট্রসমূহের ভূমিকা নেয়া উচিত। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত এ বিষয়ে মিয়ানমারের উপর চাপ অব্যাহত রাখা। তাছাড়া যেসব দেশের সামর্থ্য আছে তারা নিজ নিজ দেশে নিয়ে গিয়ে রোহিঙ্গাদের উন্নত জীবনযাপনে সহযোগিতা দিতে পারে।  
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৩১

সাংবাদিকতার যোগ্যতা নির্ধারণ করতে চায় সরকার
সাংবাদিকতার যোগ্যতা নির্ধারণে সাংবাদিকদের দাবির সাথে সরকার একমত বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।  বৃহস্পতিবার ( ১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে বিসিএস প্রশাসন একাডেমি মিলনায়তনে 'স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে গণমাধ্যমের ভূমিকা' শীর্ষক কর্মশালার প্যানেল আলোচনা পর্বে অংশ নিয়ে প্রতিমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। এ সময় প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, সাংবাদিকদের দাবি অনুযায়ী সাংবাদিকতার যোগ্যতা নির্ধারণের কিছু একটা থাকা দরকার। সরকার যখনই এটা বলবে তখনই বলা হবে সরকার নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে। এজন্য এ বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদেরই আওয়াজ তুলতে হবে। দেশে ও বিদেশের সব জায়গায় এ বিষয়ে লিখতে হবে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে আপনাদের এ বক্তব্য তুলে ধরতে হবে যে এটা আপনারাই চান। সরকার সাংবাদিকদের দাবির সাথে একমত। সরকারের এ বিষয়ে কোনো অসুবিধা নেই। সরকার বিষয়টির সমাধান করবে। তিনি এ সময় আরও জানান, সকল পেশাদার সাংবাদিকদের দাবি, সাংবাদিকদের একটা সংজ্ঞা নির্ধারণ করা হোক, একটা পরীক্ষার ব্যবস্থা থাকুক, একটা সংজ্ঞায়ন থাকুক কে সাংবাদিক, কে সাংবাদিক না। সাংবাদিকরাই বলছেন সাংবাদিকদের তালিকা থাকা উচিত। কেন বলছেন, কারণ অনেক অপেশাদার ঢুকে পড়েছে এ কমিউনিটিতে। যার দ্বারা সাংবাদিকরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। কিন্তু যখনই সরকার বলবে তালিকা তৈরি করা হচ্ছে, তখন আবার আরেক গোষ্ঠী বলে তালিকা কেন তৈরি হবে সাংবাদিকদের। প্রতিমন্ত্রী এ সময় আরও বলেন, অপতথ্যের বিপক্ষে তথ্যের লড়াইটা খুব জরুরি। তথ্য এবং অপতথ্যের লড়াই এখনও চলছে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অপতথ্য রোধে সাংবাদিকদের ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে। তিনি যোগ করেন, মুক্তিযুদ্ধের শক্তি বিভিন্ন সময়ে আক্রান্ত হয়েছে অপপ্রচার ও মিথ্যাচার দ্বারা। যেখানে সত্য থেমে যায়, সেখানে অসত্য ও মিথ্যাচার জায়গা করে নেয়। সাইবার নিরাপত্তা আইন প্রসঙ্গে এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, শুধু সাইবার নিরাপত্তা আইনই নয়, যে কোন আইনের অপব্যবহারের বিপক্ষে সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে আমাদের দাঁড়াতে হবে। সরকার মোটেও চায় না কোন আইনের অপব্যবহারের মাধ্যমে নির্দোষ ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হোক। বিসিএস প্রশাসন একাডেমির সহযোগিতায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ কর্মশালা আয়োজন করে। বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের সদস্যগণ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার প্যানেল আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। প্যানেল আলোচনা পর্বে মডারেটর ছিলেন বিসিএস প্রশাসন একাডেমির রেক্টর (সচিব) ড. মো. ওমর ফারুক।  
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:৫৫

‘ক্যাবল সেবা ডিজিটাইজেশনে শিগগিরই নির্দেশিকা তৈরি করা হবে’
ক্যাবল সেবা ডিজিটাইজেশনে শিগগিরই নির্দেশিকা তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিবেলে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে ক্যাবল অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’র নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ক্যাবল টেলিভিশন সম্প্রচার, ওটিটি প্ল্যাটফর্মসহ সকল ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা আনা হবে। অল্প সময়ের মধ্যেই ক্যাবল সেবা ডিজিটাইজেশনের জন্য গাইডলাইন তৈরি করা হবে। পাশাপাশি ক্যাবল টেলিভিশন সম্প্রচারে যেখানে আইনের লঙ্ঘন ও ব্যত্যয় আছে সেটা বন্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এক্ষেত্রে জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টিও বিবেচনা করা হবে।  তিনি বলেন, ক্যাবল টেলিভিশন সম্প্রচারে সম্পৃক্ত প্রত্যেক অংশীজন ডিজিটাইজেশনের পক্ষে। এক্ষেত্রে কোন বাধা নেই। তাই দ্রুততার সঙ্গে কাজটি করতে সরকার চেষ্টা করবে। ডিজিটাইজেশন হলে সরকার আরও বেশি রাজস্ব পাবে, অনেক বেশি স্বচ্ছতা আসবে। ওটিটি প্ল্যাটফর্ম সংক্রান্ত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেন, ওটিটি প্ল্যাটফর্মসহ প্রযুক্তির যেকোন অগ্রসরতাকে সরকার স্বাগত জানায়। কিন্তু যেখানে আইন ভঙ্গ হবে, নিয়ম-নীতি ভঙ্গ হবে সেখানে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একইসঙ্গে জাতীয় স্বার্থ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। প্রযুক্তির অগ্রসরতার সঙ্গে এক ধরনের ঝুঁকিও তৈরি হয়, সে জায়গাগুলোও দ্রুততার সঙ্গে বিবেচনা করা হবে। তিনি আরও বলেন, প্রযুক্তিকে স্বাগত জানাতে হবে। প্রযুক্তি যে পরিবর্তন ঘটিয়ে দিচ্ছে সেটা মেনে নেওয়ার মানসিকতাও থাকতে হবে। প্রযুক্তি গ্রহণের ইতিবাচক মানসিকতা থাকাটাও জরুরি।  তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে প্রচলিত আইনের কোনো ব্যত্যয় হোক এটা আমরা হতে দিতে পারি না। আইন এবং জাতীয় নিরাপত্তা সরকারের কাছে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাবে। তার ভিত্তিতে মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেবে। এ বিষয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয় ও যোগাযোগের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন প্রতিমন্ত্রী। সভায় ক্যাবল অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি এ বি এম সাইফুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ আলী চঞ্চল, সদস্য নিজাম উদ্দীন মাসুদ, রশিদ মালিক, ফরিদ উদ্দীন এবং হাবীব আলী উপস্থিত ছিলেন।
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:২৩

গুজব রটনাকারীদের প্রতি হুঁশিয়ারি আরাফাতের
সরকারের গুজব রটনাকারীদের প্রতি হুঁশিয়ারি জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। তিনি বলেছেন, সরকারের ব্যর্থতা-বিচ্যুতি নিয়ে গণমাধ্যমে সমালোচনা করা যাবে, তবে অপতথ্য বা মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে গুজব ছড়ালে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে সচিবালয়ে টেলিভিশন চ্যানেল মালিকদের সংগঠন অ্যাটকোর নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি। মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, প্রধানমন্ত্রী সমালোচনার ঊর্ধ্বে নন। তবে তিনি চান, সমালোচনা যেনো ব্যর্থতা-বিচ্যুতি নিয়ে হয়। কোনো অপপ্রচার, অপতথ্য বা মিথ্যা তথ্য দিয়ে কেউ যেন দেশের বিরুদ্ধে কাজ করতে না পারে, সেটার দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। অর্ধসত্য তথ্য দিয়ে গুজব ছড়ানোর বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।   প্রতিমন্ত্রী মনে করেন, মত প্রকাশের স্বাধীনতা অবশ্যই থাকতে হবে। তবে দেশ, পতাকা, জাতীয় সঙ্গীত নিয়ে বিরুদ্ধাচরণ করা মত প্রকাশের স্বাধীনতা নয়।  এরপর গণমাধ্যমগুলোর উদ্দেশে তিনি বলেন, যেসব গণমাধ্যম পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করবে, তারা টিকবে। যাদের পেশাদারিত্ব নেই, তারা টিকবে না। আমাদের দেশে গণমাধ্যমের অনুমোদন লাগে। বিশ্বের অনেক দেশেই কোনো অনুমোদন লাগেনা। সেটাও ভাবতে হবে। আরাফাত আরও বলেন, সময়ের সঙ্গে প্রযুক্তি এগিয়েছে, সেটা মেনে নিতে হবে। ছাপা পত্রিকা অনলাইনে এসেছে, সেখানে টকশো করছে। আবার টিভি চ্যানেলগুলোও অনলাইনে নিউজ করছে। এই সবকিছুই মেনে নিতে হবে। তবে তা নিয়মের মধ্যে থেকে করতে হবে।
২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:০৬

টিআইবির রিপোর্ট অসত্য-মানহীন : তথ্য প্রতিমন্ত্রী
নির্বাচন নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) প্রকাশিত রিপোর্ট অসত্য ও মানহীন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত। তিনি বলেন, তাদের রিপোর্ট তৈরিতে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বজায় রাখা হয়নি। বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, সংসদ নির্বাচন নিয়ে যারা এই গবেষণা করেছেন, তাদের গবেষণার কোনো অভিজ্ঞতা নেই। আন্তর্জাতিক জার্নালে তাদের কোনো গবেষণা নেই। টিআইবির গবেষণা বৈজ্ঞানিক মিসকন্ডাক্টকে (অসদাচরণ) ছাড়িয়ে গেছে। তারা অসত্য তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। আমি বিশ্বাস করি, দেশের সুশীল সমাজ সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণের মাধ্যমে গবেষণা করে তার ফলাফল জনগণের সামনে তুলে ধরবে।  তিনি বলেন, টিআইবি যেটা করেছে, সেটা কোনো গবেষণা না, এটা তাদের মতামত। তারা মানুষের মতামতকে তথ্য হিসেবে দেখিয়েছে। ৪২ হাজার কেন্দ্র থেকে মাত্র ৫০টি কেন্দ্রের ফলাফল নিয়ে পুরো নির্বাচন ঘিরে তৈরি রিপোর্ট কখনো সঠিক হতে পারে না। মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেন, নির্বাচনে কিছু অনিয়ম হলে কমিশন ব্যবস্থা নিয়েছে। যারা অনিয়ম করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছে। টিআইবির রিপোর্টে অনিয়মের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের শক্ত অবস্থানকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। বরং মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে তাদের মনোবল দুর্বল করার চেষ্টা করা হয়েছে। এর আগে, বুধবার (১৭ জানুয়ারি) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে টিআইবি। প্রতিবেদনে সংস্থাটি দাবি করে, নির্বাচনে ২৯৯ আসনের মধ্যে ২৪১টি আসনেই প্রকৃত অর্থে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়নি।
১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:৩৩

১২ জানুয়ারি : ইতিহাসে আজকের এই দিনে
আজ শুক্রবার, ১২ জানুয়ারি ২০২৪। একনজরে দেখে নেওয়া যাক ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়। ঘটনাবলি: ১৭৩৭ - পূর্ব ভারতের বঙ্গোপসাগরে ভয়াবহ প্রাণঘাতি ঝড় তুফানে তিন লক্ষ মানুষ প্রাণ হারায়। ১৭৬২ - ইংল্যান্ড ও স্পেনের যুদ্ধ শুরু হয়। ১৭৯৩ - জানুয়ারিতে ফরাসী সম্রাট ষোড়শ লুঁইকে শুলে চড়িয়ে হত্যা করা হয়। ১৮৪৬ - চার্লস ডিকেন্স সম্পাদিত ‘দি ডেইলি নিউজ’ প্রথম প্রকাশিত হয়। ১৮৯৯ - ওপেলের অটোমোবাইল তৈরি শুরু হয়। ১৯৩৬ - রাজা অষ্টম এডওয়ার্ড ইংল্যান্ডের সিংহাসনে আরোহণ করেন। ১৯৪৯ - চীনের প্রেসিডেন্টের পদ থেকে চিয়াং কাই শেকের পদত্যাগ করেন। ১৯৫৪ - পারমাণবিক শক্তিচালিত প্রথম মার্কিন জাহাজ নটিলাস সাগরে ভাসে। ১৯৬০ - বেগবর্ধক শক্তি আর ওজন শূণ্যতায় সৃস্ট প্রভাব পরীক্ষা করার জন্য প্রথমবারের মতো তিন বছর বয়সী একটি বানর মহাকাশে প্রেরণ করা হয়। ১৯৬৮ - উত্তর কোরিয়ার ৩১ কমান্ডো দক্ষিণ কোরিয়ার প্রসিডেন্ট প্রাসাদে হামলা করে। মুখোমুখি বন্দুকযুদ্ধে একজন ছাড়া এদের সবাই নিহত হয়। এ সময় সংঘর্ষে দক্ষিণ কোরিয়ার নিহত হয় ৩৪ জন। ১৯৭০ - ইরাকে অভ্যুত্থান চেষ্টা নস্যাৎ। ১২ জনকে হত্যা। ১৯৭২ - মনিপুর, মিজোরাম ও ত্রিপুরা ভারতের পূর্ণ রাজ্যে পরিণত হয়। ১৯৭৫ - আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের বৈঠকে শেখ মুজিবুর রহমানকে সর্বময় ক্ষমতা অর্পণ করা হয়। ১৯৭৬ - লন্ডন-বাহরাইন এবং প্যারিস-রিওর মধ্যে ফ্লাইট চলাচলের মধ্য দিয়ে কনকর্ডের বাণিজ্যিক উড্ডয়ন শুরু হয়। ১৯৯৬ - ইয়াসির আরাফাত ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। ১৯৯৭ - সৌদি আরব থেকে বিতাড়িত ৯১২ বাংলাদেশির দেশে প্রত্যাবর্তন করে। ২০০২ - কানাডিয়ান ডলার, আমেরিকান ডলারের তুলনায় সর্বকালের সর্বনিম্ন বিনিময় মূল্য পায় (১ কানাডিয়ান ডলার = ০.৬১৭৯ আমেরিকান ডলার)। ২০০৩ - মেক্সিকোর কোলিমা রাজ্যে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ভূ-কম্পনে ২৯জন নিহত এবং আনুমানিক ১০,০০০ লোক গৃহহীন হয়ে পড়ে। ২০০৫ - বেলাইজের বেলমোপান এলাকায় সরকারের নতুন করনীতির প্রতিবাদে দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে। জন্ম: ১৮৮২ - রাশিয়ান গণিতবিদ ও ধর্মতত্ত্ববিদ পাভেল ফ্লরেন্স ফ্লরেন্সকয়। ১৮৮৫ - ইতালিয়ান ইঞ্জিনিয়ার উমবেরত নবিলে। ১৯২৬ - আমেরিকান অভিনেতা স্টিভ রিভস। ১৯৩০ - কথাসাহিত্যিক সুচরিত চৌধুরী। ১৯৪১ - স্প্যানিশ মর্ম ও পথপ্রদর্শক প্লাকিড ডোমিংগো। ১৯৫৬ - একজন মার্কিন চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন অভিনেত্রী ও প্রাক্তন ফ্যাশন মডেল জিনা ডেভিস। ১৯৫৮ - কানাডিয়ান অভিনেতা মাইকেল ওয়িনচত্ত। ১৯৬৩ - নাইজেরিয়ান বংশোদ্ভূত আমেরিকান বাস্কেটবল প্লেয়ার হেকিম অলাজুওয়ন। ১৯৭৫ - ইংরেজ সাবেক ফুটবল খেলোয়াড় ও কোচ নিকি বাট। ১৯৮১ - ব্রাজিলিয়ান গায়ক ও গীতিকার মাইকেল টেল। ১৯৮৯ - আর্মেনিয় ফুটবলার হেনরিখ মখিটারয়ান। মৃত্যু: ১৫২৭ - স্প্যানিশ এক্সপ্লোরার জুয়ান ডে গ্রিজাল্ভা। ১৭৩৩ - অ্যাংলো-ডাচ দার্শনিক, রাজনৈতিক অর্থনীতিবিদ এবং ব্যাঙ্গ রচয়িতা বার্নার্ড ম্যান্ডেভিল। ১৬০৯ - ফরাসি ইতিহাসবিদ ও পণ্ডিত জোসেফ জুস্টুস স্কালিগ। ১৮৩১ - জার্মান কবি ও লেখক লুডওয়িগ আচিম ভন আরনিম। ১৯২৪ - রুশ বিপ্লবের মহান নেতা ও মার্কসবাদের অন্যতম রূপকার ভ্লাদিমির ইলিচ লেনিন। ১৯৫০ - কালোত্তীর্ণ ইংরেজ সাহিত্যিক জর্জ অরওয়েল। ১৯৬৫ - ইরানের প্রধানমন্ত্রী হাসান আলী মনসুর তেহরানে অজ্ঞাতনামা গুপ্তঘাতক। ১৯৭০ - রাশিয়ান দার্শনিক ও লেখক আলেকজান্ডার হেরযেন। ১৯২৬ - নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ইতালিয়ান চিকিৎসক ক্যামিলো গলজি। ১৯৫০ - জর্জ অর্‌ওয়েল, তিনি ছিলেন এক কালোত্তীর্ণ ইংরেজ সাহিত্যিক। ১৯৭৮ - ইংরেজ পণ্ডিত ও লেখক ফেরদা উতলেয়। ১৯৯১ - কৃষকনেতা ও লেখক আবদুল্লাহ রসুল। ২০০৬ - কসোভোর প্রথম রাষ্ট্রপতি, প্রথম সারির কসোভো-আলবেনীয় রাজনীতিবীদ, বুদ্ধিজীবী ও লেখক ইব্রাহিম রুগোভা। ২০১৩ - ইংরেজ পরিচালক, প্রযোজক ও চিত্রনাট্যকার মাইকেল ওয়িনার।  
১২ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:৫৩

বড় জয় পেলেন নৌকার আরাফাত
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৭ আসনে বড় জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী মোহাম্মদ এ আরাফাত।  রোববার (৭ জানুয়ারি) রাতে ১২৪ কেন্দ্রের ফলাফল গণনা শেষে দেখা যায়, ৪৮ হাজার ৫৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন মোহাম্মদ এ আরাফাত। আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিকল্প ধারা বাংলাদেশ এর আইনুল হক ১ হাজার ৩৮০ ভোট পেয়েছেন।   ঢাকা-১৭ আসন রাজধানীর গুলশান, বনানী, ভাসানটেক থানা ও সেনানিবাস এলাকা নিয়ে গঠিত। সংসদে আসন নং: ১৯০। এই আসনে মোট কেন্দ্র ১২৪টি। মোট ভোটার ৩ লাখ ২৩ হাজার ৯৩২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৭০ হাজার ৭৮৩ জন ও নারী ভোটার ১ লাখ ৫৩ হাজার ১৪৪ জন। মোহাম্মদ এ আরাফাত ছাড়াও ঢাকা-১৭ আসনে আরও লড়ছেন ৬ জন প্রার্থী। বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বি.এস.পি) থেকে একতারা মার্কায় লড়ছেন শাহ আলম, আম মার্কায় ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মো. গোলাম ফারুক মজনু, কুলা মার্কায় বিকল্প ধারা বাংলাদেশের মো. আইনুল হক, সোনালী আঁশ মার্কায় তৃণমূল বিএনপির কাজী শফিউল বাশার, টেলিভিশন মার্কায় বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের (বিএনএফ) এস. এম. আবুল কালাম আজাদ ও বেলুন মার্কা নিয়ে লড়ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আরাফাত আশওয়াদ ইসলাম।   দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩ জন। এর মধ্যে ৬ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৯ পুরুষ, আর ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ২০২ নারী। এছাড়া তৃতীয় লিঙ্গের ভোটারের সংখ্যা ৮৫২। রোববারের ভোটে সারা দেশের ২৯৯ আসনে মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন ১ হাজার ৯৭০ প্রার্থী। এর মধ্যে ১ হাজার ৫৩৪ জন ২৮টি রাজনৈতিক দলের প্রার্থী। বাকি ৪৩৬ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী। নওগাঁ-২ আসনে এক স্বতন্ত্র প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে ভোট হচ্ছে ২৯৯ আসনে। ওই আসনটিতে পরে ভোটগ্রহণ হবে। সব আসনেই ব্যালট পেপার ব্যবহার করে ভোটগ্রহণ হয়েছে।
০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:৪৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়