• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিতে পদত্যাগ করতে হবে না ইউপি চেয়ারম্যানদের 
আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য পদত্যাগ করতে হবে না ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের। সপদে বহাল থেকেই উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন তারা। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) এমনই আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। কুষ্টিয়া ও সিলেটের দুটি উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের দায়ের করা এ সংক্রান্ত এক রিটের প্রেক্ষিতে শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানি করেন ড. শাহদীন মালিক। তিনি সাংবাদিকদের এই তথ্য নিশ্চিত করেন। আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক বলেন, কুষ্টিয়া ও সিলেটের দুজন ইউপি চেয়ারম্যান পদত্যাগ না করেই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে পদত্যাগ না করায় নিজ নিজ রিটার্নিং কর্মকর্তা তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন। আপিলেট কর্তৃপক্ষও বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন। পরে মনোনয়নপত্র বাতিলের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন তারা।
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:০১

‘আগামী নির্বাচনে অংশ না নিলে বিএনপির অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে’
আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলে বিএনপির অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। ‘মুজিবনগর দিবস’ উপলক্ষে শনিবার (২০ এপ্রিল) রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। কামরুল ইসলাম বলেন, বিএনপি এখনও আন্দোলনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার দিবা স্বপ্ন দেখছে। অথচ, পাঁচ বছর পর নির্বাচনে অংশ না নিলে দলটির অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে। তিনি বলেন, বহির্বিশ্বের সব দেশ আওয়ামী লীগ সরকারকে সমর্থন করছে। তাই সরকারের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনো সুযোগ নেই। আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, যারা ৭ মার্চ, মুজিবনগর দিবস পালন করে না তারা স্বাধীনতায় বিশ্বাসী না। জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের এজেন্ট হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে কাজ করেছেন অভিযোগ করে কামরুল ইসলাম, জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক না। তিনি ঘোষণা দিয়েছেন ২৭ মার্চ আর স্বাধীনতা দিবস ২৬ মার্চ।   বর্তমানে বিএনপির রাজনৈতিক কোনো বন্দি নেই জানিয়ে তিনি বলেন, যারা বন্দি আছেন, তারা সন্ত্রাসী কার্যক্রমের কারণে বন্দি রয়েছেন।  
২০ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:১৫

উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন বিএনপি-জামায়াতের ৭০ নেতা
আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন বর্জন করলেও উপজেলা ভোটে অংশ নিচ্ছে বিএনপি ও জামায়াত নেতারা। দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে প্রথম ধাপের ১৫০টি উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির অন্তত ৪৫ জন নেতা মনোনয়পত্র জমা দিয়েছেন। তাঁরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। আর জামায়াতে ইসলামীর  ২২ জন নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। সোমবার (১৫ এপ্রিল) ছিল প্রথম ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন। ১৫০টি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন মোট ৬৯৬ জন। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অন্তত ৪৬৬ জন নেতা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির নেতা আছেন কমবেশি ৪৫ জন।আর জামায়াতে ইসলামীর অন্তত ২২ জন নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। নির্বাচন কমিশন (ইসি) জানিয়েছে, ১৫০টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন মোট ১ হাজার ৮৯১ জন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৬৯৬ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭২৪ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৭১ জন। প্রার্থী হওয়ার বিএনপির নেতারা বলছেন, এবার উপজেলা নির্বাচন দলীয় প্রতীকে হচ্ছে না। তাই মনোনয়নপত্র দাখিল করা হয়েছে। জনগণের জন্য কাজ করতে ভোটে অংশগ্রহণ ছাড়া বিকল্প নেই।  যেসব বিএনপি  নেতা উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জামা দিয়েছেন তারা হলেন- নারায়ণগঞ্জ উপজেলায় মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউর রহমান মুকুল; নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলায় বিএনপি নেতা মো. আয়েন উদ্দিন ডালিম; মহাদেবপুরে উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন; ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুরুজ্জামান লস্কর তপু; কুমিল্লার মেঘনায় উপজেলা বিএনপি সভাপতি মো. রমিজ উদ্দিন; একই উপজেলার নাঙ্গলকোটে উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মো. মাজহারুল ইসলাম; চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলায় বিএনপি নেতা মো. আশরাফ হোসেন আলিম ও তার ছেলে আব্দুল্লাহ আল রাইহান; ভোলাহাট উপজেলায় বিএনপির মোহাম্মদ বাবর আলী, মো. আনোয়ারুল ইসলাম ও ইয়াজদানী আলীম আল রাজী; ময়মনসিংহের ফুলপুরে পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এমরান হাসান পল্লব চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন।  একইভাবে নাটোর সদর উপজেলায় বিএনপি নেতা গোলাম সরোয়ার ও বিএনপি কর্মী সাবেক ভিপি মো. ইসতেয়াক আহম্মেদ (হিরা); একই জেলার নলডাঙ্গা উপজেলায় বিএনপির উপজেলা কমিটির সহ-সভাপতি সরদার আফজাল হোসেন; পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যান ফায়জুল কবির তালুকদার; বান্দরবন সদর উপজেলায় জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কুদ্দুছ; নওগাঁর মহাদেবপুরে থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. সাজ্জাদ হোসেন; সিলেটের বিশ্বনাথে উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ও সাবেক ভাস চেয়ারম্যান গৌছ খান, যুক্তরাজ্য বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেবুল মিয়া ও যুক্তরাজ্য বিএনপি নেতা সফিক উদ্দিন চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন। একইভাবে আরও অনেক উপজেলায় চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে দলটির অনেক নেতা প্রার্থী হয়েছেন।  এছাড়া মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রাহেনা বেগম হাছনা। জামায়াতের যেসব নেতা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তারা হলেন-: চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে জামায়াতে ইসলামীর উপজেলা আমির আব্দুর রশিদ পাটোয়ারী, নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলায় নায়েবে আমির মাওলানা মো. আতাউর রহমান, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা আমির ওলিউর রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে সাবেক জামায়াত নেতা মো. সিরাজুল ইসলাম, কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় জেলা জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক সুজা উদ্দিন জোয়ার্দার, দিনাজপুরের বিরামপুরে জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির এনামুল হক, লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলায় জামায়াত নেতা হাবিবুর রহমান এবং সিলেটের বিশ্বনাথে উপজেলা আমির নিজাম উদ্দিন সিদ্দিকী চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন। এর বাইরে বেশ কয়েকটি উপজেলা নির্বাচনে জামায়াত নেতারা প্রার্থী হয়েছেন। এবার মোট চার ধাপে ৪৮০টি উপজেলা পরিষদে ভোট হওয়ার কথা। এর মধ্যে প্রথম ধাপের ১৫২টি উপজেলার তফসিল ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে দুটি উপজেলার (নারায়ণগঞ্জ সদর ও কুমারখালী) ভোট স্থগিত করা হয়। প্রথম ধাপের মনোনয়ন ফরম যাচাই-বাছাই হবে ১৭ এপ্রিল। মনোনয়ন ফরম প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ভোট গ্রহণ ৮ মে।
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:২৫

উপজেলা নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত বিএনপির
আগামী ৮ মে থেকে শুরু হতে যাওয়া ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের কোনো ধাপেই অংশ নেবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি।  মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে গতকাল সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সোমবার রাত ১০টায় শুরু করে গভীর রাতে শেষ হয় বৈঠকটি। এতে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।   প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বর্তমানে বাংলাদেশে এক বিকট স্বৈরাচারের অভ্যুদয় হয়েছে। আওয়ামী দখলদার শাসকগোষ্ঠী ক্ষমতাসীন হয়ে দেড় দশক ধরে অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও সবার অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বাংলাদেশ থেকে উচ্ছেদ করেছে। এদের আমলে কখনোই জাতীয় ও স্থানীয় সরকার কোনো নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। জনগণের ভোটের তোয়াক্কা না করে ক্ষমতাসীন দলের মনোনীত প্রার্থীদেরই আজ্ঞাবাহী নির্বাচন কমিশন বিজয়ী ঘোষণা করে। প্রতিটি নির্বাচনের আগে জনগণকে প্রতারিত করার জন্য নতুন নতুন রণকৌশল গ্রহণ করে দখলদার শাসকগোষ্ঠী। এতে আরও বলা হয়, প্রাণবন্ত গণতন্ত্রে নিরপেক্ষ নির্বাচনের সংস্কৃতি আওয়ামী লীগ কখনোই রপ্ত করেনি। তাদের অধীনে সব জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী বিরোধী দলের প্রার্থীদের বিভিন্নভাবে হামলা, মামলা ও হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। মনোনয়নপত্র তোলা ও জমা দেওয়া এবং নির্বাচনি প্রচারণায় হামলা ও শারীরিক আক্রমণসহ পথে পথে বাধা দেওয়া হয়েছে। অনেককে মনোনয়নপত্র জমা দিতেও দেওয়া হয়নি। আওয়ামী লীগ একতরফা নির্বাচন করতে গিয়ে বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মীকে কারাগারে ভরে রাখে দাবি করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচনে বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ প্রায় ২৫ হাজারেরও বেশি নেতাকর্মীকে কারান্তরীণ করা হয়, এদের অনেকেই এখনও কারাগারে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। গুম-খুন অব্যাহত থাকে। এমতাবস্থায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল— বিএনপি শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ও তার সাজানো নির্বাচন কমিশনের অধীনে এবং প্রশাসন ও পুলিশের প্রকাশ্য একপেশে ভূমিকার জন্য ইতোপূর্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন বর্জন করেছে। এখনও সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হয়নি এবং বিদ্যমান অরাজক পরিস্থিতি আরও অবনতিশীল হওয়ায় আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার যৌক্তিক কারণ রয়েছে। এ ব্যাপারে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, দলীয় সরকারের অধীনে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না, আগের সিদ্ধান্তই বহাল আছে। দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কেউ নির্বাচনে অংশ নিলে আগের মতোই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৩৩

অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধীরা আমাদের পরিবার ও সমাজেরই অংশ : রাষ্ট্রপতি
অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা আমাদের পরিবার ও সমাজেরই অংশ বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন। রাষ্ট্রপতি বলেন, অটিজম ও নিউরো ডেভেলপমেন্ট ডিসএ্যাবিলিটি (এনডিডি) বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু ও ব্যক্তিদের যথাযথ পুনর্বাসনে সরকারের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট বেসরকারি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর মানসিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধ জীবন গঠনের পথ আরও প্রসারিত হবে- এটাই সকলের প্রত্যাশা। বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় এ বছরও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক ‘১৭তম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস’ উদযাপনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে সাহাবুদ্দিন বলেন, এ উপলক্ষে আমি দেশের সকল অটিজম ও এনডিডি বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তি, তাদের পরিবার এবং অটিজম নিয়ে কর্মরত ব্যক্তি ও সংগঠনসূহকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।  দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘সচেতনতা-স্বীকৃতি-মূল্যায়ন: শুধু বেঁচে থাকা থেকে সমৃদ্ধির পথে যাত্রা’ যথাযথ ও সময়োপযোগী হয়েছে বলেও জানান রাষ্ট্রপ্রধান।  তিনি বলেন, অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা আমাদের পরিবার ও সমাজেরই অংশ। সরকার প্রতিবন্ধী ও এনডিডি বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তিদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অত্যন্ত আন্তরিক। অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সমন্বিত উন্নয়ন নিশ্চিতকল্পে সরকার ইতোমধ্যে ‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার সুরক্ষা আইন, ২০১৩’, ‘নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট আইন, ২০১৩’, ‘বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল আইন, ২০১৮’ এবং ‘প্রতিবন্ধিতা সম্পর্কিত সমন্বিত বিশেষ শিক্ষা নীতিমালা, ২০১৯’ প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করেছে। প্রতিবন্ধিতার ধরণ ও মাত্রা অনুযায়ী চিকিৎসা ও থেরাপি সেবা প্রদানের পাশাপাশি পুনর্বাসনের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। অটিস্টিক ব্যক্তিদের কাউন্সেলিং ও থেরাপি সেবা প্রদানের জন্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতায় ইতোমধ্যে অটিজম রিসোর্স সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে উল্লেখ করে সাহাবুদ্দিন বলেন, এছাড়া অটিজম ও এনডিডি সেবা কেন্দ্র চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যা অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন এবং অন্যান্য এনডিডি শিশু ও ব্যক্তিগণের জীবনমান উন্নত করতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।   তিনি বলেন, অটিজম ও এনডিডি শিশু ও ব্যক্তিদের জীবনব্যাপী সেবা ও ভালোবাসার প্রয়োজন হয়। তাই অটিজমসহ অন্যান্য প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে কাউন্সেলিং ও রেফারেল সেবা এবং সহায়ক উপকরণ ও সহায়ক প্রযুক্তি প্রদান করে আন্তর্জাতিক মানের সেবা প্রদান নিশ্চিত করতে হবে। রাষ্ট্রপতি ১৭তম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সফলতা কামনা করেন। সূত্র : বাসস  
০২ এপ্রিল ২০২৪, ১০:১১

এবার শিল্পী সমিতির নির্বাচনে অংশ নেবেন মাহিয়া মাহি
চলতি বছরের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-১ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ট্রাক মার্কায় লড়াই করেছিলেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। তবে জয়ের মুখ দেখেননি তিনি। বিপক্ষ দলের কাছে বিপুল ভোটে হেরে যান এই নায়িকা। এবার শোনা যাচ্ছে, আসন্ন শিল্পী সমিতির নির্বাচনে অংশ নেবেন মাহি।      চলচ্চিত্র শিল্পীদের সংগঠন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বিবার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৭ এপ্রিল। এরই মধ্যে প্যানেল সাজাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা।  মিশা সওদাগর-মনোয়ার হোসেন ডিপজল নেতৃত্বাধীন প্যানেল থেকে মাহি নির্বাচন করবেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে। এদিকে তাদের প্যানেল প্রস্তুত হলেও নিপুণের প্যানেলে সভাপতি প্রার্থী কে হচ্ছেন সেটা এখনও স্পষ্ট নয়।  ঢালিপাড়ায় গুঞ্জন রয়েছে— সভাপতির খোঁজে রীতিমতো মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন নিপুণ। কিন্তু এখন পর্যন্ত কাউকে নির্ধারণ করতে পারেননি এই নায়িকা। ইলিয়াস কাঞ্চন, ফেরদৌস, অনন্ত জলিল, শাকিব খানের দারস্থ হলেও চারজনই ফিরিয়ে দিয়েছেন নিপুণকে। তারা কেউই নির্বাচন করবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন।  নিপুণের প্যানেলের সভাপতি হিসেবে সবশেষ নাম উঠেছে আরশাদ আদনানের। তিনিও নির্বাচন করবেন না বলে জানান। প্রযোজকের ভাষ্য, আমি কোনো শিল্পী সমিতির নির্বাচন করব না। সমিতির কোনো পদে যাওয়ার ইচ্ছা নেই। আমি মুক্তভাবে কাজ করতে পছন্দ করি। চলচিত্রের জন্য কাজ করতে পছন্দ করি। কাজ করতে গেলে সমিতিতে থাকা দরকার বলে মনে করি না। জানা গেছে, গত ৪ মার্চ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। ভোট গ্রহণ ও প্রাথমিক ফল প্রকাশ ২৭ এপ্রিল। এ দিন সকাল ১০টা থেকে বিরতিহীনভাবে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে।
১৪ মার্চ ২০২৪, ১৩:৪৬

বিপিএলে অংশ নিতে আগ্রহী নোয়াখালীসহ ৪ দল
জমজমাট ফাইনালের মধ্য দিয়ে পর্দা নেমেছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দশম আসরের। নানান ঘটনা প্রবাহ শেষে অধরা শিরোপার স্বাদ পেয়েছে ফরচুন বরিশাল। এদিকে নামিদামি বিদেশি ক্রিকেটার, উন্নত সম্প্রচার ব্যবস্থা, দর্শক উপস্থিতি; সব মিলিয়ে এবারের বিপিএল ছিল দুর্দান্ত। জমজমাট এই টুর্নামেন্টে আরও ৪ দল অংশ নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তবে আন্তর্জাতিক ব্যস্ততায় নতুন দল যোগ করার সম্ভাবনা খুবই কম বলে জানিয়েছেন বিপিএলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক। তার দাবি, বর্তমান ৭টি দলের কেউ সরে দাঁড়ালে এই চারটি দলের যেকোনো একটি শট পেতে পারে। বিপিএলের সদস্য সচিবের ভাষ্য, বিপিএলে অংশগ্রহণের জন্য ইতোমধ্যেই আরও চার দল আবেদন করেছে। যদিও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ব্যস্ত সূচির কারণে নতুন করে দল বাড়ানোর সম্ভাবনা খুবই কম। বর্তমান সাত ফ্র্যাঞ্চাইজির কেউ সরে দাঁড়ালে সেক্ষেত্রে ওই চার দলের কারো সুযোগ মিলতে পারে।   তিনি যোগ করেন, ‘দল বাড়ানোটা খুব কঠিন। আমাদের কাছে ইতোমধ্যেই রাজশাহী, ময়মনসিংহ, নোয়াখালী, গাজীপুর আবেদন করে রেখেছে। বর্তমানের কোনো দল যদি না থাকে তাহলে তাদের পরিবর্তে আমরা ওই দলগুলোর কাউকে আনতে পারি। আগামী বিপিএলেই যে আমরা আরেকটা দল বাড়াবো সেটা চ্যালেঞ্জিং।’ ইসমাইল হায়দার মল্লিক বলেন, ‘আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ সময় বের করা। জাতীয় দলের খেলার পর যে সময়টা বাকি থাকে সেই সময়টুকুর মধ্যেই আমাদেরকে বিপিএল আয়োজন করতে হয়। একটা দল বাড়ানো মানে প্রায় দশটা দিন আরও অতিরিক্ত লাগে।’
০৫ মার্চ ২০২৪, ১৫:৫১

দলের কেউ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিলেই ব্যবস্থা :  রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, শেখ হাসিনার অধীনে বিএনপির আগামী উপজেলা নির্বাচনে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। তাই দলীয় সিদ্ধান্ত যারা অমান্য করবেন, তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সোমবার (৪ মার্চ) বেলা ১১টায় বগুড়ার শেরপুরে পুলিশের গ্রেপ্তার এড়াতে পালিয়ে থাকা দুর্বৃত্তদের হাতে নিহত বিএনপি নেতা আব্দুল মতীনের পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানাতে গিয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। রুহুল কবির রিজভী বলেন, এর মাধ্যমে দলীয় দুর্নীতিবাজদের আরও লুটপাটের সুযোগ করে দিয়েছে। যদিও জুলুম করে আর বেশিদিন টিকে থাকা যাবে না। রুহুল কবির রিজভী আরও বলেন, জেল-জুলুম, মামলা-হামলা, নির্যাতন ও হত্যার ভয় দেখিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের দমিয়ে রাখা যাবে না। সকল বাধা উপক্ষো করে আমরা রাজপথে আছি এবং থাকবো। দেশে গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি আন্দোলন চালিয়ে যাবে। এর আগে উপজেলার বিশালপুর ইউনিয়নের মান্দাইলে আব্দুল মতীনের গ্রামের বাড়িতে যান রুহুল কবির রিজভী। সেই সঙ্গে শোকাহত পরিবারের সদস্যদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে সমবেদনা জানান এবং নিহতের স্ত্রী লাইলী বেগমের হাতে নগদ অর্থ তুলে দেন তিনি।  এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় অর্থবিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি ও পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম বাদশা, জেলা বিএনপির নেতা শহিদুর রহমান শহিদ, শেরপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম বাবলু, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মিন্টু, বিশালপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলী আহম্মেদ, স্থানীয় বিএনপি নেতা মোস্তাফিজুর রহমান, জহুরুল ইসলাম, আব্দুল মজিদসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী।  এ ছাড়া নিহতের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ছেলে মিলন রহমান, মেয়ে মৌসুমী আক্তার, জামাই নাজিমুদ্দিন নাজু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। পরে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী নিহত আব্দুল মতীনের কবরে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ দোয়া মোনাজাতে অংশ নেন। প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর শেরপুরের বিশাল ইউনিয়নের নান্দাইল গ্রামের বিএনপি নেতা আব্দুল মতিনকে পিটিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এ ছাড়াও শাহজাহানপুর উপজেলার কোট্রাপাড়া ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ককে হত্যা করা হয়।
০৪ মার্চ ২০২৪, ১৬:০৭

ফটোসেশনে অংশ না নেওয়ার কারণ জানালেন তামিম
গত বিপিএলে ফাইনালের আগের মেট্রোরেলের স্টেশনে ফটোসেশন সেরেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ( বিসিবি)। এবারও ঐতিহ্যবাহী এক স্থানকে বেছে নিয়েছে । তবে বিসিবির এই বিশেষ আয়োজনে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স কিংবা ফরচুন বরিশাল দুই দলের কোনো অধিনায়কই উপস্থিত ছিলেন না। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী আহসান মঞ্জিলে বিপিএলের ট্রফি নিয়ে ফটোসেশনের আয়োজন করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। কথা ছিল লিটন দাস এবং তামিম ইকবাল আসবেন ট্রফি নিয়ে ফটোসেশনে অংশ নিতে। কিন্তু তাদের কাউকেই দেখা যায়নি ট্রফির সঙ্গে। তাদের বদলে দুই দলের দুই প্রতিনিধি আনুষ্ঠানিকতা সারেন। এই নিয়ে ক্রিকেট সমর্থকরা সমালোচনা করতে শুরু করেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও এই বিষয়ে শুরু হয় লেখালেখি। কেউ কেউ বিপিএলের প্রতি ক্রিকেটারদের গুরুত্ব হীনতার দিকেও ইঙ্গিত করছেন। এর মধ্যেই নিজের উপস্থিত না থাকার ব্যাখ্যা দিয়েছেন বরিশাল অধিনায়ক তামিম ইকবাল। তবে ফটোসেশনে থাকতে না পারার জন্য দুঃখপ্রকাশও করেছেন তামিম। নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তামিম লিখেছেন, বিপিএল ফাইনালের আগে ট্রফি উন্মোচনের আয়োজনের জন্য আজকে চমৎকার একটি জায়গা বেছে নিয়েছিল বিসিবি।  ‘তবে আমি সেখানে যেতে পারিনি, এ জন্য দুঃখ প্রকাশ করে বিসিবি, বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল ও বাংলাদেশ ক্রিকেটের সব অনুসারীর প্রতি। অধিনায়ক হিসেবে অবশ্যই আমার দায়িত্ব ছিল এরকম একটি আয়োজনে থাকা।’ ফটোসেশনে যেতে না পারার কারণ জানিয়ে তামিম লিখেছেন, গতকাল রাতেই আমরা কোয়ালিফায়ার ম্যাচ খেলেছি। ম্যাচ শেষে যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা সেরে হোটেলে ফিরতে আমাদের অনেক রাত হয়ে যায়। এরপর ফাইনালে ওঠার আনন্দ উদযাপনের জন্য দল থেকে বিশেষ আয়োজন ছিল। পাশাপাশি, অধিনায়ক হিসেবে আমার বাড়তি কিছু ব্যস্ততাও ছিল।  ‘সবকিছু শেষ করতেই আমার অনেকটা দেরি হয়ে যায়। সকাল সাড়ে ৮টায় হোটেল থেকে বের হওয়া তাই সম্ভব ছিল না আমার পক্ষে। জায়গাটি যেহেতু একটি ঐতিহাসিক স্থাপনা, ট্রফি উন্মোচনের আয়োজনটি নির্দিষ্ট ওই সময়েই করার কিছু বাধ্যবাধকতাও ছিল।’ তিনি আরও লিখেছেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে সবসময়ই বিপিএলকে অনেক মূল্য দিয়েছি এবং এই টুর্নামেন্টকে ওপরে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। কখনোই এই টুর্নামেন্টকে কোনোভাবে খাটো করতে চাইনি। বিপিএলের জন্য কোনো কিছু করার সুযোগ পেলে ভবিষ্যতেও এগিয়ে আসার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। তবে আজকের পরিস্থিতিতে আমার কোনো উপায় ছিল না এবং এজন্য আবারও দুঃখপ্রকাশ করছি।
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:২৯

অবশেষে নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার কারণ জানালেন রওশন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার বিষয়টি অবশেষে পরিষ্কার করেছেন জাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ। শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর কাকরাইলে নিজ বাসভবনে আয়োজিত বর্ধিত সভায় তিনি বলেন, অনেকে প্রশ্ন করেন, আমি কেন নির্বাচনে অংশ নিলাম না। মূলত, ভোটে জয়ী হওয়ার মতো জাপার অনেক নেতাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। তাদের বাদ দিয়ে তো আমি নির্বাচন করতে পারি না। তাছাড়া আমার ছেলের আসনও কেড়ে নেওয়া হয়েছে। তাকে ফেলে রেখে আমি নির্বাচনে যেতে পারি না। রওশান আরও বলেন, এতকিছুর পরেও সব কিছু মেনে নিতে পারতাম, যদি নির্বাচনে জাতীয় পার্টির ভরাডুবি না হতো। পার্টিকে ধ্বংসের শেষ সীমানায় পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এটা আমি কীভাবে মেনে নেব? তিনি বলেন, জাপার নেতাকর্মীদের দাবির মুখে আমি পার্টির চেয়াম্যানের দায়িত্ব নিতে বাধ্য হয়েছি। আপনারাই জাপার সব ক্ষমতার উৎস। আপনাদের চাওয়া মতেই পার্টি পরিচালিত হবে। জাতীয় পার্টিতে পূর্ণাঙ্গ গণতান্ত্রিক চর্চা হবে। জাপার একাংশের চেয়ারম্যান বলেন, আগামী ৯ মার্চ জাতীয় পার্টির দশম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এ সম্মেলনের বিরুদ্ধে অনেক ষড়যন্ত্র হতে পারে। এসব নিয়ে কেউ কান দেবেন না। ৯ মার্চ ওইদিন আপনারাই জাতীয় পার্টির নেতৃত্ব নির্বাচিত করবেন। রওশন এরশাদ অভিযোগ করেন, জি এম কাদেরপন্থিরা জাপা থেকে এরশাদের স্মৃতি মুছে ফেলার চেষ্টা করছেন। জাপা প্রতিষ্ঠার পর এবারের নির্বাচনে পার্টির প্রার্থীদের পোস্টারে পল্লিবন্ধুর ছবি রাখতে দেওয়া হয়নি। যার কারণে অনেক নেতাকর্মী ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। এ সময় দেশের অর্থনীতির বিষয়ে সরকারকে সতর্ক করে তিনি বলেন, নতুন সরকারের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে আমরা অশনিসংকেত দেখতে পাচ্ছি। সরকার যদি তা মোকাবিলা করতে না পারে, তাহলে বড় বিপর্যয় নেমে আসবে।
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:৫৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়