• ঢাকা সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
যে সুরা পড়লে অভাব দূর হয়
সুরা আল-ওয়াকিয়াহ। পবিত্র কোরআনুল কারিমের ৫৬তম সুরা। এই সুরার আয়াত সংখ্যা ৯৬। আর রুকু আছে ৩টি। সুরা ওয়াকিয়াহ মক্কায় অবতীর্ণ হয়। ‘ওয়াকিয়াহ’ শব্দের মূল অর্থ ঘটনা, এখানে কেয়ামত বোঝাতে ব্যবহৃত হয়েছে। মক্কায় অবতীর্ণ এ সুরায় কেয়ামতের দিন আল্লাহর নৈকট্যপ্রাপ্ত বান্দা, সাধারণ মুমিন ও কাফেরদের কী অবস্থা হবে তার বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। এসেছে জান্নাতের নেয়ামত ও জাহান্নামের শাস্তির বিবরণ। এ সুরার বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো এ সুরা পাঠ করলে রিজিক বৃদ্ধি পায়, অভাব দূর হয়। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, আমি আল্লাহর রাসুলকে (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি প্রতি রাতে সুরা ওয়াকিয়াহ তিলাওয়াত করবে সে কখনও অভাবে পড়বে না। (বায়হাকি: ২৪৯৭) বর্ণিত রয়েছে, আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) যখন মৃত্যু শয্যায়, তখন ইসলামের তৃতীয় খলিফা ওসমান (রা.) তাকে দেখতে যান এবং বলেন, আমি সরকারি কোষাগার থেকে ভাতার ব্যবস্থা করে দেব যা আপনার এবং আপনার মেয়েদের উপকারে আসবে। ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, প্রয়োজন নেই। আমি আমার মেয়েদের সুরা ওয়াকিয়া শিক্ষা দিয়েছি। আমি আল্লাহর রাসুলকে (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি প্রতি রাতে সুরা ওয়াকিয়া পাঠ করে, সে কখনও অভাবে পড়বে না।
৯ ঘণ্টা আগে

ভিজলেও নষ্ট হয় না এই ল্যাপটপ, পাবেন দেশেই
দেশের বাজারে ‘আইডিয়াপ্যাড স্লিম ৩ আই’ মডেলের লেনেভোর নতুন ল্যাপটপ পাওয়া যাচ্ছে। এটি টি ৮১০ এইচ মিলিটারি গ্রেড স্ট্যান্ডার্ড প্রযুক্তির পানিরোধী হওয়ায় ভিজলেও নষ্ট হবে না।  সম্প্রতি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে গ্লোবাল ব্র্যান্ড। এতে বলা হয়েছে, ১৪ এবং ১৫.৬ ইঞ্চি ফুল হাই ডেফিনেশন পর্দার ল্যাপটপটির ধারণক্ষমতা ৫১২ গিগাবাইট, যা ১ টেরাবাইট পর্যন্ত বাড়ানো যায়। ৮ গিগাবাইট র‍্যাম সুবিধার ল্যাপটপটিতে টি ইউভি লো ব্লু লাইট ডিসপ্লে প্রযুক্তি থাকায় চোখের ক্ষতি হয় না। ল্যাপটপটিতে দুটি অ্যান্টিনাযুক্ত ওয়াইফাই ৬ রিসিভার রয়েছে, ফলে সহজেই নিরবচ্ছিন্নভাবে ওয়াই-ফাই ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায়। দুটি মাইক্রোফোন এবং ডলবি অডিও স্টেরিও স্পিকারযুক্ত ল্যাপটপটিতে ৬৫ ওয়াটের ফাস্ট চার্জিং সুবিধা থাকায় চার্জ নিয়ে চিন্তা করতে হয় না। জানা গেছে, ইন্টেলের ১২ প্রজন্মের কোর আই ৫ প্রসেসর থাকায় দ্রুত কাজও করা যায় ল্যাপটপটিতে। দুই বছরের বিক্রয়োত্তর সেবাসহ সংস্করণভেদে ল্যাপটপটির সর্বনিম্ন দাম ৭০ হাজার টাকা।  
১০ ঘণ্টা আগে

নীল রঙের লবণ খেলে কী হয় জানেন
লবণ রান্নার জন্য খুবই দরকারি। লবণ ছাড়া খাবার স্বাদহীন। সাধারণভাবে আমরা সাদা রঙের লবণ দেখে এবং খেয়ে অভ্যস্ত। সাদা লবণই বাড়িতে আনা হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আয়োডাইজড এই লবণই রান্নায় পড়ে। কিন্তু এর বাইরেও রয়েছে লবণ।  যেমন অনেক বাড়িতে সৈন্ধব লবণ এবং বিটনুন খাওয়া হয়। এগুলো গোলাপি লবণ হিসাবেও পরিচিত। কিন্তু যেটা খুব কম মানুষই জানেন, সেটা হলো নীল লবণ। অনেকেতো অবাকও হতে পারেন এটা শুনে যে লবণ নীল রঙেরও হয়।  নীল রঙের লবণ খেলে শরীরে কেমন প্রভাব পড়বে জেনে নিন- নীল রঙের লবণ আসলে রয়েছে। আর তার কদরও সীমাহীন। নামকরা রাঁধুনিদের কাছে নীল লবণ মানে শুধুই লবণ নয়, একটা আভিজাত্য। এবং সমাজের এক শ্রেণীর মানুষের কাছেও তাই। কিন্তু জানেন কি এই লবণ কোথায় পাওয়া যায় এবং এই লবণের বিশেষত্ব? নীল লবণ ভারতে পাওয়া যায় না। তবে এশিয়ারই একটি দেশে পাওয়া যায়। এটি হলো ইরান। এই দেশে এই বিশেষ লবণ পাওয়া যায়। নীল লবণের পোশাকি নাম পারসিয়ান সল্ট। প্রায় ২ হাজার বছর আগে ইরানে এই লবণ আবিষ্কার হয়। তার ব্যবহারও শুরু হয়। তারপর থেকে এই লবণ খনি থেকে তোলা চলছে। খনিতে জমাট বাঁধা এই লবণ তুলে এনে রোদে শুকিয়ে নিয়ে তার পরে এই নীল লবণ তৈরি হয়। এই লবণ নীল রঙের দেখতে হয়, তার কারণ এতে থাকে প্রচুর পরিমাণে খনিজ পদার্থ। এই লবণে ভরা থাকে ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম এবং পটাশিয়াম। এ লবণ দেখতেও খুব সুন্দর বলে মনে করেন অনেকে। ফলে তা খাবার টেবিলে অন্য একটা মাত্রা যোগ করতে পারে। সেই সঙ্গে এর খাদ্যগুণও অনেক। খেতে অবশ্য সাধারণ লবণের মত নয়, একটু অন্যরকম। খেলে খনিজের স্বাদ স্পষ্ট। তবে খেতে ভালো বলেই মত সকলের। জিভে গেলে একটা তাজা অনুভূতি দেয় এই লবণ। 
২০ ঘণ্টা আগে

যে ২ কাজে নষ্ট হয় জুমার সওয়াব
জুমার নামাজ ইসলামের অন্যতম একটি নামাজ। জুমা আরবি শব্দ, এর অর্থ একত্র হওয়া, সম্মিলিত হওয়া, কাতারবদ্ধ হওয়া। যেহেতু, সপ্তাহের নির্দিষ্ট দিন শুক্রবারে প্রাপ্তবয়স্ক মুমিন-মুসলমান একটি নির্দিষ্ট সময়ে একই স্থানে একত্র হয়ে জামায়াতের সাথে সে দিনের জোহরের নামাজের পরিবর্তে এই নামাজ ফরযরূপে আদায় করে, সে জন্য এই নামাজকে ‘জুমার নামাজ’ বলা হয়। সময় একই হলেও যোহরের সাথে জুমার নামাজের নিয়মগত কিছু পার্থক্য রয়েছে। কুরআনে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘হে বিশ্বাসীগণ, যখন তোমাদের শুক্রবারের নামাজের (জুমার নামাজ) জন্য আহ্বান করা হয়, তখন আল্লাহকে স্মরণ করো এবং ক্রয় বিক্রয় পরিত্যাগ করো; যদি তোমরা বুঝে থাকো, তবে এতেই তোমাদের পক্ষে কল্যাণ। যখন নামাজ সমাপ্ত হয়, তখন পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ো এবং আল্লাহর করুণার (জীবিকা) সন্ধান করো এবং আল্লাহকে বেশি বেশি স্মরণ করো; সম্ভবত [এতেই] তোমাদের মুক্তি রয়েছে।’ ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার দিনের চেয়েও জুমার দিনের মর্যাদা ও গুরুত্ব বেশি। রাসুল (সা.) বলেছেন, জুমার দিন দিনগুলোর মধ্যে শ্রেষ্ঠ। জুমার দিন আল্লাহ তাআলার কাছে সবচেয়ে মহান দিন। এমন কি এ দিন আল্লাহ তায়ালার কাছে ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর তথা ইসলামের দুই ঈদের দিন থেকেও মহান। (সুনানে ইবনে মাজা) জুমার দিন পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন হয়ে গোসল করে মসজিদে গিয়ে উত্তমরূপে জুমার নামাজ আদায়ের অপরিসীম সওয়াবের কথা বর্ণনা করে আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন গোসল করে এবং যথাসম্ভব উত্তমরূপে পবিত্রতা অর্জন করে, তেল মেখে নেয় অথবা সুগন্ধি ব্যবহার করে, তারপর মসজিদে যায়, মানুষকে ডিঙ্গিয়ে সামনে যাওয়া থেকে বিরত থাকে, তার ভাগ্যে নির্ধারিত পরিমাণ নামাজ আদায় করে, ইমাম যখন খুতবার জন্য বের হন তখন চুপ থাকে, তার এ জুমা এবং পরবর্তী জুমার মধ্যবর্তী সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়। (সহিহ বুখারি: ৯১০) এ হাদিসে জুমার সওয়াব লাভের জন্য আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যেমন কিছু করণীয় কাজের কথা বলেছেন, দুটি বর্জনীয় কাজের কথাও বলেছেন যা থেকে বিরত থাকা জুমার সওয়াব লাভের শর্ত: ১. মানুষকে ডিঙিয়ে সামনে যাওয়া ২. খুতবার সময় কথা বলা এ হাদিসটিসহ বিভিন্ন হাদিসে আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) জুমার নামাজ পড়তে গিয়ে এ দুটি কাজ করতে নিষেধ করেছেন মানুষকে ডিঙিয়ে সামনে যাওয়া জুমার দিন ইমামের কাছাকাছি বসার আগ্রহ ও চেষ্টা থাকা উচিত। কিন্তু সেজন্য আগে আগে মসজিদে উপস্থিত হতে হবে। মসজিদে পরে উপস্থিত হয়ে অন্য মুসল্লিদের ডিঙিয়ে তাদেরকে কষ্ট দিয়ে সামনে যাওয়ার চেষ্টা করা অন্যায় ও গুনাহের কাজ। খুতবা চলা অবস্থায় কেউ যদি কাতার ডিঙিয়ে সামনে যেতে চায়, তাহলে অন্য মুসল্লিদের উচিত তাকে এ কাজ করতে নিষেধ করা ও বসিয়ে দেওয়া। খতিব সাহেবের চোখে পড়লে তিনি নিজেই তাকে বসে যাওয়ার নির্দেষ দিতে পারেন। একবার রাসুল সা. জুমার খুতবা দিচ্ছিলেন। তার চোখে পড়লো এক ব্যক্তি মানুষকে ডিঙিয়ে সামনে যাওয়ার চেষ্টা করছে। তিনি তাকে বললেন, বসে পড়, তুমি দেরি করে এসেছ, মানুষকে কষ্টও দিচ্ছ। (সুনান আবু দাউদ) জুমার খুতবার সময় কথা বলা জুমার খুতবা শোনা ওয়াজিব। খুতবার সময় অনর্থক কথা ও কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে। রাসুল (সা.) খুতবার সময় চুপ থাকার ওপর গুরুত্বারোপ করতে গিয়ে কেউ কথা বললে তাকে ‘চুপ কর’ বলতেও নিষেধ করেছেন। আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত রাসুল (সা.) বলেছেন, জুমার দিন খুতবার সময় যদি তুমি তোমার সঙ্গীকে বলো, চুপ কর, তাহলেও তুমি অনর্থক কথা বললে। (সহিহ বুখারি) আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত আরেকটি হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন, যে জুমার দিন ইমাম খুতবা দেওয়ার সময় কথা বলে সে কিতাবের বোঝা বহনকারী গাধার মতো। (মুসনাদে আহমদ) ফকিহরা বলেন, যেসব কাজ নামাজের মধ্যে হারাম, তা খুতবা চলাকালীন সময়ও হারাম। খুতবার সময় সুন্নত-নফল নামাজ পড়াও বৈধ নয়।
০৩ মে ২০২৪, ১৩:০৫

ভিক্ষাবৃত্তির জন্য শিশু নোমানের আঙুল পুড়িয়ে দেওয়া হয়
৮ মাস বয়সী আব্দুল্লাহ আল নোমান নামে এক শিশুকে অপহরণ করে পঙ্গু বানিয়ে ভিক্ষাবৃত্তির জন্য পুড়িয়ে দেওয়া হয় হাতের পাঁচ আঙুল। বুধবার (৩০ এপ্রিল) ময়মনসিংহের চায়না মোড় থেকে ২৯ দিন পর শিশুটিকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় অপহরণ মামলার প্রধান আসামি আইরিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ হেডকোয়ার্টার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশের উপ-কমিশনার (অপরাধ উত্তর) আবু তোরাব মো. শামছুর রহমান। পুলিশের এ উপ-কমিশনার জানান, রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পরিকল্পিতভাবে পঙ্গু করে শিশুদের ভিক্ষাবৃত্তিতে নামানোর অভিযোগ বেশ পুরোনো। সারাদেশে বিকলাঙ্গ শিশুদের ভিক্ষার নামে ব্যবসা করাচ্ছে এক শ্রেণির অসাধু চক্র। এরই ধারাবাহিকতায় শিশু নোমানকে অপহরণ করা হয়। তিনি জানান, শিশু নোমানের বাবা পেশায় পোশাক শ্রমিক। তিনি গাজীপুর মহানগরের বাসন থানা এলাকার একটি পোশাক তৈরি কারখানায় চাকরি করেন। কর্মের সুবাদে পরিবার নিয়ে শিশু নোমানের পিতা মোক্তার হোসেন দীর্ঘদিন ধরে নাওজোড় এলাকার ফরিদ মিয়ার ভাড়া বাসায় বসবাস করছেন। গত ৩ এপ্রিল বাসা থেকে একই বাসার ভাড়াটিয়া আইরিন নামের এক মহিলা ওই শিশুকে চুরি করে পালিয়ে যান। তখন শিশুটির পিতা বাদী হয়ে বাসন থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। এরপর দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়েও শিশুটিকে পুলিশ উদ্ধার করতে পারেনি। তবে আইরিনের স্বামী মো. আবু সাঈদকে (সুমন) কুড়িগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়। তিনি আরও জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চুরি হওয়ার একমাস পর আসামি আইরিনকে ১ মে ময়মনসিংহের চায়না মোড় থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং অপহৃত শিশু নোমানকেও উদ্ধার করা হয় তার কাছ থেকে। অপহরণকারী আইরিন শিশুটিকে নিয়ে ছদ্মবেশে ভিক্ষাবৃত্তি করে আসছিলেন। আবু তোরাব মো. শামছুর রহমান বলেন, অভিযুক্ত আইরিন শিশু নোমানকে দিয়ে তিনি ভিক্ষাবৃত্তি করানোর কথা স্বীকার করেছেন। 
০২ মে ২০২৪, ২৩:২৭

যে কারণে হয় হিটস্ট্রোক, প্রতিরোধে যা করবেন
প্রচণ্ড গরমে মানুষের জীবন এখন ওষ্ঠাগত। আর এই পরিস্থিতিতে হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি অনেক বেশি। তাই এ বিষয় সম্পর্কে ধারণা থাকলে সহজেই সেই পরিস্থিতি সামলানো যায়। হিটস্ট্রোক বা হাইপারথার্মিয়াতে আমাদের শরীরের তাপমাত্রা হঠাৎ করে বাড়তে থাকে। আমাদের শরীর তখন আর এই হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়া তাপমাত্রাকে কন্ট্রোল করে শরীরকে ঠান্ডা করতে পারে না। এই সময় শরীরের তাপমাত্রা মাত্র ১০-১৫ মিনিটে ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইটেরও বেশি হয়ে যায় একে হিটস্ট্রোক বলে। এ সময় শারীরিক ও মানসিক ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয়। যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছরে ৬০০ জনেরও বেশি মানুষ হিটস্ট্রোক-এ মারা যায়। অনেক সময় ধীরে ধীরে এটি ঘটে থাকে, যদিও হুট করে ঘটার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। আমাদের দেশেও এই রোগ এখন প্রায়ই দেখা দেয় কারণ প্রতিনিয়তই পরিবেশের তাপমাত্রা বেড়েই চলেছে। হিটস্ট্রোকের কারণ, লক্ষণ ও বাঁচার উপায় সম্পর্কে জেনে নিন। হিটস্ট্রোক-এর কারণ, লক্ষণ ও এর প্রতিকার- হিটস্ট্রোক: হিটস্ট্রোক বা সানস্ট্রোক এক ধরনের অসুস্থতা, যা অত্যধিক গরমের কারণে হয়ে থাকে। এই অসুখে শরীরের তাপমাত্রা ১০৪ᱸ ফারেনহাইট-এর বেশি এবং সঙ্গে শারীরিক ও মানসিক ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয়। যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছরে ৬০০ জনেরও বেশি মানুষ হিটস্ট্রোক-এ মারা যায়। অনেক সময় ধীরে ধীরে এটি ঘটে থাকে, যদিও হুট করে ঘটার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। আমাদের দেশেও এই রোগ এখন প্রায়ই দেখা দেয় কারণ প্রতিনিয়তই পরিবেশের তাপমাত্রা বেড়েই চলেছে। হিটস্ট্রোক কয়েকটি কারণে হতে পারে। চলুন কারণগুলো দেখে নেই- পারিপার্শ্বিক উচ্চ তাপমাত্রা শরীরে পানিশূন্যতা বা মিনারেলসের অভাব কিছু ওষুধের প্রতিক্রিয়ায়, যেমন- ডাই-ইউরেটিক্স, বিটা ব্লকারস, অ্যালকোহল হার্টের বা স্কিনের অসুখে লক্ষণ বা উপসর্গ- হিটস্ট্রোকে প্রাথমিক কিছু লক্ষণ বা উপসর্গ থাকে। গরমে হিটস্ট্রোকের প্রাথমিক পর্যায়ে এটি ধরতে পারলে অনেক জটিল অবস্থা থেকে রোগীকে বাঁচানো সম্ভব। সাধারণত নিচের লক্ষণগুলো হিটস্ট্রোক-এ দেখা যায় শরীরের অত্যধিক তাপমাত্রা মাথাব্যথা দুর্বলতা ঝিমুনি বমি বমি ভাব হার্টবিট বেড়ে যাওয়া তবে রোগীর অবস্থা ক্রমশ খারাপের দিকে গেলে আরও কিছু উপসর্গ দেখা দেয়। যেমন- চামড়ার রং লালচে হয়ে যাওয়া মানসিক ভারসাম্যহীনতা হাঁটতে অসুবিধা হওয়া চোখের মণি বড় হওয়া বমি হওয়া ঘন ঘন শ্বাস নেওয়া খিঁচুনি অজ্ঞান হয়ে যাওয়া প্রাথমিক চিকিৎসা- এই গরমে কড়া রোদ ও ভিড় এড়িয়ে চলুন। যেহেতু এটি একটি জরুরি অবস্থা, তাই এর চিকিৎসাও দ্রুত হওয়া প্রয়োজন। এই রকম পরিস্থিতিতে প্রথমেই যা করা দরকার তা হলো, রোগীর শরীর ঠান্ডা করা এবং খোলা বা ফাঁকা স্থানে নিয়ে যাওয়া। ভারি পোশাক পরে থাকলে সেটা চেইঞ্জ করে পাতলা সুতি কাপড়ের পোশাক পরিয়ে দিন। ঠান্ডা বাতাসের ব্যবস্থা করুন, প্রয়োজন মনে হলে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিন। রোগীর সুস্থ হতে কয়েকদিন পর্যন্ত সময় লাগবে সেটা এর তীব্রতা বা ধরনের ওপর নির্ভর করে। যদি সঠিক চিকিৎসা করা না হয় তাহলে হিটস্ট্রোক রোগীর মস্তিষ্ক , পেশী, কিডনি এবং অন্যান্য অঙ্গগুলোকেও দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতির মুখে ফেলতে পারে। বিশেষজ্ঞরা শুধুমাত্র শরীরের তাপমাত্রা কমানোর জন্য কিছু না করে বরং পানি বা লিকুইড জাতীয় খাবার গ্রহণের ওপর জোর দিতে বলেন। প্রতিকার- হেলদি ও লিকুইড খাবার রাখুন ডায়েটে: আমাদের মধ্যে যারা বাইরে রোদে কাজ করি বা এক ঘন্টার বেশি ব্যায়াম করি তাদের হিটস্ট্রোক এড়ানোর জন্য প্রচুর পরিমাণে লিকুইড জাতীয় খাবার গ্রহণ করতে হবে। বিশুদ্ধ পানির কোনো বিকল্প নেই। ডাবের পানি, ফ্রেশ জুস, ঠান্ডা শরবত এগুলোও পান করতে পারেন। ভাজাপোড়া, মসলাদার খাবার এড়িয়ে চলুন। লাইট ও হেলদি ফুড বেছে নিন যাতে হজমে সমস্যা না হয়। ব্যায়াম ভোরবেলায় করুন: তাপদাহ বিদ্যমান থাকলে ব্যায়াম বা এক্সারসাইজ অবশ্যই সূর্যোদয়ের আগে বা খুব ভোরে করতে হবে। অ্যালকোহল গ্রহণ থেকে বিরত থাকুন: গরমের দিনগুলোতে অ্যালকোহল গ্রহণ থেকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে। কারণ, অ্যালকোহল বা সুগার ড্রিংকগুলো শরীরে ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতার সৃষ্টি করে। অনেক সময় শরীরে লবণ বা মিনারেলস-এর ঘাটতি দেখা যায়। সেই সময়ের জন্য সবচেয়ে উপকারী হলো ওরস্যালাইন। রোগীর পরিস্থিতি খারাপ হলে মুখে খাওয়া সম্ভব না হলে শিরার মাধ্যমে দেওয়া হয়। কিন্তু হাইপারটেনশন বা উচ্চ রক্তচাপ রোগীদের ক্ষেত্রে সবসময় এটা নিরাপদ নাও হতে পারে। কারণ, স্যালাইনের সোডিয়াম রক্তচাপ বাড়াতে সাহায্য করে। তাই ডাক্তারের পরামর্শ নিন সঙ্গে সঙ্গেই। শিশু ও বয়স্কদের জন্য টিপস- সব বয়সী মানুষের ক্ষেত্রে হিটস্ট্রোক এক রকম হলেও, বয়স্ক ও শিশুদের প্রতি আলাদা নজর রাখা জরুরি। খেয়াল রাখতে হবে যেন তাদের শরীরে কোনভাবেই পানিশূন্যতা দেখা না দেয়। যেহেতু ১-২ বছর বয়সী শিশুরা নিজেদের শারীরিক অসুবিধাগুলোর কথা বলতে পারে না। তাই গরমের দিনে তাদের বার বার পানি বা শরবত দিতে হবে। শরীরের তাপমাত্রা খুব বেশি বাড়তে দেয়া যাবে না। তাদের খোলামেলা জায়গায় বা প্রচুর বাতাস আছে এরকম জায়গায় রাখতে হবে। শিশুদের মতো বয়স্কদের জন্যও খোলামেলা স্থান বাছাই করা উচিত। যাদের ডায়াবেটিসের সমস্যা রয়েছে তাদের শরবত বা মিষ্টি জুস না দিয়ে পানি, ডাবের পানি এগুলো দিতে হবে। এই গরমে আমি বা আপনি যেকোনো সময়ে হিটস্ট্রোক-এ আক্রান্ত হতে পারি। তৎক্ষণাৎ প্রতিরোধের বা মোকাবেলার উপায়গুলো জানা থাকলে আমরা খুব সহজেই এই পরিস্থিতি থেকে নিজেদের বাঁচাতে পারি।
২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:১৪

ঈদ আসলে এখন মনে হয় বড় হয়ে গিয়েছি : ইভানা
ঈদ মানেই আনন্দ, ঈদ মানে খুশি। সাধারণ মানুষ তো বটেই ঈদের খুশি সবার সাথে ভাগ করার জন্য তারকারাও মুখিয়ে থাকে এই দিনটির জন্য। শত ব্যস্ততার মাঝেও তারকারা এ সময় নিজের পরিবারকে সময় দেন। ঘুরতে যান বন্ধুদের সাথে। আরটিভির ঈদ আয়োজনে ঈদ সহ নানা বিষয় নিয়ে কথা হলো বর্তমান সময়ের অন্যতম আলোচিত অভিনেত্রী ইভানার সাথে।  আরটিভি : ঈদ কোথায় করলেন?  ইভানা: ঈদ ঢাকাতেই করেছি। আর এখন ঈদ নিয়ে তেমন পরিকল্পনা থাকে না। ছোট বেলায় আগে অনেক প্লেন করতাম। মেহেদী দিবো, চাঁদরাতে ঘুরবো, ঈদের দিন ঘুরবো। কিন্তু এখনকার ঈদ নিয়ে তেমন কিছুই করা হয়না। কারণ কাজিনদের অনেকের বিয়ে হয়ে গেছে। এবার ঈদটা আমার জন্য অনেক স্পেশাল কারণ তিন বছর পর মা বাংলাদেশে এসেছে। ঈদে মায়ের হাতের রান্না খেয়েছি অনেক বছর পর।  আরটিভি : তারকা হওয়ার আগের ঈদ ও এখনকার ঈদে কি পার্থক্য?  ইভানা : তারকা হওয়ার আগের ঈদ গুলোই ভালো ছিল। আসলে এক একটা বয়স থাকে। বয়সের সাথে সাথে পারিপার্শ্বিক অবস্থাও পরিবর্তন হয়। ঈদ আসলে এখন মনে হয় বড় হয়ে গিয়েছি। আগে সালামি নিতাম এখন দিতে হয়। সত্যি কথা বলতে এখন আর আগের মত ঈদ ঈদ ভাইভটা পাইনা। আমি খবুই সাধারণ মানুষ। আমি নিজেকে কখনোই তারকা মনে করি না। হয়তো মানুষ ভালোবাসে পছন্দ করে বলেই তারকা বলে ডাকে। আমি নিজেকে কখনোই বড় কিছু মনে করিনা। আমি খুব সাধারণ ভাবেই জীবন কাটাই।  আরটিভি : ঈদ নিয়ে মজার কোন স্মৃতি? ইভানা: ঈদ নিয়ে অনেক ছোট বেলার মজার স্মৃতি আছে। ছোটবেলায় যৌথ পরিবার ছিলো। তখন অন্যরকম আনন্দে ঈদ কাটতো। প্রতিটা বাসায় গিয়ে সবার কাছ থেকে সালামি নিতাম। কে কত কার থেকে সালামি পেয়েছি সেটি গুনতাম। সালামির টাকা দিয়ে কি কিনবো টা প্লেন করতাম। আব্বুকে নিয়ম করে দিয়েছিলাম আমাকে সবচেয়ে বেশি সালামি দিতে হবে। আম্মু গৃহিনী ছিলো তাও আম্মুর থেকে সালামি নিতাম। আম্মু আবার আমারকে বলতো কে কত সালামি দিয়েছে? সেই টাকা গুলো দিতে কিন্তু আমি দিতাম না। আসলে ঈদ নিয়ে মজার স্মৃতি বলে শেষ করা যাবে না। আর এখন আমার কাছে ঈদের আনন্দ মানে কাজ দেখে দর্শকদের ভালোবাসা পাওয়াটা।
১২ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৪৮

‘বাবাকে ছাড়া কেমন যেন শূন্য মনে হয় নিজেকে’
চলছে ঈদ। আর এই উৎসবকে কেন্দ্র করে সবার মাঝেই দেখা যাচ্ছে এক ভিন্ন আমেজ। পরিবারের সাথে ঈদ করতে অনেকেই গিয়েছেন দেশের বাড়ি। পাশাপাশি এই ছুটিতে বাড়তি আনন্দ যোগ করতে টিভি চ্যানেল, ওটিটি, ইউটিউবে আসছে অনেক নতুন নাটক, ওয়েবফিল্ম শুরু করে নানান ধরনের কন্টেন্ট। পাশাপাশি নিজেকে একটু সবার থেকে ভিন্ন করে সাজাতে নিচ্ছেন অনেকেই অনেক প্রস্তুতি। সবকিছু মিলিয়ে পিছিয়ে নেই শোবিজ তারকারাও।  এদিকে একটা সময় উৎসব মানেই অপূর্বর নাটক, কখনো কখনো সে সংখ্যা ছাড়িয়ে যেত চল্লিশেরও বেশি। তবে মানের দিকে গুরুত্ব দিয়ে এখন নাটকের সংখ্যা কমিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে ব্যস্ততা বাড়িয়েছেন ওটিটিতে। ছিল ঈদুল ফিতর। শিল্পী-কলাকুশলী থেকে শুরু করে সবাই মেতেছিলেন ঈদ আনন্দে। প্রতিবারের মতো এবার ঈদের দিনটিও পরিবারের সঙ্গেই কাটিয়েছেন অপূর্ব। মা ও বড় ভাইদেরকে নিয়ে রাজধানীর উত্তরার নিজ-বাসাতেই দিনটি উদযাপন করেন তিনি। তবে বাবাকে হারিয়ে বিষণ্ণ এই অভিনেতা। জিয়াউল ফারুক অপূর্ব বলেন, বাবাকে ছাড়া কেমন যেন শূন্য মনে হয় নিজেকে। ঈদের দিন বাবার কথা ভীষণ মনে পড়েছে। খুব মিস করেছি, এখনো করছি। সবকিছু থেকেও কি যেন একটা নেই।  তিনি আরও বলেন, ঈদ সব সময়ই আনন্দের। তবে ছোটবেলার ঈদের আনন্দগুলো ছিল অন্যরকম। তখন একদম টেনশন ফ্রি ছিলাম। হাসতাম, ঘুরতাম, আড্ডা দিতাম। ওই সময়ের প্রত্যেকটা দিনই ছিল বেশ আনন্দের। সে সময়ের আনন্দটা এখনকার সময়ের কাছে কিছুই না। সে সময়ের সঙ্গে এখনকার তুলনা করা চলে না। এটা যে শুধু আমার ক্ষেত্রে তা নয়, এটা সব বড়দের ক্ষেত্রেই। বড়রা আসলেই দুর্ভাগা, সেদিক থেকে ছোটরা অনেক সৌভাগ্যবান। 
১২ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৪২

অপরাজনীতি যেন চিরতরে দূর হয় : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
দেশ থেকে অপরাজনীতি যেন চিরতরে দূর হয় সেই প্রার্থনা করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।  বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকালে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার নিজ গ্রামের বাড়ির জামে মসজিদে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় শেষে দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ প্রার্থনার কথা বলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা আমাদের দেশে যে সম্প্রীতি আছে, সেই সম্প্রীতির বন্ধনকে যেন আরও দৃঢ় করতে পারি। একই সঙ্গে আমাদের দেশ থেকে অপরাজনীতি যেন চিরতরে দূর হয়। নির্বাচনী এলাকার জনসাধারণের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়কালে গণমাধ্যমকর্মীদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আজকে পবিত্র ঈদের দিন আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসীকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানাই। মহান স্রষ্টার কাছে প্রার্থনা করি, বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে আমাদের দেশে যে শান্তি স্থিতি বিরাজমান এবং আজকে বাংলাদেশ যে পৃথিবীর সামনে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে উপস্থাপিত হয়েছে, এই উন্নয়ন অগ্রগতি যেন আরও বেগবান হয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবার সম্মিলিত রক্তস্রোতের বিনিময়ে আমাদের এই দেশ রচিত হয়েছে। এই দেশ থেকে যেন সমস্ত সম্প্রদায়িক অপশক্তির বিনাশ ঘটে। এই দেশে যেন আমরা সব সম্প্রদায় এবং সব মত-পথের মানুষ একসঙ্গে মিলেমিশে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য কাজ করতে পারি। ড. হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ফিলিস্তিনের মুসলমানদেরকে সেখানে নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে। নারী ও শিশুদেরকে হত্যা করা হচ্ছে। সেখানে যেন অবিলম্বে শান্তি আসে। সেখানে ইসরায়েল যে বর্বরতা চালাচ্ছে সে বর্বরতার যেন চির অবসান হয়। এটিই মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করে তার নেতৃত্বে দেশ যেন আরও এগিয়ে যায় মহান আল্লাহর কাছে সেই প্রার্থনা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
১১ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:০৭

নেতাকর্মীদের ঈদ পালন করতে হয় শোকাচ্ছন্ন পরিবেশে : রিজভী
বিএনপির নেতাকর্মীদের এক শোকাচ্ছন্ন পরিবেশে ঈদ পালন করতে হয় বলে মন্তব্য করেছেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বুধবার (১০ এপ্রিল) রাজধানীর শেওড়াপাড়ায় এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আমরা এমন এক দুঃসময় পার করছি, আমাদের বিএনপির নেতাকর্মীদের ঈদ পালন করতে হয় এক শোকাচ্ছন্ন পরিবেশে। যার বাসায় যাব, দেখব গুলিতে তার এক পা পঙ্গু, নাহলে তার চোখ অন্ধ। অথবা পরিবারের একটি সন্তান গুম হয়ে গেছে। হয়তো তিন মাস-চার মাস, তিন বছর-পাঁচ বছর-দশ বছর। যদি কারও বাসায় যাই দেখব, তার সন্তানটি কিছু দিন আগেই বিচার বহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছেন। বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িতে ঈদের আনন্দ যেন এক নিরানন্দ পরিবেশের মধ্যে পালন করতে হয়।’ তিনি বলেন, ‌‘জনগণ কষ্টে আছে। ঈদের আগে বাজারে তেমন ভিড় নেই। দ্রব্যমূল্যের এত ঊর্ধ্বগতি, বিশেষ করে খাদ্যপণ্য। এ যেন ছোঁয়া যায় না! একটা লেবুর দাম ২৫ থেকে ৩০ টাকা। ইফতারের জন্য মানুষ লেবু কিনতে পারে না। চিনি অধরা থেকে গেছে। এই তো পরিস্থিতি।’ তিনি আরও বলেন, ‘সরকারের কাছে জনগণের ইচ্ছা-অনিচ্ছার দাম নেই। একটি দেশ তাদের সঙ্গে রয়েছে। তারা নিজেদের গণতান্ত্রিক বলে দাবি করে। ভোট নিয়ে যে তেলেসমাতি, সেখানেও এই পার্শ্ববর্তী দেশ আওয়ামী লীগ সরকারকে সমর্থন করে। পিনাক রঞ্জন নামে তাদের একজন কূটনীতিক, বাংলাদেশে ভারতের হাইকমিশনার ছিলেন। তিনি দিল্লিতে বলেছেন, যখন সবকিছু হয়ে যাচ্ছে, নির্বাচন হয়ে যাচ্ছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাম্বাসেডর আত্মগোপনে চলে গেছেন।’ রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যে জালিয়াতির নির্বাচন, আমরা আর মামুরার নির্বাচন, ডামি নির্বাচন, আওয়ামী লীগ আর আওয়ামী লীগ নিজেদের নির্বাচন এবং এটি প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন নয়; এটা আজকে প্রতিষ্ঠিত। পৃথিবীর বিভিন্ন গণতন্ত্রকামী দেশের এই মত।’
১০ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৩২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়