• ঢাকা সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
দেশের ইতিহাসে হিটস্ট্রোকে একদিনে ১৭ মৃত্যুর রেকর্ড
চলমান দাবদাহের মধ্যে হিটস্ট্রোকে সারাদেশে শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি, আওয়ামী লীগ নেতা, ব্যবসায়ী, কৃষকসহ ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আবহাওয়া দপ্তরের হিসাবে দেশের ইতিহাসে এর আগে একদিনে হিটস্ট্রোকে এত মানুষের মৃত্যুর রেকর্ড নেই। সোমবার (২৯ এপ্রিল) তাপপ্রবাহের কারণে ঢাকা, চুয়াডাঙ্গা, যশোর, খুলনা ও রাজশাহী জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানবন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এদিকে রোববার (২৮ এপ্রিল) থেকে পঞ্চম দফায় হিট এ্যলার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকবে তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা। এর আগে, গতকাল ১৩ জেলায় তাপমাত্রা ছিল ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রির ওপরে। ২৪ ঘণ্টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি বৃদ্ধি পেয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক জানান, গতকাল রোববার রাজধানীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা শনিবারের চেয়ে ১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। এখন যে পরিস্থিতি, তাতে চলতি মাসে তাপমাত্রার তারতম্য হওয়ার সম্ভাবনা কম। সোমবার তাপমাত্রা একই রকম থাকতে পারে। ৫ বিভাগে প্রচণ্ড দাবদাহর মধ্যে চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ বিভাগে ঝড়বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে এই তিন বিভাগে আবহাওয়া সহনীয়। চট্টগ্রাম, সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় আজ অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ সময় বজ্রসহ বৃষ্টিও হতে পারে। কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে। রোববার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া রাজশাহীতে ৪২, খুলনায় ৪০, চুয়াডাঙ্গায় ৪১ দশমিক ৮, সৈয়দপুরে ৪০ দশমিক ২, মোংলায় ৪১, টাঙ্গাইলে ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসসহ ১৩ জেলায় তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রির ওপরে।
৪ ঘণ্টা আগে

সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড হতে পারে যে ৬ জেলায়
চলতি মাসে গত ৭৬ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে তাপপ্রবাহ ছিল দেশে। আগামী ২ দিন অর্থাৎ ২৮ ও ২৯ এপ্রিল দেশের ৬ জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড ভাঙার আশঙ্কা করা হচ্ছে। শনিবার (২৭ এপ্রিল) আবহাওয়াবিদ মোস্তফা কামাল পলাশ তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার (৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস) রেকর্ড ভাঙার আশঙ্কা খুবই বেশি আগামী ২৮ ও ২৯ এপ্রিলের যে কোনো দিন। সম্ভাব্য জেলা- চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, যশোর, পাবনা, রাজশাহী, ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ। তিনি আরও বলেন, খুব জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বেলা ১১টার পর থেকে বিকেল ৪টার মধ্যে ঘরের বাইরে বের হওয়ার থেকে বিরত থাকুন। শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিদের এই সময়ে ঘরের বাইরে বের হয়ে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করা জীবনের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। যে কোনো সময় হিটস্ট্রোক হয়ে যেতে পারে। এর আগে শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, চলতি এপ্রিল মাসে টানা যতদিন তাপপ্রবাহ হয়েছে, তা গত ৭৬ বছরেও হয়নি। হিটস্ট্রোক ও গরমজনিত রোগে অর্ধশতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। অতীতে কোনোকালে এত মানুষের মৃত্যু হয়নি। এবার মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড ভেঙেছে চুয়াডাঙ্গা। এ জেলায় ২৭ দিন ধরে ‘মরুভূমির লু হাওয়ার’ মতো পরিস্থিতি। চলতি মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে শুক্রবার চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১১ শতাংশ। সেখানে ‘অনুভূত’ তাপমাত্রা ছিল ৪৬ ডিগ্রি। এর আগে শনিবার মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল যশোরে। ওই দিন চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:১৩

৪৩ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম কালবৈশাখীর রেকর্ড
অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করে সারা দেশে চলছে তীব্র দাবদাহ। সূর্যের জ্বলন্ত রশ্মিতে যেন টগবগে আগুন ঝরছে। নিজের উত্তাপ জানান দিচ্ছে শহর, গ্রাম, পথ-ঘাট, সড়ক-মহাসড়ক সবখানেই। পিচঢালা পথ যেন জ্বলন্ত চুলা। টানা ২৭ দিনের তাপপ্রবাহ ৭৬ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে। এর সঙ্গে ভাঙল কালবৈশাখীর রেকর্ড। এই দাবদাহে ৪৩ বছরের মধ্যে চলতি মাসে সবচেয়ে কম কালবৈশাখী হয়েছে। গত বছরের এপ্রিলে বজ্রঝড় হয়েছিল সাতটি। ২০২২ ও ২০২১ সালে হয় যথাক্রমে ৯টি ও আটটি। আর এ বছর মাত্র একটি। এই এপ্রিল মাসে গত ৭৬ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে তাপপ্রবাহ ছিল। গণমাধ্যমকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. উমর ফারুক বলেন, ১৯৪৮ সাল থেকে উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখেছি। এবারের মতো তাপপ্রবাহ টানা আগে হয়নি। এবার ৭৬ বছরের রেকর্ড ভেঙে গেল।’ এই তাপপ্রবাহের মাসে বজ্রঝড় বা কালবৈশাখীর সংখ্যা গেছে কমে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক আবহাওয়া ও জলবায়ু নিয়ে গবেষণা করছেন। তিনি ১৯৮১ থেকে চলতি বছরের এপ্রিল মাসের উপাত্ত তুলে ধরেছেন তার গবেষণায়। এই ৪৩ বছরে এপ্রিল মাসে ৩৬৫টি বড় বজ্রঝড় হয়। সবচেয়ে বেশি ঝড় হয়েছিল ১৯৯৭ সালের এপ্রিল মাসে, ১৪টি। আর ১৯৯৯ ও ২০০৯ সালে সবচেয়ে কম চারটি করে ঝড় হয় এপ্রিলে।  গত বছরের এপ্রিলে বজ্রঝড় হয়েছিল সাতটি। ২০২২ ও ২০২১ সালে হয় যথাক্রমে নয়টি ও আটটি। আর এ বছর মাত্র একটি। দেশে সবচেয়ে বেশি বজ্রঝড় হয় মে মাসে। এর পর আছে জুন, সেপ্টেম্বর ও এপ্রিল মাস। কিন্তু এবার এই ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত দেশে মাত্র একটি বজ্রঝড় বা কালবৈশাখী হয়েছে। তাও হয়েছে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে। সেটিও অস্বাভাবিক।  এপ্রিল মাসে ঝড় কমে যাওয়ায় অস্বাভাবিক তাপপ্রবাহকেই কারণ মনে করেন বুয়েটের পানি ও বন্যা ব্যবস্থাপনা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক একেএম সাইফুল ইসলাম। তিনি জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তনসংক্রান্ত আন্তসরকার প্যানেলের (আইপিসিসি) সঙ্গে যুক্ত। তিনি বলেন, তাপমাত্রা বৈশ্বিকভাবে ১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে। এ বছরের এপ্রিল ভারতে ১২২ বছরের মধ্যে ছিল সবচেয়ে বেশি উষ্ণ। আমাদের যে বায়ুপ্রবাহ তার সঙ্গে সীমান্তসংলগ্ন ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, বিহার ও উডিষ্যার সম্পর্ক আছে। এ সময় এসব অঞ্চলে সাগর থেকে আসা জলীয় বাষ্প বজ্র মেঘের সৃষ্টি করে। কিন্তু এবার ভারতের ওই সব অঞ্চলেও প্রচণ্ড গরম পড়েছে। আর্দ্রতাপূর্ণ জলীয় বাষ্প জড়ো হয়ে বজ্র মেঘ সৃষ্টি করেনি। তাতেই এ বিড়ম্বনা। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই এ অবস্থা দেখছি আমরা।
২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৪১

আইপিএলের এক ম্যাচে যত রেকর্ড
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ইতিহাসে বিশ্বরেকর্ডে নাম লেখালো পাঞ্জাব কিংস ও কলকাতা নাইট রাইডার্সের মধ্যকার ম্যাচ। ঘরের মাঠে আইপিএল ইতিহাসে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ পুঁজি দাঁড় করায় কলকাতা। কিন্তু পাহাড়সমান এই পুঁজিও জয়ের জন্য যথেষ্ট হলো না।  শুধু আইপিএল নয়, যেকোনো টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেই সর্বোচ্চ রান তাড়ায় নজির গড়ে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে প্রীতি জিনতার দল। রেকর্ডের ছড়াছড়িতে ঠাসা এই ম্যাচটি নানান কারণে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। শনিবার (২৬ এপ্রিল) শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ফিল সল্ট ও সুনীল নারিনের বিধ্বংসী ইনিংসে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৬১ রানের পাহাড়সমান পুঁজি গড়ে কলকাতা। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে জনি বেয়ারস্টো তাণ্ডবে ৮ বল হাতে রেখেই ৮ উইকেটের বড় জয় ছিনিয়ে নেয় পাঞ্জাব। সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ড : টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এর আগে সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ডটি ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার দখলে। ২০২৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ২৫৮ রান তাড়া করে এ রেকর্ড গড়েছিল প্রোটিয়ারা। যা এখনও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ড। এতদিন আইপিএলে সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ড রাজস্থান রয়্যালসের ছিল। চলতি আসরেই এই রেকর্ড গড়ে তারা। এই জয়ের পর শুধু আইপিএল নয়, যেকোনো টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেই সর্বোচ্চ রান তাড়ায় নজির গড়ল প্রীতি জিনতার দল। এক ম্যাচে সর্বাধিক ছক্কা : টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ছক্কাও হয়েছে এই ম্যাচে। সব মিলিয়ে এই ম্যাচে ৪২টি ছক্কা হয়েছে। আগের সর্বোচ্চ ছিল ৩৮টি ছক্কা, সেটিও হয়েছিল এবারের আইপিএলে; গত ২৭ মার্চ সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ও মুম্বাই ইন্ডিয়ানস ম্যাচে। এ ছাড়া এককভাবে ২৪টি ছয় হাঁকিয়েছে পাঞ্জাব, যা টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে,  এশিয়ান গেমসে টি-টোয়েন্টিতে মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে নেপাল সর্বোচ্চ ২৬টি ছয়ের রেকর্ড গড়েছিল। দুই ইনিংস মিলিয়ে তৃতীয় সর্বোচ্চ রান : এদিন দুইদল মিলে ৫২৩ রান তুলেছে। এই ম্যাচে আইপিএল ইতিহাসে প্রথমবার দুই দলের চার ওপেনারই পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের ইনিংস খেলেছেন। সুনীল নারিন ও ফিল সল্ট—কলকাতা নাইট রাইডার্সের এই দুই ওপেনার এবারের আইপিএলে প্রায় প্রতি ম্যাচেই ঝড় তুলছেন। পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষেও এই ধারাবাহিকতা বজায় ছিল। মাত্র ৬৩ বলে দুইজনে গড়েছেন ১৩৮ রানের জুটি। এর আগে, হায়দরাবাদ ও ব্যাঙ্গালুরুর ম্যাচে দুই ইনিংস মিলিয়ে ৫৪৯ রান হয়েছিল। এ ছাড়া হায়দরাবাদ ও মুম্বাই ম্যাচে ৫২৩ রান হয়েছিল। যৌথভাবে সর্বোচ্চ বাউন্ডারি : এই ম্যাচে দুইদল মিলে বাউন্ডারিতে ৪০০ রান (কলকাতা ১৯৬, পাঞ্জাব ২০৪) তুলেছে। যা এখন টি-টোয়েন্টিতে যৌথভাবে সর্বোচ্চ। এর আগে, চলতি আসরের ব্যাঙ্গালুরু-হায়দরাবাদ ম্যাচেও একই রান এসেছিল।  
২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১১:২৭

চলমান তাপপ্রবাহ রেকর্ড ভেঙেছে ৭৬ বছরের
অসহনীয় গরমে পুড়ছে দেশ। কখনো তীব্র আবার কখনো অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে দেশের বেশ কিছু অঞ্চলের ওপর দিয়ে। তীব্র গরমে হাঁসফাঁস জনজীবন। আজ চলতি মাসে ২৪ দিনের মতো তাপপ্রবাহ বইছে, যা ৭৬ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে। এ অবস্থা এপ্রিল মাসজুড়েই অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক জানান, ১৯৪৮ সাল থেকে এক বছরে তাপপ্রবাহের দিনের রেকর্ড ভেঙেছে। গত ৭৬ বছরের ইতিহাসে এবারই প্রথম দীর্ঘ সময় ধরে তাপপ্রবাহ বইছে বাংলাদেশে। টানা অন্তত দুদিন তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি থাকলে তা তাপপ্রবাহ হিসেবে বিবেচনা করে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে মৃদু তাপপ্রবাহ, ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে মাঝারি তাপপ্রবাহ, ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রাকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ হিসেবে বিবেচনা করে আবহাওয়া অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, রাজশাহী বিভাগে ১ এপ্রিল থেকে তাপপ্রবাহ শুরু হয়। এরপর ৪ এপ্রিল পর্যন্ত বিভাগটির তাপমাত্রা ৩৬-৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়। পরবর্তীতে ঢাকা, খুলনা ও রংপুর বিভাগেও তাপমাত্রা বাড়ে এবং দুদিন তা অব্যাহত থাকে। এদিকে, গত ৮ এপ্রিল কক্সবাজার ও সীতাকুণ্ডে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রা রেকর্ড হয়। তবে ৯ ও ১০ এপ্রিল সারাদেশে তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে ছিল। এরপর ১১ এপ্রিল থেকে উষ্ণতা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। যা এখনও অব্যাহত রয়েছে। তাপপ্রবাহের সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। গরমে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। জ্বর-সর্দি আর ডায়রিয়া নিয়ে হাসপাতালে ভিড় বাড়ছে শিশুদের। গত কয়েক দিনে শিশু হাসপাতালে ভিড় বেড়েছে বেশ। এদিকে এপ্রিলজুড়ে তাপপ্রবাহ থাকলেও মে মাসের শুরু থেকে গরম কমার সংকেত দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, এপ্রিলজুড়েই থাকবে তাপপ্রবাহ। তবে মে মাসের শুরুতেই সারাদেশে বৃষ্টিপাত হতে পারে। এরপরই গরম কমে আসবে। এদিকে শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) আবহাওয়া অধিদপ্তরের সবশেষ ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এই অবস্থায় আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।   বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বৈজ্ঞানিক প্রমাণ ও জলবায়ুসংক্রান্ত রেকর্ড থেকে বোঝা যায়, গত কয়েক দশক ধরেই বাংলাদেশে উষ্ণতার মাত্রা ও এর স্থায়িত্ব বাড়ছে। রাজশাহী, পাবনা, চুয়াডাঙ্গা ও যশোরে তাপপ্রবাহ তুলনামূলক বেশি।
২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:৩৯

তীব্র তাপদাহে পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা, তাপমাত্রা রেকর্ড ৪২.২
গত কয়েকদিনের তুলনায় তাপমাত্রা বেড়েছে চুয়াডাঙ্গায়। তীব্র তাপদাহ রূপ নিয়েছে অতি তীব্র তাপদাহে। এতে জনজীবনে বেড়েছে অস্বস্তি। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গা জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বলে জানিয়েছে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস।  এদিকে তাপদাহে স্বস্তি মিলছে না কোথাও। তীব্র গরমে একটু স্বস্তি পেতে গাছের ছায়ায় আশ্রয় নিচ্ছে মানুষ। তবে, ভ্যাপসা গরমে শান্তি মিলছে না সেখানেও। পুকুর ও সেচ পাম্পের পানিতে গোসল করে শান্তি খুঁজছেন অনেকে। কেউ আবার পান করছেন ফুটপাতের অস্বাস্থ্যকর পানীয়। চলমান হাসপাতালে বাড়ছে গরমজনিত রোগীর সংখ্যা। তীব্র তাপদাহে ব্যাহত হচ্ছে কৃষিকাজ। নষ্ট হচ্ছে মাঠের ফসল। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, আজ তাপমাত্রা কয়েক ডিগ্রি বেড়েছে। যা তীব্র তাপদাহ থেকে অতি তীব্র তাপদাহে পরিণত হয়েছে। এপ্রিল মাসজুড়ে এমন পরিস্থিতি থাকতে পারে।
২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৫১

বিদ্যুৎ উৎপাদনে নতুন রেকর্ড
দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড হয়েছে। সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত ৯টায় ১৬ হাজার ২৩৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপপ্রধান তথ্য অফিসার মীর মোহাম্মদ আসলাম উদ্দিন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে দেশব্যাপী চলছে তীব্র তাপদাহ। এই মুহূর্তে বিদ্যুৎ বিভাগ জনজীবনে স্বস্তি বজায় রাখতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদনে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। উল্লেখ্য, এর আগে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড ছিল গতকাল রোববার ১৫ হাজার ৬৬৬ মেগাওয়াট।
২২ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৩৩

অধিনায়ক বাবরের অনন্য রেকর্ড
বিশ্বকাপের ব্যর্থতার পর  অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন বাবর আজম। কিন্তু আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে আবারও বাবরকে নেতৃত্বে ফিরিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে অধিনায়ক হিসেবে ব্যাটিং করতে নেমে একটা রেকর্ডও গড়েছেন। রোববার (২১ এপ্রিল) রাওয়ালপিন্ডিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দল হারলেও ২৯ বলে ৩৭ রানের ইনিংস খেলেছেন বাবর। অধিনায়ক হিসেবে পাকিস্তানের জার্সিতে টি-টোয়েন্টিতে ২২৪৬ রান করেছেন বাবর। যা করতে পারেননি আর কোনো অধিনায়কই। এর আগে অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ সর্বোচ্চ ২২৩৬ রান করেছিলেন। এ তালিকায় শীর্ষ পাঁচজনের তিনজনই এখনো দলের অধিনায়কত্ব করছেন বাবর ছাড়াও নিউজিল্যান্ডের কেইন উইলিয়ামসন ও ভারতের রোহিত শর্মা। একমাত্র ফিঞ্চই অবসরে গেছেন। বিরাট কোহলি খেললেও অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিয়েছেন অনেক আগেই। বাংলাদেশের অধিনায়ক হিসেবে সর্বোচ্চ রান সাকিব আল হাসানের। ৩৯ ম্যাচে টাইগারদের নেতৃত্ব দিয়ে ব্যাট হাতে করেছেন ৮২৬ রান। তাই এ তালিকায় তিনি অবশ্য বেশ পিছিয়ে। কমপক্ষে ১ হাজার রানই আছে ১৭ জনের।
২২ এপ্রিল ২০২৪, ২০:০৫

রত্না-আলেকজান্ডারের নতুন রেকর্ড
ঢাকাই চলচ্চিত্রের একসময়ের জনপ্রিয় অভিনেতা আলেকজান্ডার বো। এখন আর চলচ্চিত্রে খুব একটা দেখা যায় না। নির্বাচন ও চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন আয়োজনে মাঝে-মধ্যে তাকে দেখা যায়। সেই আলেকজান্ডার বো এবারের চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়ে চমকে দিলেন। বিজয়ী সব সদস্যের মধ্যে সর্বোচ্চ ২৮৬ ভোট পেয়ে আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। ভোটারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আলেকজান্ডার বো বলেন, ভোটাররা আমার প্রতি আস্থা রেখেছেন। তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। দীর্ঘ সময় ধরে চলচ্চিত্রে কাজ করে আসছি। সেই জায়গা থেকে ভোটাররা আমাদের মতো শিল্পীদেরকে ভালো করেই চেনেন, জানেন। হয়তো সে কারণেই এত ভোটের ব্যবধানে আমাকে জয়ী করেছেন। এর আগেরবারের নির্বাচনে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে চিত্রনায়িকা শাহনূরের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন আলেকজান্ডার বো। তবে তারও আগে দুবার সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এই অভিনেতা। আলেকজান্ডার বো এবার মিশা-ডিপজল প্যানেল থেকে আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক হিসেবে নির্বাচন করেন। তিনি প্রতিদ্বন্দ্বী আরেক নায়ক মারুফ আকিবকে হারিয়েছেন ১৩৭ ভোটে, মারুফ পেয়েছেন ১৪৯ ভোট। অন্যদিকে, নারী শিল্পীদের মধ্যে সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছেন চিত্রনায়িকা রত্না কবির। কার্যনির্বাহী সদস্য পদে তৃতীয়বারের মতো তিনি সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছেন। ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচনে ২৮ জন প্রার্থীর মধ্যে ১১ জন সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের মধ্যে মিশা-ডিপজল পরিষদ থেকে ‘ইতিহাস’খ্যাত এই নায়িকা ২৬৩ ভোট পেয়েছেন। এর আগে দুবার শিল্পী সমিতিতে সর্বোচ্চ ভোটে নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। বর্তমানে চতুর্থবারের মতো বাংলাদেশ ফিল্ম ক্লাবে দায়িত্ব পালন করছেন। চারবারই সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছেন রত্না। প্রতিক্রিয়া জানিয়ে রত্না বলেন, এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। সবাই আমাকে এত ভালোবাসেন, আমি কৃতজ্ঞ। সবসময় শিল্পীদের পাশে থেকে কাজ করব। ১৯৯৫ সালে শহীদুল ইসলাম খোকন পরিচালিত ‘লম্পট’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে যাত্রা করেন আলেকজান্ডার বো। পরিচালক শহীদুল ইসলাম খোকনের ‘ম্যাডাম ফুলি’ সিনেমাতে শিমলার বিপরীতে আলেকজান্ডারের অভিনয় প্রশংসিত হয়। তারপর আর তাকে পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি। রত্নার ঢালিউড চলচ্চিত্রে প্রায় দুই দশকের ক্যারিয়ার। ২০০২ সালে প্রথম ‘কেন ভালোবাসলাম’ সিনেমার মধ্য দিয়ে নাম লেখান তিনি। একটা সময়ে নিয়মিত অভিনয় করলেও পরে কমিয়ে দেন। প্রায় অর্ধশত সিনেমার এই নায়িকা ২০০২ সালে স্কুলে পড়া অবস্থায় প্রথম সিনেমাতে অভিনয় করেন। দশম শ্রেণিতে পড়ার সময় তার হাতে আসে কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘ইতিহাস’ সিনেমার কাজ। এই সিনেমাতে কাজী মারুফের বিপরীতে অভিনয় করে জনপ্রিয়তা পান তিনি। এরপর শুধু এগিয়ে যাওয়ার গল্প।
২১ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৪১

পাগলা মসজিদে রেকর্ড ৭ কোটি ৭৮ লাখ টাকার সঙ্গে মিলল আরও যা যা
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদে দানবাক্স থেকে পাওয়া ২৭ বস্তা টাকার গণনা শেষ হয়েছে ১৮ ঘণ্টায়। গণনা শেষে পাওয়া গেছে রেকর্ড ৭ কোটি ৭৮ লাখ ৬৭ হাজার ৫৩৭ টাকা। এছাড়া অনেক স্বর্ণালংকার ও বৈদেশিক মুদ্রাও মিলেছে দানবাক্স থেকে।   শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টায় দানবাক্সগুলো খোলা হয়। পরে সেগুলো মসজিদের দোতলায় গণনার জন্য নেওয়া হয়। ২২০ জন মিলে  দিনভর টাকা গুণে শেষ করেন রাত ২টার দিকে। কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মহুয়া মমতাজ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এবার ৪ মাস ১০ দিন পর মসজিদের নয়টি দানবাক্স ও একটি ট্যাঙ্ক খোলা হয়। এর আগে গত বছরের ৯ ডিসেম্বর তিন মাস ২০ দিন পর দানবাক্স খোলা হয়েছিল। তখন ২৩টি বস্তায় রেকর্ড ৬ কোটি ৩২ লক্ষ ৫১ হাজার ৪২৩ টাকা, বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া গিয়েছিল। এর আগে গত বছরের ১৯ আগস্ট খোলা হয়েছিল এ মসজিদের ৮টি দানবাক্স। তখন রেকর্ড ২৩ বস্তা টাকা পাওয়া গিয়েছিল। সেবার সাড়ে ১৩ ঘণ্টায় ২০০ জনেরও বেশি লোক গণনা শেষে রেকর্ড ৫ কোটি ৭৮ লাখ ৯ হাজার ৩২৫ টাকা পান। এছাড়া একটি ডায়মন্ডের নাকফুলসহ বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কারও পাওয়া যায়। জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখের উপস্থিতিতে দানবাক্সগুলো খোলা হয়। টাকা গণনার কাজে কিশোরগঞ্জের জেলার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মহুয়া মমতাজ, রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর শেখ জাবের আহমেদ, সহকারী কমিশনার রওশন কবীর, মাহমুদুল হাসান, সামিউল ইসলাম, আজিজা বেগম, মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান ও রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলাম, সিবিএ নেতা মো. আনোয়ার পারভেজসহ মাদ্রাসার ১১২ জন ছাত্র, ব্যাংকের ৫০ জন স্টাফ, মসজিদ কমিটির ৩৪ জন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১০ জন সদস্য অংশ নেন।  লোকজনের বিশ্বাস, এ মসজিদে মানত করলে মনের আশা পূর্ণ হয়। এমন ধারণা থেকে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই এ মসজিদে দান করে থাকেন। জনশ্রুতি আছে, এক সময় এক আধ্যাত্মিক পাগল সাধকের বাস ছিল কিশোরগঞ্জ পৌর শহরের হারুয়া ও রাখুয়াইল এলাকার মাঝ দিয়ে প্রবাহিত নরসুন্দা নদের মধ্যবর্তী স্থানে জেগে ওঠা উঁচু টিলাকৃতির স্থানটিতে। পাগল সাধকের মৃত্যুর পর স্থানটি পাগল পীরের মসজিদ হিসেবে ব্যবহার শুরু করেন এলাকাবাসী। জানা গেছে, মানত কিংবা দান খয়রাত করলে মনোবাসনা পূরণ হয় এমন বিশ্বাস থেকে বিভিন্ন বয়সের মানুষ মানত নিয়ে আসেন এ মসজিদে। তারা নগদ টাকা-পয়সা, স্বর্ণ ও রুপার অলঙ্কারের পাশাপাশি গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগি এমনকি বৈদেশিক মুদ্রাও দান করেন। বিশেষ করে প্রতি শুক্রবার দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এ মসজিদে মানত নিয়ে আসা বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষের ঢল নামে। আগতদের মধ্যে মুসলিমদের অধিকাংশই জুমার নামাজ আদায় করেন মসজিদে। আর এ ইতিহাস প্রায় আড়াইশ বছরেরও অধিক সময়ের বলে জানা যায়। বর্তমানে কিশোরগঞ্জ শহরের ঐতিহাসিক স্থাপনার মধ্যে পাগলা মসজিদ অন্যতম। শহরের পশ্চিমে হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে মাত্র ১০ শতাংশ জমির ওপর মসজিদটি গড়ে উঠলেও বর্তমানে মসজিদ কমপ্লেক্সটি ৩ একর ৮৮ শতাংশ জায়গা নিয়ে স্থাপিত হয়েছে। মসজিদের পরিধির সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে এর খ্যাতি এবং ঐতিহাসিক মূল্যও। মসজিদটির দান থেকে পাওয়া এসব অর্থ সংশ্লিষ্ট মসজিদসহ জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদরাসা ও এতিমখানার পাশাপাশি বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় হয়। এছাড়া করোনাকালে রোগীদের সেবায় নিয়োজিত শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৮০ জন স্বেচ্ছাসেবককেও অনুদান দেওয়া হয়েছিল এ দানের টাকা থেকে। পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটি সূত্রে জানিয়েছে, ঐতিহ্যবাহী পাগলা মসজিদে আন্তর্জাতিক মানের দৃষ্টিনন্দন ইসলামিক কমপ্লেক্স নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে ইতোমধ্যে। যার নামকরণ হয়েছে পাগলা মসজিদ ইসলামিক কমপ্লেক্স। দ্রুতই এর কাজ শুরু হবে। এটি নির্মাণে প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৫ কোটি টাকা। ৩০ হাজার মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবেন নতুন কমপ্লেক্সে।  
২১ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৩১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়