• ঢাকা সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বিশ্বব্যাপী ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়ছে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় গত প্রায় সাত মাস ধরে চলা ইসরায়েলের নির্বিচার হামলার প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস। বিক্ষোভ দমনে গত এক সপ্তাহে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে দুই হাজারেও বেশি বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে দেশটির পুলিশ। এখনও চলছে ধরপাকড়। এরমধ্যেই ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ফিলিস্তিনপন্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলপন্থীরা। যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে এত অভিযান, ধরপাকড় ও দমন-নিপীড়নেও দমছে না ইসরায়েলবিরোধী এ বিক্ষোভ। বরং, নিপীড়িত ফিলিস্তিনিদের অধিকার রক্ষায় বিক্ষোভের এ ঢেউ আছড়ে পড়ছে যুক্তরাষ্ট্রের বাইরেও। ইতোমধ্যে বিক্ষোভের এ ঢেউ প্রবল আকার ধারণ করতে শুরু করেছে কানাডা, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, লেবানন ও জর্ডানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও।  গত বৃহস্পতিবার থেকে কানাডার টরন্টো ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলম্বিয়া এবং অটোয়া ইউনিভার্সিটিসহ বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁবু গেড়ে অবস্থান নিয়েছেন ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারীরা। তাদের দাবি, ইসরায়েলের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সম্পর্ক ভাঙতে হবে এবং দেশটিতে যাবতীয় বিনিয়োগ ও সহায়তা বন্ধ করতে হবে। কানাডার বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ দিয়ে ইসরায়েলে কোনো বিনিয়োগ চলবে না। ইসরায়েলি বর্ণবাদ, দখলদারিত্ব এবং ফিলিস্তিনের অবৈধ বসতি স্থাপন থেকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন করতে হবে। ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক শেষ না করা পর্যন্ত তাদের বিক্ষোভ চলতে থাকবে। এদিকে মন্ট্রিলের ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিক্ষোভ দমনে পুলিশি হস্তক্ষেপের অনুরোধ করলেও এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি কানাডার আইন প্রয়োগকারীরা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে পুলিশ প্রশাসন থেকে বলা হয়, তারা এখনও পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। পরিস্থিতির অবনতি না হওয়া পর্যন্ত তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুরোধে সাড়া দেবেন না। দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়া ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ প্রসঙ্গে বিবৃতি দিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোও। তাতে তিনি বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শিক্ষার জায়গা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতার জায়গা; তবে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা কেবল নিরাপদবোধ করলেই এটি কাজ করে। এই মুহূর্তে নিরাপদ বোধ করছে না ইহুদি শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভের আঁচ লেগেছে ইসরায়েলের আরেক ঘনিষ্ঠ বন্ধুরাষ্ট্র অস্ট্রেলিয়াতেও। দেশটির শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইসরায়েলবিরোধী আন্দোলন শুরু হয়েছে। এই আন্দোলনের সঙ্গে প্রতিদিনই যুক্ত হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।  শুক্রবার (৩ মে) দেশটির সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁবু স্থাপন করে অবস্থান নেন বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী। এ সময় যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্বের অন্যান্য দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চলমান আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা জানান তারা। বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত সংস্থাগুলো থেকে সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়কে বিচ্ছিন্ন হওয়ার দাবি তোলেন। বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মেলবোর্ন, ক্যানবেরাসহ অস্ট্রেলিয়ার অন্যান্য শহরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও একই ধরনের বিক্ষোভ দানা বাঁধতে শুরু করেছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাম্পাসগুলোর মতো অস্ট্রেলিয়াতে এখন পর্যন্ত বিক্ষোভকারীদের ওপর চড়াও হয়নি পুলিশ। অস্ট্রেলিয়াতে প্রায় দুই সপ্তাহ আগে ইসরাইলবিরোধী আন্দোলন শুরু হলেও অনেকটা শান্ত ছিল। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশি অভিযানের পর এখন আরও সোচ্চার হয়ে উঠতে শুরু করেছে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও। বিশেষ করে দেশটির বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্রুততার সঙ্গে ভারী হচ্ছে ফিলিস্তিনের পক্ষে সমর্থন। বিক্ষোভকালে সরকার ও প্রধানমন্ত্রীবিরোধী স্লোগানও বের হচ্ছে শিক্ষার্থীদের মুখ থেকে। এরপরও এখন পর্যন্ত মারমুখী অবস্থানে যায়নি পুলিশ; ঘটেনি কোনো সহিংস ঘটনা।  সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মার্ক স্কটও বলেছেন, ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারীদের ক্যাম্পাসে অবস্থান করতে দেওয়া হবে। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের মতো সহিংসতা দেখা যায়নি। তিনি জানান, যতক্ষণ পর্যন্ত বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণ থাকবে, কোনো গোলযোগ হবে না, ততক্ষণ পর্যন্ত কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নেবে না।  এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ইসরাইলবিরোধী এ বিক্ষোভে সমর্থন জানাতে শুরু করেছে অস্ট্রেলিয়ার সাধারন নাগরিকরাও। অনেকেই বিক্ষোভ কর্মসূচির সঙ্গে সংহতি জানাতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে হাজির হচ্ছেন বিভিন্ন ক্যম্পাসে। তাদেরই একজন ৩৯ বছরের ম্যাট। তিনি বলেন, ‘আমি আমার শিশুকে নিয়ে এসেছি। ফিলিস্তিনি শিশুদেরও ওর মতো জীবন চাই। আমি এই বিক্ষোভে যোগ দিয়েছি এটা দেখাতে যে- গাজায় ইসরায়েলের হামলার ফলে শুধু শিক্ষার্থীরাই ক্ষুব্ধ, তা নয়। একবার আপনি অনুধাবন করুন, কি হচ্ছে এবং আপনার করণীয় কী! তখনই দেখবেন আপনি এই বিক্ষোভে যোগ দিয়েছেন, সচেতনতা বাড়াচ্ছেন এবং সংহতি প্রকাশ করছেন।’ বিক্ষোভকারীদের প্রতি অস্ট্রেলিয়ার মতো এতটা সহনীয় মনোভাব দেখাচ্ছে না ফ্রান্স সরকার। ইসরায়েলবিরোধী মতাদর্শ দমনে দেশটি অবলম্বন করেছে মার্কিন পন্থা। শিক্ষার্থীরা ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ করায় কদিন আগেই লিওঁতে অবস্থিত স্বনামধন্য ইনস্টিটিউট অব পলিটিক্যাল স্টাডিজ (সায়েন্সেস পো) এর জন্য অর্থ বরাদ্দ বন্ধ ঘোষণা করেছে সেখানকার সরকার। একইসঙ্গে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভকারীদের দমনে দাঙ্গা পুলিশও মোতায়েন করা হয়েছে।  ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী গ্যাব্রিয়েল আতাল বলেছেন, উত্তর আমেরিকা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তার দেশের সংখ্যালঘু শিক্ষার্থীরা যে মতাদর্শ প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করছে, তা কোনোভাবেই বরদাস্ত করবে না তার সরকার।  এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশ ও ইসরায়েলপন্থীদের সঙ্গে ফিলিস্তিনপন্থী শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনার পর হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন যুক্তরাজ্যের ভারতীয় বংশোদ্ভুত প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকও। সম্প্রতি তার দাপ্তরিক এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘আমরা বরাবরই বলে আসছি যে আমাদের ক্যাম্পাসগুলোতে ইহুদি শিক্ষার্থীদের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। স্বাভাবিকভাবেই আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য যেকোনো ধরনের বিক্ষোভে পুলিশ তার শক্তি প্রয়োগ করার অধিকার রাখে এবং যদি প্রয়োজন পড়ে আমরা তা করবো।’ প্রসঙ্গত, গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন শুরুর পর থেকে বিভিন্ন সময়ে যুক্তরাজ্যে বিভিন্ন সময় বিচ্ছিন্নভাবে সীমিত আকারে প্রতিবাদ জানানো হলেও সম্প্রতি মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ চরম আকার ধারণ করার পর গত কয়েক দিনে ওই বিক্ষোভের হাওয়া এসে লাগতে শুরু করেছে যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও। ইতোমধ্যে লন্ডন, ম্যানচেস্টার, শেফিল্ড, ব্রিস্টল ও নিউক্যাসলের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দানা বেঁধেছে ইসরায়েলবিরোধী এ বিক্ষোভ।   উল্লেখ্য, হামাস নির্মূলের নামে গত প্রায় সাত মাস ধরে চলা ইসরায়েলের সামরিক অভিযান ও নির্বিচার হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন অবরুদ্ধ গাজায়। নিহতদের বেশির ভাগই নিরীহ নারী ও শিশু। অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে এ সময়ে আহত হয়েছেন ৭৭ হাজারের বেশি মানুষ। এরই মধ্যে গাজায় দখলদার ইসরায়েলের এই নির্বিচার আগ্রাসন ও ধ্বংসযজ্ঞকে ‘গণহত্যা’ বলে আখ্যায়িত করেছে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মহল। ফিলিস্তিনি অধ্যুষিত ভূখণ্ডটিতে মানবিক বিপর্যয়ের এমন পরিস্থিতিতেও ইসরায়েলকে সরাসরি মদদ দিয়ে যাচ্ছে মার্কিন প্রশাসন। ইসরায়েলের জন্য অস্ত্র ছাড়াও বড় অর্থনৈতিক সহায়তা বরাদ্দ অব্যাহত আছে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে। যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি দখলদার রাষ্ট্রটি বরাবরই নৈতিক ও আর্থিক সমর্থন পেয়ে আসছে কানাডা, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও অস্ট্রেলিয়ার মতো মিত্রদের কাছ থেকে। 
০৪ মে ২০২৪, ০৮:৫২

বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করছে যুক্তরাজ্য : অ্যামনেস্টি 
যুক্তরাজ্য ইচ্ছাকৃতভাবে বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করে তুলছে বলে দাবি করেছে মানবাধিকারবিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। সংস্থাটির বার্ষিক বৈশ্বিক প্রতিবেদনে এমনটি দাবি করা হয়েছে। খবর গার্ডিয়ানের। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক আইনের নড়বড়ে অবস্থার মধ্যে জাতীয় ও বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার সুরক্ষাকে দুর্বল করছে ব্রিটেন।  এতে আরও বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যে আশ্রয়প্রার্থী এবং অন্যান্য অভিবাসীদের লক্ষ্যবস্তু করছে দেশটির সরকার। দেশটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে এবং বৈশ্বিক একটি বিপজ্জনক সময়ে মানবাধিকার সুরক্ষা লঙ্ঘন করেছে। এ ছাড়া গাজায় মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রতিরোধে জাতিসংঘে ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হওয়ায় বিশেষভাবে যুক্তরাজ্যের নিন্দা করা হয়েছে এ প্রতিবেদনে। এ ব্যাপারে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ইউকের প্রধান নির্বাহী সাচা দেশমুখ বলেছেন, যুক্তরাজ্য তার ভয়ংকর অভ্যন্তরীণ নীতি এবং রাজনীতির মাধ্যমে সর্বজনীন মানবাধিকারের সম্পূর্ণ ধারণাকে ইচ্ছাকৃতভাবে অস্থিতিশীল করে তুলছে।  
২৫ এপ্রিল ২০২৪, ২১:৪৪

পাঁচ বছরে ব্যাকস্পেস  / দেশে থেকে বিশ্বব্যাপী সেবার প্রত্যয়
পঞ্চম বছরে পদার্পণ করল বাংলাদেশি মিডিয়াটেক প্রতিষ্ঠান ব্যাকস্পেস। প্রতিষ্ঠানটির সিইও সাইফুল রহমানের দূরদর্শী নেতৃত্বে একটি ছোট টেক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ২০১৯ সালে যাত্রা শুরুর পর প্রতিষ্ঠানটি এই পাঁচ বছরে বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় টেক ইন্ডাস্ট্রিতে একটি অগ্রগামী প্রতিষ্ঠান হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে। শুরুর গল্প সম্পর্কে প্রতিষ্ঠাতা সাইফুল রহমান বলেন, ব্যাকস্পেসের শুরু হয় প্রথম অঙ্গপ্রতিষ্ঠান রিভিউ জোন’র মাধ্যমে। এটি একটি প্রোডাক্ট রিভিউ প্ল্যাটফর্ম, যারা বিভিন্ন বৈশ্বিক ব্রান্ড’র পণ্য সম্পর্কে তথ্যবহুল ভিডিও উত্তর আমেরিকান (কানাডা, ইউএসএ) দর্শকের উদ্দেশে প্রচার করে। বর্তমানে রিভিউ জোন নিজস্ব ব্র্যান্ডগুলোর মাধ্যমে তথ্যবহুল ভিডিও দিয়ে বৈশ্বিক ব্র্যান্ডগুলোকে ২ কোটিরও বেশি দর্শকের কাছে উপস্থাপন করছে। ব্যাকস্পেস শুরু থেকেই নির্ভরযোগ্য তথ্যবহুল ভিডিও এবং দর্শকের পছন্দ-অপছন্দ এই দুটি বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে দর্শকদের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে দেওয়ার চেষ্টা করে এসেছে। এতে করে প্রতিষ্ঠানটি খুব দ্রুতই উত্তর অ্যামেরিকার দর্শকদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করে, যেখান থেকে বৈশ্বিক পরিচিতিও বাড়ে। এর ফলে বিভিন্ন বৈশ্বিক বড় বড় টেক প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজের সুযোগও তৈরি হয় কোম্পানিটির জন্য। ব্যাকস্পেস’র সবচেয়ে বড় মাইলফলক তৈরি হয় যখন অ্যামাজনের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পায়।  ২০২০ সালে ব্যাকস্পেস বাংলাদেশ থেকে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন সেবা দেওয়ার দিকেও মনোনিবেশ করে। অ্যানিমেটেড কনটেন্ট তৈরিতে ইতোমধ্যেই প্রতিষ্ঠানটির দক্ষতা থাকায়, তারা ‘টেন স্টুডিও’ নামের একটি অ্যানিমেশন স্টুডিও শুরু করে, যারা বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য এনিমেটেড কন্টেন্ট এবং বিভিন্ন প্রমোশোনাল ম্যাটেরিয়াল তৈরি করে থাকে। ২০২৩ সালে ব্যাকস্পেস তাদের নতুন ভেঞ্চার ‘প্রোডাক্ট ভিডিও স্টুডিও’র কার্যক্রম শুরু করে। রিভিউ জোন পরিচালনার অভিজ্ঞতা এবং ক্লায়েন্টদের মতামতের উপর ভিত্তি করে প্রোডাক্ট ভিডিও স্টুডিওর যাত্রা শুরু হয়। পণ্য প্রস্ততকারকদের বিশ্বব্যাপী পণ্য প্রসারে ভিডিও তৈরি করে দেওয়ার সেবা প্রদান করে প্রতিষ্ঠানটি। ব্যাকস্পেসের এই সফলতার গল্প বাংলাদেশের টেক ও আইটি সেক্টরের জন্য অনুপ্রেরণার। পাঁচ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রতিষ্ঠানটি তাদের টিমকে নিয়ে কক্সবাজারে দিনটি উদযাপন করে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি ও ১ মার্চ।
২১ মার্চ ২০২৪, ১৮:২৯

বিশ্বব্যাপী একই তারিখে রোজা ও ঈদ পালনের আহ্বান
ইসলামী সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সর্বোচ্চ ফিক্‌হ একাডেমির নেওয়া সিদ্ধান্তে বিশ্বব্যাপী অভিন্ন হিজরি তারিখ বাংলাদেশেও বাস্তবায়নের জানিয়েছে মুসলিম উম্মাহ ট্রাস্ট। সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সেমিনারে এ দাবি জানানো হয়েছে। মুসলিম উম্মাহ ট্রাস্ট জানায়, বিজ্ঞানের অভূতপূর্ব উন্নতি হওয়ায় আকাশে চাঁদ দেখা গেলে সারা বিশ্বে গ্রহণযোগ্য পদ্ধতিতে খবর পৌঁছে যাচ্ছে। ফলে একই সময়ে রোজা ও ঈদ পালনে ইসলামী শরিয়তে কোনো বাধা নেই। তাই ইসলামী সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সর্বোচ্চ ফিক্‌হ একাডেমির নেওয়া সিদ্ধান্তে বিশ্বব্যাপী অভিন্ন হিজরি তারিখ বাংলাদেশেও বাস্তবায়নে সরকারের প্রতি দাবি জানায়।
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:০৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়