• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
logo
গাজায় বর্বরতা, বিশ্বজুড়ে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের বর্বরতার ছয় মাস পর বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস। যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ১৭ এপ্রিল শুরু হওয়া বিক্ষোভ ছড়িয়েছে দেশটির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে। কেবল যুক্তরাষ্ট্রেই নয়, ধীরে ধীরে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ। যুদ্ধবিরতির দাবির পাশাপাশি বেশ কিছু দাবিতে অনড় অবস্থানে রয়েছেন তারা। একজোট হয়ে ফিলিস্তিনকে বার্তা দিচ্ছেন- আমরা তোমাদের পাশে আছি। ইতিমধ্যে ফিলিস্তিনপন্থি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে, শ্রেণিকক্ষে পাঠদান থেমে গেছে, গ্রেপ্তার হয়েছে অনেক শিক্ষার্থী। এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে এই অস্থিরতার মধ্যে গোটা জাতির নজর এখন এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন ফুটেজে দেখা গেছে, বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের পাশাপাশি সাংবাদিকদেরও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে সহিংস পন্থায় আটক করছে পুলিশ। এসব ঘটনায় ক্ষোভ আরও বেড়েছে। কিন্তু ক্রমেই ছড়িয়ে পড়তে থাকা বিক্ষোভ প্রশমনে খুব সামান্যই ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্যাম্পাস অনুযায়ী বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের সুনির্দিষ্ট দাবির ভিন্নতা থাকলেও তাদের মূল দাবি হল ইসরায়েল সংযুক্ত কোম্পানি বা ব্যবসার সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সম্পর্ক ছিন্ন করা ও বিনিয়োগ বন্ধ করা। এছাড়া গাজায় যুদ্ধবিরতিকে সমর্থনের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভে অনড় থাকা। আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনি জনগণের সমর্থনে সেন্ট্রাল লন্ডনে সমাবেত হয়েছেন  হাজার হাজার মানুষ। সেখানে প্যালেস্টাইন সলিডারিটি ক্যাম্পেইন (পিএসডি) এর পরিচালক বেন জামাল বলেছেন, তাদের আন্দোলন দুটি প্রধান বার্তা দিতে চায়। এর একটি হলো- ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য। তাদেরকে সংহতি জানিয়ে আমরা বলতে চাই, ‘আমরা তোমাদের দেখছি, শুনছি, পাশে আছি।’ জামাল আরও বলেন, দ্বিতীয় বার্তাটি হলো- ব্রিটিশ রাজনৈতিক সংস্থাগুলোর জন্য। ‘গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যার সঙ্গে জড়িতদের অবসান ঘটানো হবে।’ প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় চলছে ইসরায়েলের নির্বিচার হামলা। ছয় মাসের বেশি সময় ধরে চলা এই হামলায় উপত্যকাটিতে নিহত হয়েছেন ৩৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। যাদের বেশির ভাগই শিশু ও নারী। প্রতিবাদে সপ্তাহখানেক আগে প্রথম কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটিতে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।
২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৩৯

বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশের নারীদের সাফল্য অনুকরণীয় : রাষ্ট্রপতি
বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশের নারীদের সাফল্য অনুকরণীয় ও অনুসরণীয় বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২৪ উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) দেওয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃঢ় নেতৃত্ব, সুদূরপ্রসারী চিন্তা ও যথার্থ নীতি বাস্তবায়নের ফলে অর্থনৈতিক, সামাজিক, প্রাকৃতিক প্রতিকূলতা সত্ত্বেও বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক বিভিন্ন খাতে অভাবনীয় সমৃদ্ধি, উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশের নারীদের সাফল্যও আজ অনুকরণীয় ও অনুসরণীয়।  রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে প্রণীত সংবিধানে নারীর সার্বিক উন্নয়ন ও ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে এবং নারী-পুরুষের মর্যাদা সমুন্নত রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছেন। জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক, শিক্ষা, চিকিৎসা, নিরাপত্তা ইত্যাদি ক্ষেত্রে নারীর অগ্রগতি ও উন্নয়নে বলিষ্ঠ অবস্থান তৈরি করেছেন।  রাষ্ট্রপতি বলেন, নারীর উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানসমূহকেও নানাবিধ উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। আন্তর্জাতিক নারী দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য-‘নারীর সমঅধিকার, সমসুযোগ এগিয়ে নিতে হোক বিনিয়োগ’ যথার্থ হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।  রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে আরও বলেন, বাংলাদেশে নারীদের সমঅধিকার, সমসুযোগ ও সুষ্ঠু বিকাশের লক্ষ্যে সরকার উন্নয়ন পরিকল্পনার নীতি, কর্মকৌশল হিসাবে জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি-২০১১ প্রণয়ন এবং বাস্তবায়ন করেছে। পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন ২০১০, পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধ ও সুরক্ষা বিধিমালা ২০১৩, বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭, যৌতুক নিরোধ আইন ২০১৮, ডিএনএ আইন ২০১৪ এবং নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা ২০১৩-২০২৫ প্রণয়ন করা হয়েছে যা বাংলাদেশে নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নে মাইলফলক হয়ে থাকবে।  
০৮ মার্চ ২০২৪, ০৩:২৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়