• ঢাকা রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo
চিকিৎসা খাতে থাইল্যান্ডের বিনিয়োগ চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
থাইল্যান্ডকে বিশেষ অর্থনৈতিক খাতে বিনিয়োগের সুযোগ পরীক্ষা করে দেখার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে এ কথা বলেন তিনি। দ্বিপাক্ষিক বৈঠক ও একান্ত বৈঠকের পর দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে পাঁচটি দ্বিপাক্ষিক নথি-একটি চুক্তি, তিনটি সমঝোতা স্মারক এবং একটি আগ্রহপত্র সই হয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বাংলাদেশি স্বাস্থ্য কর্মীদের প্রশিক্ষণ এবং সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহযোগিতার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছি। আমি থাই প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশের হাসপাতাল ও চিকিৎসা খাতে বিনিয়োগের সম্ভাবনা পরীক্ষা করে দেখারও প্রস্তাব দিয়েছি। শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের কাছে থাইল্যান্ড একটি সম্ভাবনাময় অংশীদার। দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি সমুদ্রবন্দরকেন্দ্রিক যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে। আমাদের বন্ধুত্ব ঐতিহাসিক, ভাষাগত এবং অভিন্ন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের গভীরে প্রোথিত। আমাদের দুই দেশের মধ্যে উষ্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক সহযোগিতার বহুমুখী ক্ষেত্রে ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি থাই প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশে বিনিয়োগ এবং ব্যবসা সহজীকরণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছি। আমি থাই পক্ষকে আমাদের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং হাই-টেক পার্কগুলোতে থাইল্যান্ডের বিনিয়োগের এবং বিশেষভাবে একটি এসইজেড এই সুযোগ নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছি। শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের জন্য থাইল্যান্ড জ্বালানি সহযোগিতায় নিয়োজিত একটি সম্ভাব্য অংশীদার। জ্বালানি সহযোগিতার সম্ভাবনা অনুসন্ধান করতে, শক্তি সহযোগিতাসংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর এখানে স্বাক্ষরিত দ্বিতীয় নথি। থাই জ্ঞান, অভিজ্ঞতা এবং সেরা পর্যটন অনুশীলন থেকে উপকৃত হওয়ার জন্য আমরা পর্যটন ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই করেছি। সামুদ্রিক যোগাযোগের বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, রানং বন্দর ও চট্টগ্রাম বন্দরের মধ্যে সরাসরি জাহাজ চলাচল নিয়ে দুই পক্ষ আলোচনা করেছে। থাইল্যান্ডের ফ্ল্যাগশিপ ‘ল্যান্ডব্রিজ প্রকল্প’ বাংলাদেশ অত্যন্ত আগ্রহের সঙ্গে অনুসরণ করছে। আমি থাই পক্ষকে দুই দেশের মধ্যে বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বিশেষ করে কৃষি, মৎস্য ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে সহযোগিতা বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছি। সকালে থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় গভর্নমেন্ট হাউসে যান শেখ হাসিনা। এ সময় থাই প্রধানমন্ত্রী জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাকে স্বাগত জানানো হয়। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে থাই কুহ ফাহ বিল্ডিংয়ের সামনের লনে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়। এ সময় থাইল্যান্ডের সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল কর্তৃক প্রদত্ত গার্ড অব অনার পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে স্রেথা থাভিসিন তার মন্ত্রিসভার সদস্যদের শেখ হাসিনার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। শেখ হাসিনা পরে সরকারি ভবনের অতিথি বইয়ে স্বাক্ষর করেন। বৈঠক শেষে সরকারি বাসভবন ত্যাগের আগে শেখ হাসিনা সেখানে আনুষ্ঠানিক মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এর আগে গতকাল বুধবার ৬ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে থাইল্যান্ডে পৌঁছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে পৌঁছলে বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে উষ্ণ অভ্যর্থনায় বরণ করে নেওয়া হয়। থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সঙ্গে সংযুক্ত মন্ত্রী পুয়াংপেট চুনলাইদ অভ্যর্থনা জানান। সূত্র : বাসস
২৬ এপ্রিল ২০২৪, ২২:৪৪

বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগ চেয়েছেন রাষ্ট্রপতি
বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে (এসইজেড) কাতারের বিনিয়োগকারীদের প্রতি বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি বলেন, খাদ্য সরবরাহের চেইনগুলো উৎপাদন থেকে ব্যবহার পর্যন্ত যেমন-কৃষি-উৎপাদন ও প্রক্রিয়াকরণ, খাদ্য প্যাকেজিং, স্মার্ট এগ্রিকালচার, সার উৎপাদনসহ বিভিন্ন খাতে ও বিনিয়োগকে স্বাগত জানাবে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে বঙ্গভবনে ঢাকায় সফররত কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এ আহ্বান জানান তিনি। উপসাগরীয় অঞ্চলে কাতারকে বাংলাদেশের একটি মূল্যবান উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে সাহাবুদ্দিন বলেন, আমিরের সফর এবং দু’দেশের মধ্যে সম্পাদিত ১০টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) আগামী দিনে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতাকে আরও সম্প্রসারিত ও গভীরতর করবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার বিদেশি বিনিয়োগের জন্য ১০০টি অর্থনৈতিক বিশেষ অঞ্চল স্থাপন করেছে। কাতারের বিনিয়োগকারীরা পেট্রো-কেমিক্যাল, জ্বালানি, মেশিনারিজ, তথ্য-প্রযুক্তি, ইলেকট্রনিক্স, সিরামিক, কৃষি-ব্যবসা, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের মতো কিছু ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রণোদনা পেতে এবং সহায়তা করতে পারে। রাষ্ট্রপ্রধান প্রায় ৩ দশমিক ৭৫ লাখ বাংলাদেশিকে কর্মসংস্থানের সুযোগ দেওয়ার জন্য কাতার সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, এই জনবল কাতার এবং বাংলাদেশ উভয় দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে প্রতিনিয়তই অবদান রাখছেন। কাতারের আমিরকে আরও তরুণ, দক্ষ ও আধা-দক্ষ জনশক্তি, আইটি বিশেষজ্ঞ, পেশাদার প্রযুক্তিবিদ নিয়োগের আহ্বান জানান সাহাবুদ্দিন।  এ সময় বাংলাদেশকে তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) দেওয়ার জন্য কাতার সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে রাষ্ট্রপতি কাতারের কাছে দীর্ঘমেয়াদি জ্বালানি সহায়তা চেয়েছেন। তিনি বলেন, বাণিজ্য ও ব্যবসায়িক সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে উভয় পক্ষকে আরও বেশি কার্যকর ভূমিকা রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। রাষ্ট্রপতি চলমান ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে আলোচনার সুবিধার্থে কাতারের (মিশর ও যুক্তরাষ্ট্রের সাথে) প্রচেষ্টার ভূয়সী প্রশংসা করেন। কাতারের আমির প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন। তিনি আশ্বাস দেন যে, সামনের দিনগুলোতে বাংলাদেশের জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা অব্যাহত থাকবে। কাতারের আমির আরও বলেন, কাতার এবং বাংলাদেশ স্বাক্ষরিত বিভিন্ন চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকসমূহ দু’দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে আরও কার্যকরি ভূমিকা রাখবে। সাক্ষাৎকালে উভয় নেতা তাদের মধ্যে কুশল বিনিময় করেন এবং আনন্দ প্রকাশ করেন যে, এই সফর বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে বহুমুখী অংশীদারিত্বকে আরও জোরদার করার উপায় নির্ধারণ করবে। সূত্র : বাসস
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৫৮

জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধে রাজধানীতে র‌্যালি
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধ ও এর পরিবর্তে টেকসই প্রকল্প এবং নবায়নযোগ্য শক্তিতে বিনিয়োগ করার দাবি জানিয়ে র‌্যালি করেছে একটি সংগঠন। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাব, নেত্রকোণা জেলা প্রেস ক্লাব ও সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা প্রেস ক্লাবের সামনে এক যোগে এ র‍্যালি করে নির্ভয় ফাউন্ডেশনের সদস্যরা। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান ধর্মঘট শেষে তরুণরা র‍্যালি বের করে। এসময় র‍্যালিটি রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসে শেষ হয়। শান্তিপূর্ণ এ ধর্মঘটে জলবায়ু কর্মীরা কাগজে নানা স্লোগান, প্ল্যাকার্ড, চিত্রকর্ম প্রদর্শনের মাধ্যমে জলবায়ুর প্রতি সুবিচারের দাবি জানান। এসময় প্ল্যাকার্ডে ‘ফিক্স দ্য ফাইন্যান্স’, ‘নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করো’, ‘ক্ষতিকারক কৃষি চর্চায় বিনিয়োগ বন্ধ করো’, ‘ক্লাইমেট জাস্টিস নাউ’ এবং ‘জলবায়ু সহনশীল টেকসই কৃষি চর্চায় বিনিয়োগ করুন’সহ নানা লেখা দেখা যায়। এসময় জলবায়ু সুরক্ষা ও জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতে জীবাশ্ম জ্বালানিতে অর্থায়ন বন্ধ, নবায়নযোগ্য শক্তির সম্প্রসারণ ও টেকসই কৃষিতে বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান জানায় তরুণ জলবায়ু আন্দোলনকারীরা। তরুণরা তাদের বক্তব্যে বলেন, পুঁজিবাদী মানসিকতা নিয়ে সর্বোচ্চ গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনকারী উন্নত দেশগুলো জীবাশ্ম জ্বালানিতে অর্থায়নের মাধ্যমে জলবায়ু সংকট সৃষ্টি করছে যা পৃথিবীকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় জীবাশ্ম জ্বালানির পরিবর্তে টেকসই প্রকল্প এবং নবায়নযোগ্য শক্তির ক্ষেত্রে বিনিয়োগের আহ্বান জানাই।
১৯ এপ্রিল ২০২৪, ২১:১৭

গভীর সমুদ্র থেকে গ্যাস উত্তোলনের সিদ্ধান্ত, বিদেশি বিনিয়োগ আহ্বান
দেশের জ্বালানি সংকট নিরসনে এবার গভীর সমুদ্র থেকে গ্যাস উত্তোলনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আর এ জন্য বিদেশি বিনিয়োগ আহ্বান করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (ফেব্রুয়ারি ২৭) সন্ধ্যায় সংসদ ভবন কার্যালয়ে ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ট্রেড ফাইন্যান্স করপোরেশনের (আইটিএফসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইঞ্জিনিয়ার হানি সালেমের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এ কথা জানান প্রধানমন্ত্রী। পরে তার বক্তব্য লেখক মো. নজরুল ইসলাম এ সাক্ষাতের বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। মো. নজরুল ইসলাম জানান, বর্তমানে দেশে বিনিয়োগযোগ্য পরিবেশ বিরাজ করছে জানিয়ে হানি সালেমকে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে দেশের জ্বালানি সংকট নিরসনে তার সরকার গভীর সমুদ্রে গ্যাস উত্তোলনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ জন্য আমাদের বিনিয়োগ দরকার।  এ ছাড়া গ্রামীণ অর্থনীতি ও খাদ্য উৎপাদন এবং মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। আইটিএফসি প্রধান নির্বাহীর সঙ্গে বৈঠকে কর্মসংস্থান বাড়ানোর জন্যও বিনিয়োগ আহ্বান করেছেন শেখ হাসিনা।  এদিকে স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নে সর্বাত্মক সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ট্রেড ফাইন্যান্স কর্পোরেশনের সিইও হানি সালেমও। তিনি বলেছেন, অবকাঠামো, আইসিটি, ঋণ ব্যবস্থাপনা, জ্বালানি খাত এবং জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নে আইটিএফসি সর্বাত্মক সহায়তা দেবে।  বাংলাদেশের বিনিয়োগ পরিবেশ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আর্থিক ব্যবস্থাপনার প্রশংসা করে হানি সালেম বলেন, ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে একটি চমৎকার ট্র্যাক রেকর্ড রয়েছে বাংলাদেশের।  সৌজন্য সাক্ষাতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:৩৫

আকর্ষণীয় বিনিয়োগ পরিবেশ সৃষ্টিতে সহায়তা করবে যুক্তরাষ্ট্র 
বাংলাদেশে আকর্ষণীয় বিনিয়োগ পরিবেশ সৃষ্টিতে সহায়তা করার ব্যাপারে আশ্বাস দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে সমৃদ্ধ, নিরাপদ ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের প্রতি নিজেদের সমর্থন জানিয়ে এ আশ্বাস দিয়েছে ঢাকায় সফররত মার্কিন প্রতিনিধিদল।  মার্কিন প্রেসিডেন্টে জো বাইডেনের বিশেষ সহকারী ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের (এনএসসি) দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক জ্যেষ্ঠ পরিচালক এইলিন লুবাখার নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (ইউএসএআইডি) সহকারী প্রশাসক মাইকেল শিফার এবং যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আফরিন আক্তার। তিন দিনের সফরে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে এসেছেন তারা। শনি ও রোববার পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, বিএনপি নেতা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও আমীর খসরু মাহমুদসহ সুশীল সমাজের নেতা ও শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে প্রতিনিধিদলটি। প্রতিনিধিদলের এই সফর প্রসঙ্গে মার্কিন দূতাবাসের ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে বলা হয়েছে, 'কীভাবে একসঙ্গে অর্থনৈতিক উন্নয়ন, নিরাপত্তা, শরণার্থী, জলবায়ু, শ্রম ও বাণিজ্যসহ পারস্পরিক স্বার্থে কাজ করা যায়, সে ব্যাপারে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছি আমরা। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার বাংলাদেশ।' মার্কিন দূতাবাস আরও জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম বিনিয়োগকারী এবং দেশটির একক বৃহত্তম রপ্তানি বাজার। কীভাবে আমরা ব্যবসায়িক পরিবেশ উন্নত করে বাংলাদেশে বিনিয়োগকে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলোর কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে পারি? ওয়াশিংটন ডিসি থেকে আসা আমাদের নেতারা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ককে প্রভাবিত করে এমন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে স্থানীয় অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও বিনিয়োগ আকৃষ্ট করে—এমন একটি ব্যবসায়িক পরিবেশ তৈরিতে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রতিনিধিদল ও সাবের হোসেন চৌধুরীর মধ্যকার বৈঠক প্রসঙ্গে মার্কিন দূতাবাস বলেছে, জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর তালিকায় সপ্তম অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। জলাভূমি রক্ষা ও বন সংরক্ষণের বিষয়ে শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া থেকে শুরু করে বায়ুদূষণ মোকাবিলায় তরুণ জলবায়ুকর্মীদের সহায়তা করা পর্যন্ত জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যুক্তরাষ্ট্র।' এছাড়া সালমান এফ রহমানের সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে দূতাবাস বলেছে, ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করেছে। জনস্বাস্থ্য, শিক্ষা, জ্বালানি, পরিবেশ, খাদ্য নিরাপত্তা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং আরও অনেক কিছু মোকাবিলায় আট বিলিয়ন ডলারের বেশি প্রদান করেছে। আমরা আগামী ৫০ বছর এবং তার পরেও অর্থনৈতিক বিনিয়োগ বাড়াতে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার জন্য উন্মুখ। এদিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে চিঠি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চিঠির একটি অনুলিপি রোববার বাইডেনের বিশেষ সহকারী এইলিন লুবাখারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মূল চিঠিটি হোয়াইট হাউসে হস্তান্তর করবেন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান।
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:০৩

বাংলাদেশের সৌর বিদ্যুতে বড় বিনিয়োগ করতে চায় ইন্দোনেশিয়া
বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বড় ধরনের বিনিয়োগের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছে ইন্দোনেশিয়া। এরই অংশ হিসেবে ১০০ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপনে সহায়তা করার আশ্বাস দিয়েছে দেশটি। যা পর্যায়ক্রমে আরও বাড়ানোর পরিকল্পনাও আছে তাদের। সোমবার (৫ জানুয়ারি) সচিবালয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এসব কথা জানান ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত হিরু হারতানতু সুবুল। প্রতিমন্ত্রী রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ইন্দোনেশিয়া বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধু। আমাদের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সহযোগিতা করার অনেক ক্ষেত্র রয়েছে। অভিজ্ঞতা বা সম্পদ বিনিময় করে উভয় দেশ আরও লাভবান হতে পারে। বাংলাদেশে ব্যাপক উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বিপুল বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য ইন্দোনেশিয়ার সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর আগ্রহকে স্বাগত জানানো হবে।
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:৪০

বিনিয়োগ বাড়াতে সৌদির প্রতি আহ্বান রাষ্ট্রপতির
বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য সৌদি আরবের বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।  বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সৌদি আরবের শুরা কাউন্সিলের স্পিকার ডক্টর আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ ইব্রাহিম আল শেখের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে এ আহ্বান জানান তিনি। সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার। দু’দেশের মধ্যে ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক এবং অর্থনৈতিক বন্ধনও দৃঢ়। সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনা বাংলাদেশের মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র স্থান। রাষ্ট্রপতি বলেন, সৌদি আরব বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার। উভয় দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে সৌদি আরবে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা। সৌদি আরবকে বাংলাদেশের উন্নয়নের বড় অংশীদার উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে সৌদি বিনিয়োগ ও দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভবিষ্যতে এর পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। এ সময় মুসলিম উম্মার শান্তি ও ঐক্য প্রতিষ্ঠায় সৌদি আরবের নেতৃত্বের প্রশংসাও করেন রাষ্ট্রপতি।  সৌদি আরবের শুরা কাউন্সিলের স্পিকার বলেন, সৌদি সরকার ও জনগণ বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে খুবই গুরুত্ব দেয়। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে তাদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:১৭

শিক্ষাখাতে বিনিয়োগ আ.লীগের রাজনৈতিক অঙ্গীকার : শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, শিক্ষাখাতে বিনিয়োগ করা আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক অঙ্গীকার। আমরা শিক্ষাখাতে বিনিয়োগ করছি এবং আগামীতেও করে যাবো। জনগনের অর্থ, আমাদের জাতির প্রয়োজনে আমরা শিক্ষাখাতে বিনিয়োগ করছি। শনিবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালের উপাচার্য ভবন লনে শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এই কথা বলেন মন্ত্রী। পরীক্ষায় সর্বোচ্চ সিজিপিএপ্রাপ্ত প্রায় ২০০ শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী সব সময় বলেন, আমাদের সন্তানদের শিক্ষার জন্য এই বিনিয়োগকে ছোট করে দেখা যাবে না। আজকে আমাদের প্রফেসর ও ইমেরিটাস যারা এখানে এসেছেন তাদের কাছে অনুরোধ থাকবে, একজন শিক্ষাবিদ হিসেবে, আমাদের শিক্ষা অঙ্গণের গুরু হিসেবে আপনারা আমাদের পথ দেখাবেন। শিক্ষা অঙ্গণে আমাদের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলায় আপনারা আমাদের পরামর্শ দিবেন। তিনি আরও বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের গর্ব। পৃথিবীর কোনো বিশ্ববিদ্যালয় পাওয়া যাবে না যা একটি রাষ্ট্র পরিচালনার প্রতিটি অঙ্গনে অবদান রাখছে। সমাজের সবক্ষেত্রে যেভাবে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অবদান রাখছে তা আর অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয় রাখতে পারছে কি না আমার জানা নেই। সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃতী শিক্ষার্থীরা এখানে এসেছেন। স্বায়ত্তশাসিত এমন প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষাবিদদের কাছে অনুরোধ থাকবে, আমাদের রাজনৈতিক যে অঙ্গীকার, তা ফলপ্রসূ করতে আপনারা কাজ করছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. এ এফ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুল বাছির এবং সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল রউফ মামুন। এ সময় বিভিন্ন অনুষদের ডিন, হলের প্রাধ্যক্ষ, বিভিন্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক ও বিভাগীয় চেয়ারম্যানগণ উপস্থিত ছিলেন।
২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ২২:০৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়