• ঢাকা সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
নড়াইলে পানের বরজ পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা
নড়াইলের বোড়া বাদুড়িয়ায় কার্তিক কর নামের পান চাষীর পানের বরজ পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।  শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভোরে সদর উপজেলায় আউড়িয়া ইউনিয়নের বোড়া বাদুড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।  ৪০ শতক জমির এ পানের বরজ পুড়ে যাওয়ায় আনুমানিক ১০ থেকে ১২ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী কার্তিক কর।  ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক কার্তিক কর বোড়া বাদুড়িয়া গ্রামের মৃত রামপদ করের ছেলে। পরিবারের জীবিকা নির্বাহের একমাত্র অবলম্বন পানের বরজ পুড়িয়ে দেওয়ায় পান চাষীর মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়েছে। সব হারিয়ে দিশেহারা পান চাষী কার্তিক। স্থানীয়রা জানান, কার্তিক কর ৪০ শতক জমিতে পানের বরজে পান চাষ করে আসছিলেন। বরজের পান বিক্রি করেই চালাতেন তার সংসার। শুক্রবার ভোরে দুর্বৃত্তরা তার পানের বরজে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ ঘটনায় কৃষকের আনুমানিক ১০ থেকে ১২ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।  এ বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক কার্তিক কর বলেন, ‘শুক্রবার সকালে বরজে পান ভাঙতে গিয়ে দেখি কে বা কারা আমার পানের বরজে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। আমি পুরো নিঃস্ব হয়ে গেছি। বরজের পান বিক্রি করেই চলতো আমার সংসার। এর আগেও আমার এই পানের বরজ থেকে পান চুরি হয়ে যেত। আমি এখন কিভাবে সংসার চালাবো। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।’  ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক কার্তিকের ছোট ভাই মিন্টু কর বলেন, গত বছরের ২৬ অক্টোবরে আমার বাড়ি থেকে পাঁচটি গরু চুরি হয়ে গেছে। আজ আমার দাদার পানের বরজে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। আমরা এখন পুরো নিঃস্ব হয়ে গেছি। এ ব্যাপারে নড়াইল সদর উপজেলার আউড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম পলাশ বলেন, আমার এলাকায় কৃষক কার্তিকের পানের বরজে কে বা কারা আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। এ ঘটনা শোনার পর আমি ঘটনাস্থল গিয়ে ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলেছি। কার্তিক ওই জমিতে বরজ করেই তার সংসার চালাতো। ঘটনাটি দুঃখজনক। এই কাজটা যারাই করে থাকুক তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলান জানান, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে যে, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দুর্বৃত্তরা পানের বরজে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। আমিসহ বিট অফিসার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
২৬ এপ্রিল ২০২৪, ২১:০০

যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারলেন স্বামী
চাঁদপুরের মতলবে যৌতুকের জন্য স্ত্রী খাদিজা আক্তারের (২৩) গায়ে শ্যালো ইঞ্জিনের ডিজেল ঢেলে পুড়িয়ে হত্যা করলো স্বামী ইব্রাহিম প্রধান।  বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) ঈদুল ফিতরের দিন সকাল ৭টার দিকে ইব্রাহিম তার স্ত্রীর শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) রাতে ঢাকা শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে খাদিজা মারা যান। অভিযুক্ত ইব্রাহিম শ্যালো ইঞ্জিন চালিত সেচপাম্প চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতো। তার বাড়ি মতলব দক্ষিণ উপজেলার নায়েরগাঁও ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বকচর গ্রামে।  জানা গেছে, চার বছর আগে একই গ্রামের দিনমজুর খোকন মিয়ার মেয়ে খাদিজাকে বিয়ে করে ইব্রাহিম (৩৮)। এরপর থেকেই যৌতুক হিসেবে টাকা দাবি করে খাদিজাকে নির্যাতন শুরু করত ইব্রাহিম। ঘটনার দিন সকাল ৭টার দিকে খাদিজার শরীরে ডিজেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় ইব্রাহিম। এরপর তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা জানায়, খাদিজার শরীরের প্রায় ৯০ শতাংশ পুড়ে যায় আগুনে। বিষয়টি গোপন করে খাদিজার স্বজনদের না জানিয়ে শ্বশুরবাড়ির লোকজন লাশ দাফন করেন। আজ (রোববার) মেয়ের মৃত্যুর সংবাদ পান খোকন মিয়া। পরে মতলব দক্ষিণ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। খোকন মিয়া বলেন, বিয়ের পর থেকেই খাদিজাকে যৌতুকের জন্য মারধর করতো ইব্রাহিম। এসব নিয়ে অনেকবার সালিশ-বৈঠকও হয়েছে। কিন্তু তার যৌতুক দেওয়ার সামর্থ্য নেই দেখে মেয়েটা মুখ বুঝে সবকিছু সহ্য করে গেছে। তিনি এ ঘটনায় জামাতার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। এলাকাবাসী জানায়, এটি ইব্রাহিমের তৃতীয় বিয়ে। যৌতুকের জন্য নির্যাতন সইতে না পেরে আগের দুই স্ত্রী পালিয়ে বেঁচেছেন। শেষরক্ষা হয়নি হতদরিদ্র বাবার মেয়ে খাদিজার।  মতলব দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিপন বালা বলেন, খাদিজার শাশুড়ি যায়েদা খাতুনকে (৬৭) বাড়ি থেকে আটক করা হয়েছে। পলাতক ইব্রাহিমকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।  
১৪ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:১০

রাজনীতির নামে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা কোথাও দেখিনি : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আগুন-সন্ত্রাস যারা চালায় তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। রাজনীতির নামে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করা গত দুই তিন দশকে দুনিয়ার কোথাও আমি দেখিনি। বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বে যে আগুন-সন্ত্রাস বিভিন্ন সময় হয়েছে এবং এখনো ওঁৎ পেতে বসে আছে। তাদের নেতারা হচ্ছে এই দুর্বৃত্তদের নেতা। তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন নেতা অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান শামীমের মৃত্যুতে আয়োজিত এক স্মরণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।     পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আপনারা জানেন গত নির্বাচনের আগে কীভাবে ট্রেনের মধ্যে পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করা হয়েছে। যাত্রী বেশে ঢুকে সেখানে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে বের হয়ে গেছে। তারা জানে সেখানে নারী-শিশু আছে, আগুনে পুড়ে তারা অঙ্গার হয়ে গেছে। এই যে আগুন-সন্ত্রাস, এটা কল্পনারও বাইরে। সুতরাং আজকে যেমন কোনো জায়গায় আগুন না লাগে সেদিকে সচেতন হতে হবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আসলে বাংলাদেশে অগ্নিনির্বাপণের জন্য ঘরবাড়িতে এবং বিশেষ করে রেস্টুরেন্টগুলোতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে রাখা হয় না। আপনারা জানেন ঢাকা শহরে যথাযথ অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা না থাকার কারণে অনেকগুলো রেস্টুরেন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আমাদের সরকার কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে যাতে এই ধরনের অগ্নিকাণ্ড আর না ঘটে, এই ধরনের মর্মান্তিক ঘটনা যাতে আর না ঘটে সে জন্য অনেকগুলো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, ফায়ার সার্ভিসকে কিন্তু ঢেলে সাজিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আমরা যখন সরকার গঠন করি ২০০৯ সালে, তখন দেশের মাত্র ৪০টা উপজেলায় ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ছিল। এখন প্রত্যেকটা উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস স্টেশন আছে। এটা একটা বিরাট অগ্রগতি। ফায়ার সার্ভিসে আগে বিশ তালায় উঠতে গিয়ে ফায়ার ফাইটিং করার ব্যবস্থা ছিল না। বিশ তলা বা আরও উঁচু ভবনে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ফয়ার ফাইটিং করতে পারে তাদেরকে সেইভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এমনকি ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা যাতে আকাশ থেকেও অগ্নিনির্বাপণ করতে পারে সেজন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু সবশেষে যেটি প্রয়োজন সেটি হলো মানুষের সচেতনতা। মানুষের সচেতনতার যদি অভাব থাকে তাহলে সমস্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেও অগ্নিনির্বাপণ করা সম্ভব নয়। আমাদের দেশ একটি গরমের দেশ। আমাদের দেশের প্রত্যেকটি ঘরবাড়িতেই অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন।  বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটির আয়োজনে সাপ্তাহিক গণবাংলার প্রধান উপদেষ্টা এম এ করিমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। এ ছাড়াও স্মরণ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন প্রয়াত আতাউর রহমানের একমাত্র কন্যা ফারদিন রহমান, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সফিকুল বাহার মজুমদার টিপু, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য উপকমিটির সদস্য মশিউর আহমেদ, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটির চেয়ারম্যান মো. সুমন সরদার, মহাসচিব এম এ বাশার প্রমুখ।
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৪৮

পাথরঘাটায় ৫ কোটি টাকার অবৈধ জাল পুড়িয়ে ধ্বংস  
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় অভিযান চালিয়ে প্রায় ১ হাজার নিষিদ্ধ হাঙ্গরসহ ৩ লাখ ৫০ হাজার মিটার ব্যবহার নিষিদ্ধ চরঘেরা ও ৪ পিস বেহুন্দি জাল জব্দ করেছে পাথরঘাটা কোস্টগার্ড। জব্দকৃত এসব অবৈধ জালের বাজার মূল্য আনুমানিক প্রায় ৫ কোটি ৫২ লাখ টাকা।  বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দিনব্যাপী পাথরঘাটার পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিষখালী বলেশ্বর নদীর পাড়সহ বিভিন্ন নদী এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। কোস্টগার্ড সূত্রে জানা যায়, পাথরঘাটা কোস্ট গার্ডের দক্ষিণ জোন অধীনস্থ বিসিজি স্টেশন কন্টিনজেন্ট কমান্ডার এম জাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে পাথরঘাটার বিভিন্ন নদী এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় পাথরঘাটা পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিষখালী নদীর পাড় এলাকা থেকে প্রায় ১ হাজার কেজি হাঙর জব্দ করা হয়। এছাড়াও পাথরঘাটার লঞ্চ ঘাট, তালতলা, চরদুয়ানী, টেংরা, হাজীরখাল, রুহিতা ও পদ্মা এলাকা থেকে মাছ শিকারে ব্যবহৃত ৩ লাখ ৫০ হাজার মিটার নিষিদ্ধ চরঘেরা জাল ও ৪ টি বেহুন্দি জাল জব্দ করা হয়। জব্দকৃত এসব অবৈধ জালের বাজার মূল্য আনুমানিক প্রায় ৫ কোটি ৫২ লাখ টাকা।  পাথরঘাটা কোস্ট গার্ড দক্ষিণ জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা এইচ এম এম হারুন অর রশীদ বলেন, কোস্ট গার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে হাঙর শিকারি ও অবৈধ জাল ব্যবহারকারী জেলেরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। পরে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে জব্দকৃত হাঙর উপজেলা বন বিভাগের নিকট হস্তান্তর করা হয়। এছাড়া উপজেলা মেরিন ফিশারী অফিসার মো. রিয়াজ হোসেনের উপস্থিতিতে জব্দকৃত অবৈধ জাল পুড়িয়ে ধ্বংস কারা হয়েছে। এ বিষয়ে পাথরঘাটা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার অপু জানান, প্রতিদিন বিষখালী ও বলেশ্বর নদীতে  আমাদের অভিযান চলে অবৈধ সকল জালের ওপরে এবং সকল সময় আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।     
২৯ মার্চ ২০২৪, ১০:৩৪

কুয়াকাটায় অবৈধ চায়না দুয়ারী জাল পুড়িয়ে ধ্বংস
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ২০ হাজার মিটার অবৈধ চায়না দুয়ারী জাল জব্দ করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।  শুক্রবার (১৫ মার্চ) দুপুরে এনিমেল লাভারস অব পটুয়াখালীর সদস্যদের সহযোগিতায় উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের পাখিমারা খালে অভিযান চালিয়ে এসব জাল জব্দ করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন উপস্থিত থেকে এসব জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, মাছ শিকারে যে সকল জেলেরা চায়না দুয়ারী জাল ব্যবহার করে তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
১৫ মার্চ ২০২৪, ১৬:১৮

হত্যার পর মুখ পুড়িয়ে দেওয়া ব্যক্তির পরিচয় মিলেছে
নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ উপজেলায় গলাকেটে হত্যার পর মুখ পুড়িয়ে দেওয়া ব্যক্তির পরিচয় মিলেছে বলে জানিয়েছে পুলিশের বিশেষায়িত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে জেলা পিবিআইয়ের পরিদর্শক (অ্যাডমিন) অভি রঞ্জন দেব বলেন, জেলা পিবিআইয়ের উপপরিদর্শক এমদাদুল হকের নেতৃত্বে একটি দল তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ওই ব্যক্তির পরিচয় নিশ্চিত করা হয়। অভি রঞ্জন দেব জানান, উদ্ধার হওয়া ওই ব্যক্তির নাম মো. সাইফুল ইসলাম। তিনি ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপুর উপজেলার কাশীপুর-বিশ্বাসপাড়া গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে।  তিনি জানান, জাতীয় পরিচয়পত্রে সাইফুলের জন্ম ১৯৮২ সালের ১০ ডিসেম্বর উল্লেখ রয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার তেতুলিয়া গ্রামের সামনের ডিঙাপোতা হাওর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তখন তার নাম-পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ। মোহনগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, হাওরের জমিতে কাজের করতে গিয়ে স্থানীয় লোকজন এক যুবকের গলাকাটা মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। নিহতের বয়স ৩৩ থেকে ৩৫ বছর। ওসি বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাকে গলাকেটে হত্যার পর পরনের কাপড় খুলে আগুন দিয়ে মুখমণ্ডল পুড়িয়ে দেয় হত্যাকারীরা। মূলত পরিচয় লুকানোর জন্যই হত্যাকারীরা এ কাজ করেছে। আপাতত ঘটনাটিকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড মনে হচ্ছে জানিয়ে পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোণা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। 
১৫ মার্চ ২০২৪, ১৫:০৫

সোনারগাঁয়ে ৫৫ কোটি টাকার নিষিদ্ধ জাল পুড়িয়ে ধ্বংস
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ৫৫ কোটি টাকা মূল্যের এক হাজার একষট্টি বস্তা অবৈধ কারেন্ট জাল ও চায়না দুয়ারি জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করেছে প্রশাসন।  বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলার আনন্দবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৬ টি দোকান ও ৪টি গুদাম থেকে জালগুলো জব্দ করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।  অভিযানে নেতৃত্ব দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ ইব্রাহিম। এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন নৌ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূরুল আমিন, উপজেলা মৎস কর্মকর্তাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। অভিযান টের পেয়ে অবৈধ জাল বিক্রেতারা পালিয়ে যায়। উপজেলা মৎস সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কমর উন নাহার জানান, অভিযানে ১৬টি দোকান ও ৪টি গুদাম থেকে ৫৬১ বস্তায় ১ কোটি ৮৩ লাখ মিটার কারেন্ট জাল এবং ৫শ’ বস্তা চায়না দুয়ারি জাল জব্দ করা হয়। যার আনুমানিক মূল্য ৫৫ কোটি টাকা। জালগুলো পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে।  
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:৫১

৫ লাখ টাকার বাইক পুড়িয়ে 'জুনিয়র টাইগার শ্রফে'র ২২ হাজার আয়!
রাজধানীর বাড্ডায় আফতাবনগর হাউজিং এলাকায় ট্রাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে অন্যায় মামলার অভিযোগ তুলে নিজের মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেন মো. রাসেল মিয়া নামে এক যুবক। পরে মোটরসাইকেল পোড়ানোর দৃশ্য ভিডিওতে ধারণ করে সেটি ভাইরাল করতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেন তিনি। মূলত, ‘ভাইরাল হিরো’ হতেই রাসেল এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে জানিয়েছে  ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেকে 'জুনিয়র টাইগার শ্রফ' পরিচয় দিতেন তিনি। রোববার (৪ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য দেন ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। তিনি বলেন, কিছুদিন আগে ঢাকা থেকে রাসেল মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। মোটরসাইকেল চালানো নিয়ে তার বিরুদ্ধে কখনো কোনো মামলা করা হয়নি। তবে তার এক বন্ধু ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন করায় তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। রাসেল সেই মামলার স্লিপ দেখিয়ে নিজের পাঁচ লাখ টাকা দামের মোটরসাইকেলে আগুন দেন। মূলত ভাইরাল হতেই এ কাণ্ড ঘটান তিনি। পাঁচ লাখ টাকার মোটরসাইকেলটি পুড়িয়ে সেই দৃশ্য ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগের অন্যান্য মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে ২০০ ডলার (প্রায় ২২ হাজার টাকা) আয় করেছেন তিনি। ডিবি জানায়, মানিকগঞ্জের দৌলতপুর এলাকার প্রবাসী মা–বাবার সন্তান রাসেল মিয়া। তিনি নিজেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে 'জুনিয়র টাইগার শ্রফ' পরিচয় দিতেন। এই নামে তিনি ফেসবুক ও ইউটিউবে অন্যের বানানো বিভিন্ন কনটেন্ট পোস্ট করতেন, যার বেশির ভাগই অর্থহীন, অশালীন ও দেশের আইনবিরোধী। ডিবি আরও জানায়, রাসেল মিয়া ২০২০ সালে এইচএসসি পাস করার পর আর পড়াশোনা করেননি। মাঝে কিছুদিন ভারতে গিয়ে মার্শাল আর্টের প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজেকে 'জুনিয়র টাইগার শ্রফ' পরিচয় দিতেন। তিনি মোটরসাইকেল নিয়ে বিভিন্ন স্ট্যান্টের ভিডিও বানিয়ে ইউটিউবে ছাড়তেন। এতে তার সামান্য আয় হতো। ভাইরাল হয়ে আয় বাড়াতেই বাইকে আগুন দেওয়ার কাজটি করেন রাসেল।
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৪:৩৫

‌‘জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারার দল বিএনপি’
যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেছেন, জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারার দল বিএনপি। তারেক এবং খালেদা জিয়ার নির্দেশেই অগ্নি-সন্ত্রাস চালানো হয়েছে, তা বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য এবং তাদের আটক নেতাকর্মীদের স্বীকারোক্তি থেকে প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে পল্লবীর ইসলামিয়া স্কুল মাঠে ঢাকা মহানগর উত্তরের উদ্যোগে অসহায় শীতার্তদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন যুবলীগ চেয়ারম্যান। শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, অগ্নিদগ্ধ ও আপনজন হারা স্বজনদের ব্যথা এখনও মানুষের মনে দাউদাউ করে জ্বলে। বিএনপি জানে তাদের জন্য মানুষের শুধু ঘৃণাই রয়েছে, মানুষ তাদের বিশ্বাস করে না। তাই তারা নির্বাচনে যেতে ভয় পেয়েছে। এই অপরাধী বিএনপিকে মানুষে কোনোদিনও ভোট দেবে না। সে অপরাধবোধ থেকে ভোট চাইতে মানুষের সামনে যেতে ভয় পেয়ে নির্বাচন বর্জন করেছে বিএনপি। পরশ বলেন, ইতিহাস পর্যালোচনা করে দেখলে বোঝা যায়, যখনই আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ছিল তখনই দেশের উন্নয়ন হয়েছে। সাধারণ মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটেছে। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনের আগে দলীয় ইশতেহার ঘোষণা করেছিলেন। তাতে প্রথমে ছিল, দ্রব্যমূল্য সবার ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখা। সেই ধারাবাহিকতায় মন্ত্রীসভার বৈঠকে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনার ব্যাপারে তিনি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীদের সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব দিয়েছেন, তাদের তাগাদা দিচ্ছেন, কাজের তদারকি করছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে দ্রব্যমূল্যের সমস্যা সমাধান করে জীবনমান উন্নত করা। সেই লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছে সরকার। একটু ধৈর্য ধরতে হবে, বঙ্গবন্ধুকন্যার ওপর আস্থা রাখতে হবে। অচিরেই সংকট সমাধান করব। যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, যখনই মানুষের জীবনে উন্নতি হয়েছে, আরও অধিকতর উন্নতির সুযোগ রয়েছে, তখনই মানুষের ভাগ্য নিয়ে, সাধারণ মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে বিএনপি-জামায়াত। আজকেও এই কালো পতাকা মিছিল তাদের কু-মতলবের আভাস বহন করে। একটা অশনি সংকেতের ইঙ্গিত বহন করে। আবারও কোনো সন্ত্রাসী কার্যকলাপের পাঁয়তারা করছে কি না সে ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৩৯

দুর্গম পাহাড়ে ৩০ কোটি টাকার গাঁজাখেত পুড়িয়ে ধ্বংস
খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা উপজেলায় সাড়ে ৩ একর গাঁজাখেত ধ্বংস করেছে প্রশাসন। তারা ৩ হাজার ২৫ টি গাছ কেটে পুড়িয়ে ধ্বংস করে দেয়। এসব গাঁজার মূল্য প্রায় ৩০ কোটি ২৫ লাখ টাকা।  মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সকালে গুইমারা সদর ইউনিয়নের দুর্গম অরণ্যের চৌধুরীপাড়া এলাকায় ওই গাঁজা খেত ধ্বংস করা হয়। তবে এ সময় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। গুইমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুর আমিন বলেন, গোপন সূত্রে সংবাদ পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সমন্বয়ে যৌথ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে চৌধুরীপাড়া এলাকায় দুই একর জমিতে চাষ করা গাঁজা গাছ পাওয়া যায়। পরে গুইমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজীব চৌধুরী ও সেনা সদস্যদের উপস্থিতিতে গাঁজা গাছগুলো আগুন দিয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। তবে এলাকাটি দুর্গম হওয়ায় ঘটনাস্থলে কাউকে পাওয়া যায়নি। খেতের মালিক কে এবং ওই গাঁজা চাষের সঙ্গে সম্পৃক্তদের সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন ওসি। গুইমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজীব চৌধুরী বলেন, সাড়ে ৩ একর জমিতে চাষ করা গাঁজা গাছের আর্থিক মূল্য অন্তত ৩০ কোটি ২৫ লাখ টাকা।  
১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:৫৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়