• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
logo
‘অন্য দেশের দৃষ্টি দিয়ে বাংলাদেশের সম্পর্ককে দেখে না যুক্তরাষ্ট্র’
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে যুক্তরাষ্ট্র অন্য দেশের দৃষ্টি দিয়ে দেখে না বলে জানিয়েছেন মার্কিন দূতাবাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তা ম্যাক্সওয়েল মার্টিন। তিনি বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক অভিন্ন ইতিহাস, মূল্যবোধ ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার ভিত্তিতে পরিচালিত। এই সম্পর্ক ভারত, চীন, রাশিয়া বা তৃতীয় কোনো দেশের মাধ্যমে পরিচালিত নয়। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে আইপিএস নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।  এদিন ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় কৌশল (আইপিএস) ও বাংলাদেশের জন্য এর তাৎপর্য নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস। দক্ষিণ এশিয়া ও ভারত মহাসাগরে ভারতের নেতৃত্বকে স্বীকার করে যুক্তরাষ্ট্র। এ বিষয়টিকে বাংলাদেশসহ এই অঞ্চলের দেশগুলো কীভাবে দেখে, এই প্রশ্নের উত্তরে ম্যাক্সওয়েল মার্টিন বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কটা আমরা দ্বিপক্ষীয় প্রেক্ষাপট থেকেই দেখি। এই সম্পর্ককে আমরা অন্য দেশের লেন্স (দৃষ্টি) দিয়ে দেখি না। গণমাধ্যমসহ নানা জায়গায় শুনেছি যে ভারতের লেন্স দিয়ে বাংলাদেশকে দেখে যুক্তরাষ্ট্র। এটা সত্যি না। আমরা যদি দ্বিপক্ষীয় অভিন্ন স্বার্থের নিরিখে দেখি তাহলেই আমরা একসঙ্গে কাজ করতে পারি। এটাই আমরা সরকার, গণমাধ্যমসহ সবাইকে জোর দিয়েই বলছি।’ বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কটা বহুমাত্রিক। আইপিএস এই সম্পর্কে কী মাত্রা যোগ করেছে, জানতে চাইলে ম্যাক্সওয়েল বলেন, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর ফোর্সেস গোল-২০৩০–কে সমর্থন করে। এই লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশকে নানাভাবে সহায়তা করা হচ্ছে। আইপিএসের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় রেখেই বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাড়তি পদক্ষেপ নেওয়ার পাশাপাশি আগের সহযোগিতাগুলো এগিয়ে নিয়ে চলেছে যুক্তরাষ্ট্র। ম্যাক্সওয়েল মার্টিন এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘চীনের মতো কয়েকটি দেশ নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে এমনকি ভবিষ্যতেও জোর খাটাতে পারে। যেটা দক্ষিণ চীন ও তাইওয়ানের ক্ষেত্রে ঘটেছে। আইপিএসের ক্ষেত্রে আমরা এ ধরনের আধিপত্যপাদী আচরণ দেখতে চাই না।’ নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে অভিহিত করেছেন ম্যাক্সওয়েল মার্টিন। তিনি এর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলেন, ‘এটা ইতিবাচক দৃষ্টিকোণ থেকেই বলছি। এই অঞ্চলের সব দেশ নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার সামর্থ্য রাখে এবং দায়িত্বশীলতার সঙ্গে অন্যের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করতে পারে। গঠনমূলক ও টেকসই দৃষ্টিভঙ্গির প্রেক্ষাপট থেকে দক্ষিণ এশিয়ার ইতিবাচক নিরাপত্তা কাঠামোর পরিপ্রেক্ষিতে থেকেই  দিক থেকে বলছি। কেন এটা বলছি? স্বাধীনতার পর থেকে দ্রুততার সঙ্গে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এই অঞ্চলে বাংলাদেশের সামর্থ্য ও অবদানের সক্ষমতা দেখেছি। নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিতের সামর্থ্যের পাশাপাশি অন্যের সহায়তাও বাংলাদেশ এগিয়ে গেছে। বাংলাদেশের অংশীদার হিসেবে আমরা গর্বিত। উদাহরণ হিসেবে মিয়ানমারের প্রাকৃতিক দুর্যোগে সহায়তা এক বিরাট দৃষ্টান্ত।’ ম্যাক্সওয়েল মার্টিন বলেন, আইপিএসের মানচিত্রের দিকে তাকালে দেখবেন বিশ্বের বাণিজ্যের বড় অংশটা হয় এই অঞ্চলজুড়ে। অর্থনৈতিক উন্নয়নও হচ্ছে এই অঞ্চল ঘিরে। তাই বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল অবাধ ও মুক্ত ভবিষ্যৎ, অর্থনীতি এবং সমৃদ্ধির স্বার্থের বিষয়গুলোতেই জোর দেওয়া হচ্ছে। নিরাপত্তা ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের কোস্ট গার্ডের বড় দুটি জাহাজ যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেওয়া। এর মধ্যে একটি জাহাজ গত বছরের জুনে মিয়ানমারে ঘূর্ণিঝড়ের পরে ত্রাণ সহাযতা দিয়েছিল। এই ধরনেরই নিরাপত্তা সহযোগিতা আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে চাই যেখানে এই অঞ্চলের মানুষ সরাসরি উপকৃত হবে।
২৫ এপ্রিল ২০২৪, ২০:৫৮

ট্রাফিকের হাতে ক্ষতিকর লেজার লাইট, বাড়ছে দৃষ্টি হারানোর শঙ্কা  
সন্ধ্যা নামতেই প্রতিদিন ময়মনসিংহ নগরীর প্রতিটি সড়ক ও মহাসড়কের মোড়ে মোড়ে চোখে পড়ে সবুজ রঙের ক্ষতিকর আলোকরশ্মি। যানজট নিয়ন্ত্রণে এই আলোকরশ্মির ব্যবহার করছে খোদ ট্রাফিক পুলিশ ও সিটি করপোরেশনের যানজট নিয়ন্ত্রণে কর্মরত সদস্যরা। এতে ট্রাফিক সিগনাল ও যানজট নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক সদস্যদের সুবিধা হলেও দৃষ্টি হারানোর শঙ্কা বাড়ছে সাধারণ মানুষ ও যান চালকদের। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ, অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে ভুক্তভোগীসহ সচেতন মহলে।   সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, নগরীর গাঙ্গিনাপাড় ট্রাফিক মোড়, নতুন বাজার, পাটগুদাম ব্রিজ মোড়, শম্ভুগঞ্জ বাজার মোড়, রহমতপুর বাইপাস, মাসকান্দা বাইপাস মোড়সহ নগরীর সড়ক ও মহাসড়কের মোড়ে মোড়ে ট্রাফিক সিগনাল ও যানজট নিয়ন্ত্রণে সন্ধ্যা নামতেই ব্যবহার হচ্ছে ক্ষতিকর লেজার লাইট। অথচ এই লাইট ব্যবহারে রয়েছে আইনগত বিধিনিষেধ। কিন্তু ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত খোদ পুলিশ সদস্যরাই মানছে না এই বিধিনিষেধ। ফলে পুলিশের পাশাপাশি সাম্প্রতিক সময়ে পাড়া-মহল্লার শিশু-কিশোরদের হাতে হাতে ছড়িয়ে পড়ছে এই ক্ষতিকর লেজার লাইট। প্রকাশ্যে খোলা বাজারে বিক্রিও হচ্ছে নগরীর অলিগলি বা মেলার স্টলগুলোতে। যা ব্যবহারে মনের অজান্তেই নীরবে ক্ষতি করে চলছে মানুষের দৃষ্টি শক্তির।       এ নিয়ে নগরীর গাঙ্গিনাপাড় ও পাটগুদাম এলাকায় কথা হয় কয়েকজন অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল চালকের সঙ্গে। অটোরিকশাচালক মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, ট্রাফিক পুলিশের লেজার লাইট চোখে পড়লে কয়েক সেকেন্ডের জন্য চোখ ঝাপসা হয়ে যায়। এরপর চোখ স্বাভাবিক হলেও অস্বস্তি লাগে অনেকক্ষণ পর্যন্ত। মোশারফ হোসেন নামে অপর এক অটোরিকশাচালক বলেন, এই লাইটের আলো চোখে পড়লে খুব খারাপ লাগে। কিন্তু এইটা ক্ষতিকর কি না, তা আমি জানি না। তবে চোখ অনেক সমস্যা করে, আমি নিজেই এর প্রমাণ পেয়েছি।     এ সময় মোটরসাইকেলচালক ও বেসরকারি চাকরীজীবী তানভীর আহম্মেদ বলেন, লেজারের আলো চোখে পড়লে গাড়ির ব্রেক না কষে কোনো উপায় নেই, তখন চোখে আর কিছু দেখা যায় না। এতে হঠাৎ করে দুর্ঘটনার সম্ভাবনাও অনেক বেশি। তাছাড়া লেজারের আলো চোখের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর বলেই আমি জানি কিন্তু ট্রাফিক পুলিশ ব্যবহার করলে আমাদের কিছু বলার থাকে না।   একই ধরনের মতামত দিয়েছেন চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালের আবাসিক সার্জন ডা. মো. ফেরদৌস হাসান।   তিনি বলেন, লেজারের আলোকরশ্মি চোখের রেটিনার জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এতে চোখের ম্যাকুলা বার্ন হয়। ফলে চোখে কম দেখাসহ স্থায়ী অন্ধত্বের শঙ্কা রয়েছে। কেউ উদ্দেশ্য করে এই আলোকরশ্মি চোখে মারলে চোখ ডেমিজ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও প্রবল। তাই লেজার লাইট ব্যবহারে সতর্কতা অপরিহার্য।       একই বক্তব্য মমেক হাসপাতালের একাধিক চক্ষু বিশেষজ্ঞের। তাদের ভাষ্য লেজার লাইটের আলো চোখে এসে পড়লে চোখ ঝাপসা হয়ে যায়। যা স্বাভাবিক হতে সময় লাগে কয়েক মিনিট। এতে অনেক সময় চোখ জ্বালাপোড়াসহ স্থায়ী অন্ধত্বের ঝুঁকি তৈরি হয়।   এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা ট্রাফিক পরিদর্শক (যানবাহন) মো. মাহাবুবুর রহমান বলেন, লেজার ব্যবহারের কারণে পথচারী ও যান চালকদের ক্ষতি হয়। তাই এক সময় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে লেজার লাইট ব্যবহার করা হলেও এখন করা হয় না। অনেক আগেই লেজার ব্যবহার নিষেধ করা হয়েছে। তারপরও যদি কিছু থাকে সেগুলোও অতি দ্রুত ক্লোজ করা হবে।
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:১৫

বেলুচিস্তান পরিস্থিতি নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করল বিএসি
বালুচ আমেরিকান কংগ্রেস (বিএসি) মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে একটি চিঠি লিখেছে এবং বেলুচিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে তার জরুরি মনোযোগ চেয়েছে। বিএসি ‘জোরালো ভাবে’ বাইডেনকে বেলুচ জনগণের জন্য ন্যায়বিচার চাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে। জোরপূর্বক গুম, বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড এবং বেলুচিস্তানে চলমান গণহত্যার বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিএসি। চিঠিতে বিএসি বলেছে, গত ছয় মাসে বেলুচিস্তানে সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জোরপূর্বক গুম এবং বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বাইডেনকে লেখা চিঠিতে বিএসি বলেছে, বেলুচিস্তানের পরিস্থিতি আপনার জরুরি মনোযোগ দাবি করে। আপনার হস্তক্ষেপ অনেক জীবন বাঁচাতে পারে এবং অগণিত ব্যক্তি যারা নিখোঁজ হয়েছেন তাদের দুর্দশা লাঘব করতে পারে। বেলুচ জনগণের ন্যায়বিচার চাওয়ার জন্য আমরা আপনার কাছে দৃঢ়ভাবে অনুরোধ করছি। তা করতে ব্যর্থ হলে তা হবে তাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা। যারা একটি স্বীকৃত দুর্বৃত্ত রাষ্ট্রের সামরিক প্রতিষ্ঠানের ভারে পিষ্ট হচ্ছে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, কোনো ব্যক্তি বা রাষ্ট্র আন্তর্জাতিক আইনের ঊর্ধ্বে নয়। বেলুচিস্তানে মানবাধিকারের গুরুতর লঙ্ঘনের জন্য দায়ীদের অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে। এক্স-এর একটি পোস্টে বেলুচ আমেরিকান কংগ্রেস বলেছে, বেলুচ আমেরিকান কংগ্রেস মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে একটি খোলা চিঠি লিখেছে। চিঠিতে তারা পাকিস্তান রাষ্ট্র কর্তৃক পরিচালিত জোরপূর্বক নিখোঁজ, বিচার বহির্ভূত হত্যা এবং বেলুচিস্তানে বেলুচ গণহত্যার বিষয়ে তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলোর তথ্য উদ্ধৃত করে বেলুচ আমেরিকান কংগ্রেস চিঠিতে উল্লেখ করেছে, ২০২৩ সালের জুন থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বেলুচিস্তানে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও লেখকসহ ২৭৪ জন নিখোঁজ হয়েছেন। বিএসি দাবি করেছে, পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির (আইএসআই) সদস্যরাই গুমের এসব ঘটনা ঘটিয়েছে। চিঠিতে বিএসি আরও উল্লেখ করেছে, উপরন্তু, পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী সমর্থিত ‘ডেথ স্কোয়াড’ এবং প্রক্সি ধর্মীয় সংগঠনগুলি তাদের কার্যক্রম তীব্রতর করেছে। যার ফলে বেলুচিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চল জুড়ে মানবাধিকার রক্ষাকর্মী এবং সামাজিক-রাজনৈতিক নেতাদের প্রতিদিন হত্যা ও অপহরণ করা হচ্ছে। এসব সশস্ত্র গোষ্ঠী রাজনৈতিক কর্মীদের অপহরণ, নির্যাতন ও ছিন্নভিন্ন লাশ ফেলে দেয়াটা দুঃখজনক ভাবে নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিএসি জানিয়েছে, বেলুচ জনগণের ক্রমাগত অমানবিক ও দমনমূলক আচরণের বিষয়ে মাহরং বেলুচের নেতৃত্বে বেলুচ ইয়াকজেহতি কমিটি বেলুচ নিখোঁজ ব্যক্তিদের পুনরুদ্ধারের জন্য ইসলামাবাদে প্রেস ক্লাবের বাইরে মূলত বেলুচ মহিলা, শিশু এবং প্রবীণদের একটি অবস্থান ধর্মঘটের আয়োজন করেছিল। চিঠিতে বিএসি বলেছে, দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে অবস্থান ধর্মঘট অব্যাহত ছিল এবং পাকিস্তানি শাসকদের কাছ থেকে কোনও ইতিবাচক প্রতিক্রিয়ার পরিবর্তে ইসলামাবাদ প্রশাসন জোর করে অবস্থান ধর্মঘট শেষ করেছিল। বেলুচিস্তানকে কোণঠাসা করার বিষয়ে অভিযোগ করে বিএসি উল্লেখ করেছে যে, সাংবাদিক এবং মানবাধিকার কর্মীদের বেলুচিস্তানে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এবং হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতো স্বাধীন মানবাধিকার সংস্থার তথ্য উদ্ধৃত করে বিএসি উল্লেখ করেছে, ২০০৭ সাল থেকে ৫০০০ বেলুচ রাজনৈতিক কর্মী, নেতা এবং মানবাধিকার রক্ষাকর্মীকে জোরপূর্বক গুম করা হয়েছে। চিঠিতে বিএসি দাবি করেছে, মানবাধিকার লঙ্ঘনের পাশাপাশি অর্থনৈতিক শোষণ বেলুচিস্তানে আরেকটি চাপের বিষয়। বেলুচিস্তানে গোয়াদার, সাইনডাক এবং রেকোডিকের মতো তথাকথিত মেগা প্রকল্পগুলির জন্য চীনা কর্পোরেশনগুলিকে বেলুচ জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ইজারা দেওয়া হয়েছে। এই কর্পোরেশনগুলি নির্মমভাবে প্রাকৃতিক সম্পদ শোষণ করছে, নৈতিক ব্যবসায়িক অনুশীলনকে উপেক্ষা করছে এবং পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি করছে। বিএসি দাবি করেছে, চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর (সিপিইসি) বেলুচিস্তানের সামাজিক-সাংস্কৃতিক পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করে তুলেছে। এতে বলা হয়েছে, সিপিইসি সংলগ্ন গ্রামগুলোকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করা হচ্ছে এবং তাদের জমি স্থানীয় বাসিন্দাদের সম্মতি ছাড়াই চীনাদের দেওয়া হচ্ছে।
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৪১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়