• ঢাকা রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর পৌনে ৪ কিলোমিটার দৃশ্যমান
প্রমত্তা যমুনার বুকে দেশের অন্যতম মেগা প্রকল্প দীর্ঘতম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু নির্মাণের কাজ ৮০ শতাংশ শেষ হয়েছে। এরমধ্যে টাঙ্গাইল অংশে ৯২ শতাংশ ও সিরাজগঞ্জ অংশে ৮০ শতাংশের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। ফলে ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেল সেতুর ৩ দশমিক ৭ কিলোমিটার এখন দৃশ্যমান। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে এ মেগা প্রকল্পের কাজ শেষ হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এটি উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।  সেতুটি চালু হলে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে সারাদেশের যোগাযোগ ও পরিবহন ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে। অভ্যন্তরীণ রেল যোগাযোগ বৃদ্ধির পাশাপাশি ট্রান্সএশিয়ান রেলপথে যুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে সক্ষমতা অর্জন করবে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে দেশের উত্তরাঞ্চলের অর্থনীতি বেগবান হবে। যমুনার ওপর নির্মিত বঙ্গবন্ধু সেতুর ৩০০ মিটার উজানে দেশের দীর্ঘতম ডুয়েল গেজ ডাবল ট্র্যাকের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। ডুয়েলগেজের এ সেতুতে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২৫০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চালানো যাবে। তবে শুরুতে (উদ্বোধনের ১ বছর) সেতুর ওপর দিয়ে দুইটি ব্রডগেজ ও মিটারগেজ ট্রেন ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার গতিতে চলাচল করতে পারবে। প্রায় ৭ হাজার দেশি-বিদেশি প্রকৌশলী ও শ্রমিকের দিনরাত পরিশ্রমে দ্রুত এগিয়ে চলেছে রেল সেতুর নির্মাণকাজ।  টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জ অংশে দুইটি প্যাকেজের আওতায় ৫০টি পিলার ও ৪৯টি স্প্যানের সমন্বয়ে এ রেল সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ৪৯টি পিলারের কাজ শেষ হয়েছে। ভিয়েতনাম থেকে আমদানি করা ৩৭টি স্টিলের স্প্যান পিলারের ওপর বসানো হয়েছে। বাকি ১৬টি স্প্যান বসানোর কাজ চলছে। রেল সেতুতে ব্রডগেজ ও মিটারগেজ দুই ধরনের ট্রেনই সেতুর সঙ্গে রেল সংযোগ তৈরি করতে দুই প্রান্তে ভায়া ডাক ও ৩০ কিলোমিটার ডাবল লাইনের রেলপথের কাজও দ্রুতগতিতে চলছে। সেতুর স্প্যানে স্লিপারবিহীন রেললাইন বসানো হচ্ছে। দেশের রেললাইনে জাপানি এ প্রযুক্তির ব্যবহার এটাই প্রথম। এ প্রযুক্তিতে স্টিল স্ট্রাকচারের গার্ডারের সঙ্গে রেললাইনের সংযোগ প্রযুক্তিতে কোনো স্লিপার থাকবে না। সরেজমিনে দেখা যায়, যমুনার বুকে ভারি ভারি যন্ত্র বসিয়ে সারিবদ্ধভাবে নদীতে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে ৪৯টি পিলার। উত্তাল যমুনার ওপর দেশের এ মেগা প্রকল্পকে ঘিরে নদীর টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জের দুই প্রান্তে দিন-রাত দেশি-বিদেশি প্রকৌশলী ও নির্মাণ শ্রমিকরা বিরতহীনভাবে কাজ করছেন। কেউ পাইলিং করছেন, কেউ স্প্যানের কাজ করছেন। আবার কাউকে ঢালাইয়ের কাজ করতে দেখা গেছে। বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতুর ৫০টি পিলারের মধ্যে ৪৯টি পিলারের কাজ শেষ হয়েছে এবং মাত্র একটি পিলার বসানো বাকি রয়েছে। ডিসেম্বরের মধ্যে স্টিলের অবকাঠামোর সেতুটি চালু করা হবে। মেগা প্রকল্পের এ সেতুর অর্থনৈতিক আয়ুষ্কাল হবে ১০০ বছর। বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্র জানায়, দেশের সবচেয়ে বড় এ রেলসেতুতে মোট পিলার (খুঁটি) রয়েছে ৫০টি। ক্রেনের সাহায্যে হ্যামার দিয়ে বসানো হচ্ছে পাইলিং পাইপ। রেলসেতুতে কংক্রিটের পিলার বসানো হচ্ছে। ওপরের সুপার স্ট্রাকচার হচ্ছে স্টিলের। অপরদিকে, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) নিবিড় পরিবীক্ষণ প্রতিবেদনে প্রকল্প বাস্তবায়নে নির্মাণকালীন কিছু ঝুঁকির কথা বলা হয়েছে।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অনুমোদিত ইএমপি অনুযায়ী সড়কের ধুলাবালি নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নেওয়ায় প্রকল্প এলাকার জনগণ ও সংশ্লিষ্ট শ্রমিকরা স্বাস্থ্যঝুঁকি ও পরিবেশগত ঝুঁকিতে রয়েছে। আইএমএডি প্রতিবেদনে প্রকল্পের কিছু দুর্বল দিকও প্রকাশ করা হয়েছে। এরমধ্যে রেলওয়ে সড়কবাঁধ নির্মাণে যথাযথ এবং অনুমোদিত পদ্ধতি অনুসরণ না করা, প্রকল্পের কার্যক্রম সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত না করা, চুক্তি মোতাবেক প্যাকেজ ডব্লিউডি-২-এর ল্যাবরেটরিতে মেশিনারি ও জনবল মোবালাইজ না করা, প্রকল্পের ম্যানেজমেন্ট সাপোর্ট কনসালট্যান্ট নিয়োগ না করা, অনুমোদিত ইলেক্ট্রো ম্যাগনেটিক পালস (ইএমপি) অনুযায়ী নির্মাণকালীন সড়কের ধুলাবালি নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করা হয়নি ও প্যাকেজে ডব্লিউডি২ সম্পূর্ণ ল্যাবরেটরি টেস্টিং ইক্যুইপমেন্ট শ্রেণি বিন্যাস করা হয়নি ইত্যাদি। এক্সিট প্ল্যান হিসেবে প্রকল্প বাস্তবায়নের পরে প্রকল্পের কাজে নিয়োজিত ঠিকাদার প্যাকেজ ভিত্তিক এক বছর সেতু রক্ষণাবেক্ষণ করবে। পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের কাছে প্রকল্পের আওতায় নির্মিত সেতু ও যাবতীয় ভৌত অবকাঠামো হস্তান্তর করার কথা রয়েছে। নিয়মিত ও প্রয়োজনীয় রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ের দক্ষ জনবল, যন্ত্রপাতি ও প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ করে এই সেতু এবং ভৌত অবকাঠামোর ডিজাইন লাইফ ১০০ বছর সচল রাখার বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে প্রকল্পের প্রধান প্রকৌশলী তানবিরুল ইসলাম জানান, সেতুর পিলারগুলোর ফাউন্ডেশন জাপানি এসপিএসপি ফাউন্ডেশন পদ্ধতিতে দেওয়া হয়েছে। আগামি মে মাসের মধ্যে পুরো স্প্যান বসানো সম্ভব হবে। এ সেতুর ফলে রেলের মাধ্যমে প্রতিবেশি দেশের সঙ্গে পণ্য পরিবহনে নিজেদের সক্ষমতা তৈরি হচ্ছে। সেতুটি চালু হলে উত্তরাঞ্চলের রেল যোগাযোগে যেমন গতি বাড়বে, তেমনি প্রতিবেশি দেশগুলোর সঙ্গে রেলে পণ্য পরিবহনে সক্ষমতা তৈরি হবে। তিনি আরও জানান, বর্তমানে বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে ৩৮টি রেল চলাচল করতে পারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু চালু হলে প্রতিদিন ৬৮টি রেল চলাচল করতে পারবে। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক রুট হিসেবে ভারতের সঙ্গে রেল সংযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে নীলফামারীর চিলাহাটি এবং চিলাহাটি বর্ডারের মধ্যে ব্রডগেজ রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের কাজও চলছে। ভারতের ফুলবাড়ী অংশে শিলিগুড়ি পর্যন্ত সেখানকার রেল বিভাগ রেলপথ নির্মাণ করছে। পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের জিএম অসীম কুমার তালুকদার জানান, বর্তমানে বঙ্গবন্ধু সেতুর ওপর দিয়ে ট্রেন চলাচলের গতি সর্বোচ্চ ২০ কিলোমিটার। এ ছাড়া সেতুর ওপর দিয়ে একই সময়ে একটির বেশি ট্রেন চলাচল করতে পারেনা। নতুন রেলসেতু চালু হলে একদিকে যেমন ট্রেনে গতি ফিরবে তেমনি যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে। সংশ্লিষ্টরা জানান, সেতু থেকে রাজশাহী স্টেশন পর্যন্ত রেললাইন সংস্কার ও ডাবল লাইন না করা গেলে এই রেলসেতু পুরোপুরি কাজে আসবে না। তা ছাড়া ট্রেনে লাগেজ বগিও যুক্ত করতে হবে। স্টেশনগুলোতে পণ্য পরিবহনে বিশেষ করে কাঁচামাল পরিবহনের উপযোগী অবকাঠামো নির্মাণ করতে হবে। রাজশাহীতে উৎপাদিত আম, সবজি ও মাছের মতো কাঁচামালের ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। একইভাবে চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে আমদানি করা শিল্প কলকারখানার জন্য কাঁচামাল রেলযোগে সরাসরি উত্তরবঙ্গে আনার সুব্যবস্থাও করতে হবে। তবেই এই রেলসেতুর পুরোপুরি সুফল আসবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে প্রকল্পের পরিচালক আল ফাত্তাহ মো. মাসুদুর রহমান জানান, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হলে ট্রেন চলাচলের উপযোগী হবে। ইতোমধ্যে মোট প্রকল্পের ৮০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এরমধ্যে টাঙ্গাইল অংশে ৯২ শতাংশ ও সিরাজগঞ্জ অংশে ৮০ শতাংশ রয়েছে। এটি রেলের জন্য যুগান্তকারী একটি প্রকল্প। সেতুর ওপর দিয়ে ১২০ কিলোমিটার বেগে একত্রে চলচল করতে পারবে দুটি ট্রেন। উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আসবে। উল্লেখ্য, অভ্যন্তরীণ, ক্রস বর্ডার এবং ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ে ট্রাফিকের বর্ধিত চাহিদা বিবেচনায় রেখে নির্বিঘ্নে নিরবচ্ছিন্ন রেল চলাচল নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ রেলওয়ে বিদ্যমান সড়ক সেতুর ৩০০ মিটার উজানে যমুনা নদীর ওপর আরেকটি ডুয়েল গেজ ডাবল ট্র্যাক সম্পন্ন ৪ দশমিক ৮০ কিমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু ও প্রায় ৭ দশমিক ৬ কিলোমিটার ডাবল লাইন সমন্বিত রেলওয়ে অ্যাপ্রোচ অ্যামবাঞ্চমেন্ট নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রথমে ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে রেলসেতুটি নির্মাণ করার কথা থাকলেও প্রথম সংশোধনীর পর সেতু প্রকল্পের ব্যয় দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে দেশীয় অর্থায়ন থাকছে ২৭ দশমিক ৬০ শতাংশ বা চার হাজার ৬৩১ কোটি টাকা এবং জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) ঋণ দিচ্ছে ১২ হাজার ১৪৯ কোটি টাকা। যা পুরো প্রকল্পের ৭২ দশমিক ৪০ শতাংশ।
২৯ মার্চ ২০২৪, ১২:৫২

সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান ব্যবস্থা নেই : আনিসুল ইসলাম মাহমুদ
বাজার নিয়ন্ত্রণে সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সরকারকে কোনও ব্যবস্থা নিতে দেখা যাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের বিরোধী দলের উপনেতা আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।  মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এ অভিযোগ করেন। এসময় সরকারের চেয়ে বাজার সিন্ডিকেট কীভাবে শক্তিশালী হয়, সে প্রশ্নও রাখেন তিনি।  আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলার পরও দৃশ্যমান কিছু দেখা যাচ্ছে না। সরকারের চেয়ে কীভাবে সিন্ডিকেট শক্তিশালী হয়? আমাদের দেশের বিভিন্ন সংস্থা আছে, তথ্য আছে, তাহলে কীভাবে সরকারের চেয়ে এরা বেশি শক্তিশালী হয়? এখনই সিন্ডিকেটকে শক্ত হাতে দমন করা না হলে রমজানে বাজার অস্থিতিশীল হয়ে যাবে জানিয়ে তিনি বলেন, এই সংসদে আগের বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছেন, সিন্ডিকেটে হাত দেওয়া যাবে না। যদিও প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। কিন্তু দৃশ্যমান কিছু দেখছি না।  সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যের কথা উল্লেখ করে বিরোধী দলের এ নেতা কটাক্ষ করেন, সিন্ডিকেট এত শক্তিশালী হয়ে গেছে যে, তারা প্রতিদিন সকালে মোবাইলের মাধ্যমে দাম নির্ধারণ করে দেয়। এরা সকালে এসএমএসের মাধ্যমে চিনির, ডিমের, মাংসের, তেলের এমনকি তাজা শাক-সবজির দাম নির্ধারণ করে দেয়। তারা এতই শক্তিশালী যে, দেশের গোয়েন্দা সংস্থা জানার পরও কারও বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে দেখিনি। আনিসুল ইসলাম মাহমুদ আরও বলেন, এনবিআর থেকে ট্র্যাক্স কমানো হয়েছে। আশা ছিল জিনিসপত্রের দাম কমবে। চিনির জন্য আমাদের সরকারি সংস্থা আছে। একদিন সংস্থাটি হঠাৎ করে চিনির দাম বাড়িয়ে দিল ২৫ টাকা। পরে অবশ্য সন্ধ্যায় তা স্থগিত করে। কিন্তু এই সুবিধা নিল চিনির সিন্ডিকেট। দাম বাড়িয়ে দিল ১৬০ টাকা কেজি। অথচ পাশের দেশে চিনির দাম কম; মাত্র ৭০ টাকা। আর আমাদের দেশে ১৬০ টাকা হওয়ার কোনও কারণ নেই। সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, আমি গ্রামে যাই, রাস্তায় যাই, কোথাও দেখি না দাম কমে। এর কারণ হচ্ছে সিন্ডিকেট। সিন্ডিকেট নিয়ে রিপোর্ট হচ্ছে। শনাক্ত করা হয়েছে। দাম কমানো নিয়ে বা তদারকির জন্য একটি অধিদপ্তর রয়েছে। সেই অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সামনে একজন অপরজনকে পিটাচ্ছে, কেন তারা কম দামে বিক্রি করছে, তাদের মারধর করা হচ্ছে। সরকারের যারা রয়েছে, তাদের কাছে অনুরোধ, ব্যবস্থা নিন।  
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:২৩

অবশেষে পদ্মায় ‘রজনীগন্ধা’ দৃশ্যমান
টানা সাত দিনের মাথায় অবশেষের পদ্মায় ডুবে যাওয়া ইউটিলিটি ফেরি ‘রজনীগন্ধা’র একাংশ দৃশ্যমান হয়েছে।  মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যা নাগাদ ফেরিটির একাংশ জাগিয়ে তোলে উদ্ধারকারী জাহাজ ‘প্রত্যয়’।  এ ছাড়া ডুবে যাওয়া ৯টি ট্রাকের মধ্যে ইতোমধ্যে সাতটি উদ্ধার করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিইটিএ) আরিচা অঞ্চলের যুগ্ম পরিচালক এস এম আজগর আলী। এ বিষয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিইটিসি) আরিচা অঞ্চলের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার শাহ মোহাম্মদ খালেদ নেওয়াজ বলেন, দুর্ঘটনার দিনই উদ্ধারকারী জাহাজ ‘হামজা’ দিয়ে উদ্ধারকাজ শুরু করা হয়। পরের দিন ১৮ জানুয়ারি মাওয়া থেকে আসে অপর উদ্ধারকারী হাজাজ ‘রুস্তম’। এ দুটি উদ্ধারকারী জাহাজ দিয়ে ডুবে যাওয়া ফেরি থেকে ট্রাক উদ্ধারকাজ শুরু হয়। মঙ্গলবার পর্যন্ত ফেরি থেকে ৭টি ট্রাক উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া ফেরিটির একাংশ উদ্ধারকারী জাহাজ ‘প্রত্যয়’ জাগিয়ে তোলে। উল্লেখ্য, গত ১৭ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পাটুরিয়া ফেরিঘাটের অদূরে পদ্মা নদীতে ঘন কুয়াশার কারণে নোঙর করে থাকা অবস্থায় বিভিন্ন সাইজের ট্রাকসহ ডুবে যায় রজনীগন্ধা। ফেরিডুবির ঘটনার দিনই কারণ অনুসন্ধান তদন্তে পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। 
২৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:১৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়