• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
logo
টয়লেট থেকে ২ বছর পর উদ্ধার সুজিত
টয়লেট আটক মানসিক প্রতিবন্ধী সুজিত দাসকে (৩২) পুলিশ উদ্ধার করে পুনর্বাসন কেন্দ্রে পাঠিয়েছেন। সুজিত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর সদর ইউনিয়নের কাশিপাড়া গ্রামের মৃত হরেন্দ্র দাসের ছেলে। গত দুই বছর নিখোঁজ ছিলেন তিনি।  সম্প্রতি থানা থেকে ২শ’ গজ দূরে তাদের বাড়ির নোংরা টয়লেটে দরজার তালা ভেঙে উদ্ধার করেছেন নাসিরনগর থানার পুলিশ। পরিবারের দাবি, মানসিক ভারসাম্যহীন সুজিত যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটিয়ে ফেলতে পারেন, সে কারণে নিজেদের ও অন্যদের নিরাপত্তার স্বার্থে তাকে টয়লেটে আটকে রাখা হয়।  পুলিশ, পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, জেলে পরিবারে জন্ম নেওয়া সুজিত নিয়মিত নদীতে মাছ ধরতেন। সেই মাছ বিক্রি করেই সংসার চালাতেন। এক সময় হঠাৎ সুজিত নিখোঁজ হয়ে যায়। এলাকায় দীর্ঘদিন সুজিতের দেখা মেলে না। বিষয়টি ঘিরে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে নানা ধরনের আলোচনা-সমালোচনা চলতে থাকে। অনেকে ধারণা করেন, সুজিত হয়তো বেঁচে নেই। আবার কেউ কেউ বলতে থাকেন হয়তোবা কোনো কারণে সুজিত ভারতে চলে গেছেন। সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলের দিকে নাসিরনগর থানায় খবর আসে, থানা থেকে মাত্র ২ শত গজ দূরে সুজিতদের বাড়ির একটি নোংরা অন্ধকার টয়লেটের ভেতরে গত দুই বছর ধরে তালা দিয়ে বন্দি করে রাখা হয়েছে সুজিতকে। টয়লেটের নিচের অংশে ছোট একটি ফাঁকা দিয়ে সুজিতকে মাঝে মধ্যে কিছু খাবার দেওয়া হয়। সুজিতও দিন-রাতে টয়লেটের ফ্লোরে থেকে ওই ফাঁকা দিয়ে বাহিরের দিকে চেয়ে থাকেন। মাঝে মধ্যে চিৎকার চেঁচামেচি করেন। আর এভাবেই ওই টয়লেটের ভেতরে কেটে গেছে সুজিতের দু’বছর।  পুলিশ ওই টয়লেটের তালা ভেঙে ভেতর করে সুজিতকে উদ্ধার করে হেফাজতে নিয়েছেন।  এ দিকে স্থানীয় অনেকেই বলছেন, গত পাঁচ বছর আগে সুজিত একটি হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিলেন। তখন থেকেই তিনি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। তখন থেকেই পাগলের প্রলাপ বকা, ভাঙচুর ও সামনে যে মানুষকে পেতেন তাকেই মারধর করতেন।  আবার নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ব্যক্তি বলেন, সম্পত্তির জন্যই সুজিতকে এভাবে বন্দি করে রাখা হয়েছে।  যদিও সুজিতের মা আরতি রাণী বলেন, সুজিতের মাথায় সমস্যা থাকায় যাকে দেখে তাকেই মারধর করতো সে। মানসিক ভারসাম্যহীন আমার ছেলে। একটি হত্যা মামলার আসামিও সে। নিজেদের ও অন্য লোকজনের নিরাপত্তার জন্য টয়লেটে আটকে রাখতে বাধ্য হয়েছি।  এ বিষয়ে সুজিতের ভাই অনিল দাস প্রশ্ন রেখে বলেন, সুজিত যদি কাউকে হত্যা করে এর দায়িত্ব কে নেবে।  নাসিরনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সোহাগ রানা বলেন, টয়লেট থেকে একটি মানুষের শব্দ কানে ভেসে আসছে—এমন সংবাদের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য ওই বাড়িতে যায় পুলিশ। জানতে পারি, টয়লেটে সুজিত এক বছরেরও অধিক সময় ধরে বন্দি আছে। যুবককে উদ্ধার করে আপাতত চিকিৎসা করানো হচ্ছে। পরবর্তীতে পরিবার ও চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
৫ ঘণ্টা আগে

সরকারি টয়লেট নিজের বাড়ির মনে করে ব্যবহারের আহ্বান মাশরাফীর
নড়াইলের আধুনিক সদর হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন জাতীয় সংসদের হুইপ ও নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে গিয়ে চিকিৎসক ও রোগীর সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের খোঁজখবর নেন তিনি। একইসঙ্গে হাসপাতালের টয়েলটগুলো ব্যবহারের উপযোগী কি না তাও ঘুরে দেখেন। পরিদর্শন শেষে হাসপাতালের বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরে মাশরাফী বলেন, ডাক্তাররা থাকতে না চাইলে আসলে আমাদের কাজটা কঠিন এবং আমাদের কিছু করার নেই সেক্ষেত্রে। আমরা চেষ্টা করছি যতটুকু সাপোর্ট দেয়া যায়। এরপর তিনি বলেন, আর একটা বিষয় হচ্ছে এটা তো ১০০ শয্যার হাসপাতাল। অথচ এখনই পেশেন্ট আছে প্রায় সাড়ে তিনশ। তাই সার্ভিসও সেভাবে দিতে হবে। চাইলেই তো রোগী বের করে দেওয়া যায় না। শিশু ওয়ার্ডে এখানে শয্যা আছে ১৫টি। অথচ, শিশু ভর্তি হয়েছে ১০০ জনের ওপরে। সব তো ওভারলোডেড। লোকবলের কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক এই খেলোয়াড় বলেন, ১০০ শয্যার হাসপাতালে ৩০০-৩৫০ রোগী ভর্তি আছে। চিকিৎসার পাশাপাশি ওষুধ-খাবার সবকিছুর সাপ্লাই দিতে হচ্ছে, ম্যানেজ করতে হচ্ছে। চিকিৎসক সংকটও আছে। এই চিকিৎসক সংকট কমলে আমাদের সার্ভিসটা আরও ভালো দেওয়া যেতো। তবে, সংকটের মধ্য দিয়েই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।  এ সময় হাসপাতালের টয়লেটের অবস্থা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে সবাইকে সরকারি টয়লেট নিজের বাড়ির মনে করে ব্যবহারের আহ্বান জানান মাশরাফী। তিনি বলেন, সরকারি টয়লেট ব্যবহারের সময় নিজের বাড়ির মত করে ব্যবহার করলে সুবিধা হয়। টয়লেট অন্যের মনে করে ব্যবহার করলে সবারই ক্ষতি হয়।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:২৩

‘টয়লেট ক্লিনার’ খাইয়ে সন্তানকে হত্যার পর মায়ের আত্মহত্যার চেষ্টা
পারিবারিক কলহের জের ধরে নিজের শিশুকন্যাকে ‘টয়লেট ক্লিনার’ খাইয়ে হত্যার পর আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন এক মা। গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন টুঙ্গিপাড়া থানার ওসি আমিনুর রহমান। তিনি বলেন, শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ৯ মাস বয়সি নিহত আফিয়া বেগম ওই গ্রামের গাছকাটা শ্রমিক মামুন তালুকদার ও আঁখি বেগম দম্পতির কন্যা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আঁখি বেগমকে (১৮) গোপালগঞ্জে শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভর্তি করা হয়েছে। আমাদের ধারণা, আর্থিক অনটন ও পারিবারিক কলহের জেরে এ ঘটনা ঘটতে পারে। তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ থানায় অভিযোগ করেননি। তবে ঘটনাটির তদন্ত চলছে। অভিযোগ দিলে অথবা তদন্তে কেউ দোষী সাব্যস্ত হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্বজনদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শিশুটির মরদেহ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান ওসি আমিনুর রহমান। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জসিম উদ্দিন জানান, হাসাপাতালে আনার আগেই শিশুটি মারা যায়। মায়ের অবস্থাও শঙ্কামুক্ত নয়। তাই তাকে গোপালগঞ্জ পাঠানো হয়েছে।
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:৩৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়