• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
logo
সন্দ্বীপে পথচারীদের মাঝে পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ 
চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে হাজী ছায়েদ উল্লাহ সামাজিক সংস্থার উদ্যোগে ৫ শতাধিক পথচারী, স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী, গাড়ির ড্রাইভারদের মাঝে ঠান্ডা পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করা হয়েছে।  মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) উপজেলার মাঈটভাঙ্গা ইউনিয়নের শিবেরহাটে এগুলো বিতরণ করা হয়।  এ সময় উপস্থিত ছিলেন মাঈটভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য আবুল হোসেন মেম্বার, শিবেরহাট উত্তর ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণ ধন দাশ, হাজী ছায়েদ উল্লাহ সামাজিক সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আকরাম হোসেন মাঈনউদ্দীন, মাওলানা আবদুল ওহাব মুনসুরসহ অনেকেই।  আয়োজকরা জানান, তীব্র তাপ প্রবাহের মধ্যে শ্রমজীবী দিনমজুর, রিকশাচালকদের কিছুটা স্বস্তি দিতে এ ক্ষুদ্র প্রয়াস। এ সংকট মুহূর্তে যাতে সবাই এগিয়ে আসে। বিশেষ করে এ প্রোগ্রামের মাধ্যমে জনসাধারণের মাঝে হিট স্ট্রোক প্রতিরোধে করণীয় বিষয় সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করার চেষ্টা করা হয়েছে।
৩০ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:১৫

‌‘দেশের ৭৩ শতাংশ মানুষ পুষ্টিকর খাবার পায় না’
দেশের ৭৩ শতাংশ মানুষ পুষ্টিকর খাবার পায় না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. নাসিরুজ্জামান। সোমবার (২৯ এপ্রিল) বরিশালের একটি হোটেলে আয়োজিত পুষ্টিখাতে অর্থায়ন শীর্ষক সংলাপে এ কথা জানান তিনি। নাসিরুজ্জামান আরও বলেন, জরিপ বলছে দেশের ৩৬ শতাংশ মানুষ খর্বাকার। ৭৩ শতাংশ মানুষ পুষ্টিকর খাবার পায় না। পুষ্টি বলতে সাধারণত মানুষ বুঝে থাকে মাছ, মাংস, দুধ ও ডিমকে। কিন্তু শাকসবজিতেও যে পুষ্টি রয়েছে তার ধারণা নেই।  তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতির কারণে মানুষের আয় কমে যাচ্ছে। এতে অনেকেরই ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে। আমরা যদি নিজেদের পুষ্টির উৎপাদন ব্যবস্থা করতে পারি তাহলে বেশি মূল্যে বাজার থেকে পুষ্টিকর খাবার কিনতে হবে না। বিকল্প হিসেবে পারিবারিক পুষ্টি কৃষির মডেল তৈরি করতে হবে। পুষ্টিকর খাবার উৎপাদনে নিজেদের পতিত জমিতে পুষ্টিকর সবজি চাষ করা গুরুত্বপূর্ণ। নয়তো ভবিষ্যতে আমাদের জন্য দুঃসংবাদ অপেক্ষা করছে। কৃষি ব্যাংকের চেয়ারম্যান বলেন, দেশের মোট কৃষকের ৪৮ শতাংশ বর্গা চাষি। তারা সাধারণত জমিতে কৃষি বলতে ধান চাষ আর কলাগাছ রোপনকে বোঝেন। এর পাশাপাশি পুষ্টিকর সবজি উৎপাদনে জোর দিতে হবে। পুষ্টি কৃষিতে সরকারের চেয়ে বেসরকারি বিনিয়োগ কার্যকর উল্লেখ করে এরপর তিনি বলেন, খাদ্যাভাব পূরণে মানুষ সবচেয়ে বেশি ঋণ গ্রহণ করেন উন্নয়ন সংস্থা থেকে। এটা সরকারি ব্যাংকের ব্যর্থতা। সরকারি ব্যাংকে কৃষক ঋণ নিতে গেলে তার জামানত আছে কি না, কি কি কাগজপত্র আছে তা চায়। এতে কৃষক নিরুৎসাহিত হন। এসব বিবেচনা করে জামানতবিহীন সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা ঋণ প্রদান করছে কৃষি ব্যাংক। ১০ টাকার কৃষক অ্যাকাউন্ট চালু করে একজন কৃষক তার বাড়ির আঙিনায় সবজি চাষের জন্য এই ঋণ গ্রহণ করতে পারবেন। ১২ মাসে তিনি ঋণ পরিশোধ করবেন। ঋণ নিতে শুধু জাতীয় পরিচয়পত্রই যথেষ্ট। পুষ্টিখাতের অগ্রগতির জন্য হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. জিয়াকুন শি। তিনি বলেন, পুষ্টি নিরাপত্তায় ১৯৭৬ সাল থেকে আমরা কাজ করছি। পুষ্টি উন্নয়নে ইতোমধ্যে ২৫০টিরও বেশি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। জাতিসংঘ পুষ্টির বিষয়ে সবসময়ে সচেতন ও সহায়ক মানসিকতার। জাতিসংঘের খাদ্যসংস্থা বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুর মতো কাজ করছে। শুধু সরকার নয়, আমরা সবাই যদি পুষ্টি নিশ্চিতে এগিয়ে আসি তাহলে বাংলাদেশ আরও এগিয়ে যাবে। সংলাপে মূল প্রবন্ধ উত্থাপন করেন জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার কারিগরি সহায়তা সমন্বয়কারী ইমানুন নবী খান। তার বক্তব্যে তিনি পরিসংখ্যান ব্যুরোর ২০২৪ সালের মার্চ মাসের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বলেন, দেশের ২২ শতাংশ মানুষ মাঝারি থেকে শুরু করে চরম খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার সম্মুখীন। আর যাদের মূল পেশা কৃষি তাদের মধ্যে ২৬ দশমিক ১৩ শতাংশ মানুষ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় আছে। এ ছাড়া শতকরা ২৫ দশমিক ৫ ভাগ পরিবারকে দৈনন্দিন খাবার কিনতে ঋণ করতে হচ্ছে। খাদ্যের অনিশ্চয়তার ভয়াবহ চিত্র ফুটে ওঠে নাগরিকদের রক্ত স্বল্পতার প্রতিবেদনেও। ২০১২ সালে রক্তস্বল্পতায় ভুগতো ৩৫ দশমিক ৭০ ভাগ মানুষ। ২০১৯ সালে তা ১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৬ দশমিক ৭০ শতাংশে। বাংলাদেশ কৃষি মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা উইংয়ের অতিরিক্ত সচিব মাহবুবুল হক পাটওয়ারীর সঞ্চালনায় সংলাপে আলোচক হিসেবে আরও ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার, ডাচ বাংলা ব্যাংকের সিএসআর রিসার্চ প্রোগ্রাম কমিটির চেয়ারম্যান ড. মো. মঞ্জুরুল আলম, বাংলাদেশ ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালক মো. শহীদ রেজা, সারাবাংলা কৃষক সোসাইটির সভাপতি রিতা ব্রাহ্ম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার প্রোগ্রাম প্রতিনিধি নূর আহমেদ খন্দকার। সংলাপ শেষে বরিশাল ও খুলনা বিভাগের ৩০টি উৎপাদরকারী সংগঠনের নারী কৃষকদের হাতে জামানতমুক্ত ১০ হাজার টাকার ঋণ চেক এবং পুষ্টিকর সবজি উৎপাদনের জন্য বীজ তুলে দেন অতিথিরা।
৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৪৬

গরমে ক্লান্তি দূর করে এনার্জি দেবে যেসব খাবার
আবহাওয়ার এই অসহনীয় গরমে শরীরে দেখা দিতে পারে অবসাদ-ক্লান্তি। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে বড় ভূমিকা রাখতে পারে খাবার। তবে বেছে নিতে হবে এমন কিছু খাবার, যা শরীরে সর্বাধিক শক্তি সরবরাহ করতে পারে। কোনো কোনো খাবার খেলে গরমের দিনেও আপনার এনার্জি সঠিক মাত্রায় বজায় থাকবে, জেনে নিন তালিকা। শুধু ওজন কমাতে নয়, গরমের সময়ে আপনাকে ভরপুর এনার্জির জোগান দেবে চিয়া সিডস। তাই এই উপকরণ অবশ্যই রাখুন আপনার মেনুতে। প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট, মিনারেলসে ভরপুর চিয়া সিডস আপনার পেট ভরিয়ে রাখবে অনেকক্ষণ। সেই সঙ্গে আপনাকে কাজের শক্তি দেবে, চাঙ্গা রাখবে। অল্প পরিশ্রমেই ক্লান্ত হতে দেবে না। মিষ্টি আলু ওজন কমানোর পাশাপাশি সাহায্য করে এনার্জির জোগান দিতেও। তাই গরমের দিনে এই উপকরণ দিয়ে পদ পাতে রাখুন। মিষ্টি আলুতে কার্বোহাইড্রেট এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্টস প্রচুর পরিমাণে থাকায় আপনি অনেকক্ষণ চাঙ্গা থাকার এনার্জি পাবেন এই খাবার থেকে। সকালের খাবারে অনেকেই কলা খেয়ে থাকেন। কিংবা ধরুন আপনার খিদে পেয়েছে কখনও, বিশেষ করে রাস্তাঘাটে। কলা খেয়ে নিতে পারলে পেট ভরে থাকবে অনেকক্ষণ। আপনি শারীরিক ভাবে চাঙ্গাও থাকবেন দীর্ঘক্ষণ। কলার মধ্যে রয়েছে সুক্রোজ, ফ্রুক্টোজ এবং গ্লুকোজ। এই তিন উপকরণ আপনাকে ইনস্ট্যান্ট এনার্জি প্রদান করতে পারে। তার ফলে চাঙ্গা থাকবে আপনি। ওটস একটি স্বাস্থ্যসম্মত খাবার। ওটস খেলে দীর্ঘক্ষণ পেট ভর্তি থাকে এবং ওজন কমে, একথা ঠিকই। সেই সঙ্গে আপনি প্রচুর এনার্জিও পাবেন এই খাবার থেকে। ওটসের মধ্যে রয়েছে ফাইবার, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেটস। এই তিন ধরনের নিউট্রিয়েন্টের সাহায্যে আপনার শরীরের এনার্জির মাত্রা বাড়বে। বিভিন্ন ধরনের বাদাম এবং বীজ জাতীয় জিনিস খেতে পারেন যা আপনাকে ভরপুর এনার্জির জোগান দেবে এই তীব্র গরমেও। আমন্ড, আখরোট, চিনাবাদাম, সূর্যমুখী ফুলের বীজ- এইসব উপকরণে থাকে হেলদি ফ্যাট, ফাইবার এবং প্রোটিন, যা আপনাকে ভরপুর এনার্জির জোগান দেবে।
২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:১০

রাজধানীতে ৩৫ হাজার রিকশাচালক পাচ্ছেন ছাতা ও খাবার স্যালাইন 
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকার ৩৫ হাজার রিকশাচালকের প্রত্যেককে বিনা মূল্যে একটি করে ছাতা, ১২ প্যাকেট খাবার স্যালাইন ও একটি আধা লিটার পানির কনটেইনার দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র আতিকুল ইসলাম। রোববার (২৮ এপ্রিল) গুলশান-২ নম্বর নগর ভবনের সামনে রিকশাচালকদের মাঝে ছাতা বিতরণ কর্মসূচি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।  ডিএনসিসি মেয়র বলেন, তীব্র দাবদাহে রিকশাচালক ভাইদের কষ্টের কথা বিবেচনা করে তাদের মধ্যে বিনা মূল্যে ছাতা ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করা হবে। তিনি বলেন, রিকশা চালকদের কষ্ট দেখলে খুবই খারাপ লাগে। তারা যদি প্রচণ্ড রোদে পুড়ে অসুস্থ হয়ে যায়, তাহলে পুরো পরিবার নিয়ে সমস্যায় পড়বে। কারণ অনেক রিকশাচালকের দৈনিক ইনকামের ওপরে তাদের পরিবার চলে। তাই তীব্র দাবদাহে তাদের কষ্টের বিষয় চিন্তা করে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ছাতাটা বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটা অ্যাডজাস্টেবল। কোনো রিকশাচালক লম্বা হলে ছাতার উচ্চতা বাড়িয়ে নিতে পারবে, কেউ উচ্চতায় কম হলে ছাতার উচ্চতা কমিয়ে নিতে পারবে। তাদের প্রত্যেককে হাফ লিটার পানির জার দিচ্ছি। এতে একটি স্যালাইন মিশিয়ে খেতে পারবে। চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিনের পরামর্শে এ কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।  মেয়র আতিক বলেন, স্প্রে ক্যাননের মাধ্যমে পানি ছিটানোর কাজটি চলমান থাকবে। পার্কগুলোতেও পানির স্প্রে করা হবে। যদিও পার্কে স্প্রে করার কাজটি বেশ ব্যয়বহুল। কোনো কোম্পানি বা ব্যক্তি কেউ ছাতা দিয়ে সহযোগিতা করতে চাইলে এগিয়ে আসতে পারেন।  তিনি বলেন, প্রতিটি ওয়ার্ডে তিনটি বিশেষ ভ্যানগাড়িকে (৫০০ লিটার পানির ট্যাংক সম্বলিত) পথচারীদের পানি পান করানোর জন্য নামানো হয়েছে। ভ্যানগুলো বিশুদ্ধ খাবার পানি নিয়ে ওয়ার্ডের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরবে। এই ভ্যানগুলো ছোট আকারে করা হয়েছে, যেন শহরের অলিগলিতে প্রবেশ করতে পারে এবং পথচারী ও শ্রমজীবী মানুষ যেন পানি খেতে পারে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, আমরা গত বছর ৮০ হাজার গাছ লাগিয়েছি। এ বছর আরও এক লাখ ২০ হাজার গাছ লাগাবো। কিছু কিছু জায়গায় কিছু গাছ মারা গেছে। আসলে আমাদের আগে গাছের পরিচর্যার জন্য মালি ছিল না। ৪৭ জন মালি, তিনজন সুপারভাইজারের নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন। মালি নিয়োগ হয়ে গেলে পরিচর্যা জোরদার করা হবে। আমি নগরবাসীকেও অনুরোধ করছি গাছগুলো দেখে রাখার জন্য। সিটি কর্পোরেশন পরিচর্যা করছে, পাশাপাশি নগরবাসী যার যার বাড়ির সামনে, দোকানের সামনে যে গাছগুলো আছে সেগুলোর যত্ন নেবেন। ছাতা বিতরণ কার্যক্রম দেখতে আসেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদির রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান, আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জুলকার নায়েন, বাংলাদেশে নিযুক্ত পা‌কিস্তা‌নের হাইক‌মিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ ও ফিলিস্তিনের উপ-রাষ্ট্রদূত। পরে মেয়র রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে নিয়ে গুলশান-২ নম্বর গোলচত্বরে স্প্রে ক্যাননের পানি ছিটানোর কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।  
২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৫৫

হিলিতে তীব্র গরমে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ
বৈশাখ মাসে চলছে সারাদেশে প্রচণ্ড তাপদাহ ও তীব্র গরম। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে রোদ ও গরমের তীব্রতা। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বাহির হচ্ছে না সাধারণ মানুষ। ঠিক সেই সময়ে দিনাজপুরের হিলিতে রিকশা, ভ্যান, ইজিবাইকচালক ও পথচারীদের মাঝে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন হাকিমপুর উপজেলা শাখার নেতৃবৃন্দ।  বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টায় উপজেলার চারমাথা মোড়ে প্রায় ২০০ জন শ্রমিক ও পথচারীদের মাঝে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করেন হাকিমপুর উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন।  এ সময় উপস্থিত ছিলেন দিনাজপুর জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সহ-সেক্রেটারি মোসলেম উদ্দিন, হাকিমপুর উপজেলা শাখার উপদেষ্টা ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম, সভাপতি সবিরুল ইসলাম, সদস্য ডা. সাইদুর রহমান, মেহেদী হাসানসহ আরও অনেকে।  রিকশাচালক আরমান আলী বলেন, প্রচণ্ড তাপ ও তীব্র গরম এর কারণে ঘর থেকে মানুষ বিনা প্রয়োজনে বাহির হচ্ছে না। পেট তো আর এসব বোঝে না। তাই রিকশা নিয়ে রাস্তায় বাহির হয়েছি। সকাল থেকে যাত্রী ও তেমন পাচ্ছি না। চারমাথা মোড়ে বসে আছি এমন সময় হঠাৎ আমার হাতে পানির বোতল ও খাবর স্যালাইন তুলে দিলেন। আমি খুব খুশি। আমি তাদের জন্য মন থেকে দোয়া করি আল্লাহ যেন তাদের ভালো করেন। ফেডারেশনের উপদেষ্টা ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বলেন, তীব্র গরম ও প্রচণ্ড তাপদাহে পুড়ছে সারাদেশ। এ সময় সবচেয়ে কষ্টে থাকে রিকশা, ভ্যান, ইজিবাইকচালক ও খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। তাই আমরা কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অংশ হিসেবে হিলি চারমাথা মোড়ে ২০০ জন শ্রমিক ও পথচারীদের মাঝে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করলাম। আমি সমাজের বিত্তবান ও সকল রাজনৈতিক এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতি  আহ্বান জানাই তারাও যেন এ সময় শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ায়।  সভাপতি সবিরুল ইসলাম বলেন, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আমরা হিলি চারমাথা মোড়ে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করলাম। আমাদের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামী ৩ মে পর্যন্ত শ্রমিকদের বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:১৫

ওজন কমাবে ফাইবার সমৃদ্ধ এই ৫ খাবার
ওজন কমানোর জন্য যারা নিয়ম করে খাওয়াদাওয়ার দিকে নজর দিয়েছেন, তারা অবশ্যই মেনুতে যুক্ত করুন ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার। কারণ এ জাতীয় খাবার অনেকক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে; যা আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে। জেনে নিন ফাইবার সমৃদ্ধ ৫ খাবারের নাম- আমন্ড:  আমন্ড খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে সবসময়েই ভালো। এটি একটি হেলদি স্ন্যাকস। অনেকেই সকালবেলা খালি পেটে ভেজানো আমন্ড খান। আগের দিন রাতে আমন্ড পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন সকালে খোসা ছাড়িয়ে সেই আমন্ড খেয়ে নিন। দিনে দুই থেকে চারটি আমন্ড খেতে পারেন আপনি। আমন্ডের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং প্রোটিন রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে হেলদি ফ্যাট। ওজন কমানোর পাশাপাশি আমন্ড আমাদের শরীরে এনার্জির জোগান দেয় এবং মস্তিষ্ক প্রখর ও সক্রিয় করে। ব্রকলি: সবুজ রঙের ফুলকপির মতো দেখতে এই সবজির রয়েছে অনেক গুণ। ভেজিটেবল স্যালাড হোক বা অন্যান্য অনেক সুস্বাদু পদ তৈরি করা যায় ব্রকলি দিয়ে। কাঁচা খেতে যাবেন না এই সবজি। অন্তত হাল্কা সেদ্ধ করে নেওয়া প্রয়োজন। কম ক্যালোরি যুক্ত ব্রকলির মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। এই সবজি খেলে অনেকক্ষণ আপনার পেট ভর্তি থাকবে। এর পাশাপাশি ওজন কমাতেও সাহায্য করে এই সবজি। আপেল:  আপেল একটি ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার। এছাড়াও প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস রয়েছে এই ফলের মধ্যে। মিষ্টি স্বাদের এই ফল খেলে অনেকক্ষণ আপনার পেট ভর্তি থাকবে। সহজে খিদে পাবে না। আপেল খেলে অনেক উপকার পাবেন আপনি। ডায়েট করার সময় যদি সুইট ক্রেভিংস হয় তাহলে খেতে পারেন মিষ্টি স্বাদের এই ফল। এছাড়াও একাধিক পুষ্টি উপকরণ রয়েছে আপেলের মধ্যে। তার ফলে আপনার শরীরে সঠিক মাত্রায় পুষ্টির জোগান দেবে এই ফল। কাবলি ছোলা: কাবলি ছোলা দিয়ে অনেক ধরনের সুস্বাদু পদ তৈরি করা যায়। এটি একটি ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার। ওজন কমাতে তাই পাতে রাখুন কাবলি ছোলা দিয়ে তৈরি রকমারি পদ। কাবলি ছোলা সেদ্ধ করে খেতে পারেন। কিংবা তৈরি করে নিতে পারেন কাবলি ছোলার ঘুগনি। এগুলি অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবার। শুধুমাত্র ফাইবার নয়, কাবলি ছোলার মধ্যে রয়েছে ভরপুর প্রোটিন। এছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন ধরনের নিউট্রিয়েন্টস বা পুষ্টি উপকরণ। তাই কাবলি ছোলা দিয়ে তৈরি খাবার খেলে যেমন আপনার পেট ভরবে, ওজন কমবে, তেমনই আপনি ভরপুর পুষ্টিও পাবেন। ওটস: ফাইবার সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে অন্যতম হলো ওটস। আজকাল অনেকেই সকালের খাবারে ওটস খেয়ে থাকেন। এর সঙ্গে মিশিয়ে নিতে পারেন বিভিন্ন ধরনের ফল কিংবা ড্রাই ফ্রুটস। ওটস দিয়ে তৈরি স্মুদিও একটি পুষ্টিকর খাবার যা দীর্ঘক্ষণ আপনার পেট ভরিয়ে রাখবে। অনেকে টকদই কিংবা ইয়োগার্ট মিশিয়েও ওটস খেয়ে থাকেন। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের সবজি দিয়ে তৈরি করে নেওয়া যায় মশলা ওটস। ফাইবার সমৃদ্ধ ওটসের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে। ওটস খেলে আপনার ব্লাড সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। সঠিক মাত্রায় বজায় থাকবে কোলেস্টেরল। ফলে ভালো থাকবে আপনার হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য।
২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৩৩

পচা-বাসি খাবার রাখার অভিযোগ, রেস্টুরেন্টকে জরিমানা 
অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বাসি গ্রিল, চাপ, খোলা খাবার রাখার অভিযোগে চাঁদপুর শহরের হাজী মোহসীন রোডে অবস্থিত ইমরান হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টকে ১১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।  বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে অভিযান পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, চাঁদপুরের সহকারী পরিচালক নূর হোসেন রুবেল। এ সময় চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশের একটি টিম অভিযানে সহযোগিতা করেন। সহকারী পরিচালক নূর হোসেন রুবেল বলন, বাসি গ্রিল, চাপ, খোলা খাবার রাখা এবং অস্বাস্থ্যকর উপায়ে খাবার সংরক্ষণের দায়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ মোতাবেক শহরের ইমরান হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টকে ১১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ২২:৫১

তরমুজের সঙ্গে বা পরে খাবেন না যেসব খাবার
তরমুজ খেতে পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুব কমই আছে। এই ফল স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। তবে তরমুজ খাওয়ার পর কিছু জিনিস খাওয়া উচিত নয়। এতে পেটের নানা সমস্যা হতে পারে। অ্যাসিডিটি ও গ্যাসের মতো সমস্যা বাড়তে পারে। তরমুজ খাওয়ার পর বা একসঙ্গে কোন খাবারগুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন জেনে নিন। জেনে নিন- >> তরমুজ খাওয়ার পর বা এর সঙ্গে কখনোই লবণ খাওয়া উচিত নয়। এই পদ্ধতি স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক হতে পারে। তরমুজের সঙ্গে লবণ খেলে এর পুষ্টিগুণ শরীরে ঠিকমতো শোষিত হয় না, যা রক্তচাপ বাড়া বা কমিয়ে হার্টের সমস্যা বাড়াতে পারে। >> তরমুজ খাওয়ার পর কখনোই দুধ পান করা উচিত নয়। এটা করা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। >> তরমুজে ভিটামিন সি পাওয়া যায়, যা দুধের সঙ্গে বিক্রিয়া করতে পারে। এতে ফোলা সমস্যা হতে পারে। বদহজমও হতে পারে। তাই তরমুজ ও দুধের মিশ্রণকে ভালো বলে মনে করা হয় না। >> তরমুজ খাওয়ার পর কখনোই উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবার খাবেন না। নাহলে খারাপ প্রতিক্রিয়া হতে পারে শরীরে। >> চিকিৎসকরা বলছেন, ভিটামিন ও মিনারেলের পাশাপাশি তরমুজে স্টার্চও থাকে, যা পরিপাকতন্ত্রের ক্ষতি করতে পারে। এটি আরও অনেক সমস্যার কারণ হতে পারে। >> তরমুজ ও ডিম কখনোই একসঙ্গে খাবেন না। আসলে, উভয়ের প্রকৃতিই আলাদা, যা ফোলাভাব এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা তৈরি করতে পারে। >> উভয়েই একে অপরকে পেটে হজম হতে দেয় না। এতে হজম সংক্রান্ত সমস্যা হতে পারে।
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৫৬

ঈদের দিন কারাবন্দিদের জন্য বিশেষ খাবার
কারাগারে ঈদের আমেজ বিরাজ করছে। ঈদুল ফিতরে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের বন্দিদের জন্য বিশেষ খাবারের আয়োজন করা হয়েছে। প্রতিবারের মতো এবারও ঈদের দিন মুড়ি, পায়েস, পোলাও-মাংসসহ বেশ কয়েকটি পদ থাকছে কারাবন্দিদের জন্য। ঢাকার কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারের বন্দিদের জন্য বিশেষ খাবারের আয়োজন করেছে কারা কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। কারা সূত্রে জানা যায়, সকালে কারাগারের ময়দানে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে কর্মকর্তা স্টাফসহ বন্দিরা একত্রে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। যে বন্দিরা ময়দানে আসেননি, তারা ওয়ার্ডে-ওয়ার্ডে নামাজ আদায় করেছেন। ঈদের দিনের শুরুতে বন্দিরা খেয়েছেন মুড়ি ও পায়েস। দুপুরের থাকছে পোলাও, মুরগির রোস্ট, গরুর মাংস। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জন্য থাকছে খাসির মাংস। পাশাপাশি দেওয়া হবে মিষ্টি, কোমল পানীয় শসা ও লেবু। সবশেষে থাকছে পান-সুপারি। রাতে দেওয়া হবে ভাত, মাছ, আলুর দম ও ডিম।   এবার ঈদুল ফিতর উপলক্ষে কারাবন্দিদের জন্য বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সাড়ে ৮ হাজার বন্দির হিসাব করে এবার ঈদে বিশেষ খাবারের আয়োজন করা হয়েছে। প্রত্যেক বন্দিকে দেয়া হবে ৩০০ গ্রাম গরুর মাংস। সাধারণ দিনের চাইতে ঈদের দিন মাংসের পরিমাণ বেশি থাকবে।
১১ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৩৯

‘যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের চেয়েও বেশি খাবার নষ্ট করে বাংলাদেশিরা’
বাংলাদেশে গড়ে একজন ব্যক্তি বছরে ৮২ কেজি খাবার অপচয় করছেন। বাংলাদেশিদের খাবার অপচয়ের এই হার ভারত, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের চেয়েও বেশি। জাতিসংঘের পরিবেশবিষয়ক কর্মসূচি ইউনেপের ‘ফুড ওয়েস্ট ইনডেক্স রিপোর্ট ২০২৪’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বে ২০২২ সালে বাসাবাড়ি, খাদ্য সেবা ও খুচরা পর্যায়ে মোট খাদ্যের প্রায় ১৯ শতাংশ অর্থাৎ একশ কোটি টনের বেশি খাবার অপচয় হয়েছে; যার প্রায় ৬০ শতাংশই অপচয় হয়েছে বাসাবাড়িতে হয়েছে। এ ছাড়া গড়ে একজন মানুষ বছরে ৭৯ কেজি খাবার অপচয় করেছেন। জাতিসংঘের হিসেবে বাসাবাড়িতে এক ব্যক্তি বছরে গড়ে বাংলাদেশে  ৮২ কেজি, ভারতে ৫৫ কেজি, যুক্তরাজ্যে ৭৬ কেজি, যুক্তরাষ্ট্রে ৭৩ কেজি ও রাশিয়ায় ৩৩ কেজি খাবার অপচয় করেছেন। সবচেয়ে বেশি খাবার অপচয় হয়েছে মালদ্বীপে ২০৭ কেজি। আর সবচেয়ে কম ১৮ কেজি হয়েছে মঙ্গোলিয়ায়। যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের চেয়েও বাংলাদেশে কেন বেশি খাদ্য অপচয় হচ্ছে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে খাদ্য অপচয়বিষয়ক গবেষক অধ্যাপক কামরুল হাসান বলেন, বাংলাদেশে একেবারে উচ্চ আয়ের পরিবারগুলোতে বেশি খাদ্য নষ্ট বা অপচয় হয়। আমরা ‘এস্টিমেশন অব ওভারঅল ফুড লসেস অ্যান্ড ওয়েস্ট এট অল লেভেলস অব দ্য ফুড চেইন’ শীর্ষক এক গবেষণায় দেখেছি, উচ্চ আয়ের বাসাগুলোতে সপ্তাহে একজন মানুষ দুই কেজির বেশি খাবার অপচয় করে থাকেন। এ ছাড়া নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের এ ক্যাটাগরির রেস্তোরাঁগুলোতেও সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ পর্যন্ত খাদ্য অপচয় হয়ে থাকে। প্রয়োজনের অতিরিক্ত অর্ডার দেওয়া এবং সব খাবার একটু চেখে দেখার প্রবণতাই রেস্তোরাঁগুলোতে খাবার অপচয়ের বড় কারণ বলে ওই গবেষণায় বলা হয়েছে। গবেষকরা মনে করেন, রেস্তোরাঁ বা কমিউনিটি সেন্টারের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোতে বেশি নজরদারি বা মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা থাকায় খাদ্য অপচয় প্রতিরোধে উন্নত দেশগুলো বাংলাদেশের চেয়ে ভালো করছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জাকারিয়া বলেন, খাবার অপচয় প্রতিরোধে সচেতনতা বাড়ানো ছাড়া আমাদের তেমন কিছু করার নেই। আমরা ভোক্তা পর্যায়ে কেউ নষ্ট বা মানহীন খাবার দিলে ব্যবস্থা নিতে পারি। কিন্তু কেউ খাবার নষ্ট বা অপচয় করলে আমাদের কিছু করার নেই।
৩০ মার্চ ২০২৪, ১৯:৪৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়