• ঢাকা সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
এপ্রিলে ১৯৩ নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার
গেল এপ্রিলে সারাদেশে ১৯৩ জন নারী ও কন্যা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় লিগ্যাল এইড উপ-পরিষদের একটি প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়। মূলত বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় লিগ্যাল এইড উপ-পরিষদ প্রতিমাসে দেশের দৈনিক জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত ঘটনার পেপার ক্লিপিংয়ের সংরক্ষিত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে থাকে। প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে মোট ১৯৩ জন নারী ও শিশুকন্যা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এরমধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৩৫ জন শিশুকন্যাসহ মোট ৪৬ জন। তারমধ্যে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ১৫ জন। ৩ জনকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে এবং ১ জন শিশুকন্যা ধর্ষণের কারণে আত্মহত্যা করেছেন। এ ছাড়াও ৪ শিশুকন্যাকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন ৯ জন। উত্ত্যক্তকরণের শিকার হয়েছেন ২ জন। বিভিন্ন কারণে ৭ জন শিশুকন্যাসহ ৩৩ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এ ছাড়াও ১ জন শিশুকন্যাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। নারী ও শিশুকন্যা পাচারের ঘটনা ঘটেছে ২টি। অ্যাসিডের শিকার হয়েছেন ১ জন। অগ্নিদগ্ধের কারণে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৩ জন, এরমধ্যে ১ জনকে যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয়েছে। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ১৬ জন। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, পারিবারিক সহিংতায় শারীরিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে ৪টি। গৃহকর্মী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে ৪টি, যার মধ্যে ১ জনকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। ১৫ জন নারী ও শিশুকন্যার রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। ৬ জন শিশুকন্যাসহ ১৫ জনের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। ৩ জন শিশুকন্যা অপহরণের শিকার হয়েছেন। এ ছাড়াও ১ জন শিশুকন্যাকে অপহরণের চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। ৩ জন কন্যাসহ ৫ জন সাইবার ক্রাইমের ঘটনার শিকার হয়েছেন। বাল্যবিবাহের ঘটনা প্রতিরোধ করা হয়েছে ১২টি। এ ছাড়া ২ জন শিশুকন্যাসহ ১৪ জন বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
০২ মে ২০২৪, ১৭:৫৭

এপ্রিলে প্রবাসী আয় প্রায় সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকা
চলতি বছরের এপ্রিল মাসে প্রবাসীরা ২০৪ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন। প্রতি ডলার ১১০ টাকা ধরে যার পরিমাণ ২২ হাজার ৪৪০ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের মধ্যে দৈনিক গড়ে ৬ কোটি ৮০ লাখ ডলার বা ৭৪৮ কোটি টাকা এসেছে। এর আগে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে ২১০ কোটি ডলার, ফেব্রুয়া‌রি‌তে ২১৬ কো‌টি ৬০ লাখ ডলার এবং মার্চে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ মার্কিন ডলার। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে প্রবাসীরা ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন। এ ছাড়া ফেব্রুয়ারিতে ১৫৬ কোটি ডলার, মার্চে ২০২ কোটি, এপ্রিলে ১৬৮ কোটি, মে মাসে ১৬৯ কোটি, জুনে ২২০ কোটি, জুলাইয়ে ১৯৭ কোটি, আগস্টে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ, সেপ্টেম্বর মাসে ১৩৩ কোটি, অক্টোবরে ১৯৭ কোটি, নভেম্বর ১৯৩ কোটি ডলার এবং ডিসেম্বরে এসেছিল ১৯৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স। উল্লেখ্য, ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রবাসীরা ২ হাজার ১৬১ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে।
০২ মে ২০২৪, ১৬:৫১

এপ্রিলে বেড়েছে নারী ও শিশু নির্যাতন
চলতি বছরের এপ্রিল মাসে নারী ও শিশুর প্রতি নির্যাতন বেড়েছে। এপ্রিলে মোট ২৭৮টি নির্যাতনের ঘটনা ঘটে; যা আগের মাস মার্চের তুলনায় ৩১টি বেশি। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ)। এতে বলা হয়, এপ্রিল মাসে নারী ও শিশুর ওপর সহিংসতার ঘটনা উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। আর সাইবার নিরাপত্তা আইন প্রবলভাবে সমালোচিত। এ আইনে মামলার নামে হয়রানি কমেনি। ধারাবাহিকভাবে এর অপব্যবহার বেড়েই চলেছে। এপ্রিলে এই আইনে দুটি মামলায় হয়েছে। গ্রেপ্তার হয়েছেন একজন। এ সময়ে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিক নিপীড়নের ৩১টি ঘটনা ঘটেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী এপ্রিলে ৩৮টি ধর্ষণ, ১৫টি দলবদ্ধ ধর্ষণ, তিনটি ধর্ষণের পর হত্যা, ৬৭টি আত্মহত্যা, ৩৮টি শারীরিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া গণপিটুনির ১০ ঘটনায় ৯ জন নিহত এবং ৯ জন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া এপ্রিল মাসে কারা হেফাজতে ১০ জন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। কথিত বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছে চারজন। মাসটিতে ৪২টি রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। একইসঙ্গে ৫৮টি অজ্ঞাতপরিচয় মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ) দেশের ১২টি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে। প্রায় প্রতিটি ঘটনার ক্ষেত্রেই স্থানীয় হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডারদের মাধ্যমে তা যাচাই করা হয়েছে।
৩০ এপ্রিল ২০২৪, ২১:২৫

এপ্রিলে কয়টি কালবৈশাখী ও ঘূর্ণিঝড় হতে পারে, জানাল অধিদপ্তর
চলতি মাসে (এপ্রিলে) দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তাপপ্রবাহ, শিলাবৃষ্টি, লঘুচাপ, তীব্র কালবৈশাখী ও ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সোমবার (১ এপ্রিল) মাসব্যাপী আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, চলতি মাসে স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। তবে, এ মাসে পাঁচ থেকে সাতদিন বিক্ষিপ্তভাবে শিলাসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ হালকা বা মাঝারি ধরন বৃষ্টি হতে পারে।  এ ছাড়া এপ্রিলে এক থেকে তিন দিন তীব্র কালবৈশাখী ঝড় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ মাসেই বঙ্গোপসাগরে এক থেকে দুটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, এর মধ্যে একটি নিম্নচাপ অথবা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। তাপপ্রবাহ নিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, চলতি মাসে দুই থেকে চারটি মৃদু (৩৬ থেকে ৩৭.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস) বা মাঝারি (৩৮ থেকে ৩৯.৯ ডিগ্রি) ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া এক থেকে দুটি তীব্র (৪০ থেকে ৪১.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস) থেকে অতিতীব্র (৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি) তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এ মাসে দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি এবং রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকতে পারে।
০২ এপ্রিল ২০২৪, ১০:০১

এপ্রিলে ভোক্তা ঋণের সুদ সাড়ে ১৪ শতাংশ
এপ্রিল থেকে ঋণের সুদহার ১৩ দশমিক ৫৫ শতাংশ করা হয়েছে। তবে ভোক্তা ঋণে গুনতে হবে ১৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ সুদ। রোববার (৩১ মার্চ) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক সার্কুলারে এ তথ্য জানানো হয়। বর্তমানে যে পদ্ধতির ওপর ভিত্তি করে ঋণের সুদহার নির্ধারিত হচ্ছে, তা হলো ‘এসএমএআরটি’ বা ‘স্মার্ট এসএমএআরটি’ বা ‘স্মার্ট’ তথা– সিক্স মান্থ মুভিং এভারেজ রেট অব ট্রেজারি বিল হিসেবে পরিচিত। প্রতি মাসের শুরুতে এই হার জানিয়ে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, এখন থেকে ‘স্মার্ট’র সঙ্গে ৩ শতাংশ হারে মার্জিন বা সুদ যোগ হবে, যা এতদিন ছিল ৩ দশমিক ৫০ শতাংশ। আর প্রি-শিপমেন্ট রপ্তানি ও কৃষি ও পল্লী ঋণের ‘স্মার্ট’ হারের সঙ্গে সর্বোচ্চ ২ দশমিক হারে মার্জিন যোগ হবে। যা আগে ছিল ২ দশমিক ৫০ শতাংশ। সেই হিসাবে, এপ্রিলে বড় অঙ্কের ঋণে সর্বোচ্চ ১৩ দশমিক ৫৫ শতাংশ শতাংশ সুদ নিতে পারবে ব্যাংকগুলো। আর প্রি-শিপমেন্ট রপ্তানি ঋণ এবং কৃষি ও পল্লী ঋণের সর্বোচ্চ সুদহার হবে ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ। তবে ব্যক্তিগত ও গাড়ি কেনার ঋণে ব্যাংক সুদ নিতে পারবে ১৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ। কারণ সিএমএসএমই, ব্যক্তিগত ও গাড়ি কেনার ঋণে অতিরিক্ত ১ শতাংশ তদারকি বা সুপারভিশন চার্জ নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। এর আগে, ঋণ ও ভোক্তা ঋণের সুদহার মার্চে ছিল যথাক্রমে ১৩ দশমিক ১১ শতাংশ এবং ১৪ দশমিক ১১ শতাংশ। তার আগে ফেব্রুয়ারিতে ছিল ১২ দশমিক ৪৩ শতাংশ এবং ১৩ দশমিক ৪৩ শতাংশ। জানুয়ারিতে এই সুদহার ছিল ১১ দশমিক ৮৯ শতাংশ এবং ১২ দশমিক ৮৯ শতাংশ। সাধারণত গাড়ি, আবাসন, শিক্ষা, ফ্রিজ, টিভি ও কম্পিউটার ইত্যাদি কেনার জন্য ব্যাংক থেকে ব্যক্তিগত যে ঋণ নেওয়া হয় সেগুলো মূলত ভোত্তা ঋণ।
৩১ মার্চ ২০২৪, ২০:৪৭

নেপাল থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানির চুক্তি হতে পারে এপ্রিলে
আগামী এপ্রিল মাসে নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ আমদানির চুক্তি স্বাক্ষর হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। সোমবার (৪ মার্চ) সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রনয় ভার্মার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ কথা জানান তিনি। এ সময় নেপাল ও ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানির প্রক্রিয়া অনেকটাই এগিয়ে গেছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের উন্নয়নে বাংলাদেশ ও ভারতের একসঙ্গে কাজ করার ব্যাপক সুযোগ রয়েছে। প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে আমরা ৯০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করতে চাই। নেপাল ও ভূটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানির প্রক্রিয়া অনেক অগ্রসর হয়েছে। নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ আমদানির চুক্তি আগামী মাসে স্বাক্ষর হতে পারে। এ ছাড়া জিএমআর-এর মাধ্যমে ৫০০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ আমদানির বিষয়টিও প্রায় চূড়ান্ত। নসরুল হামিদ আরও বলেন, এইচ-এনার্জির মাধ্যমে এলএনজি বা তরলীকৃত গ্যাস আমদানির প্রক্রিয়া প্রায় চূড়ান্ত। ভারতসহ প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে কানেকটিভিটি বাড়াতে চাই। এজন্য ভারতের সহযোগিতা প্রয়োজন। নেপাল থেকে বাংলাদেশে ডেডিকেটেড লাইন থাকলে পাওয়ার ট্রেড গতি পাবে। এতে ভারতও লাভবান হবে। এ ছাড়া সহযোগিতার ক্ষেত্র বাড়াতে প্রতিমাসে উভয় পক্ষের সংশ্লিষ্টদের সভা করা অপরিহার্য বলেও মত দেন জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, বায়ু ফুয়েল নিয়েও আমরা একসঙ্গে কাজ করতে পারি।  ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সহযোগিতা বাড়ছে। নেপাল থেকে বাংলাদেশে জলবিদ্যুৎ আমদানির প্রক্রিয়াটি চলমান। ভারতও নেপাল থেকে প্রায় ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করে।  বৈঠকে হাই ভোল্টেজ সঞ্চালন লাইন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, বিদ্যুৎ আমদানি-রপ্তানি, আর-এলএনজি, জ্বালানি সক্ষমতা বৃদ্ধি, জ্বালানি দক্ষতা, ভবিষ্যৎ আঞ্চলিক কানেকটিভিটি নিয়ে আলোচনা হয় জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী ও ভারতীয় হাইকমিশনারের মধ্যে।   
০৫ মার্চ ২০২৪, ০৮:৪৯

বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল / এপ্রিলে শেষ হবে শতভাগ কাজ, অক্টোবরে পুরোদমে কার্যক্রম শুরু
ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল ৭ অক্টোবর ২০২৩ সালে আংশিক উদ্বোধনের পরথেকে পুরোদমে কাজ চলেছে। আগামী এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহেই শেষ হতে যাচ্ছে এর শতভাগ কাজ। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে টার্মিনালের দায়িত্ব বুঝে নেবে। সব প্রস্তুতি শেষে আগামী অক্টোবর থেকে পুরোদমে কার্যক্রমে আসবে নতুন এই টার্মিনাল। জানা গেছে, তৃতীয় টার্মিনালের সব কাজ শেষ হওয়ার সময় আগামী ৫ এপ্রিল নির্ধারিত। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান থেকে ৬ এপ্রিল টার্মিনালটি বুঝে নেবে বেবিচক। এরপর শুরু হবে পুরোনো টার্মিনাল থেকে নতুন টার্মিনালে সবকিছু স্থানান্তরে অপারেশন রেডিনেন্স অ্যান্ড এয়ারপোর্ট ট্রান্সফার (ওআরএটি) প্রকল্পের কাজ। এরই মধ্যে সিস্টেম ইন্টিগ্রেশন ও ক্যালিব্রেশনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে, যা একাধিক যাচাই-বাছাইয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। প্রকল্প পরিচালক এ কে এম মাকসুদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, তৃতীয় টার্মিনালের সব ধরনের কাজ প্রায় শেষ। অল্প কিছু কাজ বাকি রয়েছে। নির্ধারিত সময় অর্থাৎ আগামী এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহেই শেষ হবে। এরপর টার্মিনালটি বুঝে নেবে বেবিচক। কর্তৃপক্ষ বলছে, নতুন এই টার্মিনালে থাকবে বিশ্বমানের সব সুযোগ-সুবিধা ও যাত্রীসেবা। ২০১৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী এই টার্মিনালের নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেছিলেন। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) বলছে, তৃতীয় এই টার্মিনালের প্রায় ৯০ শতাংশ কাজই শেষ।  টার্মিনালটি নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ২১ হাজার ৩৯৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৫ হাজার কোটি টাকা দিচ্ছে বাংলাদেশ। বাকি তহবিলের জোগানদাতা জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)। টার্মিনালটির নকশা করেছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা ও ব্যস্ততম হিসেবে পরিচিত সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দরের নকশাকার রোহানি বাহারিন। দেশের প্রধান এই বিমানবন্দরের দুটি টার্মিনালে এখন প্রতিদিন ৩০ থেকে ৩৫ হাজার যাত্রী সেবা পাচ্ছেন। সেই হিসাবে বিমানবন্দরটি বছরে প্রায় ৮০ লাখ যাত্রীকে সেবা দেয়। বেবিচকের তথ্য অনুযায়ী, তৃতীয় টার্মিনাল চালু হলে বছরে অতিরিক্ত ১ কোটি ২০ লাখ যাত্রীকে সেবা দেওয়া সম্ভব হবে। বেবিচক বলছে, বিশ্বমানের এই টার্মিনালে ১ হাজার ৪৪টি গাড়ি রাখার সক্ষমতাসহ বহুতল গাড়ি পার্কিং তৈরি করা হচ্ছে। এই টার্মিনালে একসঙ্গে ৩৭টি উড়োজাহাজ পার্ক করে রাখা যাবে। এ ছাড়া তৃতীয় টার্মিনালে ১৬টি ব্যাগেজ বেল্ট স্থাপন করা হবে এবং অতিরিক্ত ওজনের ব্যাগেজের জন্য চারটি পৃথক বেল্ট থাকবে। একটি করিডরের মাধ্যমে পুরোনো দুটি টার্মিনালের সঙ্গে নতুন টার্মিনালকে যুক্ত করা হবে। ঢাকায় বিমানবন্দরে পৌঁছাতে হলে যানজটের ভয়ে হাতে লম্বা সময় নিয়ে রওনা দিতে হয়। কর্তৃপক্ষ বলছে, তৃতীয় টার্মিনালে যেতে সেই ভোগান্তি আর পোহাতে হবে না। যানজট এড়ানোরও নানা অবকাঠামো তৈরি হয়েছে। এর আগে ৭ অক্টোবর ২০২৩ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টার্মিনালটির আংশিক উদ্বোধন করেন। সে সময় উদ্বোধনের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করার পর নবনির্মিত টার্মিনাল ব্যবহার করে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইট ঢাকা ছাড়ে। প্রধানমন্ত্রী বিমানবন্দরে উদ্বোধন অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে সেখানে শিশুরা নাচেগানে তাকে স্বাগত জানায়। প্রধানমন্ত্রী তৃতীয় টার্মিনালের বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখেন। এ সময় টার্মিনালে যাত্রীদের কীভাবে সেবা দেওয়া হবে, তা প্রধানমন্ত্রীকে দেখানো হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রতীকী একটি বোর্ডিং পাস দেন বিমানবন্দরের কর্মীরা। এরপর তিনি ইমিগ্রেশনে যান। ইমিগ্রেশন থেকে তিনি নিরাপত্তার ধাপগুলো পার হন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ছিলেন।  
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৫১

উপজেলা নির্বাচন চার ধাপে, শুরু এপ্রিলে
এপ্রিলের শেষ দিকে উপজেলা নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান (অব.)। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে খুলনার ফুলতলা রি-ইউনিয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজে উপজেলার স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান। ইসি আহসান হাবিব বলেন, এবার উপজেলা পরিষদ নির্বাচন চার ধাপে অনুষ্ঠিত হবে। এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে শুরু হবে প্রথম ধাপের নির্বাচন। সবার অংশগ্রহণে নির্বাচন হবে শান্তিপূর্ণ। আহসান হাবিব বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো দলীয় প্রতীক ছাড়া নির্বাচন করতে চাইলে বিদ্যমান আইনের পরিবর্তন করতে হবে। রাজনৈতিক দল বা স্বতন্ত্র প্রতিনিধি নিয়ে নির্বাচনে কোনো বাধা নেই। তিনি বলেন, নাগরিকসেবা প্রদানের ক্ষেত্রে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্রের গুরুত্ব অপরিসীম। স্মার্টকার্ডে দেশের নাগরিকদের ডিজিটাল তথ্য সংরক্ষিত থাকবে। এর মাধ্যমে নাগরিক সম্পর্কে জানা যাবে। মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সকল সেবার ক্ষেত্রে এর প্রয়োজন রয়েছে। ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে এই স্মার্ট কার্ড উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে। এর ডাটাবেজ সুরক্ষিত, ব্যক্তির চোখের আইরিশের প্রতিচ্ছবি এবং দশ আঙুলের ছাপ দিয়ে তৈরি। তিনি আরও বলেন, এই স্মার্ট কার্ড আমেরিকা, ইতালি, সৌদি আরব ও আবুধাবি এই চারটি দেশের প্রবাসীদের বিতরণ করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে আরও ১১টি দেশে স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য নতুন করে আলাদা স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করা হবে। খুলনা নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, জেলায় বিভিন্ন পর্যায়ে প্রায় ২০ লাখ ভোটারের মধ্যে প্রায় ১০ লাখ ২০ হাজার ভোটার স্মার্ট কার্ড পেয়েছেন। এবার প্রায় ৯ লাখ ব্যক্তি পাবেন স্মার্ট কার্ড। পর্যায়ক্রমে ফুলতলা উপজেলার ২ হাজার ৯২০ জনের মাঝে স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হবে।   অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি ছিলেন, আইডিইএ’র প্রকল্প পরিচালক (২য় পর্যায়) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ সায়েম। খুলনার জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন খুলনা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান। এ ছাড়া শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফারাজী বেনজীর আহম্মেদ।
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৩২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়