• ঢাকা সোমবার, ১৭ জুন ২০২৪, ৩ আষাঢ় ১৪৩১
logo
কবিরহাটে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার পেল ৩৫০০ পরিবার
নোয়াখালীর কবিরহাটে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঈদ উপহার হিসেবে ৩ হাজার ৫'শ ‍অসহায় পরিবারের মাঝে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়েছে। ঈদের আগে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহারের চাল পেয়ে খুশি এসব পরিবার। শনিবার (১৫ জুন) সকাল ৯টায় কবিরহাট পৌরসভা কার্যালয়ে এই চাল বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন মেয়র জহিরুল হক রায়হান।  এ সময় উপস্থিত ছিলেন, কবিরহাট পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান রতন, পৌরসভা আওয়ামী লীগের সদস্য ও ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মামুনুল হক মামুন প্রমুখ।   মেয়র জহিরুল হক রায়হান বলেন, গরিব ও অসহায় পরিবারের সদস্যরা যেন স্বস্তিতে ঈদ উদযাপন করতে পারেন, সে লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ভিজিএফের ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়েছে। ঈদের আগে চাল পেয়ে খুশি স্থানীয় বাসিন্দারা।
১৬ জুন ২০২৪, ১২:৪৩

মেহজাবীনের প্রশংসায় রঞ্জিত মল্লিকের পরিবার
ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী। ক্যারিয়ারে ইতোমধ্যে উপহার দিয়েছেন অসংখ্য হিট নাটক। শুধু তাই নয়, ওয়েব ফিল্মেও নিজের অভিনয় গুণে কেড়েছেন দর্শকদের নজর। নতুন খবর হলো, এবার এই অভিনেত্রীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন কলকাতার খ্যাতিমান অভিনেতা রঞ্জিত মল্লিকের পরিবার। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক মিনিট সাত সেকেন্ডের একটি ভিডিওবার্তা শেয়ার করেন মেহজাবীন। শুরুতেই মেহজাবীনের উদ্দেশ্যে দীপা মল্লিক বলেন, মেহজাবীন, আমি তোমাকে ভীষণ ভীষণ ভালোবাসি। তোমার সবকয়টা নাটক দেখা হয়েছে আমার। গতকাল আমার স্বামী রঞ্জিত মল্লিককেও তোমার নাটক দেখালাম। ‘বড় ছেলে’ নাটকে কি অসাধারণ অভিনয় করেছো। তুমি করেই বলছি, কারণ তুমি বাচ্চা একটা মেয়ে। আমার মেয়ে কোয়েল মল্লিককেও বলবো তোমার সব নাটকগুলো দেখার জন্যে। এরপর রঞ্জিত মল্লিক বলেন, এক্সিলেন্ট পারফর্মেন্স, উইশ ইউ অল দ্যা বেস্ট। কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ভিডিওটির ক্যাপশনে মেহজাবীন লিখেছেন, সবার প্রিয় শ্রদ্ধেয় রঞ্জিত মল্লিক স্যার ও তার স্ত্রী দীপা মল্লিক এর কাছ থেকে আগত এমন বার্তা সত্যিই বিষ্ময়কর। আপনাদের কথাগুলোয় মন ছুঁয়ে গেছে। ভালোবাসা কলকাতাবাসীর প্রতি।   প্রসঙ্গত, গত ১৯ এপ্রিল নিজের জন্মদিনে সুখবর দেন মেহজাবীন। জানান, শঙ্খ দাশগুপ্তের পরিচালনায় এবার বড় পর্দায় ‘প্রিয় মালতী’ সিনেমা নিয়ে হাজির হবেন তিনি। সিনেমায় তার পাশাপাশি নাদের চৌধুরী, শাহজাহান সম্রাট, রিজভী রিজুসহ আরও অনেকে অভিনয় করেছেন। সব ঠিক থাকলে চলতি বছরেই সিনেমাটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে।  
১৪ জুন ২০২৪, ১২:২৯

অভিনেত্রীর পচা-গলা মরদেহ উদ্ধার, যা বলছেন পরিবার
ফ্ল্যাট থেকে বলিউড অভিনেত্রী নুর মালবিকা দাসের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার বয়স হয়েছিল ৩৭ বছর। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান করা হচ্ছে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার(৬ জুন) থেকে অভিনেত্রীর কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। মালবিকার ফ্ল্যাট থেকে দুর্গন্ধ ছড়ালে প্রতিবেশীরা পুলিশে খবর দেন। সোমবার (১০জুন) পুলিশ এসে ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে মালবিকার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে। মিড-ডের তথ্য অনুসারে, গত শনিবার নূর মালবিকার পাশের ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা দুর্গন্ধ পেয়ে ওশিয়ারা থানায় খবর দেয়। এরপর পুলিশ গিয়ে দরজা ভেঙে ফ্ল্যাটে প্রবেশ করেন। এ সময় নূর মালবিকার শরীরের একাংশ বিকৃত ও পচা-গলা অবস্থায় দেখতে পায়। ঘটনাস্থল থেকে নূর মালবিকার ঔষুধ, মোবাইল ফোন এবং ডায়েরি উদ্ধার করেছে পুলিশ। ধারণা করা হয়, গত ৬ জুন আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন নূর মালবিকা। নূর মালবিকার ফুফু আরতি দাস বলেন, অভিনেত্রী হওয়ার অনেক বড় স্বপ্ন নিয়ে মুম্বাইয়ে পাড়ি জমিয়েছিল নূর। স্বপ্নপূরণের জন্য সংগ্রাম করছিল সে। আমরা বুঝতে পেরেছিলাম মালবিকা তার অর্জন নিয়ে অসন্তুষ্ট ছিল। এজন্য চূড়ান্ত পদক্ষেপ নিয়ে থাকতে পারে। এই বিষয়ে তদন্ত করছে মুম্বাই পুলিশ। কী কারণে আত্মহত্যা করেছেন তিনি, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তল্লাশি চালিয়ে অভিনেত্রীর ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে তার মোবাইল ফোন, ওষুধ এবং একটি ডায়েরি। প্রসঙ্গত, মালবিকা কাতার এয়ারওয়েজে বিমানসেবিকা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এরপর অভিনেত্রী হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে মুম্বাইয়ে পা রাখেন। একাধিক হিন্দি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। পাশাপাশি ওয়েব সিরিজ ও উল্লু অ্যাপের পরিচিত মুখ ছিলেন মালবিকা। তিনি চাটনি, জাগন্য উপয়া, চরমসুখ, দেখি আন্দেখির মতো ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। বলিউড তারকা অভিনেত্রী কাজলের সঙ্গে ‘দ্য ট্র্যায়াল’-এ অভিনয় করেছেন তিনি।
১১ জুন ২০২৪, ২০:০৭

ঈদের আগেই প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরে উঠছে ১৮ হাজার পরিবার
সবার জন্য আবাসন নিশ্চিতকরণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের প্রকল্প আশ্রয়ণ-২। প্রকল্পটির আওতায় এবার জমিসহ বিনামূল্যে ঘর পাচ্ছেন আরও ১৮ হাজার ৫৬৬ ভূমি ও গৃহহীন পরিবার। এর মধ্য দিয়ে দেশের আরও ২৬টি জেলার সব উপজেলাসহ মোট ৭০টি উপজেলাকে ভূমি ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হবে। মঙ্গলবার (১১ জুন) বেলা ১১টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে পঞ্চম পর্যায়ের দ্বিতীয় ধাপে দেওয়া এসব ঘর বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।   আসন্ন ঈদুল আজহার আগেই শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ঈদ উপহার হিসেবে ঘরগুলো হস্তান্তর করা হবে অসহায় পরিবারগুলোর মাঝে। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ, ভোলার চর ফ্যাশন ও কক্সবাজারের ঈদগাঁও এলাকার উপকারভোগীদের সঙ্গে কথাও বলবেন। আশ্রয়ণ প্রকল্পের কর্মকর্তারা জানান, ঢাকা, গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুর, ফরিদপুর, নেত্রকোনা, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, কুমিল্লা, ফেনী, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, নীলফামারী, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, সাতক্ষীরা, যশোর, খুলনা, নড়াইল, বাগেরহাট, বরগুনা, বরিশাল, হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জের সব উপজেলাসহ মোট ৭০টি উপজেলা ভূমি ও গৃহহীনমুক্ত হচ্ছে। এ হিসেবে আগে ঘোষিত জেলা-উপজেলাসহ মোট ৫৮টি জেলা ও ৪৬৪টি উপজেলা ভূমি ও গৃহহীনমুক্ত হচ্ছে।   প্রসঙ্গত, ১৯৭২ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গৃহহীনদের পুনর্বাসন কর্মসূচি শুরু করেন। বঙ্গবন্ধুর এ কর্মসূচিকে অনুসরণ করে তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সালে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে গৃহ ও ভূমিহীনদের ঘর ও জমির মালিকানা দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। আশ্রয়ণ প্রকল্প ও অন্যান্য প্রকল্পের আওতায় ১৯৯৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত সারা দেশে ৮ লাখ ৬৭ হাজার ৯০৪ ভূমি ও গৃহহীন পরিবারের প্রায় ৪৩ লাখ ৪০ হাজার মানুষকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। শুধুমাত্র আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধীনে পুনর্বাসন করা হয়েছে ৫ লাখ ৮২ হাজার ৫৩ ভূমি ও গৃহহীন পরিবারের ২৯ লাখ ১০ হাজার ২৬৫ জনকে। এর মধ্যে শুধুমাত্র মুজিব শতবর্ষেই পুনর্বাসন করা হয়েছে ২ লাখ ৬৬ হাজার ১২টি ভূমি ও গৃহহীন পরিবারকে।  
১১ জুন ২০২৪, ১২:১৬

সহকর্মীকে গুলি করে হত্যা: যা বলল সেই পুলিশ কনস্টেবলের পরিবার
রাজধানীর গুলশান থানাধীন বারিধারা ডিপ্লোমেটিক জোন এলাকার ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে ডিউটিরত কনস্টেবল মনিরুল ইসলামকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য কাউসার আলী মানসিক ভারসাম্যহীন বলে জানিয়েছেন তার স্বজনরা। এ জন্য একাধিকবার চিকিৎসাও নিয়েছেন তিনি। জানা গেছে, অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য কাউসার আলী কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের দৌলতখালী দাড়েরপাড়া এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়াত আলীর মাস্টারের ছেলে। তিনি ২০০৫ সালের ১৫ ডিসেম্বর পুলিশে যোগদান করেন। ছেলের বিসয়ে কাউসারের মা মাবিয়া খাতুন বলেন, ‘আমার ছেলে এমনিতে ভালো। তার মাথার সমস্যা আছে। চাকরিতে যোগদানের পর ২০১০ সালের দিকে তিনি মানসিক রোগে আক্রান্ত হন। শনিবার রাত ৮টার দিকে তার সঙ্গে শেষ কথা হয়। ভালোভাবেই আমার সঙ্গে কথা হয়েছে। তবে কয়েকদিন ধরে বাড়িতে একটু কম কথা বলতো আমার ছেলে।’ এ বিষয়ে তার স্ত্রী নিলুফার ইয়াসমিন সাথি বলেন, ‘আমার স্বামী মানসিক রোগে আক্রান্ত। তিনি মাঝে মাঝে অসুস্থ হয়ে যেতেন। কয়েকবার তাকে পাবনা মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়েছে। চিকিৎসার কাগজপত্র তার কাছে রয়েছে। আমাদের পারিবারিকভাবে কোনো সমস্যা ছিল না। মানসিক সমস্যা শুরু হলে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কম যোগাযোগ করতেন। কথাও কম বলতেন।’ দৌলতপুর সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফার বলেন, ‘চাকরিতে যোগদানের পাঁচ বছর পর থেকে মানসিক রোগে আক্রান্ত। পরে তার চিকিৎসা করানোর পর সুস্থ হলে আবার চাকরিতে যোগদান করেন।’ এদিকে এ ঘটনায় হওয়া মামলায় আসামি কনস্টেবল কাওসার আলীর ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।  অন্যদিকে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় এরই মধ্যে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বারিধারা এলাকায়। ঘটনাস্থল ফিলিস্তিনি দূতাবাসের সামনে মোতায়েন রাখা হয়েছে ডিবি, সোয়াটসহ পুলিশের একাধিক দল।
১০ জুন ২০২৪, ১২:৪২

বেনজীরের ভয়ে চুপ ছিল মুক্তিযোদ্ধা পরিবার
গাজীপুর সদর উপজেলার মেম্বারবাড়ি বাসস্ট্যান্ড থেকে ইজ্জতপুর সড়ক ধরে চার কিলোমিটার ভেতরে ‘ভাওয়াল রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা’। সেখানকার নলজানী গ্রামে তিন দিকে বনভূমিবেষ্টিত এই রিসোর্ট এলাকার মানুষের কাছে ‘বেনজীরের রিসোর্ট’ নামে পরিচিত। রিসোর্টের ১০২ শতাংশ জমি দখল করে নেয় ভাওয়াল রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ। চার দশকেরও বেশি সময় আগে জুবেদা খাতুনের কেনা ওই জমি ভোগদখল করে আসছিলেন তার ছেলেমেয়েরা। কিন্তু হঠাৎই সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনী পাঠিয়ে তাদের ১০২ শতাংশ জমি ২০২০ সালের জানুয়ারিতে দখল করে নেয় ভাওয়াল রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ। গাজীপুরের বারইপাড়া মৌজার নলজানি গ্রামের ওই জমি উদ্ধারে নানাজনের দ্বারস্থ হয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা বজলুল হক ও তার ভাইবোনেরা। কিন্তু সাবেক পুলিশপ্রধান বেনজীর আহমেদের ক্ষমতার কাছে বারবার হেরে গেছে পরিবারটি। জমি উদ্ধারের জন্য আদালতে মামলা করারও সাহস পাননি তারা। এমনকি বেনজীরের ভয়ে চুপ ছিল মুক্তিযোদ্ধা পরিবারটি।  অবশেষে বেনজীরের বিভিন্ন অপকর্ম গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার পর গতকাল রোববার ভাওয়াল রিসোর্টের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারটি। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সমন জারিরও নির্দেশ দিয়েছেন। গাজীপুরের প্রথম যুগ্ম জেলা জজ নাজমুন নাহারের আদালতে এই মামলা করা হয়। মামলার বাদী হয়েছেন ছয়জন। তারা হলেন– ঢাকার কলাবাগান থানার সার্কুলার রোডের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা বজলুল হক, তার ভাই ডা. সিরাজুল হক, বোন সামসুন্নাহার এবং ঢাকার মিরপুরের বাসিন্দা জাহিদুল হক, নিশাত তসলিম ও পারভীন। বাদী পক্ষের আইনজীবী জাহাঙ্গীর হোসেন সরকার বলেন, এ মামলায় বিবাদীরা হলেন– ভাওয়াল রিসোর্ট অ্যান্ড স্পার প্রতিষ্ঠাতা ও আম্বার গ্রুপের চেয়ারম্যান শওকত আজিজ রাসেল, স্থানীয় উত্তর বানিয়ার চালা গ্রামের রফিকুল ইসলাম মাস্টার, ভাওয়াল রিসোর্ট অ্যান্ড স্পার ম্যানেজার সুমন ও কামরুল ইসলাম। একই সঙ্গে বিবাদী করা হয়েছে গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), গাজীপুর সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও মির্জাপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী ভূমি কর্মকর্তাকে। জানা যায়, সিএস রেকর্ড মূলে ওই জমির মালিক ছিলেন জনৈক সৈয়দ আলী। ১৯৮২ ও ১৯৮৩ সালে তার কাছ থেকে এ জমি কিনে নেন আব্দুল হাই ও তার মেয়ে জুবেদা খাতুন। কেনার পর থেকেই পরিবারটি জমি ভোগদখল করে আসছিল। ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে ভাওয়াল রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ জমিটি জবরদখল করে নেয়। স্থানীয়রা জানান, মা ও নানার কেনা জমি উদ্ধার করার জন্য বিভিন্ন জনের কাছে যান জুবেদার পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু কোথাও পাত্তা পাননি। জমি উদ্ধারের চেষ্টা করলেও সাবেক আইজিপি বেনজীরের ভয় দেখানো হতো। বাদী পক্ষের আইনজীবী জাহাঙ্গীর হোসেন সরকার বলেন, আদালত শুনানিতে সন্তুষ্ট হয়ে সমন জারির নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ৬ নভেম্বর আসামিদের আদালতে হাজির হয়ে জবাব দিতে বলেছেন।
০৩ জুন ২০২৪, ১৪:১২

আখাউড়ায় ত্রাণের চাল পেল পানিবন্দি ৬৭ পরিবার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে পানিবন্দি পরিবারের মাঝে ত্রাণের চাল বিতরণ করা হয়েছে। শুক্রবার (৩১ মে) বিকেলের দিকে উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের কেন্দুয়াই মেলার মাঠ এলাকার ৩০ পরিবার, মোগড়া ইউনিয়নের টানোয়াপাড়ায় ৩৫ পরিবার ও মনিয়ন্দ ইউনিয়নের দুই পরিবারকে এ ত্রাণের চাল দেওয়া হয়। জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ভারী বৃষ্টি ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে বন্দি ছিল উপজেলার সীমান্তবর্তী দক্ষিণ ইউনিয়ন, মোগড়া ইউনিয়ন ও মনিয়ন্দ ইউনিয়নের কিছু এলাকা। এতে তলিয়ে যায় সবজিখেত, আউশ ধানের জমি ও বীজতলা। পানিবন্দি হয়ে পড়ে অনেক পরিবার।  পরে স্থানীয় সংসদ সদস্য আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক তার নির্দেশে পানিবন্দি প্রতিটি পরিবারকে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়ার নির্দেশনা দেন বলে জানান আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাবেয়া আক্তার।  তিনি আরও জানান আইনমন্ত্রী ও জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ত্রাণ ব্যবস্থাপনা ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ থেকে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে উপজেলার পানিবন্দি ৬৭টি পরিবারকে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছে। এ সময় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস এম রাহাতুল ইসলাম, দক্ষিণ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. জালাল উদ্দীন, মোগড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এম এ মতিন, ইউপি সদস্য জাহার মিয়া ও রহিম মিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 
৩১ মে ২০২৪, ২২:১৮

উপকূলের দেড় কোটি পরিবার বিদ্যুৎহীন, চরম দুর্ভোগ
ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবের মধ্যে ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে দেশের উপকূলীয় এলাকার ১ কোটি ৫৫ লাখ গ্রাহকের সংযোগ বন্ধ রেখেছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। ফলে অনেক এলাকায় ১৬ থেকে ১৭ ঘণ্টা ধরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন। কখন ঘূর্ণিঝড় রেমাল দুর্বল হবে এবং কখন বিদ্যুৎসংযোগ পাবেন সেই অপেক্ষায় গ্রাহকরা।   এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) পরিচালক (কারিগরি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের মধ্যে দুর্ঘটনা এড়াতে সোমবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ১ কোটি ৫৫ লাখ গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। ঝড়ের তাণ্ডব কমে যাওয়ার পর দ্রুত বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করে দিতে আমাদের কর্মীরা প্রস্তুত রয়েছেন। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে এলাকায় অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তবে এর পরিমাণ এখনো জানা যায়নি। বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চিফ ইঞ্জিনিয়ার (প্ল্যানিং অ্যান্ড অপারেশন) বিশ্বনাথ শিকদার বলেন, উপকূলীয় জেলাগুলোতে প্রচণ্ড ঝড় বয়ে যাওয়ায় সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ভোলা, পটুয়াখালী ও বরিশাল জেলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অধিকাংশ গ্রাহকের সংযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে। আরও কয়েকটি জেলায় আংশিকভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে। সব মিলিয়ে হয়তো দেড় কোটি গ্রাহক এখন বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় আছেন। পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তারা বলছেন, উপকূলীয় কয়েকটি জেলার সাগর তীরবর্তী উপজেলাগুলো স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি উচ্চতার জোয়ারে তলিয়ে গেছে। এই পরিস্থিতিতে বিদ্যুতের লাইন চালু থাকলে জানমালের ক্ষতি হতে পারে। আবার বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রগুলো পানির নিচে তলিয়ে গেলে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি হতে পারে, যা মেরামত করতে অন্তত ৭ দিন সময় লাগবে। এসব দিক বিবেচনায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। 
২৭ মে ২০২৪, ১৭:২৫

৬ দিনেও সন্ধান মেলেনি সংসদ সদস্য আনারের, উদ্বিগ্ন পরিবার
ছয় দিনেও সন্ধান মেলেনি ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারের। এ নিয়ে তার পরিবারের সদস্যরা ও নেতাকর্মীরা উদ্বিগ্ন। ছয়দিন ধরে এই সংসদ সদস্যের সঙ্গে তার পরিবারের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সংসদ সদস্যের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) আব্দুর রউফ।  মঙ্গলবার (২১ মে) সকালে আব্দুর রউফের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি আরটিভিকে উদ্বেগের কথা জানান। তিনি বলেন, গত শনিবার (১১ মে) সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার চিকিৎসার জন্য কালীগঞ্জ বাসা থেকে দর্শনাস্থলবন্দর দিয়ে গেদে বডার্র হয়ে ভারতে যান। কিন্তু ছয় দিন হয়ে গেল পরিবারের সঙ্গে তার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।  তিনি বলেন, বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে অবগত রয়েছেন। সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা বিভাগ ও ভারত সরকার বিষয়টি তদারকি করছে। তার পরিবারের সদস্যরা ভারতে গিয়েছেন। ভাতিজা সাইমন তিনি ভারতে অবস্থান করছেন। সাইমন জানিয়েছেন, ভারত পুলিশ ও তাদের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তাকে খুঁজে বের করার জন্য।  পিএস আব্দুর রউফ আরও বলেন, সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম ভারতে তার বন্ধু গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে অবস্থান করেন। সেখান থেকে চিকিৎসার জন্য বাড়ি থেকে বের হলে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ নিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বরানগর থানা একটি সাধারণ ডায়েরি করেন তার বন্ধু গোপাল বিশ্বাস। জিডিতে তিনি নিখোঁজ বলে অভিযোগ করেছেন ।  এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ আবু আজিফ জানান, স্থানীয় এমপি সাহেবের নিখোঁজের বিষয়টি নিয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতনরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।  উল্লেখ্য, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে আনোয়ারুল আজিম আনার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। 
২১ মে ২০২৪, ০৮:৫২

জামালগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে নিঃস্ব ২০ পরিবার
সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলায় রান্না ঘরের চুলা থেকে অগ্নিকাণ্ডে ঘটনায় ২০টি কৃষক পরিবার নিঃস্ব হয়েছে।  শনিবার (১৮ মে) বিকেলে উপজেলার বেহেলী ইউনিয়নের আছানপুর গ্রামের কবির মিয়ার রান্না ঘরের চুলা থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটে। কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় রাতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। অগ্নিকাণ্ডে প্রায় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও ক্ষতিগ্রস্তরা। অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন- আল আমিন, মাসুক মিয়া, সেজুল মিয়া, সাচ্চু মিয়া, হুমায়ুন কবির, সদরুল আমিন, বাবিল মিয়া, কবির মিয়া, জহুর আলম, আলী হায়দার, ইসপা মিয়া, বাচ্চু মিয়া, ইউনুছ আলী, সুলতান মিয়া, সোয়েব আলম, মনির মিয়া, আবুল কাহার, আলম মিয়া, মতি মিয়া। গ্রামবাসীরা জানান, বিকেলে কবির মিয়ার রান্না ঘরের চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে। গ্রামের ঘরগুলো পাশাপাশি থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। আগুন দেখে আছানপুর, পাশের মাহমুদপুর, হরিনাকান্দি, হরিপুর গ্রামের লোকজন আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। পরবর্তীতে ফায়ার সার্ভিসও এসে যোগ দেয়। তিন ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কেউ আহত না হলেও ক্ষতিগ্রস্তদের স্বর্ণালংকার, আসবাবপত্র, ধান-চাল, গবাদিপশুর খড়ের গাদা পুড়ে প্রায় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুশফিকীন নূর ও থানার ওসি দিলীপ কুমার দাস।  বেহেলী ইউপি চেয়ারম্যান সুব্রত সামন্ত সরকার বলেন, অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়ার পরপরই স্পিডবোডে ফায়ার সার্ভিসের ৯ জন সদস্য গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। ফায়ার সার্ভিস ও গ্রামবাসীরা ৩ ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। না হলে পুরো গ্রামই পুড়ে ছাই হয়ে যেতো। অন্তত কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুশফিকীন নুর বলেন, শনিবার বিকেলে আছানপুর গ্রামের একটি রান্নাঘরের চুলা থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে। রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সরকারি সহায়তা দেওয়া হবে।
১৯ মে ২০২৪, ১১:২৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়