• ঢাকা সোমবার, ১৭ জুন ২০২৪, ৩ আষাঢ় ১৪৩১
logo
শরীয়তপুরে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দাদের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ
শরীয়তপুরে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঠাঁই পাওয়া অসহায় ও দুস্তদের মাঝে ঈদ উপহার শাড়ি ও নগদ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।  রোববার (১৬ এপ্রিল) সকাল থেকে রাত পর্যন্ত নড়িয়া-সখিপুরের আশ্রয়ণের তিন হাজার পরিবারের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ করেন, শরীয়তপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম। এনামুল হক শামীম বলেন, একসময় যাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই ছিল না, খোলা আকাশের নিচে যারা দিন কাটাত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের জন্য জমিসহ ঘর দিয়েছেন। তারা এখন সুখে শান্তিতে দিন কাটাচ্ছেন। এবারের ঈদটা যাতে তারা পরিবার পরিজন নিয়ে আনন্দ উচ্ছ্বাসে কাটাতে পারে, সেজন্য তাদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ঈদ উপহার বিতরণ করেছি। সুন্দর পরিবেশে তারা ঈদ উদযাপন করতে পারবে। প্রধানমন্ত্রীর জন্য এসব মানুষ মন খুলে দোয়া করছেন। উপহার বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন- এমপিপত্নী তাহমিনা খাতুন (সিলু), তার ছোট মেয়ে এবং নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার শংকর চন্দ্র বৈদ্য ও ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রাজিবুল ইসলাম, সখিপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি হুমায়ন কবির মোল্লাসহ প্রমুখ।
১ ঘণ্টা আগে

কবিরহাটে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার পেল ৩৫০০ পরিবার
নোয়াখালীর কবিরহাটে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঈদ উপহার হিসেবে ৩ হাজার ৫'শ ‍অসহায় পরিবারের মাঝে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়েছে। ঈদের আগে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহারের চাল পেয়ে খুশি এসব পরিবার। শনিবার (১৫ জুন) সকাল ৯টায় কবিরহাট পৌরসভা কার্যালয়ে এই চাল বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন মেয়র জহিরুল হক রায়হান।  এ সময় উপস্থিত ছিলেন, কবিরহাট পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান রতন, পৌরসভা আওয়ামী লীগের সদস্য ও ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মামুনুল হক মামুন প্রমুখ।   মেয়র জহিরুল হক রায়হান বলেন, গরিব ও অসহায় পরিবারের সদস্যরা যেন স্বস্তিতে ঈদ উদযাপন করতে পারেন, সে লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ভিজিএফের ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়েছে। ঈদের আগে চাল পেয়ে খুশি স্থানীয় বাসিন্দারা।
১৬ জুন ২০২৪, ১২:৪৩

আদরের মানিক প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দিতে চান হামিদা
হামিদা আক্তার। ইতিহাসে স্নাতক এ নারীর স্বপ্ন সফল উদ্যোক্তা হওয়ার। সেই লক্ষ্যে দীর্ঘ আট বছর আগে শুরু করেন গরু লালনপালন। প্রতিদিনই দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করতে থাকা এ নারীর জীর্ণ গোয়ালের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ মানিক, অস্ট্রেলীয় ফ্রিজিয়ান জাতের বিশালাকার এক ষাঁড়। হামিদার পরম আদর-যত্নে মানিকের ওজন এখন ৫৪ মণ। স্নেহের এই মানিককেই এবারের কোরবানি ঈদে কোনো হাটে বিক্রি নয়; বরং প্রধানমন্ত্রীকে উপহার হিসেবে দিতে চান হামিদা।   টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার লাউহাটি ইউনিয়নের ভেঙ্গুলিয়া গ্রামে হামিদার বাবা আব্দুল হামিদের বাড়িতে লালিত-পালিত হচ্ছে ৫৪ মণ ওজনের বিশালাকার ষাঁড়টি।  মূলত বিগত তিন বছর ধরেই বেশ আলোচনায় আছে হামিদার মানিক। কোরবানি ঈদ এলেই সংবাদের শিরোনাম হয় সে। ২০২১ সালে যখন প্রথম আলোচনায় আসে, তখন মানিকের ওজন ছিল ৩৬ মণ। দাম হাঁকানো হয়েছিল ১৪ লাখ টাকা। কিন্তু কাঙ্খিত দাম না পাওয়ায় সেবার মানিককে বিক্রি করেননি তার মালিক। সবশেষ গত বছরের কোরবানি ঈদে যখন গাবতলীর হাটে নামানো হয় অস্ট্রেলীয় ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড়টিকে, তখন তাকে দেখে যেন আর চোখ সরে না মানুষের। মানিকের ওজন বেড়ে ততদিনে ৫২ মণ। কিন্তু দাম আর তেমন বাড়েনি; হাঁকা হয় ১৫ লাখ টাকা। অথচ সেবারও দুর্ভাগ্যই সঙ্গী হামিদার; অবিক্রিতই থেকে যায় তার মানিক। হাট থেকে বাড়িতে আনার পর এক ক্রেতা অবশ্য ১০ লাখ টাকা দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু হামিদার মনে তখন সায় দেয়নি। কিন্তু, দিনকে দিন বেড়েই চলেছে মানিকের খোরাকের চাহিদা। এত বিশালাকার একটি প্রাণিকে তার চাহিদামতো খোরাক যোগাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে হামিদাকে। তাই এবার প্রধানমন্ত্রীর দ্বারস্ত দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করতে থাকা এ নারী। প্রধানমন্ত্রীই এখন তাকে বিপদ থেকে উদ্ধার করতে পারবেন বলে ধারণা তার।  আকুতি জানিয়ে হামিদা বলেন, এবার প্রধানমন্ত্রী যদি আমার মানিককে না নেন, তাহলে আমার আর কোনো গতি থাকবে না। প্রতিদিন মানিককে সাবান-শ্যাম্পু দিয়ে গোসল করাতে হয়, সময়মতো দিতে হয় খাবার। গত ৮ বছর ধরে এভাবেই মানিককে মাতৃস্নেহে লালনপালন করছেন হামিদা ও তার পরিবার। প্রতিবেশীরা জানান, করটিয়া সা’দত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাস বিভাগ থেকে অনার্স শেষ করেন হামিদা আক্তার। স্বপ্ন সফল নারী উদ্যোক্তা হবেন। চাকরি না করে নারী উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে গত ৮ বছর ধরে গরু লালনপালন শুরু করেন। দুটি গাভী কেনেন। সেই গাভী দুটি বাছুরের জন্ম দেয়, তাদের নাম রাখেন মানিক ও রতন। দুই বছর আগে রতনকে বিক্রি করতে পারলেও রয়ে যায় মানিক। প্রতিদিন দানবাকৃতির ষাঁড়টির খরচ মেটাতে হিমসিম খেতে হচ্ছে হামিদাকে। তার মা মারা গেছেন ছয় মাস আগে। বৃদ্ধ বাবাকে নিয়ে হামিদার সংসার।   হামিদার বাবা আব্দুল হামিদ জানান, ছেলে না থাকায় এবং তিনি বৃদ্ধ হওয়ায় ছোটবেলা থেকেই হামিদা তার কাজে সহযোগিতা করে আসছেন। এখন বার্ধক্যজনিত অসুখে পড়ে বেশি দুর্বল হয়ে পড়েছেন। তাই বড় মেয়ে হামিদাকেই সংসারের হাল ধরতে হয়েছে। বাকি দুই মেয়ের একজনকে বিয়ে দিয়েছেন, অন্যজন নার্সিংয়ে পড়ছে। সন্তানদের সুশিক্ষিত করার ইচ্ছে তার।  
০৮ জুন ২০২৪, ০২:১৪

৬৪০ কোটি টাকার ভিলা উপহার পেল অনন্ত-রাধিকা
চলতি বছরের মার্চে ভারতের জামনগরে প্রাক-বিবাহ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে গোটা বিশ্বজুড়ে আলোড়ন ফেলে দিয়েছিল আম্বানি পরিবার। ভারতের মুকেশ আম্বানির ছেলে অনন্ত আম্বানি ও রাধিকা মার্চেন্টের প্রাক-বিবাহ অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন বিল গেটস থেকে শুরু করে জাকারবার্গ, রিহানা থেকে শাহরুখ খান, এমনকি গোটা বলিউড। হাজির ছিলেন ক্রীড়াঙ্গনের মহাতারকারাও। রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রির কর্ণধার মুকেশ ও তার স্ত্রী চান তাদের ছোট ছেলের বিয়েটা যেন গোটা বিশ্ব মনে রাখে। এ জন্য তারা বিন্দুমাত্র কমতি রাখছেন না। এই কয়েক মাস আগেই গুজরাটের জামনগরে ধুমধাম করে একপ্রস্থ প্রাক-বিবাহ অনুষ্ঠান হলো তাদের। ২৯ মে থেকে ১ জুন পর্যন্ত বিদেশে হলো দ্বিতীয় দফার প্রাক-বিবাহ অনুষ্ঠান। এবারের অনুষ্ঠান একটি ক্রুজে হয়। সেখানে বিভিন্ন ভিআইপি গেস্ট থেকে বলিউডের নামীদামি তারকাসহ স্পোর্টস স্টাররা ছিলেন।  ১২ জুলাই মুম্বইতে সাত পাকে বাঁধা পড়তে চলেছেন অনন্ত অম্বানি ও রাধিকা মার্চেন্ট। বিয়ের ঠিক আগেই অনন্ত আর রাধিকাকে দুবাইয়ে ৬৪০ কোটি টাকার বাড়ি উপহার দিলেন মুকেশ-নীতা। পাম জুমেইরাহ হলো দুবাইয়ের উত্তর দিকের একটি দ্বীপ। বহু তারকার বাড়ি আছে সেখানে। অনন্তের নতুন বাড়িও সেখানেই। তার নতুন প্রতিবেশীদের মধ্যে রয়েছেন বলিউড অভিনেতা শাহরুখ খান, ব্রিটিশ ফুটবলার ডেভিড বেকহ্যাম এবং তার স্ত্রী ভিক্টোরিয়া। শোনা যাচ্ছে, সমুদ্রের ধারের ৩০০০ বর্গফুটের ওপর তৈরি এই ভিলাটি দুবাইয়ের সবচেয়ে দামি নির্মাণের মধ্যে একটি। এতে ১০টি বেডরুম, একটি স্পা ও দু’টি সুইমিং পুল আছে। যার মধ্যে একটি খোলা আকাশের নিচে। ভিলার সঙ্গে প্রাইভেট বিচও রয়েছে। এর আগে দুবাইয়ে বাড়ি কেনা সহজ ছিল না। সম্পত্তির মালিকানা নেওয়ার ক্ষেত্রে বিদেশিদের ওপর সরকারের বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা ছিল। যা কারও কারও ক্ষেত্রে শিথিল হয়েছে। যে সকল ভারতীয়ের ‘গোল্ডেন ভিসা’ আছে, এবার তাদের মধ্যে দুবাইয়ে বিলাসবহুল বাড়ি কেনার প্রবণতাও বাড়ছে।
০৬ জুন ২০২৪, ১৯:৫৪

রাফির উপহার পেয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলাম: তমা
রায়হান রাফি ও তমা মির্জার প্রেমের সম্পর্ক এখন প্রকাশ্যে। শনিবার (১ জুন) ছিল এই নায়িকার জন্মদিন। তার বিশেষ এই দিনে শুভেচ্ছা জানিয়ে সামাজিকমাধ্যমে একটি ছবি শেয়ার করে তমাকে পেয়ে ‘ভাগ্যবান’বলে দাবি করেছেন রাফি। প্রতি উত্তরে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তমাও। জন্মদিনে প্রেমের সম্পর্ক প্রকাশ্যে উপস্থাপন করায় ভক্ত-অনুরাগীদের থেকে বেশ শুভকামনা পেয়েছেন রাফি-তমা। পাশাপাশি জন্মদিন ঘিরে বেশ আনন্দঘন মুহূর্তের মধ্যে দিন কেটেছে এই অভিনেত্রীর।  সম্প্রতি দেশের একটি গণমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে জন্মদিনের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন তমা। অভিনেত্রী জানান, জন্মদিনে মায়ের কাছ থেকে স্বর্ণ ও হীরার কানের দুল উপহার পেয়েছেন তিনি। বিশেষ এই দিনে মেয়ে তমার জন্য কবিতা লিখেছেন বাবা। টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে বাড়ি সাজিয়েছেন ছোট ভাই। এ ছাড়াও গাড়িচালক, গৃহকর্মীরা জন্মদিনে তাকে চকলেট উপহার দিয়েছেন।  অন্যদিকে ভালোবাসার মানুষ রাফির কাছ থেকেও উপহার পেয়েছেন তিনি।  কী উপহার পেয়েছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তমা জানান, ঝুড়িতে ভরে যেন শহরের সব ধরনের ফুল এনেছিলেন তার জন্য।  এ প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, ‘ভালোবাসার মানুষটি ঝুড়ি ভর্তি করে সব রঙের গোলাপ, বেলি, রজনিগন্ধা, টিউলিপসহ পারলে ঢাকা শহরের সব রকমের ফুল যেন তুলে এনেছে। ২০টি ঝুড়ি এসব ফুল নিয়ে হাজির হয়েছেন আমার বাসায়। পৃথিবীতে ফুলের চেয়ে প্রিয় উপহার আর কিছু হতে পারে না। রাফির উপহার পেয়ে আমি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলাম।’ রাফির ‘সুড়ঙ্গ’ সিনেমায় নায়িকার চরিত্রে অভিনয় করে আলোচনায় আসেন তমা। মূলত এরপরেই দুজনের রসায়ন নিয়ে শুরু হয় নানান জল্পনা-কল্পনা। যদিও তারা এতদিন এই সম্পর্ককে ‘জাস্ট ফ্রেন্ড’ বলে আখ্যা দিয়ে আসছিলেন। তবে এ ঘটনার একটি ভিডিও নেটদুনিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর তাদের সম্পর্ক নিয়ে শুরু হয় সমালোচনা। কেউ বলেন, রাফিকে শুধু বন্ধু ভাবেন তমা। আবার অনেকে বলছেন, রাফিকে ব্যবহার করছে তমা।
০২ জুন ২০২৪, ১৫:৪৫

আমিই তাকে প্রথম সন্তান উপহার দিয়েছি : অপু বিশ্বাস
ঢাকাই সিনেমার দর্শকপ্রিয় জুটি তারকা দম্পতি শাকিব খান ও অপু বিশ্বাস। এই দুই তারকা জুটি বেঁধে দর্শকদের উপহার দিয়েছেন অনেক সুপার হিট সিনেমা। এই দুই তারকার অনুরাগীর সংখ্যা কম নয়। তারা সবসময়ই চান দুই তারকাকের একসঙ্গে দেখতে। মঙ্গলবার (২৮ মে) অভিনয় ক্যারিয়ারের ২৫ বছর পূর্ণ করেছেন শাকিব। আর এদিন তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অপু। এদিন অপু বিশ্বাস তার ফেসবুকে একটি সংবাদ শেয়ার করে ক্যাপশনে লিখেছেন, ৭২টি ছবি, কোটি টাকার কাবিন, বউ এবং সন্তান আব্রাহাম খান জয়।’ আর সবশেষে লিখেছেন, অনেক শুভেচ্ছা বাবুর বাবা। অপুর এমন স্ট্যাটাসের পর নেটদুনিয়ায় শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা। নায়িকা ‘কোটি টাকার কাবিন’ আর ‘ওয়াইফ’ লিখে কী বোঝাতে চেয়েছেন, তা নিয়েও নেটিজেনদের মধ্যে প্রশ্ন ওঠে। অবশেষে মুখ খুললেন অপু বিশ্বাস। জানালেন, সিনেমায় শাকিব খানের ২৫ বছরের জীবনের সঙ্গে তার অনেক কিছুই জড়িয়ে আছে। যেটি স্ট্যাটাসে ভালোবাসা মিশিয়ে আলাদা আলাদা করে লিখেছেন তিনি। অপু বলেন, আমার সঙ্গে শাকিব খানের প্রথম ছবি ‘কোটি টাকার কাবিন’। তার আগে তিনি অনেক ছবিই করেছেন। কিন্তু এই ‘কোটি টাকার কাবিন’ ছবিই শাকিবের অভিনয়জীবনের টার্নিং পয়েন্ট। শাকিব খানের নায়িকা হিসেবে আমি সর্বোচ্চ ৭২টি সিনেমায় জুটি বেঁধে অভিনয় করেছি। তার জীবনে প্রথম প্রেমিকা হয়ে আমি এসেছিলাম। তার প্রথম স্ত্রীও আমি। আমিই তাকে প্রথম সন্তান উপহার দিয়েছি। তাই আমি মনে করি, শাকিব খানের অভিনয় জীবনের সফলতার ২৫ বছরের পথে পথে আমিও জড়িয়ে আছি সেই সফলতায়। এই বিশেষ দিনে শাকিব খানকে সরাসরি শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে কি না জানতে চাইলে অপু বলেন, সেটা তো বলা যাবে না। আর আমি তো ফেসবুকে শুভেচ্ছা জানিয়েছি। তিনি আরও বলেন, শাকিব খান আমার সন্তানের বাবা। সেই হিসেবে তার সফলতার এই বিশেষ দিনটির জন্য আমি নিজেও খুশি। দোয়া করছি, এই সফলতা আরও দ্বিগুণ হোক। শাকিবের এই সফলতার চাকা আরও ২৫ বছর গড়িয়ে চলুক, আমি তার সন্তানের মা হিসেবে, তার একজন সহশিল্পী হিসেবে এটাই চাইব। এদিকে বর্তমানে একসঙ্গে সংসার না করলেও সন্তানের জন্য দেখা সাক্ষাৎ হয় শাকিব-অপুর। বরাবরই ছেলে জয়কে কোয়ালিটি টাইম দেওয়ার চেষ্টা করেন দুজন।
৩০ মে ২০২৪, ১৯:১০

পলাশের উপহার পেয়ে আপ্লুত তারিক আনাম
রাজধানীতে সম্প্রতি শেষ হয়েছে ‘এভাবেও ফিরে আসা যায়’ নাটকের শুটিং। আশিকুর রহমানের পরিচালনায় এতে অভিনয় করেছেন তারিক আনাম খান ও জিয়াউল হক পলাশ। আর শুটিং চলাকালে তাদের দুজনের হৃদয়ে জমা হলো স্মৃতিময় এক মুহূর্ত। তারিক আনামকে একটি বই উপহার দেন পলাশ। আর তাতেই আপ্লুত এ বর্ষীয়ান অভিনেতা। সোমবার (২৭ মে) বিষয়টি নিয়ে নিজের ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন তারিক আনাম খান। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘পলাশের সঙ্গে আমার এটা তৃতীয় কাজ। প্রথম ছিল ‘আপন’, ২য় ‘সাদা প্রাইভেট’ আর এবার করলাম ‘এভাবেও ফিরে আসা যায়’। এই নাটকে কবিতার উপস্থিতি আছে, আছে জীবনানন্দ দাশ। আমরা বিষ্ময়কর কবি জীবনানন্দকে নিয়ে অনেক কথা বলেছি রাতের ঘোরে শুটিং করতে করতে। হঠাৎ পলাশ বলল, ‘ভাইয়া আপনাকে আমি জীবনানন্দকে নিয়ে লেখা শাহাদুজ্জামানের ‘একজন কমলালেবু’ বইটা উপহার দিতে চাই। সত্যিই নিয়ে এলো পরদিন।’ তারিক আনাম আরও লিখেছেন, ‘ভালোবাসার উষ্ণতা ভরা পলাশের স্বহস্তে লেখা, সঙ্গে তার স্বাক্ষর। পলাশের জানার আগ্রহ, পড়া, ছবি দেখা, শোনা আর ভাবা আমাকে আনন্দিত করে। পড়তে শুরু করেছি ‘একজন কমলালেবু’। দারুণ সুন্দর শুরু । ধন্যবাদ পলাশ। তোমার ভালবাসার উষ্ণতা আমাকে স্পর্শ করে।’ অনুরূপভাবে জিয়াউল হক পলাশও সোশ্যাল হ্যান্ডেলে একটি স্ট্যাটাস লিখেছেন। যেটি আরও বেশি আবেগপূর্ণ।  তিনি লিখেছেন, ‘তারিক আনাম খান স্যার, আপনার সঙ্গে শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা আমার কাছে সবসময়ই স্মরণীয় যাত্রার মতো। মুহূর্তগুলোকে আগলে রাখার মতো। তবে এবার কাজ করতে গিয়ে আপনাকে আরও বেশি সময় পাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিলো। আপনার প্রতি মোহগ্রস্ত হয়েছিলাম আমরা সকলেই। আমার এই নিদারুণ উপহারকে আপনি যেভাবে গ্রহণ করলেন, এই প্রাপ্তি আমি আবেগ দিয়ে আগলে রাখবো। ধন্যবাদ আপনাকে। প্রসঙ্গত, ‘এভাবেও ফিরে আসা যায়’ নাটকে তারিক আনাম খান ও জিয়াউল হক পলাশের পাশাপাশি আহমেদ হাসান সানি, পারসা ইভানা প্রমুখ অভিনয় করেছেন। আসন্ন ঈদুল আজহায় এটি প্রচারিত হবে।
২৮ মে ২০২৪, ১৮:৫২

শাহজালালের মাজারে ওরশ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার
হযরত শাহজালালের (রহ.) মাজারে বার্ষিক ওরশ উপলক্ষে প্রতিবছরের মতো এবারও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে তিনটি গরু হস্তান্তর করা হয়েছে। রোববার (২৬ মে) বিকেল সাড়ে ৫টায় মাজারের মোতাওয়াল্লি ফতেউল্লাহ আল আমানের কাছে এ উপহার হস্তান্তর করে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক)। সিসিক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী যুক্তরাজ্যে সফরে থাকায় ভারপ্রাপ্ত মেয়র মখলিছুর রহমান কামরান উপহার হস্তান্তর করেন। এ সময় মখলিছুর রহমান কামরান বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে প্রতিবছর ওরশের সময় মাজারে আগত ভক্তদের খাবারের জন্য গরু উপহার দেওয়া হয়। এবারও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে তিনটি গরু হস্তান্তর করেছে সিটি করপোরেশন। প্রধানমন্ত্রী সিলেটের মানুষের আবেগ-অনুভূতির সঙ্গেও সম্পৃক্ত। তাই সিলেটের বিশেষ বিশেষ দিনে তিনি উপহারসামগ্রী পাঠান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ, শেখ তোফায়েল আহমদ শেপুল, আব্দুর রকিব বাবলু, জয়নাল আবেদীন, আব্দুল মুহিত জাবেদ, এস এম শওকত আমীন তৌহিদ, আব্দুর রকিব তুহিন, রায়হান হোসেন, হেলাল আহমদ, রকিব খান, রেবেকা বেগম, প্রধান নির্বাহী কর্মকত ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী, প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান, সচিব আশিক নুর, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রধান লে. কর্নেল একলিম আবদীন (অব.), পরিবহন শাখা বিভাগীয় প্রধান লে. কর্নেল মাহমুদুল্লাহ সজীব (অব.) এবং জনসংযোগ কর্মকর্তা সাজলু লস্কর প্রমুখ।
২৬ মে ২০২৪, ২৩:১৩

মা দিবসে মাকে যেসব উপহার দিতে পারেন
মায়ের প্রতি ভালোবাসা এবং কৃতজ্ঞতা প্রতিদিন লাখোবার প্রকাশ করলেও তা কম হয়ে যায়। তবু বছরের একটি দিন এই মানুষটি যে স্পেশাল, তা অনুভব করানোর জন্যই প্রতিবছর মে মাসের দ্বিতীয় রোববার বিশ্বজুড়ে পালন করা হয় ‘মা দিবস’। আর সন্তান যদি তার জীবনে মায়ের গুরুত্বটুকু উপলব্ধি করতে পারে, মায়েদের কাছে সেটাই পরিণত হয়ে যায় অমূল্য সম্পদে। এ ছাড়াও মূল্যমানের দিক থেকে পৃথিবীর কোনো উপহারই মায়ের অবদানের সমতুল্য নয়, এরপরও ছোট্ট উপহার বিশেষ দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে পারে। তাহলে এদিনে কী পরিকল্পনা করেছেন বিশেষ মানুষটির জন্য। বছরে একটি দিন মায়ের জন্য বিশেষ কিছু করে তাকে চমকে দিতে পারা প্রত্যেক সন্তানের জন্যই আনন্দের। আসুন, তবে কিছু সারপ্রাইজ প্ল্যান করা যাক প্রিয় মায়ের জন্য। মা দিবসে মায়ের জন্য সেরা ১০টি উপহার- পছন্দের খাবার: মায়ের প্রতি আবেগের অভিব্যক্তি প্রকাশের সেরা উপায় হলো তার পছন্দের খাবারটি বানিয়ে তাকে খাওয়ানো। হতে পারে সেটা দুপুরের কোনো খাবার আইটেম বা বিকালের হাল্কা খাবার। মিষ্টান্ন খাবার অথবা কোনো ঝাল ভর্তা, যা বাসায় খুব একটা বানানো হয় না। মাকে না জানিয়ে আগের দিন রাতে বানিয়ে রেখে পরের দিন মাকে চমকে দেওয়া যায়। আবার রান্না ঘরে মায়ের সঙ্গে গল্প করতে করতে একসঙ্গে মিলে বানানো যেতে পারে খাবারটি। এভাবে একসঙ্গে রান্নায় মায়ের সঙ্গে দারুণ সময় কাটানো যাবে আর রান্নাপ্রিয় মায়েরা ভীষণ খুশিও হবেন। প্রিয় বই: মা যদি বই পড়তে ভালোবাসেন, তাহলে যে ধরনের বই তিনি সব সময় পড়েন তার সর্বশেষ সংস্করণটি যোগাড় করা যেতে পারে। এই পুরনো ও অকৃত্রিম উপহারটি যে কোনো 'বইয়ের পোকা'কে নিমেষেই পুলকিত করতে পারে। বই পড়ার সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক ও আরামের জায়গাটা অনেক আগে থেকেই প্রতিষ্ঠিত। দিনের সবচেয়ে প্রিয় মুহূর্তটিতে অনেকেই বেশ আয়োজন করে সময় কাটাতে বই নিয়ে বসে পড়েন। তারপর হারিয়ে যান নিজের প্রিয় কোনো জগতে। আর সেই বইটি যদি হয় নিজের সন্তানের দেওয়া তাহলে তার থেকে অমূল্য সম্পদ আর কী বা হতে পারে। রান্নার সরঞ্জাম: গৃহিণী মায়েদের দিনের সিংহভাগ সময় কাটে রান্নাঘরে। সন্তানসহ ঘরের প্রতিটি মানুষের আহারের দিকটা খুব দায়িত্বের সঙ্গে খেয়াল রাখেন এই মানুষটি। নিজে খাওয়ার থেকে পরিবারের প্রতিটি সদস্যকে খাইয়েই তিনি বেশি আনন্দ পান। তাই রান্নার কাজে সাহায্য হয় এমন কোনো সরঞ্জাম উপহার তার জন্য শুধু চমকপ্রদই হবে না, নিজের ভালোবাসার রান্নার কাজটিতে তিনি আরও বেশি করে মনোনিবেশ করতে পারবেন। রাইস কুকার, ওভেন, ব্লেন্ডারের মতো রান্নাঘরের সংযোজনগুলো ক্লান্তিকর কাজগুলোকে আরও সহজ করে তুলবে। শুধু গৃহিণী নয়, কর্মব্যস্ত মায়েদের জন্যও এই উপহারগুলো একটি সঠিক পছন্দ হতে পারে। অন্যন্য উপহার: উপহারের জিনিসটি যতো দামিই হোক না কেন, মায়ের ভালোবাসার কাছে সে সবই মূল্যহীন। এরপরও নিজের পরিশ্রম ও কষ্টার্জিত উপার্জনকে মায়ের ভালোবাসায় সিক্ত করার এক উপযুক্ত প্রয়াস হতে পারে এই উপহারগুলো। এটি হতে পারে মায়ের ঘরে ভেতরেই প্রতিদিন পড়ে থাকা কানের দুল বা বাইরে গেলে টুকটাক সাজসজ্জায় মা যেগুলো ব্যবহার করেন যেমন রোদচশমা, ব্যাগ, হিজাব, সুগন্ধি এসব জিনিসগুলো। এর যেকোনোটিই হিরা দিয়ে বাঁধিয়ে উপহার দেওয়া যেতে পারে মাকে। এটি হতে পারে সন্তানের পক্ষ থেকে তার চোখে পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর মানুষটিকে আরও বেশি সুন্দর করে তোলার শ্রেষ্ঠ উপহার। মায়ের জন্য শাড়ি: বাঙালি নারীর ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সঙ্গে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে এই বিশেষ পোশাক শাড়ি। ঘর থেকে শুরু করে বাঙালি সংস্কৃতির সঙ্গে সম্পৃক্ত যে কোনো অনুষ্ঠানে নারীর সৌন্দর্য ও আভিজাত্যের অবিসংবাদিত প্রতীক এই শাড়ি। মা দিবসে এই সৌন্দর্য সূচকটি দিয়ে সাজিয়ে তোলা যেতে পারে মাকে। মাকে সঙ্গে করে তার প্রিয় রঙের সন্নিবেশে তারই পছন্দ করা প্রিয় শাড়িটি কেনা যেতে পারে। এ ছাড়া, মাকে না জানিয়ে আগে থেকে কিনে রেখে মা দিবসে তাকে চমকে দেওয়া যেতে পারে। শুধু ভালোবাসার প্রকাশ নয়, আপন আনন্দের আতিশয্যে সন্তানের দেওয়া উপহারটি মা পরম মমতায় অঙ্গে ধারণ করবেন। ফুল গাছ: মায়েদের প্রিয় কাজের মধ্যে একটি হচ্ছে ঘর সাজানো। নানান জিনিসপত্র দিয়ে বারান্দা থেকে শুরু করে ঘরের প্রতিটি তিনি সাজিয়ে রাখেন পরম যত্নে। সৌন্দর্যবর্ধক বস্তুগুলোর অন্যতম ফুল গাছ। শো পিস বা কৃত্রিম ফুল গাছ হোক অথবা সত্যিকারের ছোট্ট টবের ফুল গাছই হোক, ঘরের অন্যান্য আসবাবের সঙ্গে গাছের সজ্জায় দারুণ পরিবেশ সৃষ্টি হয়। এটা সম্ভব করেন মা তার নৈপুণ্য দিয়ে। জানালার গরাদে বা বারান্দার ছোট্ট বাগানটির জন্য ছোট্ট ফুল গাছ মা দিবসের সেরা উপহার হতে পারে। মাকে নিয়ে ঘুরতে যাওয়া: প্রকৃতির মাঝে হেঁটে বেড়াতে বা লং ড্রাইভে বেরিয়ে পড়ুন মাকে নিয়ে। অথবা মা–বাবার জন্য ট্যুরের ব্যবস্থা করলেও মন্দ হয় না। এটাই হয়তো হবে মায়ের জন্য সবচেয়ে ভালো গিফট। নিত্যব্যবহার্য প্রসাধনী: মায়ের নিত্য ব্যবহার্য চিরুনি, তেল, সুগন্ধি ও ক্রিমসহ নানা প্রসাধনীগুলো উপহারের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক মায়ের সঙ্গেই থাকা যেতে পারে। সন্তান অনেক দূরে থাকলেও তার দেওয়া প্রসাধনীগুলো মা অনেক যত্ন নিয়ে ব্যবহার করবেন। যদিও বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মায়েদের প্রসাধনী ব্যবহারের প্রবণতা কমে যায়। কিন্তু এই প্রসাধনীগুলো সন্তানের পক্ষ থেকে শুধু উপহারই নয়, মায়ের নিজের শরীরের যত্ন নেওয়াতেও উদ্বুদ্ধ করবে। বিভিন্ন সময় পরিবারের বাইরের লোকদের সঙ্গে একত্রিত হওয়ার সময় তাদের সামনে মায়ের সাবলীল উপস্থিতির দিকে দৃষ্টি রাখা সন্তানের কর্তব্য। ভিডিও বা ফটো অ্যালবাম: সন্তানের বড় হওয়ার প্রতিটি ফ্রেমবন্দি মুহূর্ত আত্মীয়-স্বজনকে দেখাতে পছন্দ করেন সব মা-ই। এই ভালো লাগাটিকেই আরও বাড়িয়ে দিতে পারে সন্তানের সঙ্গে কাটানো সেরা কিছু মুহূর্তের ভিডিও বা ফটো অ্যালবাম। জন্মদিন, কোথায় ঘুরতে যাওয়া, বাসায় বিশেষ কোনো অতিথির আগমন ইত্যাদি পারিবারিক সময়গুলোতে মায়ের সঙ্গে অতিবাহিত দারুণ মুহূর্তগুলোকে রেকর্ড করে উপহার দেওয়া যেতে পারে। এ ছাড়া, বিভিন্ন সময়ে সন্তানের বিশেষ অর্জনের কথা জানানোর পর মায়ের প্রতিক্রিয়া রেকর্ড করে রাখা যেতে পারে। অনেক দিন পর সেই ভিডিও বা ছবিগুলো মাকে দেখালে তা এক অবিস্মরণীয় মুহূর্তের জন্ম দিতে পারে। প্রিয় জিনিস দিয়ে ঘর গোছানো: কোনো মা-ই তার সন্তানের কাছ থেকে কোনো বিনিময় আশা করেন না। এরপরেও হঠাৎ কোনো দিন বাড়িতে ঢুকে নিজের পছন্দের যাবতীয় জিনিস দিয়ে পরিপাটি করে সাজানো ঘর দেখে মা অবাক বনে যেতে পারেন। সন্তানরা বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের পছন্দগুলো দিয়ে প্রতিস্থাপিত হতে থাকে মায়ের পছন্দগুলো। এক সময় নিজেই ভুলে যেতে বসেন অনেক আগে তার কী পছন্দ ছিল। তাই এ ক্ষেত্রে সন্তানদের সাহায্য করতে পারেন বাবা ও নানা-নানিরা। মায়ের শৈশবের হারিয়ে যাওয়া আঁকার খাতা, শিক্ষাজীবনের অর্জন, প্রিয় শো-পিস, ওয়ালম্যাট প্রভৃতি যোগাড় করা খুব কষ্টসাধ্য হলেও তা মায়ের অমূল্য প্রতিক্রিয়ার কাছে অচিরেই ম্লান হয়ে যাবে। 
১২ মে ২০২৪, ১২:৪৪

মিশরে ৩০০ ফিলিস্তিনিকে দেওয়া হলো বাংলাদেশিদের উপহার
গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণের পর হাজারো ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছেন পাশের দেশ মিশরে। কেউ এসেছেন পরিবার হারিয়ে কেউ আবার পরিবারে বেঁচে থাকা অবশিষ্ট সদস্যদের নিয়ে।  ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই বাংলাদেশ সরকার ও সাধারণ মানুষ গাজায় নির্যাতিত অসহায় ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিভিন্ন সহযোগিতা ও অনুদান নিয়ে।  অনুদানগুলো গাজাবাসীর কাছে পৌঁছে দিতে কাজ করছেন বাংলাদেশের বেশ কয়টি চ্যারাটি সংস্থা। দেশের সাধারণ মানুষের এবং দেশের বাইরে থেকে প্রবাসীদের দেওয়া এসব অনুদান সঠিকভাবে আমানতদারির সঙ্গে অসহায় ফিলিস্তিনিদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে এসব চ্যারাটি সংস্থা। আর তাদের সহযোগিতা করতে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে এগিয়ে আসছে বিখ্যাত আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যায়নরত কিছু বাংলাদেশি শিক্ষার্থী। বাংলাদেশিদের দেওয়া অনুদানগুলো মিশরে থেকে আল-আজহার চ্যারিটি ফান্ডের মাধ্যমে রাফা সীমান্ত দিয়ে গাজায় পাঠানোর পাশাপাশি মিশরে আশ্রয় নেওয়া শরণার্থীদের মাঝেও বিতরণ করছেন বাংলাদেশিদের দেওয়া অনুদান। গত মঙ্গলবার কায়রোর নাসের সিটি দারুল আকরাম ইসলামি সেন্টারে ৩০০ ফিলিস্তিনি শরণার্থীকে ডেকে এনে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নগদ অর্থ, প্রতিটি পরিবারের জন্য অন্তত ১৫ দিনের খাবার, শিশুদের খেলনা ও বিভিন্ন উপহার সামগ্রী বিতরণ করেন হাফিজি হুজুর সেবা ফাউন্ডেশন। ফাউন্ডেশনটির চেয়ারম্যান মাওলানা রজীবুল হক মিশরের বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের চ্যারাটি ফান্ড ওয়ার্ল্ড উম্মাহ ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবীদের সহযোগিতায় নিজেই শরণার্থীদের হাতে তুলে দেন এসব অনুদান ও উপহার সামগ্রী। বাংলাদেশিদের পাঠানো উপহার নিতে আসা বেশ কয়েকজন শরণার্থীর সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তাদের মধ্যে একজনের নাম মিস রেহাব মোহাম্মদ। তিনি বলেন, ইসরায়েলের হামলায় আমার মা-বোনসহ পরিবারের অনেকেই শহীদ হয়েছেন। আমি আমার ৮৫ বছর বয়সী বাবাকে নিয়ে গাজার তূফফা থেকে জর্দান হয়ে কোনোভাবে প্রাণে বেঁচে কায়রো এসেছি, গাজায় আমার বাড়িঘর সবই ছিল। ইসরায়েলিদের হামলায় আজ আর কিছুই অবশিষ্ট নেই, সবকিছুই শেষ হয়ে গেছে। তিনি বলেন, বেঁচে থাকা আমার পরিবারের সদস্যরা এখন খান ইউনিস আশ্রয় কেন্দ্রের একটি তাঁবুতে কোনো রকমভাবে বেঁচে আছে। আমি তোমাদের দেশের মানুষের পাঠানো সাহায্য নিয়ে বৃদ্ধ বাবাকে নিয়ে এখানে বেঁচে আছি। রিহাব ভিডিও কলের মাধ্যমে খান ইউনিস শিবিরের ঐ তাঁবুতে থাকা তার মায়ের সঙ্গেও কথা বলিয়ে দেন এই প্রতিবেদককে।  
১১ মে ২০২৪, ২০:৪৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়