বছরের প্রথম পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ সোমবার
চলতি বছরের প্রথম পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ হতে যাচ্ছে আগামী সোমবার (১৬ মে)। দক্ষিণ-পশ্চিম ইউরোপ, দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়া, আফ্রিকা, উত্তর আমেরিকার বেশির ভাগ অংশ, দক্ষিণ আমেরিকা, প্রশান্ত মহাসাগর, ভারত মহাসাগর, আটলান্টিক এবং অ্যান্টার্কটিকাসহ বেশ কয়েকটি অঞ্চলে এ চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে।
শনিবার (১৪ মে) জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোমবার বাংলাদেশ সময় সকাল ৯টা ২৯ মিনিট থেকে ১০টা ৫৩ মিনিট পর্যন্ত এ চন্দ্রগ্রহণ চলবে। তবে এ চন্দ্রগ্রহণ বাংলাদেশে দৃশ্যমান হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
এ বিষয়ে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেন, দিনের বেলায় এই চন্দ্রগ্রহণ হওয়ায় বাংলাদেশে তা দেখা যাবে না। তবে সৌরজাগতিক এ ঘটনা সবার জন্য শিক্ষণীয়।
মন্তব্য করুন
দুর্দান্ত ফিচারে এলো নতুন ই-স্কুটার, এক চার্জেই চলবে ১৩৬ কিলোমিটার
দারুণ সব ফিচার নিয়ে দুর্দান্ত রেঞ্জের এক ইলেকট্রিক স্কুটার বাজারে আনলো অ্যাম্পিয়ার নেক্সাস। একবার ফুল চার্জেই ১৩৬ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে সক্ষম স্কুটারটি, ইতোমধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছে ভারতের বাজারে। পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ১ লাখ ১০ হাজার রুপি দামে।
লম্বা পথ পাড়ি দিতে স্কুটারটিতে যুক্ত করা হয়েছে ৩ কিলোওয়াট আওয়ার ব্যাটারি ক্যাপাসিটি। মে মাসের দ্বিতীয় ধাপ থেকেই শুরু হবে এর ডেলিভারি।
ইলেকট্রিক এ স্কুটারটি দুইটি ভ্যারিয়েন্ট লঞ্চ করেছে অ্যাম্পিয়ার নেক্সাস। একটি বেস মডেল যার নাম ইএক্স। অন্যটি টপ মডেল এসটি। বেস মডেলটি ১ লাখ ১০ হাজার রুপিতে মিললেও টপ মডেলটির জন্য খরচ করতে হবে অতিরিক্ত আরও ১০ হাজার রুপি। স্কুটারটি পাওয়া যাবে চারটি রঙে- জান্সকার অ্যাকুয়া, লুনার হোয়াইট, ইন্ডিয়ান রেড এবং স্টিল গ্রে।
স্কুটারটিতে যে ব্যাটারি প্যাক দেওয়া হয়েছে, ৩.৩ কিলোওয়াট থেকে সর্বোচ্চ ৪ কিলোওয়াট শক্তি তৈরি করতে পারে তা। একবার ফুল চার্জে ১৩৬ কিলোমিটার রেঞ্জ দিতে সক্ষম ব্যাটারিটি। স্কুটারটির সর্বোচ্চ গতি ৯৩ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। এতে চারটি রাইডিং মোড রয়েছে- ইকো, সিটি, পাওয়ার এবং লিম্প হোম। ১৬ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলেও স্কুটারটিকে চালানো যাবে বলে দাবি এর নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের। ৩ কিলোওয়াট আওয়ার ব্যাটারি প্যাকটি চার্জ হতে সময় লাগে ৩ ঘণ্টা ৩০ মিনিট। অবশ্য ফাস্ট চার্জিংয়ের বিকল্প ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে এতে।
অ্যাম্পিয়ার নেক্সাসের এই স্কুটারটির সামনে ডিস্ক ব্রেক এবং পেছনে ড্রাম ব্রেক দেওয়া হয়েছে। ১ লাখ ২০ হাজার রুপির এসটি মডেলটিতে গ্রাহকরা পাবেন ৭ ইঞ্চির টাচস্ক্রিন, সঙ্গে ব্লুটুথ কানেক্টিভিটি এবং টার্ন-বাই-টার্ন নেভিগেশন। আর বেস মডেলে মিলবে ৬.২ ইঞ্চি এলসিডি ডিসপ্লে, সঙ্গে ব্লুটুথ কানেক্টিভিটি। স্কুটারে মিউজিক কন্ট্রোল এবং চার্জিং স্টেটাসও দেখা যাবে।
নতুন এই স্কুটারটিতে সিটের উচ্চতা রাখা হয়েছে ৭৬৫ মিলিমিটার। সম্পূর্ণ এলইডি লাইটিং ও ১৭০ মিলিমিটার গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেনসের পাশাপাশি ২৩৫ মিলিমিটার ফ্লোরবোর্ড স্পেস রাখা হয়েছে এতে। মূলত পরিবার-কেন্দ্রিক একটি বাইক নির্মাণের প্রচেষ্টা থেকেই এই ইলেকট্রিক স্কুটারটি বাজারে এনেছে অ্যাম্পিয়ার নেক্সাস। নিত্যদিনের যাতায়াতের জন্য বাড়ির সবাই যেন চালাতে পারেন সেই উদ্দেশ্যেই লঞ্চ করা হয়েছে নতুন এই ইলেকট্রিক স্কুটার।
প্লাস্টিক রিসাইক্লিং করার নতুন উপায়
প্লাস্টিক পণ্য শুধু তখনই রিসাইকেল করা যায় যখন সেটি একই ধরনের প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি হয়৷ কিন্তু বেশিরভাগ প্যাকেজিংয়ে কয়েক ধরনের প্লাস্টিক থাকে৷ সে কারণে রিসাইকেল করতে চাইলে আগে বিভিন্ন প্লাস্টিক আলাদা করতে হয়৷
কীভাবে সেটা করা হয়?
প্রথমে বর্জ্য টুকরো করেন সামান্থা ও তার দল৷ এরপর তাদের তৈরি গোপন এক রাসায়নিক মিশ্রণে সেগুলো মেশান৷ অন্য দুই সহকর্মী বার্দিয়া ভালিজাদেহ ও ক্রিস্টোফার আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে মিলে গোপন রিএজেন্টটি উদ্ভাবন করেছেন সামান্থা অ্যান্ডারসন৷ তারা তাদের উদ্ভাবনকে এখন ব্যবসায় পরিণত করছেন৷ সামান্থাদের প্রোটোটাইপ একটা প্ল্যান্টে আছে৷ সেখানে তাদের একটা ঘর আছে, যেখানে তারা তাদের কেমিক্যাল রিসাইক্লিং সিস্টেম তৈরি, পরীক্ষা ও তার মান উন্নয়ন করতে পারে৷ টেরেফথ্যালিক এসিড, যেটা পিইটি তৈরির মূল উপাদান, সেটা এই ফিল্টারে ধরা হয়৷
সামান্থা অ্যান্ডারসন বলেন, মিশ্রণে যদি পিইটি, আর পিভিসি থাকে, তাহলে বিক্রিয়াটা পিইটি প্লাস্টিককে লক্ষ্য করে হয়৷ বিক্রিয়ায় সময় পিভিসি প্রতিক্রিয়া দেখায় না, পিইটি দেখায়৷ সে কারণে আমরা আসলে পিইটি থেকে বিভিন্ন কঠিন পদার্থ পৃথক করতে পারি এবং তারপর আমরা পিইটি থেকে মনোমার পৃথক করতে পারি৷
এরপর মিশ্রণটা ছেঁকে নেওয়া হয়, যেটা নতুন প্লাস্টিক তৈরির মূল উপাদান৷ শেষে যা তৈরি হয়, তা হচ্ছে সাদা পাউডার৷ এটাকে (সাদা পাউডার) বলে বিশুদ্ধ টেরেফথ্যালিক এসিড৷ বর্তমানে এটা তেল ইন্ডাস্ট্রি থেকে পাওয়া যায়৷ অপরিশোধিত তেল একটা শোধন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যায় এবং সেখান থেকে এই সাদা পাউডার পাওয়া যায়৷ এই পাউডার দিয়ে যে-কোনো ধরনের পিইটি পণ্য, পলিয়েস্টার, যে-কোনো ধরনের প্লাস্টিক, যার মধ্যে টেরেফথ্যালিক এসিড, তৈরি করা যায়৷ আর এখন আমরা তেল থেকে না করে প্লাস্টিক বর্জ্য দিয়ে এটা বানাতে পারছি৷
কিন্তু কেমিক্যাল রিসাইক্লিং কি টেকসই?
সামান্থা বলেন, এটা নিরাপদ হতে পারে৷ আসলে আমরা যে রাসায়নিক ব্যবহার করছি তার বেশিরভাগের সংস্পর্শেই হয়ত আপনি নিয়মিত আসছেন৷ এটা হয়ত রুটি তৈরিতে ব্যবহৃত হচ্ছে৷ হয়ত টুথপেস্টে আছে৷ ফলে এটা নিরাপদ হতে পারে, টেকসই হতে পারে৷ এটা শুধু সঠিক পদ্ধতি বেছে নেওয়ার বিষয়, যেটা আমরা বের করেছি৷ এটাই আমাদের প্রযুক্তির বিশেষত্ব, কারণ রসায়নটা খুব সাধারণ৷
তারা তাদের কেমিক্যাল রিসাইক্লিং প্রক্রিয়া সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে চান৷