ব্যর্থ হয়ে গুজবের কথা বলছে সরকার: মির্জা ফখরুল (ভিডিও)
বিএনপির কার্যালয় গুজবের ফ্যাক্টরি-এমন বক্তব্যের জবাবে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলগমীর বলেছেন, ব্যর্থ হয়ে গুজবের কথা বলছে সরকার।
শুক্রবার বিকেলে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার আরাজী ভোগডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
এসময় মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগের কথায় তারা গুরুত্ব দেন না। কারণ সরকারের লোকজন সবসময় মিথ্যা বলেন। বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে ত্রাণ সংকট দেখা দিলেও সরকারের মন্ত্রী ও এমপিদের দেখা নেই। তারা বন্যার বিষয়টাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না বলেও মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল। এর আগে লালমনিরহাটে ত্রাণ বিতরণ করেন তিনি।
আরও পড়ুন
পি
মন্তব্য করুন
ফেসবুকে মনের কথা লিখলেও তুলে নিয়ে যায় : মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার সারাদেশে ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই। ফেসবুকে মনের কথা লিখলেও তুলে নিয়ে যায়।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ঈদ উপহার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলনে শামিল হওয়ায় আমাদের ছাত্রদল-যুবদলের ছেলেদের নির্যাতন করা হয়েছে। তারা কোনো চিকিৎসা পায়নি। তাদের নির্যাতন করে জেলে ফেলে রাখা হয়েছে। এরপর জেলেও তাদের কোনো চিকিৎসার সুযোগ দেওয়া হয়নি। আমরা খবর পেয়ে বিভিন্নভাবে চেষ্টা করে তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি।
কারাবাসের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, একটি ছেলের সিরাজগঞ্জে বাড়ি, ফেসবুকে একটি পোস্টে লাইক দেওয়ার কারণে র্যাব তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে প্রায় ১৪ দিন নির্যাতন করার পর আরেকটি মিথ্যা মামলায় জেলে পাঠিয়েছে। সে এখনও জামিন পাচ্ছে না।
তিনি বলেন, দেশে গণতন্ত্র, সুশান ও মানবাধিকার নেই। একটি জাতি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে আমরা সংগ্রাম করছি। একটি গণতান্ত্রিক দলের পক্ষে যতটুকু সম্ভব নয় তার চেয়েও বেশি সংগ্রাম আমরা করছি। হাজার হাজার মানুষ রাজপথে আসছে, রাজপথে আমাদের ছেলেরা প্রাণ দিয়েছে।
জিয়াউর রহমানের ম্যুরাল ভাঙায় ফখরুলের প্রতিবাদ
নারায়ণগঞ্জে জিয়াউর রহমানের ম্যুরাল ভাঙার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার (৫ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে তিনি এই নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা বর্তমানে এক প্রতিহিংসাপরায়ণ দখলদার সরকারের দ্বারা শাসিত দেশে বসবাস করছি। মানুষের জানমালের নিরাপত্তাসহ গণতান্ত্রিক ও মৌলিক অধিকারটুকুও হরণ করা হয়েছে। শহীদ জিয়াউর রহমান ৭১ এর রণাঙ্গনের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সেক্টর কমান্ডারই নন, তিনি ছিলেন বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা। বর্তমান সরকার চরম প্রতিহিংসাপরায়ণ বলেই নারায়ণগঞ্জের চাষাড়ায় শহীদ জিয়া হলের ওপরে থাকা জিয়াউর রহমানের ম্যুরালের অস্তিত্ব সহ্য করতে না পেরে দলীয় ক্যাডারদের দিয়ে ভেঙে ফেলেছে।
বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী শুধু গণতন্ত্রকেই যে ধ্বংস করেছে তা নয়, জাতীয় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে ক্রমান্বয়ে দুর্বল করে তুলেছে। ম্যুরাল ভেঙে ফেলার মধ্য দিয়ে আমাদের রক্তার্জিত জাতীয় স্বাধীনতাকে অপমানিত করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী একটি অপশক্তি। দেশ পরিচালনায় সর্বক্ষেত্রে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে জনদৃষ্টিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য সরকার এখন জুলুম, নির্যাতন, প্রতিহিংসা ও প্রতিশোধের সর্বনাশা খেলায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
এ সময় জিয়াউর রহমানের ম্যুরাল ভেঙে ফেলার সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঈন খানের বাসায় এবার জার্মান ও সুইস রাষ্ট্রদূত
যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনারের পর এবার রাজধানীর গুলশানে মঈন খানের বাসায় নৈশভোজ করলেন ঢাকাস্থ জার্মান রাষ্ট্রদূত আসিম টর্স্টার ও সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেতো রেংগলি।
রোববার (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ইফতার ও নৈশভোজের আমন্ত্রণে আসেন তারা। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানান।
জানা গেছে, এসময় চীনের উপ–রাষ্ট্রদূত ইয়ান হুয়ালং ও দ্বিতীয় সচিব গু ঝিকিনও তাদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, শনিবার (৬ এপ্রিল) মঈন খানের বাসায় ইফতার ও নৈশভোজে অংশ নিয়েছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ ক্যাথেরিন কুক।
কারাগারেই ঈদ বিএনপির যেসব নেতার
গ্রেনেড হামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম পিন্টু ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর বছরের পর কারাগারে ঈদ করছেন। গত বছরের ২৮ অক্টোবরের আগে-পরে বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতা থেকে শুরু করে তৃণমূলের কয়েক হাজার নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে যান। গত জাতীয় নির্বাচনের পর কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি তৃণমূলের অসংখ্য কর্মীও জামিনে মুক্তি পেয়ে কারাগার থেকে বেরিয়ে আসেন। তবে এখনও দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রায় ১২ জন নেতা কারাগারে রয়েছেন।
বাবাকে ছাড়া ঈদ করা নিয়ে আক্ষেপের কথা জানিয়ে সম্প্রতি কারাগারে যাওয়া বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেলের মেয়ে জান্নাতুল ইলমী সূচনা বলেছেন, ৪৯০টিরও বেশি মামলায় কেরানীগঞ্জের কারাগারে আছেন বাবা। বছরের ছয় মাস জেল কিংবা ছয় মাস পলাতক থাকেন, ফলে কোনো উৎসব আয়োজনে বাবাকে পাওয়া যায় না। সন্তান হিসেবে বাবার দেখা মেলে না।
বিএনপির মিডিয়া সেলের অন্যতম সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, কেন্দ্রীয় কমিটি এবং অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী এখনও কারাগারে রয়েছেন। এবারের ঈদে এসব নেতাকর্মীদের পাশে পাবে না পরিবার।
তিনি জানান, এ মুহূর্তে কারাগারে আছেন বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম পিন্টু, চেয়ারপারসন উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, আসলাম চৌধুরী, হাবিব উন নবী খান সোহেল, প্রকাশনা সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম হাবিব, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, নির্বাহী সদস্য লুৎফুজ্জামান বাবর, নির্বাহী সদস্য ও যুবদল সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান, সদস্য ও ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান, স্বেচ্ছাসেবক দলের দপ্তর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি মোস্তফা কামাল হৃদয়, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এ খোকন, উত্তরা থানার ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক আনোয়ার, সাবেক কমিশনার হারুন অর রশীদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের আজিজুর রহমান মুসাব্বির, ছাত্রদলের সাবেক সহ সভাপতি ইখতিয়ার রহমান কবির, ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক কাজী জিয়াউদ্দিন বাসিত প্রমুখ।
বিএনপির মিডিয়া সেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এর আগে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে চারটি ঈদ কেটেছে বিএনপির চেয়ারপারসনখালেদা জিয়ার। এরপর ২০২০ সালের পর থেকে গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় ঈদ করে আসছেন দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। মাঝে ২০২৩ সালের ২টি ঈদ কেটেছে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে। এবার তিনি ঈদ করবেন গুলশানের বাসভবনে।
নেতাকর্মীদের ঈদ পালন করতে হয় শোকাচ্ছন্ন পরিবেশে : রিজভী
বিএনপির নেতাকর্মীদের এক শোকাচ্ছন্ন পরিবেশে ঈদ পালন করতে হয় বলে মন্তব্য করেছেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বুধবার (১০ এপ্রিল) রাজধানীর শেওড়াপাড়ায় এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আমরা এমন এক দুঃসময় পার করছি, আমাদের বিএনপির নেতাকর্মীদের ঈদ পালন করতে হয় এক শোকাচ্ছন্ন পরিবেশে। যার বাসায় যাব, দেখব গুলিতে তার এক পা পঙ্গু, নাহলে তার চোখ অন্ধ। অথবা পরিবারের একটি সন্তান গুম হয়ে গেছে। হয়তো তিন মাস-চার মাস, তিন বছর-পাঁচ বছর-দশ বছর। যদি কারও বাসায় যাই দেখব, তার সন্তানটি কিছু দিন আগেই বিচার বহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছেন। বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িতে ঈদের আনন্দ যেন এক নিরানন্দ পরিবেশের মধ্যে পালন করতে হয়।’
তিনি বলেন, ‘জনগণ কষ্টে আছে। ঈদের আগে বাজারে তেমন ভিড় নেই। দ্রব্যমূল্যের এত ঊর্ধ্বগতি, বিশেষ করে খাদ্যপণ্য। এ যেন ছোঁয়া যায় না! একটা লেবুর দাম ২৫ থেকে ৩০ টাকা। ইফতারের জন্য মানুষ লেবু কিনতে পারে না। চিনি অধরা থেকে গেছে। এই তো পরিস্থিতি।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকারের কাছে জনগণের ইচ্ছা-অনিচ্ছার দাম নেই। একটি দেশ তাদের সঙ্গে রয়েছে। তারা নিজেদের গণতান্ত্রিক বলে দাবি করে। ভোট নিয়ে যে তেলেসমাতি, সেখানেও এই পার্শ্ববর্তী দেশ আওয়ামী লীগ সরকারকে সমর্থন করে। পিনাক রঞ্জন নামে তাদের একজন কূটনীতিক, বাংলাদেশে ভারতের হাইকমিশনার ছিলেন। তিনি দিল্লিতে বলেছেন, যখন সবকিছু হয়ে যাচ্ছে, নির্বাচন হয়ে যাচ্ছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাম্বাসেডর আত্মগোপনে চলে গেছেন।’
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যে জালিয়াতির নির্বাচন, আমরা আর মামুরার নির্বাচন, ডামি নির্বাচন, আওয়ামী লীগ আর আওয়ামী লীগ নিজেদের নির্বাচন এবং এটি প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন নয়; এটা আজকে প্রতিষ্ঠিত। পৃথিবীর বিভিন্ন গণতন্ত্রকামী দেশের এই মত।’
যেখানে ঈদ করবেন খালেদা জিয়া
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসা ‘ফিরোজায়’ পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করবেন বলে জানিয়েছেন চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন।
বুধবার (১০ এপ্রিল) খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কথা জানাতে গিয়ে তিনি এ তথ্য জানান।
জাহিদ হোসেন বলেন, ম্যাডাম অসুস্থ, গুলশানের বাসায় মেডিকেলে বোর্ডের অধীনে চিকিৎসাধীন। বোর্ডের চিকিৎসকদের সার্বক্ষণিক মনিটরিংয়ে আছেন তিনি।
তিনি জানান, ঈদের দিনে ঢাকায় তার যেসব নিকটাত্মীয়-স্বজন আছেন, তারা বাসায় দেখা করতে আসবেন। তাদের নিয়ে সময় কাটাবেন ম্যাডাম। এ ছাড়া লন্ডন থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও বিএনপি চেয়ারপারসনের ছেলে তারেক রহমান এবং তার সহধর্মিণী ডা. জোবায়েদা রহমান ভার্চ্যুয়ালি তার সঙ্গে কথা বলবেন।
তিনি আরও জানান, এর আগের কয়েকটি ঈদে লন্ডন থেকে খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শার্মিলা রহমান সিঁথি এবং তার দুই মেয়ে জাহিয়া রহমান ও জাফিয়া রহমান ঢাকায় এসেছিলেন। খালেদা জিয়া তাদের নিয়ে ঈদ উদযাপন করেছেন। তবে এবার তাদের কেউ আসেননি। যদিও বড় বোন (খালেদা জিয়া) প্রয়াত খুরশীদ জাহান হকের যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও জাপানে প্রবাসী তিন ছেলে ছাড়াও আরেক বোনের ছেলের মেয়ে ঢাকায় এসে এই রোজার মধ্যেই খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে চলে গেছেন।
উল্লেখ্য, খালেদা জিয়া হার্টের সমস্যা ও লিভারসিরোসিস ছাড়াও নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। এ ছাড়া আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, দাঁত ও চোখের সমস্যাসহ নানান জটিলতা রয়েছে তার। এরই মধ্যে কয়েক দফা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন তিনি।
২০২২ সালের জুনে খালেদা জিয়ার এনজিওগ্রাম করা হলে তার হৃদ্যন্ত্রে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর একটিতে রিং পরানো হয়। এরপর থেকে কয়েক দফায় এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন তিনি।
খালেদা জিয়ার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি পাঁচ বছরের সাজা হয়। সেদিন থেকে তিনি কারাবন্দি হন। ২০২০ সালের মার্চে করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে সরকার খালেদা জিয়ার দণ্ড ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে মুক্তি দেয়। এরপর দফায় দফায় তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে।
ইসরায়েল থেকে ঢাকায় ফ্লাইট নামা রহস্যজনক : রিজভী
ইসরায়েল থেকে কার্গো বিমান বাংলাদেশের বিমানবন্দরে ওঠা-নামা নিয়ে রহস্যের গন্ধ পেলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ইসরায়েলের অর্থনীতিক নগরী তেল আবিব থেকে সম্প্রতি সরাসরি একটি ফ্লাইট ঢাকায় অবতরণ করেছে। ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনীতিক কোনো সম্পর্ক না থাকলেও সেখান থেকে সরাসরি বাংলাদেশে ফ্লাইট অবতরণ করার বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগের।
শনিবার (১৩ এপ্রিল) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম।
রিজভী বলেন, ইসরায়েল থেকে ঢাকায় ফ্লাইট নামার বিষয়ে আমি এখনও বিস্তারিত কিছু জানি না। তবে যতটুকু শুনতে পাচ্ছি তাতে এ ঘটনা খুবই রহস্যজনক ও উদ্বেগজনক বলে মনে করছি।
গত ১১ এপ্রিল ইসরায়েলের তেল আবিব থেকে স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টায় রওনা হয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ঢাকায় অবতরণ করে ফ্লাইটটি। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের এনসিআর-৮০৬ নম্বর ফ্লাইটটি বোয়িং ৭৪৭-৪০০ মডেলের এয়ারক্রাফট দিয়ে পরিচালিত হচ্ছিল।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিশ্বের শীর্ষ দুর্নীতিগ্রস্ত তালিকায় এখন বাংলাদেশের নাম। বাংলাদেশ এখন ব্যাপকভাবে দুর্নীতি চাষের উর্বর ভূমি। বাংলাদেশ দুর্নীতির এমন একটি পাহাড় রচিত হয়েছে, সেই পাহাড়ের চূড়ায় এখন ক্ষমতাসীন শাসক গোষ্ঠীর লোকেরা অবস্থান করছে।
রিজভী বলেন, আন্তর্জাতিক সংস্থার গবেষণা মতে বর্তমানে দুর্নীতির শীর্ষ দশের মধ্যে মাঝামাঝি অবস্থায় বাংলাদেশ অবস্থান করেছে। এমনকি দুর্নীতির মাধ্যমে লুটপাট করে টাকার পাচার করে বিশ্বের উন্নত দেশের শীর্ষ ধনীদের মাঝেও নাম লেখাতে সক্ষম হয়েছেন ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী এবং তাদের আত্মীয় স্বজনরা। বাংলাদেশ এখন দুর্নীতিতে বিপর্যস্ত। দুর্নীতি আর রাষ্ট্রীয় অর্থ হরিলুট করেই চলছে ক্ষমতাসীনরা। পৃথিবীর ধনী দেশে দুর্নীতির টাকা দিয়ে স্বর্গরাজ্য গড়ে তুলতে পারছেন।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয়ভাবে দুর্নীতিকে আশকারা দিয়ে, দুর্নীতিতে নিমজ্জিত থাকতে সুযোগ দিয়ে, দুর্নীতির টাকা নিয়ে সমাজে আধিপত্য বিস্তারে মত্ত হয়ে উঠেছে। এখন দেখছেন ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর আধিপত্যের জেরে জনপথের পর জনপথ রক্তাক্ত হয়ে উঠছে। আজও মুন্সিগঞ্জে তাদের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে একজন খুন হয়েছেন।