• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo

৯ সংস্থার নির্বাচন পর্যবেক্ষণের অনুমতি বাতিলের দাবি আওয়ামী লীগের

অনলাইন ডেস্ক
  ২৫ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৯:১৯

বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে নয়টি দেশীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থার নির্বাচন পর্যবেক্ষণের অনুমতি পত্র বাতিলের জন্য নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে দাবি জানিয়েছে আওয়ামী লীগ। জানালেন জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম।

সংস্থাগুলো হলো ডেমোক্রেসি ওয়াচ, খান ফাউন্ডেশন, লাইট হাউজ,বাংলাদেশ মানবাধিকার সমন্বয় পরিষদ, জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন, নবলোক, কোস্ট ট্রাস্ট, শরিয়তপুর ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি ও নোয়াখালী রুরাল ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি।

আজ (মঙ্গলবার) দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় নির্বাচনের বিভিন্ন তথ্যাদি জানাতে স্থাপিত মিডিয়া সেন্টারের উদ্ধোধন কালে এ কথা জানান তিনি।

এইচ টি ইমাম বলেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও)’র ৯১/সি ধারা লংঘন করে বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে সম্পৃক্ত অথবা তাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের প্রতি সমর্থনকারী ও সহানুভূতিশীল ১১টি স্থানীয় সংস্থাকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের অনুমতি দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, তার মধ্যে ৯টি সংস্থা মোট ১৪০টি সংসদীয় আসনে মোট ৬৫৮৫ জন পর্যবেক্ষককে পাঠাচ্ছে। যারা প্রায় সকলেই বিএনপি-জামায়াতের সক্রিয় রাজনৈতিক কর্মী। এই নির্বাচন নিয়ে বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই এটি করা হয়েছে।

বিদেশি পর্যবেক্ষক সংস্থা আনফ্রেলের বিষয়ে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক নির্বাচনী পর্যবেক্ষক সংস্থা আনফ্রেলের বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের প্রতিনিধি বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আদিলুর রহমান শুভ্র। তিনি সরাসরি বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত।

তিনি বলেন, শুভ্র আনফ্রেলের পরিচালনা পর্ষদেরও সদস্য। তা স্বত্বেও যাচাই বাছাই করে আনফ্রেলের ৬ পর্যবেক্ষককে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের অনুমতি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

নির্বাচনে সেনাবাহিনী নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ড. কামাল হোসেনের বিবৃতির কথা উল্লেখ করে এইচ টি ইমাম বলেন, ড. কামাল অনুশাসনমূলক লিখিত যে বিবৃতি দিয়েছেন তা সংবিধান ও আইনের পরিপন্থী।

তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত নির্বাচনের আগে দেশে বড় ধরনের একটি নাশকতামূলক হামলার পরিকল্পনা করছে। এ ধরনের হামলা মোকাবেলায় দেশের প্রতিটি মানুষকে সচেতন থাকতে হবে।

এইচ টি ইমাম বলেন, জাতীয় নির্বাচনকে ভুন্ডুল ও প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য নানা মুখী ষড়যন্ত্র ছিল, এখনও তা অব্যাহত রয়েছে। নির্বাচনের প্রচারণা শুরু হওয়ার পর থেকে বিএনপি-জামায়াত ও ঐক্যফ্রন্টের সন্ত্রাসীদের হাতে আওয়ামী লীগের ৫ নেতা-কমী নিহত হয়েছে এবং ৩৫০ নেতা-কর্মী মারাত্মকভাবে আহত হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রতি মুহুর্তে আমরা বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীদের হাতে আমাদের প্রার্থী ও দলীয় নেতা-কর্মী আক্রান্ত হওয়ার খবর পাচ্ছি।

এ সময় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী সংসদের সদস্য আকতারুজ্জামান, উপ-দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, সাংস্কৃদিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের এ আরাফাতসহ সিনিয়র সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন :

জেএইচ

মন্তব্য করুন

daraz
  • আওয়ামী লীগ এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh