• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo

গভীর রাতে বাড়িতে গিয়ে হামলা করা হচ্ছে: মান্না

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ২৩ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৯:০২

নাগরিক ঐক্যর আহ্বায়ক ও বগুড়া-২ আসনের জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ‘আমরা আগে বলতাম নির্বাচনী যুদ্ধ। এখন সত্যিকার অর্থে নির্বাচনের নামে যুদ্ধই হচ্ছে। আওয়ামী লীগ সরকার তাই করছে। আমার এলাকায় গভীর রাতে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে হামলা করা হচ্ছে, গ্রেপ্তার করা হচ্ছে নির্বাচনী এজেন্ট ও দলীয় নেতাকর্মীদের। সারাদেশে একই অবস্থা বিরাজ করছে। নির্বাচন কমিশনকে কিছু বলে কাজ হয় না।’

রোববার (২২ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশন ভবনে সচিবের সাথে দেখা করে নিজের নির্বাচনী এলাকায় নানা অনিয়ম, প্রতিবাদ ও ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কমিশন কর্মকর্তাদের সাথে দেখা করে লিখিত চিঠি দেন। পরে তিনি সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান তিনি।

এসময় তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন ঠুঁটো জগন্নাথের মতো শুধু কথা শোনে। তারা শুধু বলে ব্যাপারটা আমরা দেখছি। আজও যে অভিযোগ নিয়ে এসেছি, ইসি কর্মকর্তারা বলছেন ডিসিকে পাঠিয়ে দিচ্ছে। এর আগেও অনেক অভিযোগ করা হয়েছে। ফল পাইনি। কোনও অভিযোগের ব্যাপারে অ্যাকশন আমরা দেখিনি।

তিনি আরও বলেন, বহু প্রার্থী গ্রেপ্তার হয়েছে। নির্বাচনে প্রার্থিতা নিয়েও নানা নাটক মঞ্চস্থ করা হচ্ছে। সমগ্র বিশ্ব আজ উদ্বিগ্ন। আজ পত্রিকাতে দেখলাম জাতিসংঘ পর্যন্ত উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এটা একটা নারকীয় পরিবেশ, এটা কোনও নির্বাচনী পরিবেশ নয়। এভাবে যদি নির্বাচন হয় তাহলে একপাক্ষিকভাবে জোর করে জেতার চেষ্টা করবে। তখন যদি জনগণ ফুঁসে ওঠে তাহলে এর পরিণতির জন্য এরাই দায়ী থাকবে যারা ক্ষমতায়।

তিনি বলেন, আশার কথা হলো, ঠাকুরগাঁও থেকে চট্টগ্রাম সারা দেশে যেখানেই খবর পাচ্ছি, মানুষের মধ্যে একটা স্বতঃস্ফূর্ততা আছে। মানুষের মধ্যে দৃঢ়তা দেখা গেছে। মানুষ ভোট দিতে চায়। কিন্তু মানুষ যাতে ভোট দিতে না পারে সরকার ও তার দল আওয়ামী লীগ সব ধরনের চেষ্টা করছে। জনগণের ভোট ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা ও সন্ত্রাস করছে। পরাজয়ের গ্লানি ঢাকার জন্য তাদের এই চেষ্টা।

মান্না বলেন, আমি গত ৫-৬ দিন ধরে আমার নির্বাচনী এলাকায় বিভিষীকার রাজত্ব দেখছি। এরআগে দেখিনি। গত ১০ ডিসেম্বর থেকে এসব দেখছি। আমাকে হাইওয়েতে প্রচারণা কর্মসূচি করতে দেয়া হয়নি বিরোধীপক্ষের কারণে। পুলিশকে আগে জানালেও আমাকেই সরে যেতে অনুরোধ করে পুলিশ।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম এ নেতা বলেন, এরপর থেকে যেখানেই যাচ্ছি সেখানে হয়রানি করা হচ্ছে, পোস্টার ছেড়া হচ্ছে, কর্মীদের মারধর, অফিসে হামলা করা হচ্ছে। নিরঙ্কুশ সমর্থন দেখে প্রতিপক্ষ এসব করছে। যেভাবে ককটেল ফাটিয়ে মামলা দিচ্ছে। আমার নির্বাচনী কমিটির প্রত্যেক সদস্যকে ধরে ধরে মামলা দেয়া হচ্ছে। কেউ জামিন পাচ্ছে না। পুলিশ এদের খুঁজছে। গত রাত সাড়ে ৩টায় ৪৪ জনের নামে মামলা নেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, বাড়ির সামনে থেকে গ্রেপ্তার, ফসলি জমি থেকে গ্রেপ্তার, নির্বাচনী অফিস থেকেও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। নারায়ণগঞ্জে যখন গেলাম সেখানে রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে আমাদের আটকানোর চেষ্টা হলো, অনুমতি দেয়া হলেও আমাদের মাইক ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হলো। তবুও আমরা ট্রাকে দাঁড়িয়ে এক হাত মাইকেই সমাবেশ করেছি। মানুষের ঢল নেমেছিল সেখানে।

চিঠিতে মাহমুদুর রহমান মান্না গ্রেপ্তার নেতাকর্মীদের মুক্তি, নতুন মামলা না দেয়া ও গ্রেপ্তার বন্ধ, বিনা বাধায় প্রচার ও পোস্টার ছেড়া বন্ধ নিশ্চিত করা এবং পুলিশকে রাষ্ট্রীয় বাহিনীকে সত্যিকার অর্থে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের পাঁচ দফা দাবি পেশ করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মমিনুল ইসলাম, প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট শাহে আলম, শিবগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ও শামা ওবায়েদের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট শোভন ইসলাম।

আরসি/পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • রাজনীতি এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
কচুরিপানায় তৈরি হচ্ছে উন্নত সার, খুলছে সম্ভাবনার দুয়ার
ফুটবল খেলা নিয়ে প্রতিপক্ষের হামলা, যুবক নিহত
যে কারণে ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা
দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাকাতের হামলায় বাংলাদেশি ব্যবসায়ী নিহত
X
Fresh