• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

বগুড়ায় আ.লীগ-বিএনপির সংঘর্ষ, মোটরসাইকেলে আগুন, দোকান ভাঙচুর

বগুড়া প্রতিনিধি

  ২০ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৯:০৯

বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার চড়পাড়া বাজারে আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে বিএনপির ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন। এসময় কমপক্ষে ১৫টি মোটরসাইকেলে আগুন দেয়া হয় এবং আওয়ামী লীগ অফিস ছাড়াও ৬টি দোকান ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও বিজিবি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাবার বুলেট ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করেছে।

বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত দফায় দফায় এ সংঘর্ষ চলে। দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করায় চড়পাড়া ও পাকুল্যা বাজার এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

জানা গেছে, বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী বিএনপি নেতা কাজী রফিকুল ইসলাম বৃহস্পতিবার সোনাতলা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ধানের শীষের নির্বাচনী প্রচারণা কর্মসূচি ঘোষণা করেন। প্রতিপক্ষ নৌকা মার্কার কর্মী-সমর্থকরা ধানের শীষের প্রার্থীকে প্রতিহত করার ঘোষণা দেয়।

ধানের শীষের প্রার্থী কাজী রফিকুল ইসলাম বেলা ১১টার দিকে বগুড়া শহর থেকে বিএনপি ও যুবদলের তিন শতাধিক নেতাকর্মী সঙ্গে নিয়ে বগুড়া শহর থেকে সোনাতলার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পথে গাবতলী থানা পুলিশ কাজী রফিকুলের মোটরসাইকেল বহরে থাকা কর্মী সমর্থকদেরকে গাবতলী থানা এলাকার সুখানপুকুর এলাকায় আটকে দেয়। এ অবস্থায় কাজী রফিক অল্প সংখ্যক নেতাকর্মী নিয়ে সোনাতলার উদ্দেশ্যে রওনা হলে সোনাতলা উপজেলা সৈয়দ আহমেদ কলেজ বটতলা এলাকায় আ.লীগের কর্মী-সমর্থকের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে।

পরে পুলিশ কাজী রফিককে বিকল্প পথে সোনাতলা যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেয়। এদিকে সংঘর্ষের খবর পেয়ে সুখান পুকুরে আটকে থাকা কাজী রফিকের তিন শতাধিক কর্মী সমর্থক পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে সোনাতলার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পরে চড়পাড়া বাজারে পৌঁছালে দু’পক্ষের মধ্যে শুরু হয় ব্যাপক সংঘর্ষ। সংঘর্ষ চলাকালে বিএনপির শত-শত নারী-পুরুষ লাঠি হাতে নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। এসময় ধানের শীষের নেতাকর্মীর সংখ্যা অনেক বেশী হওয়ায় নৌকার কর্মী সমর্থকরা কোণঠাসা হয়ে পড়ে। ধানের শীষের নেতাকর্মীরা চড়পাড়া বাজারে আওয়ামী লীগ অফিস ভাঙচুর করে। এসময় কমপক্ষে ১৫টি মোটরসাইকেলে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটে। চড়পাড়া বাজারে ৬টি দোকান ভাংচুর করা হয়। অতিরিক্ত পুলিশ ও বিজিবি ঘটনাস্থলে পৌঁছে টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে বেলা তিনটার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এদের মধ্যে আওয়ামী লীগ নেতা কমেন্ট মিয়া (৪৫) ও রফিকুল ইসলাম(৪০), ইউনুছ আলী(৪০) পুলিশের রাবার বুলেটের আঘাতে আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

বিএনপির প্রার্থী কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, বুধবার রাতে সোনাতলা থানার ওসি ও ইউএনওকে জানানো হয়েছে বৃহস্পতিবারের কর্মসূচির ব্যাপারে। আওয়ামী লীগের সমর্থকরা এলাকায় যেতে দিবে না মর্মে আগে থেকেই প্রচার করে আসছিল। এ কারণে পুলিশকে জানানো হয়েছিল বিষয়টি। কিন্তু পুলিশের উপস্থিতিতেই হামলা চালানো হয়।

সন্ধ্যা ৬টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরিফ মণ্ডলের নেতৃত্বে অতিরিক্ত পুলিশ ও বিজিবি চড়পাড়া এলাকায় অবস্থান করছে।

সোনাতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম জানান, তিনি বিশেষ জরুরি সভার কাজে রাজশাহীতে অবস্থান করছেন।

এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • রাজনীতি এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ঢাকাস্থ বগুড়া জার্নালিস্ট ফোরামের সভাপতি তুহিন, সম্পাদক হাবিব
৭৩ নেতাকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার
হিলিতে গরুবাহী ভটভটির ধাক্কায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত 
‘দেশের উন্নয়নে পাকিস্তান প্রশংসা করলেও বিএনপি করে না’
X
Fresh