• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

পটুয়াখালী-৩, ৪

নির্বাচনে আ.লীগের পুঁজি উন্নয়ন, বিএনপি দেখাবে সরকারের ব্যর্থতা

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ১৪ নভেম্বর ২০১৮, ১১:১৮

আওয়ামী লীগের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত পটুয়াখালী-৩ ও ৪ আসন। সারাদেশের উন্নয়নের ধারাকে পুঁজি করে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে চায় আওয়ামী লীগ। অন্যদিকে বিএনপির হাতিয়ার বর্তমান সরকারের নানান ক্ষেত্রে ব্যর্থতা। স্থানীয়রা বলছেন দুই বড় দলের মধ্যে এবার হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে এখানে।

নদী-নালা বেষ্টিত গলাচিপার ১২টি ইউনিয়ন, একটি পৌরসভা ও দশমিনা উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন নিয়ে পটুয়াখালী-৩ আসন। ১৯৯১ সালের পর থেকে দখলে থাকা এ আসনে এবার মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন বর্তমান এমপি ও চারবারের সংসদ সদস্য আ.খ.ম জাহাঙ্গীর হোসাইন। তার বাইরেও নৌকার কাণ্ডারি হতে চান যুবলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক কামরান শাহীদ মহাব্বাত প্রিন্স, দশমিনা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন শওকত, দশমিনা সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইকবাল মাহামুদ লিটন এবং বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনার-সিইসি কেএম নূরুল হুদার ভাগ্নে এসএম শাহজাদা সাজু।

পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী আলমগীর হোসেন বলেন, আমার ফেমেলী ব্যাকগ্রাউন্ড, রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ড দেখে আমাকে যদি মনোনয়ন দেন তাহলে আমি এ আসন থেকে বিপুল ভোটে জয়ী হব।

যুবলীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক কামরান শাহীদ মহাব্বাত প্রিন্স বলেন, দল যাকেই নমিনেশন দিবেন তার জন্যই কাজ করবো।

পটুয়াখালী উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন শওকত বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি জনপ্রিয়তার দিক যাচাই করে মনোনয়ন দেন তাহলে আমি ইনশাল্লাহ মনোনীত হবো।

জেলা আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী সদস্য অ্যাডভোকেট ইকবাল মাহমুদ লিটন বলেন, যদি আমায় মনোনয়ন দেয়া হয়, তাহলে বিপুল ভোটে বিজয় হব। যা আগের সব রেকর্ড ভেঙে দিবে।

স্বাধীনতার পর ১৯৭৯ সালে দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী একবার এ আসনে জয়লাভ করলেও এবার বিজয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী তারা। এখন পর্যন্ত বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীর দৌঁড়ে রয়েছেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি শাহজাহান খান এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি হাসান মামুন।

জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আলহাজ্জ্ব শাহজাহান খান বলেন, তৃণমূল থেকে শুরু করে সকল ইউনিয়নে আমাদের জনবল একসঙ্গে কাজ করছে। এবার আমরাই জয়ী হবো।

বিএনপির কার্যনির্বাহী সদস্য হাসান মামুন বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে বেগম জিয়ার মু্ক্তি এবং একটি নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা করা।

অপরদিকে সাগরপাড়ের জনপদ কলাপাড়া উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন, দুটি পৌরসভা এবং রাঙ্গাবালী উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত পটুয়াখালী-৪ সংসদীয় আসন। বর্তমানে এখানকার সংসদ সদস্য আলহাজ মো. মাহবুবুর রহমান তালুকদার ছাড়াও মনোনয়ন প্রত্যাশীদের দৌঁড়ে রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মহিব্বুর রহমান, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক আবদুল্লাহ আল ইসলাম লিটন, কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মঞ্জুরুল আলম।

পটুয়াখালীর বর্তমান সংসদ সদস্য মো. মাহবুবুর রহমান তালুকদার বলেন, আমি একজন আওয়ামী লীগের সদস্য হিসেবে মনোনয়ন প্রত্যশী। তবে দল যাকে মনোনয়ন দিবে তার জন্য কাজ করবো।

জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি মো. মহিব্বুর রহমান বলেন, আমি সবসময় এলাকার মানুষের পাশে আছি। তাদের জন্য কাজ করছি।

আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সম্পাদক আবদুল্লাহ আল ইসলাম লিটন বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমার তারুণ্য, সততা এবং জনমত দেখে আমায় মনোনয়ন দিবেন।

কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মঞ্জুরুল আলম বলেন, নেত্রী যাকে নমিনেশন দিবে তার পক্ষেই কাজ করতে হবে। আমরা জয়বাংলা জয় বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কর্মী।

এদিকে রাজনৈতিকভাবে চাপে থাকার পরও নীরবে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন বিএনপি। এ আসনে ধানের শীষের হাল ধরতে প্রস্তুত বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও কলাপাড়া উপজেলা সভাপতি এবিএম মোশাররফ হোসেন বলেন, আওয়ামী এই স্বৈরাচারী সরকারের সঙ্গে আমরা লড়ব এবং বিজয়ী হব।

আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে এমনটাই আশা তাদের।

আরও পড়ুন :

জেএম/জেবি

মন্তব্য করুন

daraz
  • রাজনীতি এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় বিএনপির ৯ নেতাকে শোকজ
উপজেলা পরিষদেও হচ্ছে ডামি নির্বাচন : রিজভী
উপজেলা ভোটে ব্যর্থ হলে গণতন্ত্র ক্ষুণ্ন হবে : সিইসি
প্রতীক পেয়েই প্রচার-প্রচারণায় প্রার্থীরা
X
Fresh