আওয়ামী লীগের ভোট কারচুপির মেশিন ইভিএম: রিজভী
বিএনপিসহ দেশের সব রাজনৈতিক দল, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ, সুশীল সমাজ, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী ও জনমতকে উপেক্ষা করে সীমিত আকারে ইভিএম ব্যবহারের ঘোষণা দিয়েছিলেন সিইসি। কিন্তু দু’দিন আগে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) শাহাদাত হোসেন ৮০ থেকে ১০০টি আসনে ইভিএম ব্যবহারের ঘোষণা দিয়েছেন। যা আরও গভীর চক্রান্ত বলেই সবাই বিশ্বাস করছে। ইভিএমে ভোট কারচুপি হয় বলেই পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই এটি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের ভোট কারচুপির মেশিন ইভিএম। বললেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
রিজভী বলেন, ভোট কারচুপি ও ভোট ডাকাতির এই মেশিন আরও ব্যাপকভাবে ব্যবহার করার এই সিদ্ধান্ত আগামী সংসদ নির্বাচনে ভোট জালিয়াতিরই মহাপরিকল্পনা। নির্বাচনে কোনও ইভিএম ব্যবহার করা চলবে না। ভোট ডাকাতির যন্ত্র ইভিএম ব্যবহারের এই মহাপরিকল্পনা থেকে সরে আসতে হবে।
তিনি বলেন, ২৫ ডিসেম্বর খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের বড় ধর্মীয় উৎসব। থার্টি ফার্স্ট আর ইংরেজি নববর্ষের কারণে বিদেশি পর্যবেক্ষক ও বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত-হাইকমিশনার এবং মিশন কর্মকর্তারা ছুটিতে থাকেন। তাদের দৃষ্টির অন্তরালে একটা বড় ভোট চুরির নির্বাচন করতে সরকারের কৌশলী নির্দেশে ৩০ ডিসেম্বর ভোটের দিন নির্ধারণ করছে ইসি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের পূর্বের দাবি অনুযায়ী নির্বাচন এক মাস পেছাতে হবে। পূণঃতফসিল দিতে হবে। এছাড়াও নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় ও গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারে সব রাজনৈতিক দলকে সমান সুযোগ দিতে হবে।
রিজভী বলেন, নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দেয়া, গ্রেপ্তারী বন্ধের নির্দেশ দেয়া হলেও তা মানা হচ্ছে না।
আরও পড়ুন :
জেএইচ
মন্তব্য করুন