• ঢাকা মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

কুড়িগ্রাম-১: লড়াই হবে বিএনপি ও জাতীয় পার্টিতে

আব্দুল কুদ্দুস চঞ্চল

  ০১ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৬:৫১

কুড়িগ্রাম-১ সংসদীয় আসনে জাতীয় পার্টি ও বিএনপির একক প্রার্থী মনোনয়ন তালিকায় থাকলেও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের তালিকায় রয়েছেন ছয়জন প্রার্থী।

একক প্রার্থী হওয়ায় এরইমধ্যে জাতীয় পার্টি ও বিএনপির প্রার্থী চূড়ান্ত হয়েছে। নাগেশ্বরী-ভূরুঙ্গামারী উপজেলা নিয়ে গঠিত সংসদীয় এ আসনটি।

বর্তমানে আওয়ামী লীগের মাঠে ভোট বাড়লেও জোটবদ্ধ রাজনীতির কারণে এ আসনে দলটির প্রার্থী না থাকার সম্ভাবনাই বেশি। তারপরেও আসনটি নিজেদের দখলে নিতে মনোনয়ন দৌড়ে নেমেছেন আওয়ামী লীগ নেতারা। যোগ দিচ্ছেন স্থানীয় বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে। বাড়িয়েছেন নিজেদের কর্মীসংযোগ ও ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগ।

এরইমধ্যে যাদের নাম আলোচিত হচ্ছে তাদের মধ্যে রয়েছেন ব্লুমীং নীটওয়ার লিমিটেডের পরিচালক শিল্পপতি মাজহারুল ইসলাম মাজু। মনোনয়ন দৌড়ে এবারই প্রথম তিনি। অনেক আগে থেকে এ দৌড়ে আছেন দেশবন্ধু গ্রুপের চেয়ারম্যান ও কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি শিল্পপতি গোলাম মোস্তফা এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আছলাম হোসেন সওদাগর।

নবম ও দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পর্যায়ক্রমে তারা দলীয় মনোনয়ন পান। পরে মহাজোট এ আসনটি জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দিলে দলীয় হাই কমান্ডের সিদ্ধান্তে তারা তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন।

ভূরুঙ্গামারী উপজেলা চেয়ারম্যান নুরন্নবী চৌধুরী খোকন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে তার বাবা সাবেক সংসদ সদস্য শামছুল হক চৌধুরীর মতো জনগণের পাশে থাকতে চান।

সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকায় আছেন ষাটের দশকের ছাত্রনেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা শিল্পপতি আখতারুজ্জামান মণ্ডল, মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ওসমান গণী। দলীয় মনোনয়নের আশায় তারা যোগ দিচ্ছেন বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে। বিলবোর্ড ও পোস্টার লাগিয়েছেন দুই উপজেলার সর্বত্রই। মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মতে এ আসনে নৌকা প্রতীকের পক্ষে ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া।

এ আসনের তিনবারের সাবেক সাংসদ আ.খ.ম শহিদুল ইসলাম বাচ্চুর পরে তার উত্তরসূরি হিসেবে পরপর চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে কুড়িগ্রাম-১ আসনকে নিজেদের দখলে রেখেছেন জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি এ.কে.এম মোস্তাফিজুর রহমান।

এবারো এ আসন ধরে রাখতে মরিয়া হয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন তিনি ও তার দলের নেতাকর্মীরা।

অন্যদিকে জাতীয় পার্টির দুর্গে হানা দিতে চায় বিএনপির একক প্রার্থী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য সাইফুর রহমান রানা। তাকে বিজয়ী করতে ভোটের রণকৌশল নির্ধারণে শহর থেকে তৃণমূল পর্যায়ে ঘন ঘন বৈঠকে বসছেন দলীয় নেতাকর্মীরা।

স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে গতবারের মত এবারো এ আসনে প্রার্থিতা করবেন ভূরুঙ্গামারী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হাই মাস্টার। তিনি গণসংযোগ অব্যাহত রেখেছেন।

জেবি/এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • রাজনীতি এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
‘জাতীয় পার্টি কোন চাপে নির্বাচনে এসেছে, তা পরিষ্কার করতে হবে’
পার্টিতে পূর্ণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে : রওশন এরশাদ
পাঁচ বছর আওয়ামী লীগকে ঘুমাতে দেব না : চুন্নু
জাপার অন্তঃকোন্দলের জন্য সরকারকে দায়ী করলেন জিএম কাদের
X
Fresh