• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo

স্বতন্ত্র জোটের শঙ্কা, তবুও আশায় জাপা

আরটিভি নিউজ

  ১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:২৯
জাতীয় পার্টি, সংসদ

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠন করেছে আওয়ামী লীগ। কিন্তু সংসদের প্রধান বিরোধী দল কারা হবে, সেট এখনও নিশ্চিত নয়। একদিকে ৬২ জন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য, অন্যদিকে জাতীয় পার্টির মাত্র ১১ জন এমপি। ফলে স্বতন্ত্ররা এক জোট হলে কপাল পুড়তে পারে জাপার। তবে আশা ছাড়ছে না দলটি। সংসদের প্রধান বিরোধী দল হওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তারা।


গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ২৯৮টি আসনের বেসরকারি ফলাফলে ২২২টি আসন পেয়েছে আওয়ামী লীগ। এরপর সবচেয়ে বেশি আসন পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। ৬২টি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। আর একাদশ সংসদে প্রধান বিরোধী দল থাকা জাতীয় পার্টি (জাপা) জয় পেয়েছে মাত্র ১১টি আসনে। এমন ভরাডুবির পরও দলটির আশা দ্বিতীয়বারের মতো তাদেরই বিরোধী দলের আসনে বসাবে সরকার।

জাতীয় পার্টির নবনির্বাচিত এক এমপি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, জি এম কাদেরকে বিরোধী দলের নেতা এবং জাপাকে সংসদের প্রধান বিরোধী দল করার আশ্বাসে বিএনপিহীন নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল দলটি। এতে বন্ধুপ্রতিম একটি দেশের সম্পৃক্ততা রয়েছে। এ কারণে জি এম কাদের বিরোধী দলের নেতা হবেন।

এদিকে জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলছেন, স্বতন্ত্ররা সংখ্যায় বেশি হলেও তারা তো কোনো রাজনৈতিক দল নয়। যেহেতু জাতীয় পার্টি রাজনৈতিক দল, তাই আমরাই বিরোধী দল হবো।

অন্যদিকে আওয়ামী লীগের পদে থাকা স্বতন্ত্র এমপিরা জোট করে বিরোধী দল হতে পারে বলে শপথের দিন আভাস দিয়েছিলেন কয়েকজন। টানা তৃতীয়বারের মতো ফরিদপুর-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে জয়ী মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন বলেছিলেন, ‘এখনও বিরোধী দল গঠন হয়নি। আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেব। আমরা জোট অবশ্যই করব।’

চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) আসনের স্বতন্ত্র এমপি আবদুচ ছালাম বলেন, ‘শেখ হাসিনা সিদ্ধান্ত দিলে স্বতন্ত্র জোটে যাব। দলের সিদ্ধান্তের বাইরে নই।’ একই কথা বলেছেন চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনের স্বতন্ত্র এমপি এম এ মোতালেব।

এদিকে সংবিধান বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বতন্ত্ররা যদি জোট করে স্পিকারের কাছে বিরোধী দল হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য আবেদন করেন এবং তিনি সেটি গ্রহণ করেন, তাহলে জাতীয় পার্টি প্রধান বিরোধী দল হতে পারবে না। এক্ষেত্রে ৬২টি জন স্বতন্ত্র সদস্য ওই জোটে না থাকলেও কোনো সমস্যা নেই। জাতীয় পার্টি থেকে নির্বাচিত সদস্যদের চেয়ে জোটের সদস্য বেশি হলে তারাই হবে বিরোধী দল। এখন নির্বাচিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জোট করেন কিনা, সেটি দেখার বিষয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক চিফ হুইপ আব্দুস শহীদ বলেন, সংবিধানে বিরোধী দল গঠনের বিষয়ে কিছু বলা নেই। এবার স্বতন্ত্র সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন ৬২ জন। তারা যদি গ্রুপ বা জোট করে আসে, স্পিকারের কাছে যদি আবেদন করেন, তবে ওই জোট বা গ্রুপই বিরোধী দল হবে, এতে কোনো বাধা নেই।

এর আগে, ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিজয়ী ১৬ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী মিলে হাজী সেলিমের নেতৃত্বে একটি জোট তৈরি করেছিলেন। সেই জোটকে আনুপাতিক হারে তিনজন সংরক্ষিত নারী সদস্যের কোটাও দেওয়া হয়েছিল। সাড়ে তিন বছর পরে অবশ্য সেই জোটের নেতা হাজী সেলিমসহ বেশিরভাগ সদস্য আওয়ামী লীগে ফিরে যান।

এ ছাড়া ১৯৮৮ সালের নির্বাচনে জাতীয় পার্টি এককভাবে ২৫১টি আসনে জয় পেয়েছিল। অন্যদিকে জাসদের নেতৃত্বে কম্বাইন্ড অপজিশন পার্টি পেয়েছিল ১৯টি আসন। আর স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পেয়েছিল ২৫টি আসন। এ ছাড়া জাসদ তিনটি এবং ফ্রিডম পার্টি দুটি আসন পায়। সেসময় ফ্রিডম পার্টি ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যদের সমর্থন নিয়ে আ স ম আব্দুর রব সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা নির্বাচিত হয়েছিলেন।

মন্তব্য করুন

daraz
  • রাজনীতি এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
পাকিস্তানের সংসদ ভবনে জুতা চুরি, খালি পায়ে ফিরলেন এমপিরা
পার্টিতে পূর্ণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে : রওশন এরশাদ
‘সংসদ সদস্য কোনো প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণায় যেতে পারবেন না’
সংসদ সদস্যের গাড়িতে হামলা, যুবক আটক
X
Fresh