• ঢাকা শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
logo

‘খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের স্থায়ী সমাধানে বিদেশ পাঠানো জরুরি’

আরটিভি নিউজ

  ১১ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:৫৮
খালেদা জিয়া
ছবি : সংগৃহীত

বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা অন্যবারের তুলনায় বর্তমানে অনেকটা ভালো। তবে স্থায়ী ও উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে দেশের বাইরে পাঠানো জরুরি।

বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের বাসভবন ফিরোজায় এক ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান তিনি।

এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, উনার (খালেদা জিয়া) ক্রনিক লিভার ডিজিসের চিকিৎসা ছিল লিভার ট্রান্সপ্লান্টেশন অ্যান্ড টিপস। আমরা বহু আবেদন-নিবেদন করেছি, উনার পরিবার করেছে কিন্তু উনাকে বিদেশ নেওয়া সম্ভব হয়নি।

তিনি বলেন, পরবর্তীতে আমরা জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনজন স্বনামধন্য চিকিৎসক প্রফেসর ডা. পি হ্যামিলটন, প্রফেসার ক্রিস্টোফার জর্জ এডিস, প্রফেসর ডা. হামিদ রহমান এবং মেরিল্যান্ডের একজন কার্ডিওলোজিস্ট প্রফেসর ডা. রফিক আহমেদসহ আমাদের মেডিকেল বোর্ড এখানে গত ২৬ অক্টোবর আপনাদের সকলের দোয়ায় ও আল্লাহর রহমতে সাকসেসফুলি বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো উনার ট্রিপস সম্পন্ন করে। অত্যন্ত সার্থকভাবে ট্রিপস এই মুহূর্ত পর্যন্ত কাজ করছে যার জন্য অনেকটাই তিনি সুস্থতাবোধ করছেন। যার জন্য আজকে উনি বাসায় আসতে পেরেছেন।

তবে খালেদা জিয়ার এই চিকিৎসা ক্ষণস্থায়ী উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই চিকিৎসা একটা ব্রিথিং টাইম দিচ্ছে। তার যে আসল চিকিৎসা অর্থাৎ লিভার ডি-কম্পোসসেশনের জন্য, লিভার ট্রান্সপ্লান্টেশন অথবা আর্টিফিশিয়াল লিভার সাপ্লিমেন্ট- এগুলো করার জন্য যে সময় দরকার, সেই সময়টুকু আমরা পেয়েছি। সে জন্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমরা যদি মাল্টি ডিসিপ্লিনারি এডভান্স সেন্টার, জন হপকিন্স পৃথিবীর অন্যতম বিশেষায়িত হসপিটাল শুধু নয়, অত্যন্ত স্বনামধন্য সেন্টার। যারা এই ট্রান্সপ্লান্টেশন হেন্ডেল করেন, ম্যানেজ করেন। বোথ লিভার, কিডনি অ্যান্ড আদার ট্রান্সপ্লান্টেশন।

বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত এ চিকিৎসক জানান, খালেদা জিয়ার সুস্থতা ধরে রাখতে হলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব উনাকে মাল্টি ডিসিপ্লিনারি এডভান্স সেন্টারে নেওয়া যাবে ততই উনার সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত হবে। আশঙ্কা থেকে উনি মুক্ত হবেন।

২০২৩ সালের ৯ আগস্ট থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন খালেদা জিয়া। টানা পাঁচ মাসের অধিক সময় হাসপাতালে থাকার পর বৃহস্পতিবার বাসায় ফিরেছেন তিনি।

বিএনপির দাবি ৭৮ বছর বয়সী খালেদা জিয়া হার্টের সমস্যা ও লিভারসিরোসিস ছাড়াও নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। এ ছাড়া আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, দাঁত ও চোখের সমস্যাসহ নানান জটিলতা রয়েছে তার। এরই মধ্যে কয়েক দফা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন তিনি। গত বছরের জুনে খালেদা জিয়ার এনজিওগ্রাম করা হলে তার হৃদ্‌যন্ত্রে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর একটিতে রিং পরানো হয়।

খালেদা জিয়ার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি পাঁচ বছরের সাজা হয়। সেদিন থেকে তিনি কারাবন্দি হন। ২০২০ সালের মার্চে করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে সরকার খালেদা জিয়ার দণ্ড ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে মুক্তি দেয়। এরপর দফায় দফায় তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

daraz
  • রাজনীতি এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
‘খালেদা জিয়ার চিকিৎসা বাংলাদেশে নেই’
বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া
জনগণের ম্যান্ডেট নিয়েই আ.লীগ রাষ্ট্র পরিচালনা করছে: কাদের
বিয়েবাড়িতে কাজীর সহকারীকে থাপ্পড় বিএনপি নেতার, অতঃপর...  
X
Fresh