• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo

শমসের মবিনের মতো তৈমুরেরও ভরাডুবি

আরটিভি নিউজ

  ০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:২৬
তৈমুর আলম খন্দকার
ফাইল ছবি

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে বেসরকারি ফলাফলে নৌকার প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজীর কাছে বিপুল ভোটে হেরে গিয়েছেন তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব তৈমুর আলম খন্দকার। আর এ নিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেন গাজী।

রোববার (৭ জানুয়ারি) রাতে আসনটির মোট ১২৮টি কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।

এতে দেখা যায়, আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজী পেয়েছেন ১ লাখ ৫৬ হাজার ৪৮৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শাহজাহান ভুইয়া কেটলি প্রতীকে পেয়েছেন ৪৫ হাজার ৭৫ ভোট। আর আলোচিত প্রার্থী তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব তৈমুর আলম খন্দকার সোনালী আঁশ প্রতীকে পেয়েছেন মাত্র ৩ হাজার ১৯০ ভোট।

নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৮৫ হাজার ৬১৬ জন। নির্বাচনে ১২৮ কেন্দ্রে ভোট প্রদান করেন ২ লাখ ১২ হাজার ৬২৪ জন ভোটার। সে হিসাবে ভোট পড়েছে ৫৫ দশমিক ১৪ শতাংশ।

এদিকে সিলেট-৬ আসনে নৌকার প্রার্থী সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের কাছে বিপুল ভোটে হেরে গেছেন তৃণমূল বিএনপির চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী। আসনটিতে নুরুল ইসলাম নাহিদ পেয়েছেন ৫৮ হাজার ১২৬ ভোট। আর শমসের মবিন পেয়েছেন ১০ হাজার ৮৫৮ ভোট।

এর আগে, সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সারাদেশে ২৯৯টি আসনে বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলে। এ সময়ে কিছু জায়গায় বিচ্ছিন্ন গোলযোগ হয়েছে। ৩০ থেকে ৩৫ জায়গায় ভোট কেন্দ্রের বাইরে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়েছে। কোথাও ভোটকেন্দ্রের পাশে ককটেল বিস্ফোরণেরও ঘটনা ঘটেছে। অনিয়মের কারণে সাতটি কেন্দ্রে ভোট বাতিল করা হয় এবং জাল ভোটে সহায়তা করার জন্য ১৫ ব্যক্তিকে দণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া কারচুপি ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ তুলে ভোট বর্জন করেছেন বেশ কয়েকজন প্রার্থী।

এবার নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ কোটি ৯৭ লাখ। এর মধ্যে ৬ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৯ জন পুরুষ, ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ২০২ জন নারী এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটারের সংখ্যা ৮৫২। মোট ভোটকেন্দ্র ৪২ হাজার ১০৩টি। ভোটকক্ষ ২ লাখ ৬১ হাজার ৯১২টি। ভোট হচ্ছে ব্যালট পেপারে।

ইসির দেওয়া তথ্যমতে, নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ভোট হয়েছে ২৯৯ আসনে। স্বতন্ত্র প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে নওগাঁ-২ আসনের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। নির্বাচনে ২৮টি দল অংশগ্রহণ করেছে। এর মধ্যে দলীয় প্রার্থী ১ হাজার ৫৩৪ জন এবং স্বতন্ত্র ৪৩৬ জন। নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ২৬৬ জন প্রার্থী ছিল আওয়ামী লীগের। এ ছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৬৫ জন প্রার্থী দিয়েছে জাতীয় পার্টি এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৩৫ জন প্রার্থী রয়েছেন ‘সোনালী আঁশ’ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে আসা তৃণমূল বিএনপি।

এদিকে বিএনপিসহ ৬০টি দল নির্বাচন বর্জন করেছে। দলটি সরকার পতনের এক দফা দাবিতে দীর্ঘদিন আন্দোলন করে সফলতা না পেয়ে নির্বাচনের দুই মাস আগ থেকে হরতাল-অবরোধের পথ বেছে নেয়। এতে সরকারকে চাপে ফেলতে না পেরে ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়ে গত ২০ ডিসেম্বর ‘অসহযোগ আন্দোলনের’ ডাক দেয় দলটি। পাশাপাশি সরকারকে সকল প্রকার কর, খাজনা, পানি, গ্যাস এবং বিদ্যুৎ বিল দেওয়া স্থগিত রাখার অনুরোধ জানায় দলটি।

মন্তব্য করুন

daraz
  • রাজনীতি এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ভারতে ভোট দিতে গিয়ে হিটস্ট্রোকে ৫ জনের মৃত্যু
উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় বিএনপির ৯ নেতাকে শোকজ
উপজেলা পরিষদেও হচ্ছে ডামি নির্বাচন : রিজভী
উপজেলা ভোটে ব্যর্থ হলে গণতন্ত্র ক্ষুণ্ন হবে : সিইসি
X
Fresh