‘বেনাপোল এক্সপ্রেসে আগুন গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের কেন্দ্রে আঘাত’
রাজধানীর গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন দেওয়ার মাধ্যমে আমাদের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের কেন্দ্রে আঘাত করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
শনিবার (৬ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের ঠিক দুদিন আগে এই ঘটনাটি দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার উৎসব, সুরক্ষা ও নিরাপত্তাকে বাধাগ্রস্ত করার চূড়ান্ত অভিপ্রায়। বিদ্বেষপূর্ণ উদ্দেশ্য নিয়ে পরিকল্পিত এই নিন্দনীয় ঘটনা নিঃসন্দেহে আমাদের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের কেন্দ্রে আঘাত করেছে।
আব্দুল মোমেন বলেন, ট্রেনে আগুন লাগানো, মানুষ পোড়ানোর মতো সহিংসতার বৈশিষ্ট্য আমরা আগেও প্রত্যক্ষ করেছি। এটি আমাদের সমগ্র সমাজ এবং প্রকৃতপক্ষে সমগ্র বিশ্বের বিবেককে হতবাক করেছে। এটি গণতন্ত্রের অপমান, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার ওপর আক্রমণ এবং নাগরিক অধিকারের মারাত্মক লঙ্ঘন।
শুক্রবারের এই নাশকতায় জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, প্রত্যেককে বিচারের আওতায় আনা হবে এবং অপরাধীকে দেশের আইন অনুযায়ী দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে। জনগণের মধ্যে ভীতি ও আতঙ্ক সৃষ্টির এই নির্লজ্জ প্রচেষ্টা গণতন্ত্রের চেতনা ও আসন্ন নির্বাচনে বাংলাদেশি নাগরিকদের উৎসাহী অংশগ্রহণের অপমাণস্বরূপ।
প্রসঙ্গত, গতকাল শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) রাত ৯টার দিকে রাজধানীর গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে চলন্ত অবস্থায় আগুন লাগিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। পদ্মা সেতু হয়ে যশোরের বেনাপোল থেকে ঢাকায় আসা বিরতিহীন এ ট্রেন সবশেষ থেমেছিল ফরিদপুরের ভাঙ্গা স্টেশনে। সেখান থেকে ছেড়ে আসার পর শুক্রবার রাত ৯টার দিকে গন্তব্যস্থল কমলাপুর স্টেশন থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার আগে আগুনের কারণে থেমে যেতে বাধ্য হয় ট্রেনটি। আগুনে ট্রেনের তিনটি বগি পুড়ে যায় এবং উদ্ধার করা হয় দুই শিশুসহ চারজনের মরদেহ। নিহতদের তিনজনই একই পরিবারের, যারা সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী ও সন্তান বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
মন্তব্য করুন