• ঢাকা শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১
logo

বিদেশিদের জানাতেই বিএনপির ‘হরতাল’!

আরটিভি নিউজ

  ০৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:৪৯

আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণকে বাধাগ্রস্থ করতে হরতালের আশ্রয় নিয়েছে বিএনপি ও তার সমমনা দলগুলো। ৪৮ ঘন্টার হরতাল ডাক দিয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও কূটনীতিকরা বলছেন, এ হরতাল কেবল বিদেশিদের জানাতে দেওয়া হয়েছে। এটা ভোটের ওপর কোন প্রভাব ফেলবে না।

গত একমাস ধরে গণসংযোগের নামে লিফলেট বিতরণে সাধারণ মানুষের সাড়া না পেয়ে শেষমেষ হরতালকে অস্ত্র হিসেবে বেঁছে নিয়েছে নির্বাচন বর্জনকারি দলগুলো। বাংলাদেশের রাজনৈতিক আন্দোলনের ইতিহাসে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে কোনো হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি কখনই পালন না হলেও এবারই প্রথম বিএনপি শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে হরতাল ডেকে রীতিমত হাস্যরসের জন্ম দিয়েছে।

কিন্তু বিএনপির এই হরতাল কি আদৌও নির্বানের দিন ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে যেতে কোনো বাধা সৃষ্টি বা প্রভাব ফেলতে পারবে না বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। বরং নির্বাচন প্রতিহতের কথা বলে হরতাল ডেকে বিএনপি তার সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো মূলত সাংবিধানিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সরাসরি অবস্থান নিয়েছে। আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের নির্ভাচন ঘিরে যে ভিসানীতি প্রয়োগের ক্যাটাগরির কথা বলেছে তাতে বিএনপি ও তার সমমনা দলগুলো এই ক্যাটাগরিতে পড়তে যাচ্ছে বলে মনে সংশ্লিষ্টরা।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বার বার বলে আসছে, তারা বাংলাদেশে একটি শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায়। শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে যারা বাধা দিবে তাদের বিরুদ্ধে ভিসানীতি প্রয়োগ করা হবে।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক কূটনীতিক মোহাম্মদ জমির বলেন, এসব হরতালের কোনো প্রভাব ভোটারদের উপর পড়বে না। ভোটররা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট কেন্দ্রে যাবে। ভোট দিতে যাবে। হরতাল দিয়ে ভোটারদের কেন্দ্র বিমুখ করা যাবে না।

জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ, এটার কোনো প্রভাব পড়বে না। একটা কিছু করতে হবে এ জন্য তারা এটা করেছে, হরতাল ডেকেছে। ছুটির দিনে হরতার হয় না সেটা তারা ভালো করে জানে। তবে কথা হচ্ছে, তারা এই যে হরতার ডাকলো, এটা মানুষ জানলো, বিদেশীরাও জানলো বিরোধীরা কিছু একটা করছে।

তিনি বলেন, আমার মনে হয় তাদের কে কিছু একটা করতে হবে এজন্য তারা করেছে। কারণ ওকোনো হরতালই তো তারা করতে পারেনি। হরতাল করতে গেলে তো জনগণের সম্পৃক্ততা থাকতে হয়। কর্মীদের অংশগ্রহণ থাকতে হয়। এখানে এমনকিছু দৃশ্যমান নয়। কিছু একটা করতে হবে, সেকারণে এটা করা। যদি একেবারেই কিছু একটা না করে তাহলে কি মনে হতো, তাই করেছে। এর কোনে প্রভাব কোনোভাবেই ভোটে পড়বে না।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি প্রয়োগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বেশি গুরুত্ত্ব দেই। গণমাধ্যমও এটা গুরুত্ব দিয়ে থাকে। তারাও (যুক্তরাষ্ট্র) ওরকম এটা সিদ্ধান্ত নিতে হবে, কিছু একটা করতে হবে, করেছে। এখন দেখছে এসব করে কোনো লাভটাব হয় না। তারাও বুঝতে পেরেছে ভিসাটিসা বন্ধ করে বাংলাদেশে কিছু হবে না। এটা না বুঝার তো কোনো কারণ নেই। কিছু একটা করতে হবে বলে তারা একসময় করেছিল। কিন্তু এখন তারা ঠিকই বুঝতে পারছে এটা সম্ভব না। সেই হিসাবে তারা কি করবে এটা আমি জানি না। তবে আমার মনে হয় না, সেই ধরণের কোনো পদক্ষেপ নিবে। সেই জন্য এটাকে গুরুত্ত্ব দেওয়ার কিছু নেই।

মন্তব্য করুন

daraz
  • রাজনীতি এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
বিএনপির আরও ৬১ নেতা বহিষ্কার
বহিষ্কারের পর বিএনপির প্রার্থী আরও বেড়েছে 
সরকার পতনে সবাই আন্দোলনের জন্য একাত্ম হচ্ছে: মঈন
বিএনপির ঘরের রাজনীতিও ঝিমিয়ে পড়েছে: কাদের
X
Fresh