• ঢাকা রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo

‘জনগণের উন্নতি দেখলে সমালোচনাকারীরা বিমর্ষ হয়ে পড়ে’

আরটিভি নিউজ

  ০৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:২৮
শেখ হাসিনা

গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের উন্নয়নের কথা তুলে ধরে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যারা সমালোচনা করেন- দুঃখের বিষয় যে, তারা সঠিক তথ্যটা জাতির সামনে তুলে ধরেন না। দেশের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করা তাদের চরিত্র। মনে হয়, বাংলাদেশের জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নতি দেখলে তারা বিমর্ষ হয়ে পড়ে।

বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে দলীয় ইশতেহার নিয়ে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ১৫ বছর আগের বাংলাদেশ আর আজকের বাংলাদেশের মধ্যে বিরাট ব্যবধান। মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটেছে। মানুষ আজ স্বপ্ন দেখে উন্নত জীবনের। স্বপ্ন দেখে সুন্দরভাবে বাঁচার।

তিনি বলেন, ২০০৬ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের শেষ বছরে বাংলাদেশের অর্থ-সামাজিক অবস্থা কেমন ছিল; আর আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত কতটুকু অগ্রগতি সাধিত হয়েছে আমি সেই চিত্রটাই তুলে ধরছি- প্রবৃদ্ধি ৭.২৫ শতাংশ, মাথাপিছু আয় ৫ গুণ বৃদ্ধি। বাজেটের আকার ১২ গুণ বৃদ্ধি। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি ১৩ গুণ বৃদ্ধি। জিডিপির আকার ১২ গুণ বৃদ্ধি। বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ ৩৬ গুণ বৃদ্ধি। রপ্তানি আয় ৫ গুণ বৃদ্ধি। বার্ষিক রেমিটেন্স ৬ গুণ বৃদ্ধি। বৈদেশিক বিনিয়োগ এফডিআই ৫ গুণ বৃদ্ধি। একজন কৃষি-শ্রমিকের ক্রয় ক্ষমতা ৩ গুণ বৃদ্ধি। শ্রমিকদের মজুরি ৯ গুণ বৃদ্ধি। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৬ গুণ বৃদ্ধি। রপ্তানি আয় ৫ গুণ বৃদ্ধি। দারিদ্র্য হার ৪১.৫১ শতাংশ থেকে ১৮.৭ শতাংশে হ্রাস। অতি দারিদ্র্য হার ৫ গুণ কমেছে। সুপেয় পানি ৫৫ শতাংশ থেকে ৯৮.৮ শতাংশ বৃদ্ধি। স্যানিটারি ল্যাট্রিন ৪৩.২৮ শতাংশ থেকে ৯৭.৩২ শতাংশ বৃদ্ধি। শিশু মৃত্যুহার হাজারে ৮৪ থেকে কমে ২১ জন। মাতৃ মৃত্যুহার প্রতি লাখে ৩৬০ জন থেকে কমে ১৫৬ জন। মানুষের গড় আয়ু হয়েছে ৭২.৮ বছর।

‌‘এ ছাড়া বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ৮ গুণ বৃদ্ধি। বিদ্যুৎ সুবিধা ভোগের হার ২৮ শতাংশ থেকে ১০০ শতাংশ বৃদ্ধি। সাক্ষরতার হার ৭৬.৮ শতাংশ বৃদ্ধি। কারিগরি শিক্ষা ২২ গুণ বৃদ্ধি। দানাদার শস্য উৎপাদন ৪ গুণ বৃদ্ধি।

আমরা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছি। ঢাকায় মেট্রোরেল চালু করেছি, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করা হয়েছে, পাতাল রেলের কার্যক্রম উদ্বোধন করেছি। রূপপুরে দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করেছি। উদ্বোধন করা হয়েছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল। চট্টগ্রামে দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম পাতাল সড়কপথ- ‘বঙ্গবন্ধু টানেল’ নির্মাণ করেছি। কক্সবাজারে দৃষ্টিনন্দন রেলস্টেশন স্থাপন করে ঢাকা-কক্সবাজার রেল রুট চালু করেছি। ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১’ উৎক্ষেপণ করা হয়েছে,’ বলেন শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, অর্থনীতির যেকোনো সূচকে বাংলাদেশের অর্থনীতি ২০০৯ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়ে উৎকর্ষতা সাধন হয়েছে। ২০০৯ সালে জিডিপির পরিমাণ ছিল মাত্র ১০২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২৩ সালে জিডিপির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে ৪৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যায়। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মোট ব্যাংক ঋণের পরিমাণ ৭ গুণেরও বেশি বৃদ্ধি পায়। ২০০৯ সালের জুন পর্যন্ত ২২ হাজার কোটি টাকার মন্দ ঋণ ছিল; যা মোট ঋণের ১০.৫ শতাংশ। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাস শেষে ছিল ১ লাখ ৫৫ হাজার কোটি টাকার মন্দ ঋণ; যা মোট প্রদত্ত ঋণের ৯.৯ শতাংশ।

এর আগে, গত ২৭ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করে বাংলাদেশকে ‘ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে’ উত্তরণের প্রতিশ্রুতি দেন টানা ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকা শেখ হাসিনা। তরুণদের জন্য নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি, বাজারমূল্য ও আয়ের মধ্যে সঙ্গতি প্রতিষ্ঠা ও দুর্নীতিবাজদের বিচারের আওতায় আনাসহ নানান অঙ্গীকার করেন তিনি।

এ ছাড়া ৭ জানুয়ারির নির্বাচন সামনে রেখে ২০ ডিসেম্বর সিলেটে মাজার জিয়ারত ও জনসভায় যোগদানের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এরপর গত দুই সপ্তাহে প্রায় ৪০টি জেলা-উপজেলায় দলের নির্বাচনী জনসভায় সরাসরি অথবা ভার্চুয়ালি যোগ দেন তিনি। সবশেষে বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জের জনসভার মধ্য দিয়ে তার নির্বাচনী প্রচারের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়।

মন্তব্য করুন

daraz
  • রাজনীতি এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
‘চলতি বছরই থাইল্যান্ডের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি’
থাইল্যান্ডের গভর্নমেন্ট হাউসে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী
থাইল্যান্ডের রাজা-রাণীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ
টিপু-প্রীতি হত্যা: অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশ ২৯ এপ্রিল
X
Fresh